নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:০২ পিএম, ১৫ এপ্রিল, ২০১৮
কোটা সংস্কার আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে কোটা ব্যবস্থা বাতিল ঘোষণার পর এবার মুক্তিযোদ্ধারা ছয় দফা দাবি জানিয়েছেন। আজ রোববার দুপুরে প্রেসক্লাবে মুক্তিযোদ্ধাদের গণ জমায়েত ও মিছিল অনুষ্ঠানের এই দাবি জানানো হয়েছে।
ওই অনুষ্ঠানে নৌ মন্ত্রী শাহজাহান খান বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের অসন্মান করা হয়েছে। একই সঙ্গে তিনি কোটা সংস্কার আন্দোলনে নৈরাজ্য সৃষ্টি কারীদের কঠিন শাস্তিও দাবী করেন।
পরে মন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধাদের ছয় দফা দাবির কথা বলেন। এগুলো হলো:
১. কোটা সংস্কারের নামে হত্যার গুজব ছড়িয়ে উস্কানি দিয়ে যারা অরাজকতা সৃষ্টি করেছে, তাদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
২. জামাত-শিবির-রাজাকার সন্তানদের চাকরিতে নিয়োগ বন্ধ করতে হবে।
৩. স্বাধীনতা বিরোধীরা যারা সরকারি চাকরিতে বহাল থেকে দেশের উন্নয়ন ব্যাহত করছে ও মুক্তিযুদ্ধ এবং সরকারবিরোধী নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে, তাদের খুঁজে বের করে চাকরি হতে অপসারণ করতে হবে।
৪. যুদ্ধাপরাধীদের সব অস্থাবর-স্থাবর সম্পত্তি সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করতে হবে।
৫. ২০১৩, ২০১৪, ২০১৫ সালে আন্দোলনের নামে যারা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করেছে এবং বেসরকারি ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে, স্পেশাল ট্রাইবুন্যাল গঠন করে তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
৬. মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান ক্ষুণ্নকারী ও মুক্তিযোদ্ধা এবং বঙ্গবন্ধুকে কটাক্ষকারীদের বিরুদ্ধে পাশ্চাত্যের হলোকাস্ট বা জেনোসাইড ডিনাইল ল`র আদলে আইন প্রণয়ন করে বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে।
ওই সমাবেশে ঘোষণা করা হয়, আগামী ৯ জুন বিকাল তিনটায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের সন্তানদের নিয়ে সমাবেশ করা হবে।
উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে কোটা ব্যবস্থা বাতিলের ঘোষণা করেন।
বাংলাইনসাইডার/আরকে/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রথম পর্যায়ের উপজেলা নির্বাচনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত। ১৫০টি উপজেলায় এখন জনগণ ভোটের অপেক্ষায়। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৫৯টি উপজেলায় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন গতকাল শেষ হয়েছে। সেখানেও এখন নির্বাচনী প্রচারণার ডামাডোল শুরু হয়েছে। কিন্তু উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হবে কি না, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে কি না এবং উপজেলা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে কি না তা নিয়ে একদিকে যেমন জনগণের সংকট রয়েছে তেমনই নির্বাচন কমিশনও এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত।
লক্ষ্মীপুর সদরের তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরপরই হামলার শিকার হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নেপথ্যে নির্বাচনে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ। এঘটনায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী দুই প্রার্থীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ ৯১১ জনের বিরুদ্ধে দুইটি মামলাও দায়ের করেন। ফলে নির্বাচনের পর আনন্দের বদলে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে ওই ইউনিয়নে।