ইনসাইড বাংলাদেশ

নওগাঁয় হাসপাতালে বাড়ছে ডায়রিয়া রোগী

প্রকাশ: ০৫:৪১ পিএম, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail তীব্র গরমে হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা, সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ

তীব্র তাপদাহে নওগাঁয় প্রভাব পড়েছে জনজীবনে। বৃষ্টির আশায় আকাশের দিকে চেয়ে আছে প্রাণীকুল। ঘর থেকে বাহিরে বের হওয়া অনেক কষ্টসাধ্য। কিন্তু তারপরও জীবিকার তাগিদে বের হতে হচ্ছে মানুষ। গত কয়েকদিন থেকে জেলায় তাপমাত্রার পারদ ৩৫ থেকে ৩৭ দশমকি ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসের ঘরে। প্রচণ্ড গরমে বাড়ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, সর্দি ও জ্বরের রোগী। হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর ভীড়। হঠাৎ রোগীর চাপ বাড়ায় সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসক ও নার্সদের।

নওগাঁ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, এক সপ্তাহে অন্তত ৩০০ রোগী ভর্তি হয়েছে। যার বেশিরভাগ বয়স্ক ও শিশু। তারা ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, সর্দি ও জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। হাসপাতালের ৫ম তলায় শিশু ওয়ার্ডের বেড সংখ্যা ১৫টি হলেও সেখানে ভর্তি রয়েছে ৫৬ জন। এর মধ্যে ডায়রিয়া রোগী ২৬ জন। তবে হাসপাতালে থেকে বাড়তি রোগীদের জন্য অতিরিক্ত বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ৭০ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। যার অধিকাংশ ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগী।

জেলা সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য মতে, গত ৭ দিনে জেলার ১১টি উপজেলায় ডায়রিয়া চিকিৎসা নিয়েছে অন্তত ৭৯৮ জন এবং কলেরা (এআরআই) ২৪ জন। জেলা বদলগাছী আবহাওয়া কৃষি পর্যবেক্ষনাগার সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ দশমকি ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

প্রচণ্ড তাপদাহে কর্মজীবী মানুষদের কষ্ট বেড়েছে। হাপিয়ে উঠেছে শ্রমজীবী মানুষ। কর্মজীবী মানুষ বাইরে বের হলেই অতিরিক্ত ঘামে ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন। রোদ থেকে বাঁচতে কেউ ছাতা ও কালো চশমা ব্যবহার করছেন। চিকিৎসকের পক্ষ থেকে প্রচণ্ড গরমে ঘরের বাহিরের না যাওয়া, বিশুদ্ধ পানি ও তরল জাতীয় খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এছাড়া বাচ্চাদের শরীর ঘেমে গেলে তা মুছে দেওয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

জেলার মান্দা উপজেলা থেকে আসা নুরুল ইসলাম বলেন, বাচ্চার বয়স এক বছর। হঠাৎ করেই বাচ্চা অসুস্থ হয়ে বমি ও পাতলা পায়খানা শুরু করে। পরে স্থানীয় চিকিৎককে দেখানো হয়। তার পরামর্শে হাসপাতালে গতরাতে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতাল থেকে খাওয়ার স্যালাইন দেয়া হয়েছে। তবে কলেরা স্যালাইন সহ অন্যান্য ঔষধ প্রায় ৫০০ টাকা বাহির থেকে কিনতে হয়েছে। বাচ্চা এখন কিছুটা সুস্থ।

শিশু ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টাফ নার্স সিমা খাতুন বলেন, গত কয়েক দিন থেকেই রোগীর চাপ। বিশেষ করে ডায়রিয়া রোগী। আমরা ৯ জন স্টাফ। পর্যায়ক্রমে ডিউটি করতে হচ্ছ। হঠাৎ রোগীর চাপ সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এছাড়া হাসপাতাল থেকে যেসব ঔষধ সরবরাহ করা হয়েছে তা রোগীদের দেয়া হচ্ছে।

নওগাঁ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ জাহিদ নজরুল চৌধুরী বলেন, রজমানে রোজায় ভাজাপোড়াসহ অনিয়মিত খাওয়া এবং প্রচণ্ড গরমে কারণে মানুষের শরীরে একটা প্রভাব পড়েছে। এতে করে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, সর্দি ও জ্বর হচ্ছে। হঠাৎ করে রোগীর চাপ বাড়ায় সেবা দিতে গিয়ে চিকিৎসক ও নার্সদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। তবে পর্যাপ্ত ঔষধ হাসপাতাল থেকে সরবরাহ করা হচ্ছে।


তীব্র তাপদাহ   গরম জনিত রোগ   হাসপাতালে বাড়ছে রোগী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরে পথচারীদের মাঝে শরবত বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন


Thumbnail লক্ষ্মীপুরে পথচারী ও শ্রমজীবীদের তৃষ্ণা দূর করতে শরবত বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য এড. নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন

“যতই থাকুক গরমের তেজ, রুহ আফজা রাখবে সুস্থ ও সতেজ” এমন স্লোগানে প্রায় দুই হাজার মানুষের মাঝে শরবত রূহ আফজা বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন।

 

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকালে সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত কার্যালয়ের সামনে ফিতা কেটে তিনি শরবত, রূহ আফজা আপ্যায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

 

এসময় পথচারী ও শ্রমজীবীরা সংসদ সদস্যের কাছ থেকে এ শরবত পান করেন। লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য এড. নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের উদ্যোগে এ শরবত বিতরণ করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা শ্রমিক লীগের সদস্য সচিব বেলাল হোসেন ক্বারী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব ইমতিয়াজ, হামদর্দ নোয়াখালী অঞ্চলের সিনিয়র জোনাল ম্যানেজার নুর আলম, লক্ষ্মীপুর জোনাল ম্যানেজার এমরান হোসেন, লক্ষ্মীপুর শাখা ব্যবস্থাপক শাহজাহান ও সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য সচিব রেজাউল করিম রিয়ান।


তীব্র গরম   শরবত   রূহ আফজা   পথচারী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

হিটস্ট্রোকে ১০ জনের মৃত্যু, ৮ জনই পুরুষ

প্রকাশ: ১২:৪৪ পিএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তীব্র তাপপ্রবাহে পুরছে দেশ। দাবদাহে হিটস্ট্রোকে মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। গত এক সপ্তাহে সারা দেশে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে এর মধ্যে আট জন পুরুষ ও দুইজন নারী। এছাড়া নিহত ১০ জনের মধ্যে গতকাল সোমবার হিটস্ট্রোকে মারা গেছেন তিন জন। হিটস্ট্রোকে আরও পাঁচজন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি।

মঙ্গলবার সকাল ৯টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এসব তথ্য জানিয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, হিটস্ট্রোকে নতুন করে মারা যাওয়া তিনজনের মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে মাদারীপুর জেলায়। আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে চট্টগ্রাম জেলায়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম গত ২২ এপ্রিল থেকে সারা দেশের সরকারি হাসপাতালে হিটস্ট্রোকের রোগীর তথ্য সংগ্রহ করা শুরু করেছে।

মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত সংগৃহীত তথ্যে হিটস্ট্রোকে দশজনের মৃত্যু ও পাঁচজনের হাসপাতালে ভর্তির তথ্য পাওয়া গেছে। কন্ট্রোল রুম জানায়, এ পর্যন্ত সারা দেশে হিটস্ট্রোকে মারা যাওয়া দশজনের মধ্যে ৮ জন পুরুষ ও ২ জন নারী।

মারা যাওয়া ১০ জনের মধ্যে দুজন মাদারীপুরের। এ ছাড়া চুয়াডাঙ্গা, খুলনা, হবিগঞ্জ, রাজবাড়ী, ঝিনাইদহ, লালমনিরহাট, বান্দরবান ও চট্টগ্রাম জেলায় একজন করে মারা গেছেন। তাদের বয়স ৩২ থেকে ৭৯ বছরের মধ্যে। তাদের প্রত্যেকের বাড়ি গ্রামাঞ্চলে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরের তাপমাত্রা অনেক বেশি থাকে (৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা তার বেশি), বমি বমি ভাব থাকে, শ্বাসপ্রশ্বাস দ্রুত হয়, হৃৎস্পন্দন বেড়ে যায়, ঘাম হতেও পারা আবার না–ও পারে, ত্বক গরম ও শুষ্ক অথবা স্যাঁতসেঁতে থাকতে পারে। হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তি সামঞ্জস্যহীন আচরণ করে, তার কথা জড়িয়ে যায়, এমনকি অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে।

জনস্বাস্থ্যবিদেরা ধারণা করছেন, হিটস্ট্রোকে আক্রান্তের সংখ্যা সরকারি হিসাবের চেয়ে বেশি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। প্রথমত, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এখন শুধু সরকারি হাসপাতালের হিসাব নিচ্ছে, দেশের বিপুলসংখ্যক বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে কোনো রোগী যাচ্ছে কি না, তা জানা যাচ্ছে না। দ্বিতীয়ত, রোগীর কোন লক্ষণ দেখে হিটস্ট্রোক শনাক্ত হবে সেই ধারণাও চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীর মধ্যে পরিষ্কার ছিল না। অতিসম্প্রতি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর একটি নির্দেশিকা তৈরি করেছে এবং সেই নির্দেশিকা অনুসরণ করে সরকারি চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, ২০০৩ ও ২০০৭ সালের মধ্যে দেশে তাপপ্রবাহের দেশেগুলোয় মৃত্যু ২২ শতাংশ বেড়ে গিয়েছিল। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, হিটস্ট্রোক ছাড়াও গরমজনিত আরও কিছু সমস্যা হয়। এর মধ্যে আছে: তাপজনিত শ্রান্তি, তাপজনিত সংজ্ঞালোপ, তাপজনিত পেশিসংকোচন, তাপজনিত ফুসকুড়ি। আর হয় তাপজনিত পানিশূন্যতা। প্রচণ্ড তাপ বিশেষ প্রভাব ফেলে অন্তঃসত্ত্বা নারী, শিশু ও প্রবীণদের ওপর। এ ছাড়া যেসব মানুষ দীর্ঘস্থায়ী রোগে ভুগছেন, তাঁদের ঝুঁকি বাড়ে গরমে।


তীব্র তাপপ্রবাহ   হিটস্ট্রোক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

এএসপি পদে পদোন্নতি পেলেন ৪৫ পুলিশ পরিদর্শক

প্রকাশ: ১২:৪২ পিএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

৪৫ জন পুলিশ পরিদর্শককে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) পদে পদোন্নতি দিয়েছে সরকার। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে উপ-সচিব মাহাবুর রহমান শেখ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ পদোন্নতি প্রদান করা হয়।

সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ অধিশাখা এ বিষয়ে পৃথক পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করে।

সহাকারী পুলিশ সুপার হিসেবে পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন- নিরস্ত্র পরিদর্শক ২২ জন, শহর ও যানবাহন পরিদর্শক চারজন এবং সশস্ত্র পরিদর্শক পদমর্যাদার কর্মকর্তা ১৯ জন।


এএসপি   পদোন্নতি   পুলিশ পরিদর্শক   স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়   এএসপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

স্মার্ট ফোন কিনে না দেওয়ায় স্কুল ছাত্রীর আত্মহত্যা

প্রকাশ: ১২:৩২ পিএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

যশোরের শার্শায় মোবাইল ফোন কিনে না দেওয়ায় বাবা মায়ের উপর অভিমান করে নিশিতা ইসলাম (১৩) নামে ৯ম শ্রেণীর এক ছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

 

সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে ২ টার দিকে নিজ ঘরের সিলিং ফ্যান থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

 

মৃত নিশিতা গোপালগঞ্জ জেলার সদর থানার ৪নং ওয়ার্ড চন্দ্রদিঘলীয়া গ্রামের আবু আনসারের মেয়ে। আবু আনসার চাকরি সূত্রে বর্তমান শার্শার বাগআঁচড়ার মাহাবুব আলম এর বাড়ির ভাড়াটিয়া।

 

স্থানীয় সূত্রে পুলিশ জানায়, মেয়েটি বাগআঁচড়া ইউনাইটেড মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৯ম শ্রেণীতে পড়াশোনা করতো। গত কয়েকদিন যাবত সে তার পিতা মাতার কাছে একটি স্মার্ট ফোন কেনার বাইনা ধরে। এদিন সকালে মোবাইল ফোন কিনে না দেওয়ায় তার মায়ের সাথে সে অভিমান করে ঘরে চলে যায়। পরে অনেক সময় ঘর থেকে বের না হওয়ায় তার মায়ের সন্দেহ হয়।পরে অনেক ডাকাডাকি করে কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙ্গে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।

 

শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মনিরুজ্জামান জানান, এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে এবং পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় পোস্ট-মর্টেম ছাড়ায় লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।


আত্মহত্যা   স্কুল ছাত্রী   স্মার্ট ফোন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

৩৩ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ফিল ছিল ৪২

প্রকাশ: ১২:২৪ পিএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে আবহাওয়া অধিদপ্তর পূর্বাভাস দিয়েছিল, মঙ্গলবার গরমের তীব্রতা বেশি থাকবে। বাতাসে জ্বলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকার কারণে অস্বস্তিও বেশি বিরাজ করবে বলে জানিয়েছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র গরম অনুভূত হতে দেখা গেছে। সকাল ১০টায় গুগল সার্চ ইঞ্জিনে রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস দেখালেও 'ফিলস লাইক'-এ দেখাচ্ছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ তাপমাত্রা ৩৩ ডিগ্রি হলেও গরম অনুভূত হচ্ছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো। এসময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৫৫ শতাংশ এবং বাতাসের গতিবেগ ছিল ১৩ কিলোমিটার। 

বেশিরভাগ মানুষ গুগল সার্চ ইঞ্জিনের সহায়তায় তাপমাত্রা দেখেন। তবে গুগলে তাপমাত্রা দেখার সময় দুই রকম তথ্য সামনে আসে। নির্দিষ্ট এলাকার তাপমাত্রা জানতে সার্চ করলেই বিরাজমান তাপমাত্রা বড় করে দেখানো হচ্ছে। বড় অক্ষরে লেখা ওই তাপমাত্রার নিচে ছোট করে লেখা থাকে 'ফিলস লাইক'...। যেটি মূলত অনুভূত হওয়া তাপমাত্রা নির্দেশ করে। কোনো এলাকায় তাপমাত্রা যদি ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়, তবে 'ফিলস লাইক'। এ তার চেয়ে তিন থেকে চার ডিগ্রি বেশি দেখানো হয়। 

এ বিষয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের  খো. হাফিজুর রহমান জানান, আমরা যেভাবে তাপমাত্রা রেকর্ড করি তাতে 'ফিলস লাইক' বেশি হবে এটাই স্বাভাবিক। কারণ, আমরা সরাসরি রোদের মধ্যে তাপ মাপি না। আমরা বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত পদ্ধতিতে তাপমাত্রা রেকর্ড করি। স্বীকৃত পদ্ধতি হলো স্টিভেনসন স্ক্রিনের মাধ্যমে তাপমাত্রা রেকর্ড করা। সে পদ্ধতিতে থার্মোমিটার থেকে বাতাসের তাপমাত্রা নেওয়া হয়। 

তিনি বলেন, যদি আমরা সরাসরি রোদের তাপমাত্রা রেকর্ড করতাম, তাহলে প্রকৃত তাপমাত্রা আরও বেশি হতো। রোদে গেলে যেটা 'ফিল' হচ্ছে সেটাকেই গুগল 'ফিলস লাইক' বলছে। এছাড়া বর্তমানে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি। এজন্য গরমে বেশি অস্বস্তি অনুভূত হচ্ছে। 


তাপমাত্রা   আবহাওয়া অধিদপ্তর  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন