নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০১৮
কোটা সংস্কার আন্দোলন আপাতত শেষ হলেও সরকারের ‘বিপদ’ এখনো কাটেনি- এমনটাই বলছেন বিএনপির নেতারা। একাধিক বিএনপি নেতার সঙ্গে কথা বললে তারা বলেছেন, ‘দ্য গেম ইজ স্টিল অন’। সরকারের সামনে নতুন সমস্যা আসছে- এমন ফিসফাস কথাবার্তা বিএনপির নেতারা কর্মীদের বলছেন। কোটা সংস্কার আন্দোলনে, তারেক-অধ্যাপক মামুনের কথোপকথন ফাঁস হওয়ার পর বিএনপি অনেকটাই ব্যাক ফুটে চলে গেছে। কর্মীরা তো বটেই, নেতারা পর্যন্ত হতাশ হয়ে পড়েছেন। কিন্তু গত দুই দিনে লন্ডনের ফোন আবার নেতাদের আশান্বিত করেছে। তারেক জিয়া ব্যক্তিগত ভাবে যোগাযোগ করেছেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সব সদস্যের সঙ্গে। তাদের তিনি বলেছেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলন এখনো শেষ হয়ে যায়নি। সামনে এই আন্দোলন নতুন রূপে আসছে।’ নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপি একজন নেতা বলেছেন, ‘সামনে নতুন ইস্যু আসছে। সেই ইস্যুও অনেক জনপ্রিয়। সেই ইস্যুতেই বড় আন্দোলন গড়ে উঠবে বলে আমাদের ধারণা।’ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘সরকারের জনপ্রিয়তা এখন তলানিতে। তাই ষড়যন্ত্র করার দরকার নেই, এমনিতেই বড় আন্দোলন গড়ে উঠবে। সরকার কৌশলে কোটা আন্দোলন থেকে শিক্ষার্থীদের সরিয়ে নিতে পেরেছে। কিন্তু বার বার জনগণকে ধোঁকা দেওয়া যায় না।’
একাধিক সূত্র বলছে, ‘বিএনপি-জামাত শিক্ষার্থীদের মধ্যে কোট সংস্কার আন্দোলন নতুন করে শুরু করার চেষ্টা করছে। আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের সাথে কয়েক দফা বৈঠকের খবরও পাওয়া গেছে। এদিকে তিনজন ছাত্রকে তুলে নিয়ে আবার ফেরত দেওয়ার ঘটনায় কোটা সংস্কার আন্দোলন আবার নতুন করে শুরু হতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন অনেকে।
শুধু শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নয়, সচিবালয়ে কর্মকর্তা কর্মচারীদের নিয়েও বিএনপি গোপনে কাজ করছে। বিভিন্ন পদ বঞ্চিত সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের যোগাযোগের খবর সচিবালয়ে কান পাতলেই শোনা যায়। সরকারি কর্মচারীদেরও উস্কে দেওয়ার কাজ থেমে নেই। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সরকারের কাছে বার্তা দিয়েছে; সচিবালয়ে পদ বঞ্চিতরা যেকোনো সময়ে অসহিষ্ণু হয়ে উঠতে পারে।
বেতন ভাতাসহ বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে বেসরকারি শিক্ষকদের আন্দোলনও নতুন করে শুরুর আলামত পাওয়া গেছে। গত দুই সপ্তাহ ধরে বেসরকারি শিক্ষকরা বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ শুরু করেছে।
বিএনপির ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে, তারেক জিয়া একসঙ্গে বিভিন্ন পেশাজীবী এবং শিক্ষার্থীদের মাঠে নামানোর নতুন নীলনকশা তৈরি করেছে। ঈদের পর থেকে বাংলাদেশের চেহারা পাল্টে যেতে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির একজন নেতা। ওই নেতা বলেছেন,‘কৌশলগত কারণে আমরা এক পা পিছিয়েছি, দু পা সামনে এগুবার জন্য। সামনে দেখুন কি কি হয়।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অবশ্য বলেছেন, ‘বিএনপির কর্ম হলো ষড়যন্ত্র করা। আমরা এ ব্যাপারে সজাগ। বিএনপি তো ২০০৮ সাল থেকেই নানা ষড়যন্ত্র করছে। কিন্তু জনসমর্থন ছাড়া শুধু ষড়যন্ত্র করে একটি জনপ্রিয় সরকারের ক্ষতি করা যায় না।’
Read in English- https://bit.ly/2qCkGBA
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাপদাহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।
প্রথম দুই দফা ভোটের যে হার, তাতে বিজেপির মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিজেপির নেতারা ভোটে যে ভূমিধস বিজয় আশা করছিলেন সেটি হবে না। ভারতের কোন কোন গণমাধ্যমগুলো ভোটের ফলাফলে নাটকীয় ঘটনা ঘটারও ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষ করে ২০০৪ সালের নির্বাচনে যেভাবে কংগ্রেস অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে বিজেপিকে ধরাশায়ী করেছিল সেরকম কোন ঘটনা ঘটতেও পারে বলে মনে আশঙ্কা করছেন অনেকে। অবশ্য এখনও আরও পাঁচ দফা ভোট বাকি আছে এবং বিজেপি আশা করছে যে, পরবর্তী ধাপগুলোতে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে এবং বিজেপি তাদের জয়ের ধারা অক্ষুণ্ণ রাখবে। নরেন্দ্র মোদি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে দেওয়ার জন্য বারবার আহ্বান জানাচ্ছেন।
ভারতের নির্বাচনের ফলাফল কী হবে তা বোঝা যাবে আগামী ৪ জুন। কিন্তু এখন পর্যন্ত যে ভোটের হাওয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাতে এটা স্পষ্ট যে, ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি জোটের যে নিরঙ্কুশ বিজয়ের ধারণা করা হয়েছিল, সেটি বাস্তবতা নাও পেতে পারে। আর এ কারণেই মোদী যদি শেষ পর্যন্ত পরাজিত হন, তাহলে সেটি হবে ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি বড় ব্যতিক্রমী ঘটনা এবং এটি হবে ভারতের নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চমক।
এখন যখন ভারতের নির্বাচনে একটি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বা অনিশ্চয়তার ফলাফলের শঙ্কা জেগেছে তখন প্রশ্ন উঠছে যে, বিজেপি যদি এই নির্বাচনে পরাজিত হয় তাহলে বাংলাদেশে কী হবে? গত দুটি নির্বাচনে ভারতের বিজেপি সরকার বাংলাদেশকে নিরঙ্কুশভাবে সমর্থন দিয়েছে। ২০১৮ এবং ২০২৪ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি সরকার।
বিশেষ করে ২০২৪ এর নির্বাচনে ভারতীয় সরকারের পরিপূর্ণ সমর্থন ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করত এবং এই নির্বাচনকে অস্বীকৃতি জানাত বলেও অনেকে মনে করেন। মার্কিন মনোভাব পাল্টানোর ক্ষেত্রে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আর নির্বাচনের পর বিএনপি থেকে শুরু করে জাতীয় পার্টি প্রত্যেকেই বলছে যে, ভারত বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখেছে। যদিও এরকম অভিযোগকে আওয়ামী লীগ অস্বীকার করে এবং আওয়ামী লীগ মনে করে যে, জনগণের ভোটে তারা নির্বাচিত হয়েছে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি আওয়ামী লীগ বা বিজেপি কেউই অস্বীকার করে না।
এখন প্রশ্ন হল, যদি বিজেপি পরাজিত হয়, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশের সমীকরণ কী হবে? কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে, বর্তমান সরকারের জন্য সমীকরণের কোন পরিবর্তন হবে না। কারণ ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গেও আওয়ামী লীগ সরকারের একটি সুসম্পর্ক রয়েছে। ইতোমধ্যে ইন্ডিয়া জোটের প্রধান দল কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা দিয়েছে।
অনেকে মনে করেন যে, এখন ভারতে কট্টর হিন্দুত্ববাদী মনোভাবের কারণে সীমান্তে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য রাখা হচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশের মধ্যে একটা ভারতবিরোধী মনোভাব তৈরি হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত যদি নরেন্দ্র মোদি তাহলে এই অবস্থানের পরিবর্তন হবে। দুই দেশের সম্পর্ক আরও বিকশিত হবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ভারত লোকসভা নির্বাচন মল্লিকার্জুন খাড়গে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।