ইনসাইড বাংলাদেশ

প্রতিদ্বন্দ্বীর এজেন্টদের হুমকি, আওয়ামী লীগের দুই নেতা গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১০:১১ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর এজেন্ট কেন্দ্রে ঢুকলে হাত-দাঁত ও চাপার হাড্ডি ভেঙে যমুনা নদীতে ফেলে দেওয়ার হুমকি দাতাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে জেলা প্রশাসক মো. শফিউর রহমান ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শানিয়াজ্জামান তালুকদার সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক এবং সুজাত আলী কলেজের অধ্যক্ষ সাইদুল হাসান সাইদ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান খন্দকার মোতাহার হোসেন জয়।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শানিয়াজ্জামান তালুকদার জানান, চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে দুজন কর্মী যে বক্তব্য দিয়েছেন সেটি উস্কানিমূলক ও হুমকিস্বরূপ। যা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ। বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলামকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।

একই সঙ্গে হুমকিদাতা দুজনের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন সরিষাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেন। শনিবার দুপুরে পুলিশ সাইদুল হাসান সাইদ ও খন্দকার মোতাহার হোসেন জয়কে গ্রেফতার করে।


এজেন্ট   হুমকি   আওয়ামী লীগ   গ্রেপ্তার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

প্রাণে বাঁচলেন ১৯৮ জন বিমানযাত্রী

প্রকাশ: ০১:০০ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

এবার যান্ত্রিক ত্রুটি নিয়ে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে এয়ার এরাবিয়ার একটি ফ্লাইট। শুক্রবার (১০ মে) সকাল ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে ফ্লাইটটি অবতরণ করে।

জানা গেছে, এয়ার এরাবিয়ার ফ্লাইট জি ৯৫২৬-এ ১৯১ জন যাত্রী ও সাতজন ক্রু ছিল। সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ থেকে ফ্লাইটটি চট্টগ্রামে আসছিল। এর মধ্যে সেখানে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। ফ্লাইটের ত্রুটির সংকেত পাঠানো হয় শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কন্ট্রোল রুমে। এরপর পাইলটের দক্ষতায় নিরাপদে অবতরণ করে ফ্লাইটটি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসলিম আহমেদ। তিনি বলেন, ‘সকাল ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে ত্রুটি নিয়ে ফ্লাইটটি অবতরণ করে। যাত্রীরা সবাই নিরাপদে ছিল। সেখানে ১৯১ জন যাত্রীসহ সাতজন ক্রু ছিল।’ 


চট্টগ্রাম   আন্তর্জাতিক   বিমানবন্দর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

খাদ্য ও আর্থসামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ১২:৫০ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সারাদেশে সমবায় ছড়িয়ে দিতে হবে, খাদ্যের নিশ্চয়তা ও আর্থসামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য। সরকারে আসার পর থেকেই প্রচেষ্টা ছিল দেশের মানুষ ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত হবে।

শুক্রবার (১৯ মে) গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় `আমার বাড়ি আমার খামার’ প্রকল্পের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে, সকালে একদিনের সফরে গণভবন থেকে সড়ক পথে টুঙ্গিপাড়ায় যান প্রধানমন্ত্রী। সেখানে পৌঁছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান তিনি। পাশাপাশি ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন তিনি।

এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন ছোট বোন শেখ রেহানা, চাচাতো ভাই শেখ হেলালসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।


প্রধানমন্ত্রী   `আমার বাড়ি আমার খামার’  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কোরবানির ঈদের আগে মসলার বাজারে আগুন

প্রকাশ: ১২:৩৮ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে। এতে দেশের বৃহৎ পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে পণ্যটির দাম কেজিতে কমেছে ১০ টাকা পর্যন্ত। প্রায় চার মাস পর পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলো ভারত। কিন্তু বাজারে আরেক মসলাপণ্য এলাচ কেজিতে বেড়েছে এক হাজার ১০০ টাকা পর্যন্ত। অস্থির এলাচের বাজার নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপের কথা বলেছেন ভোক্তা অধিকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

খাতুনগঞ্জে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা। এটি এক সপ্তাহ আগেও ছিল ৭০ থেকে ৭৫ টাকা। চোরাই পথে আসা ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ৮০ টাকা পর্যন্ত। এটি গত সপ্তাহে ছিল ৯০ টাকা কেজি। আগে দেশের বাজারে ভারত থেকে যেসব পেঁয়াজ আসত তার সবটাই চোরাই পথে। এখন বৈধপথে পণ্যটি আসবে। এ জন্য দাম কমে গেছে। আমদানি শুরু হলে দাম আরো কমবে।

এদিকে প্রতিদিনই অস্থির হয়ে উঠছে মসলাপণ্য এলাচের বাজার। দেশে তিন ধরনের এলাচ আমদানি হয়। এর মধ্যে বড় দানার সবচেয়ে উন্নত এলাচ আসে ভুটান থেকে। মাঝারি সাইজের মোটামুটি ভালো মানের এলাচ আসে গুয়াতেমালা থেকে। এর বাইরে সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভারত, সিঙ্গাপুর ও ইন্দোনেশিয়া থেকেও কিছু এলাচ আমদানি হয়।

বর্তমানে খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে ছোট দানার এলাচ বিক্রি হচ্ছে তিন হাজার ৮০০ টাকা কেজি দরে। ১৫ দিন আগেও একই এলাচ বিক্রি হয়েছিল তিন হাজার ৫০০ টাকায়। বড় দানার এলাচের বর্তমান মূল্য প্রতি কেজি তিন হাজার ৭০০ থেকে তিন হাজার ৯০০ টাকা। এটি গত দেড় মাসে বেড়েছে কেজিতে এক হাজার ১০০ টাকা।

এলাচের আমদানিকারকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এলাচ আমদানিতে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ককর দিতে হয়। এই এলাচ শুল্কায়ন করা হয় ২৫ ডলারে, অথচ এর আমদানি মূল্য সাত ডলার। শুল্কায়ন মূল্য বেশি ধরার কারণে কেজিতে শুল্ককর বেশি দিতে হচ্ছে ৫০০ টাকা পর্যন্ত। যে কারণে দাম হু হু করে বাড়ছে।

দাম বাড়ার বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত বলেন, ‘খাতুনগঞ্জের পাইকারি ব্যবসায়ীরা সঠিক রসিদ রাখেন না। এক মাস আগে অভিযানে আমদানির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, প্রতি কেজি এলাচ ১৫ শতাংশ মুনাফাসহ বিক্রয়মূল্য হওয়ার কথা সর্বোচ্চ এক হাজার ৭০০ টাকা। কিন্তু বাজারে বিক্রি হচ্ছে তিন হাজার টাকায়। তখন একটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানাও করেছিলাম। এখনো আমাদের বাজার তদারকি চলমান। আমরা অসাধু ব্যবসায়ীদের তালিকা করছি। তাদের শনাক্ত করে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসব।’

এলাচ ছাড়াও অন্যান্য মসলাপণ্যের দামও বাড়ছে। বর্তমানে শুকনা মরিচের কেজি ৪৩০ থেকে ৪৪০ টাকা। এক মাস আগে এর দাম ছিল ৩৫০ থেকে ৩৭০ টাকা। এখন দেশি রসুনের কেজি ১৭০ থেকে ২০০ টাকা। আমদানি করা রসুন কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে হয়েছে ২০০ থেকে ২৪০ টাকা। দেশি আদা আগে ছিল ৩০০ টাকা কেজি, এখন ৪৫০ টাকা। আমদানি করা আদা সর্বোচ্চ ২৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


কোরবানি ঈদ   মসলার বাজার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সড়কে নতুন গতিসীমা ধীরে ধীরে কার্যকর করা হবে: বিআরটিএ

প্রকাশ: ১২:০৭ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে সড়কভেদে মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার ও বাসের সর্বোচ্চ গতি নির্ধারণ করা হয়েছে। এজন্য মোটরযানের গতিসীমা সংক্রান্ত নির্দেশিকা, ২০২৪ জারি করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।

দেশের সড়ক-মহাসড়কে যানবাহনের সর্বোচ্চ গতিসীমা বেঁধে দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। বুধবার (০৮ মে) বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার স্বাক্ষরিত ‘মোটরযান গতিসীমা নির্দেশিকা, ২০২৪’ জারি করা হয়। এতে এক্সপ্রেসওয়ে এবং জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে থ্রি-হুইলার যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বিআরটিএর মুখপাত্র মাহবুব-ই-রব্বানী জানিয়েছেন, এটি ব্যাপকভাবে বাস্তবায়নে সময় লাগবে। নতুন নির্দেশিকা সম্পর্কে জনগণকে জানানোর জন্য প্রচারণা কর্মসূচি চালানো হবে। এই অন্তর্বর্তী সময়কালে গতিসীমা লঙ্ঘন প্রতিরোধে ভ্রাম্যমাণ আদালত ব্যবহার করা হবে। এর উদ্দেশ্য চালকদেরকে নতুন গতিসীমা সম্পর্কে জানানো।

নির্দেশিকায় ১০ ধরনের যানবাহনের জন্য সড়কের ৬টি ক্যাটাগরিতে গতিসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। সড়কভেদে ব্যক্তিগত গাড়ি ও বাসের সর্বোচ্চ গতি নির্ধারণ করা হয়েছে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার। আর মোটরসাইকেলের সর্বোচ্চ গতি হবে ৬০ কিলোমিটার। তবে শহরের রাস্তায় ৩০ কিলোমিটার গতিতে চলবে মোটরসাইকেল ও থ্রি-হুইলার।

তবে সড়ক-মহাসড়কে লেন ঠিক না করে যানবাহনের গতিসীমা বেঁধে দেওয়াকে অপরিকল্পিত উদ্যোগ বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। তা ছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেশের সড়কে ৩৫০ সিসি পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলের অনুমতি দিয়েছে। বিআরটিএ যে গতিসীমা বেঁধে দিয়েছে, তা ওই সিদ্ধান্তের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তাদের মতে, সর্বোচ্চ মানের সড়ক এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করে যানবাহন চলাচলের কম গতিসীমা বেঁধে দেওয়া এ ধরনের স্থাপনার মানের সঙ্গে বেমানান। সাধারণত এক্সপ্রেসওয়েতে ১২০ থেকে ১৩০ কিলোমিটার গতিতে যানবাহন চলে। এক্সপ্রেসওয়েতে সাধারণ হাইওয়ের মতো গতিতে যানবাহন চালাতে হলে এ ধরনের অবকাঠামো নির্মাণে বিপুল বিনিয়োগের কোনো প্রয়োজন ছিল না।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ড. হাদীউজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, এক মন্ত্রণালয় মোটরসাইকেলের সিসি বাড়াচ্ছে। অন্য মন্ত্রণালয় ৩০ কিলোমিটার গতিতে চালাতে বলছে। এতে বোঝা যায়, নিজেদের মধ্যে সমন্বয় নেই। তিনি বলেন, ‘একই লেনে যদি সব ধরনের যানবাহন চলে, তা হলে কোনোভাবেই যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। গতিসীমা ঠিক করার উদ্দেশ্য হলো সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানো। কিন্তু যেভাবে গতি নির্ধারণ হয়েছে, তা মোটেই বিজ্ঞানসম্মত নয়, তেমনি অবকাঠামোর সঙ্গে সামাঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এটা মানানো যাবে না। এতে সড়কে আরও বেশি বিশৃঙ্খলা বাড়বে। মামলা বাড়বে। কারণ একই লেনে সব ধরনের যানবাহন চললে দুর্ঘটনাও বাড়বে।’

বিআরটিএ বলছে, এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ সালের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতের সংখ্যা অর্ধেকে কমিয়ে আনতে নতুন নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। বেঁধে দেওয়া গতিসীমা অমান্য করা হলে সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিসের মতো জরুরি পরিষেবায় নিয়োজিত মোটরযানের ক্ষেত্রে এই গতিসীমা শিথিলযোগ্য হবে।

 

 


সড়ক   গতিসীমা   বিআরটিএ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিল মারা ব্যালটসহ ইউপি চেয়ারম্যানের ফেসবুকে পোস্ট

প্রকাশ: ১১:৩৬ এএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে গোপন কক্ষে সিল মারা ব্যালটের সঙ্গে ছবি তুলেছেন আশরাফুল ইসলাম নামে এক ইউপি চেয়ারম্যান। সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্যক্তিগত আইডিতে পোস্ট করেছেন।

এছাড়াও বিজয়ী উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর আইডির পোস্টসহ বিভিন্ন আইডিতে কমেন্ট করেছেন তিনি। তবে বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে তিনি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক প্রোফাইল থেকে পোস্টটি সরিয়ে নেন।

জানা গেছে, আশরাফুল ইসলাম তেঁতুলিয়া উপজেলার শালবাহান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, এছাড়াও তিনি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। বুধবার (৮ মে) জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার শালবাহান ইউনিয়নের মাঝিপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন তিনি।

খোঁজ নিয়ে আরও জানা গেছে, ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম আচরণবিধি অমান্য করে মোবাইল নিয়ে ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করেন। পরে ভোট দেওয়ার গোপন বুথে গিয়ে ব্যালটে সিল মেরে সেখানেই ব্যালটসহ ছবি (সেলফি) তুলেন তিনি। বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের ব্যক্তিগত আইডিতে পোস্ট করেন। সেখানে দেখা যায়, তিনি সিল মারা ব্যালট এক হাতে ধরে আরেক হাতে সেলফিটি তুলেছেন এবং সেই ছবি আপলোড দিয়ে লেখেন ‘ভালোবাসা নেতার পেছনে যায় না, যায় ভালোবাসার পেছনে।’

এর আগেও এই জনপ্রতিনিধি গত ৭ জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন ভোট কেন্দ্রে মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশ করে সিল মারা ব্যালটের ছবি তুলে সামাজিকে যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেন।  এ বিষয়ে শালবাহান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলামের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, ভোট কেন্দ্রে গোপন বুথে প্রকাশ্যে ভোট দেওয়ার ছবি তোলা বেআইনি ও কোনো ভোটার মোবাইল ফোন নিয়ে ভোটকক্ষে প্রবেশ ও তা ব্যবহার করা যাবে না। তবে ভোটকেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রিজাইটিং কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা থাকা অবস্থায় একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে কীভাবে এমন আইন ভঙ্গ হলো এ বিষয়টি নিয়ে নানা আলোচনা ও সমালোচনা দেখা দিয়েছে স্থানীয় মানুষেদের মাঝে। একজন ভোটার কর্তৃক এরূপ কর্মকাণ্ড উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা, ২০১৩ এবং উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এর পরিপন্থী এবং শাস্তিযোগ্য একটি অপরাধ।

এদিকে তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফজলে রাব্বি জানান, একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্বশীল পদে থাকা অবস্থায় তিনি যে কাজটি করেছেন সেটি ঠিক নয়। বিষয়টি নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দেখবেন। তবে, বিষয়টি আমাদের নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গে আমি উপজেলা নির্বাচন ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে অবগত করেছি। বিষয়টি তারা খতিয়ে দেখছেন।


সিল   ব্যালট   ইউপি   চেয়ারম্যান   ফেসবুক   পোস্ট  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন