গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী থেকে ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত র্যাবের নকল ড্রেস, ওকিটকি ও নকল পিস্তলসহ নানা মালামাল উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রবিবার (২৮ এপ্রিল) সকালে মুন্সিগঞ্জ থানার গজারিয়া পুলিশের একটি দল কাশিয়ানী পুলিশের সহায়তায় কাশিয়ানী উপজেলার চরচাপতা গ্রামে অভিযান চালিয়ে ডাকাতদের ভাড়া করা ওই গ্রামের হাবিবুর মোল্রার বাড়ির নিচ তালার একটি ঘর থেকে এসব মালামাল উদ্ধার করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কেএম রিয়াজুল ইসলাম জানান, ‘গত ২৩ এপ্রিল দুবাই ফেরত কুমিল্লা জেলার তিতাস থানার মজিদপুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে নুরুজ্জামান বাড়ি ফেরার পথে বিকেল ৪টার ঢাকা-চট্রগ্রামের মহাসড়কে এশিয়া ট্রন্সপোর্টের একটি বাসের গতি রোধ করে তাকে র্যাব পরিচয়ে তাদের মাইক্রোবাসে উঠিয়ে নিয়ে যায়।
ভূয়া ক্যাপ্টেন পরিচয়দানকারী জালালউদ্দিন ওরফে রবিউল-এর নেতৃত্বে অস্ত্রের মুখে তার (নুরুজ্জামান) কাছে থাকা নগদ ১৭ লাখ টাকা ও ২৮ লাখ টাকার স্বর্নালংকার মোট ৪৫ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে যায় এবং পরে নারায়নগঞ্জ জেলার বন্দর থানার একটি ইটের ভাটার পাশে ফেলে রেখে চলে যায়।
এ ব্যাপারে গজারিয়া থানায় মামলা হলে পুলিশ তদন্তে নামে এবং মাইক্রোবাসের ড্রাইভার নজরুলকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী রবিবার সকালে পুলিশ এসব মালামাল উদ্ধার করে।
ভুয়া ক্যাপ্টেন পরিচয়দানকারী জালালউদ্দিন ওরফে রবিউলের বাড়ি গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার কুসুমদিয়া গ্রামে। তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন স্থানে একাধিক ডাকাতি মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে পাঁচ বছর বয়সী শিশু মুজাহিদ পাঁচশ’ টাকার একটি নোট নিয়ে বাড়ির পাশে এক দোকানে কিছু কিনতে যাচ্ছিল। এসময় তার কাছ থেকে টাকা কেড়ে নিতে কৌশলে এক কিশোর ব্রহ্মপুত্রের কাছে টাকা কেড়ে নিয়ে শিশুটিকে নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এরপর থেকে নিখোঁজ শিশু মুজাহিদ। দুইদিনেও তার খোঁজ মেলেনি।
আজ রোববার (১২ মে) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস।
এর আগে, শুক্রবার (১০ মে) দুপুরে উপজেলার সানন্দবাড়ী এলাকার পাটাধোয়া পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে ওই এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে মোঃ শামিম হোসেনকে (১৫) আটক করে পুলিশ। ইতোমধ্যে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এ ঘটনায় দায় স্বীকার করেছে ওই কিশোর।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে মুজাহিদ তার বাবা-মায়ের অগোচরে ঘর থেকে ৫০০ টাকার একটি নোট নিয়ে পাশের এক দোকানে যায়। এসময় শামীম টাকার লোভে শিশু মুজাহিদের পিছু নেয় এবং টাকা হাতিয়ে নেয়ার জন্য বেড়ানোর কথা বলে তাকে বাড়ির নিকটবর্তী ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে মুজাহিদের কাছ থেকে কৌশলে টাকা নিতে না পেরে শামীম জোরপূর্বক ৫শ’ টাকা কেড়ে নিয়ে তাকে সানন্দবাড়ি ব্রহ্মপুত্র নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এ ঘটনার পর থেকে ভয়ে শামিম গা ঢাকা দেয়। পরে নিখোঁজ মুজাহিদের স্বজনরা শামিমকে সন্দেহ করে পুলিশকে জানালে দেওয়ানগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে তাকে আটক করা হয়।
দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, শামিমকে দেওয়ানগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে আটক করা হয়েছে। শনিবার ঘটনাস্থলে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে মুজাহিদকে নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়ার কথা স্বীকার করেছে। ছোট ছেলে মুজাহিদ, সাঁতার জানে না। ধারণা করা হচ্ছে, মুজাহিদের মৃত্যু হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা করা হলে আদালতে প্রেরণ করা হয় শামিমকে।
ব্রহ্মপুত্র নদ ৫শ’টাকার লোভ শিশু কিশোর
মন্তব্য করুন
ভারতের হাইকমিশনার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
মন্তব্য করুন
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে পাঁচ বছর বয়সী শিশু মুজাহিদ পাঁচশ’ টাকার একটি নোট নিয়ে বাড়ির পাশে এক দোকানে কিছু কিনতে যাচ্ছিল। এসময় তার কাছ থেকে টাকা কেড়ে নিতে কৌশলে এক কিশোর ব্রহ্মপুত্রের কাছে টাকা কেড়ে নিয়ে শিশুটিকে নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এরপর থেকে নিখোঁজ শিশু মুজাহিদ। দুইদিনেও তার খোঁজ মেলেনি।