মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান বলেছেন, ‘কোরবানির ঈদ উপলক্ষে গবাদি পশু আমদানির কোনো প্রয়োজন নাই। দেশি গবাদি পশু দিয়েই কোরবানির চাহিদা মেটানো সম্ভব। গবাদি পশুর বাজার কেউ যেন অস্থিতিশীল করতে না পারে সরকার এ বিষয়ে সতর্ক আছে।’
রোববার (২৮ এপ্রিল) সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুর রহমান বলেন, আগামী কুরবানী ইদ উপলক্ষ্যে বাজারে গবাদি পশু সরবরাহে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সব ধরণের প্রস্তুতি নিয়েছে। আমাদের গবাদি পশুর কোন ঘাটতি নেই। কুরবানী উপলক্ষ্যে মধ্যস্বত্বভোগীরা যেন বাজার অস্থিতিশীল করতে না পারে সে বিষয়ে সরকার সতর্ক আছে বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, কুরবানীর পশু যেন মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকে সে বিষয়ে সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, দেশে কুরবানীর পশু প্রয়োজনের তুলনায় বেশি থাকায় গবাদি পশু আমদানির কোন কারণ নেই। দেশে যে পরিমান পশু খামারিরা উৎপাদন করেন, মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে যে পরিমান পশু উৎপাদিত হয় তাতে আমাদের গবাদি পশুর কোন অপ্রতুলতা নেই বলে এসময় তিনি মন্তব্য করেন। তিনি কুরবানী উপলক্ষ্যে কেউ যেন বাজার অস্থিতিশীল করতে না পারে সে বিষয়ে সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন।
অত্যন্ত আনন্দের সাথে কুরবানীর ইদ পালনের আশাবাদ ব্যক্ত করে মন্ত্রী বলেন, গত বছর কুরবানীর পশুর সংখ্যা ছিল ১ কোটি ২৫ লক্ষ। এর মধ্যে ২২ লক্ষ অবিক্রিত ছিল। এ বছর আমাদের কুরবানীর জন্য ১ কোটি ৩০ লক্ষ পশু রেডি থাকবে বলে জানান মন্ত্রী। বিধায় কুরবানীতে পশুর সংকট থাকার কোন সুযোগ নেই। কুরবানী উপলক্ষ্যে আমাদের সকল ধরণের প্রস্তুতি আছে এবং এ বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও সতর্ক আছেন বলে জানান মন্ত্রী।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, কুরবানী উপলক্ষ্যে চাঁদাবাজী, মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে দাম বেড়ে যাওয়া এসব প্রতিরোধে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করে তা নিয়ন্ত্রণের উপায় বের করা হবে। তিনি বলেন, আমরা যেহেতু গবাদি পশু উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ সেহেতু আমাদের গরু আমদানির কোনো প্রশ্নই উঠে না। বরং অবৈধ্য পথে যেন গরু না আসে সে বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য বর্ডারে যারা দায়িত্বে আছেন তাদেরকে নির্দেশনা প্রদান করা হবে।
তাঁর নিজ এলাকায় সম্প্রতি দুইজন শ্রমিক নিহতের ঘটনায় অপর এক সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ৩১ জন আসামীর মধ্যে ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এ বিষয়ে তৎপর রয়েছে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে পাঁচ বছর বয়সী শিশু মুজাহিদ পাঁচশ’ টাকার একটি নোট নিয়ে বাড়ির পাশে এক দোকানে কিছু কিনতে যাচ্ছিল। এসময় তার কাছ থেকে টাকা কেড়ে নিতে কৌশলে এক কিশোর ব্রহ্মপুত্রের কাছে টাকা কেড়ে নিয়ে শিশুটিকে নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এরপর থেকে নিখোঁজ শিশু মুজাহিদ। দুইদিনেও তার খোঁজ মেলেনি।
আজ রোববার (১২ মে) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস।
এর আগে, শুক্রবার (১০ মে) দুপুরে উপজেলার সানন্দবাড়ী এলাকার পাটাধোয়া পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে ওই এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে মোঃ শামিম হোসেনকে (১৫) আটক করে পুলিশ। ইতোমধ্যে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এ ঘটনায় দায় স্বীকার করেছে ওই কিশোর।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে মুজাহিদ তার বাবা-মায়ের অগোচরে ঘর থেকে ৫০০ টাকার একটি নোট নিয়ে পাশের এক দোকানে যায়। এসময় শামীম টাকার লোভে শিশু মুজাহিদের পিছু নেয় এবং টাকা হাতিয়ে নেয়ার জন্য বেড়ানোর কথা বলে তাকে বাড়ির নিকটবর্তী ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে মুজাহিদের কাছ থেকে কৌশলে টাকা নিতে না পেরে শামীম জোরপূর্বক ৫শ’ টাকা কেড়ে নিয়ে তাকে সানন্দবাড়ি ব্রহ্মপুত্র নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এ ঘটনার পর থেকে ভয়ে শামিম গা ঢাকা দেয়। পরে নিখোঁজ মুজাহিদের স্বজনরা শামিমকে সন্দেহ করে পুলিশকে জানালে দেওয়ানগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে তাকে আটক করা হয়।
দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, শামিমকে দেওয়ানগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে আটক করা হয়েছে। শনিবার ঘটনাস্থলে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে মুজাহিদকে নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়ার কথা স্বীকার করেছে। ছোট ছেলে মুজাহিদ, সাঁতার জানে না। ধারণা করা হচ্ছে, মুজাহিদের মৃত্যু হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা করা হলে আদালতে প্রেরণ করা হয় শামিমকে।
ব্রহ্মপুত্র নদ ৫শ’টাকার লোভ শিশু কিশোর
মন্তব্য করুন
ভারতের হাইকমিশনার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
মন্তব্য করুন
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে পাঁচ বছর বয়সী শিশু মুজাহিদ পাঁচশ’ টাকার একটি নোট নিয়ে বাড়ির পাশে এক দোকানে কিছু কিনতে যাচ্ছিল। এসময় তার কাছ থেকে টাকা কেড়ে নিতে কৌশলে এক কিশোর ব্রহ্মপুত্রের কাছে টাকা কেড়ে নিয়ে শিশুটিকে নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এরপর থেকে নিখোঁজ শিশু মুজাহিদ। দুইদিনেও তার খোঁজ মেলেনি।