সবার বয়স ১৭ থেকে ২২ বছর। তারা প্রথমে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া মেয়েদের আইডি থেকে ছবি সংগ্রহ করতো। তারপর সেগুলো অশ্লীলভাবে এডিট করে ফেসবুক পেইজ ও গ্রুপে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখাতো ওইসব মেয়েদের। শুধু ভয় দেখানোই নয়, মোটা অংঙ্কের টাকা দাবিসহ নানাভাবে ব্ল্যাকমেইলিং করতো তারা। এমনই একটি চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পাবনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এ সময় তাদের কাজ থেকে এই কাজে ব্যবহৃত কম্পিউটার ও বেশ কয়েকটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
রবিবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে পাবনা পুলিশ সুপার কার্যালয় মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পাবনা পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী।
এঘটনায় গ্রেপ্তার কৃতরা হলেন, পাবনা সদর উপজেলার নাজিরপুর গ্রামের মহিউল ইসলামের ছেলে ইসতিয়াক আহম্মেদ রঙ্গন (১৮), বিল ভাদুড়িয়া গ্রামের ইয়াকুব আলীর ছেলে শাহরিয়ার কবির আকাশ (১৭), পাবনা পৌর এলাকার রাধানগর মহল্লার শাহিন মন্ডলের ছেলে ইমন আহাম্মেদ (২০) এবং শালগাড়িয়া মহল্লার বকুল হোসেনের ছেলে হাসিবুল হাসান তন্ময় (২২) ।
পুলিশ সুপার জানান, ফেসবুকে হয়রানির শিকার হয়ে একাধিক স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ভুক্তভোগীর পরিবার পাবনা পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ করেন যে, তাদের মেয়েদের ছবি তাদের ফেসবুক আইডি থেকে সংগ্রহ করে
‘Exposure & Confession Center Pabna-ECCP’, ‘The Boss’, ‘The Roast House’, ‘সত্য কথন ও ইসলাম’, ‘পাবনার অজানা তথ্য’ সহ অন্যান্য ফেসুবক পেইজের মাধ্যমে ছবিগুলো এডিট করে বিভিন্ন আপত্তিকর ছবি পোষ্ট করে আসছিল।
পরবর্তীতে ফেসবুক পেইজ থেকে উক্ত ছবিগুলো ডিলিট করার জন্য পেইজ এডমিনরা ভুক্তভোগীর কাছ থেকে টাকা দাবি করে আসছিল। তাদের দাবি মতো টাকা না দিলে আরো আপত্তিকর ছবি পোষ্ট করার হুমকি দেয়া হতো। এমন অভিযোগের পরই পুলিশ অভিযানে নামে।
অভিযানের এক পর্যায়ে শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ‘Exposure
& Confession Center Pabna-ECCP’ এর এডমিন ইসতিয়াক আহম্মেদ রঙ্গন, ইমন আহাম্মেদ ও শাহরিয়ার কবির আকাশ এবং সত্য কথন ও ইসলাম এবং ‘The Boss’ পেইজের এডমিন হাসিবুল হাসান তন্ময়কে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ সুপার আরও জানান, পাবনা জেলায় এসব সাইবার ক্রিমিনালদের সাইবার বুলিংয়ের শিকার হয়ে বহু ভুক্তভোগী সামাজিকভাবে হেয়
প্রতিপন্ন হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে অনেকে, অনেকের সংসার ভেঙে যাচ্ছে। বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে বেশ কিছুদিন ধরেই পাবনা ডিবি পুলিশ কাজ করে যাচ্ছিল।
তিনি আরও জানান, এসব ক্রিমিনাল প্রযুক্তি বিদ্যায় অত্যধিক পারদর্শী এবং উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারে অভ্যস্ত। আসামিদের বাহিরে আরও বেশ কিছু গ্রুপের এডমিন রয়েছে যারা প্রতিনিয়ত সাইবার বুলিং করে যাচ্ছে। তারা সকলেই আমাদের নজরদারিতে আছে। যে বা যারাই সাইবার ক্রাইম বা সাইবার বুলিংয়ের জড়িত থাকুক না কেন তাদের সকলের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মাসুদ আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) জিয়াউর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ডিএম হাসিবুল বেনজীর, সহকারী পুলিশ সুপার (এসএএফ) আরজুমা আকতার, পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী ও পাবনা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরান হোসেন তুহিন উপস্থিত ছিলেন।
ফেসবুক ব্ল্যাকমেইলিং গ্রেপ্তার অশ্লীল ছবি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে পাঁচ বছর বয়সী শিশু মুজাহিদ পাঁচশ’ টাকার একটি নোট নিয়ে বাড়ির পাশে এক দোকানে কিছু কিনতে যাচ্ছিল। এসময় তার কাছ থেকে টাকা কেড়ে নিতে কৌশলে এক কিশোর ব্রহ্মপুত্রের কাছে টাকা কেড়ে নিয়ে শিশুটিকে নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এরপর থেকে নিখোঁজ শিশু মুজাহিদ। দুইদিনেও তার খোঁজ মেলেনি।
আজ রোববার (১২ মে) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস।
এর আগে, শুক্রবার (১০ মে) দুপুরে উপজেলার সানন্দবাড়ী এলাকার পাটাধোয়া পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে ওই এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে মোঃ শামিম হোসেনকে (১৫) আটক করে পুলিশ। ইতোমধ্যে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এ ঘটনায় দায় স্বীকার করেছে ওই কিশোর।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে মুজাহিদ তার বাবা-মায়ের অগোচরে ঘর থেকে ৫০০ টাকার একটি নোট নিয়ে পাশের এক দোকানে যায়। এসময় শামীম টাকার লোভে শিশু মুজাহিদের পিছু নেয় এবং টাকা হাতিয়ে নেয়ার জন্য বেড়ানোর কথা বলে তাকে বাড়ির নিকটবর্তী ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে মুজাহিদের কাছ থেকে কৌশলে টাকা নিতে না পেরে শামীম জোরপূর্বক ৫শ’ টাকা কেড়ে নিয়ে তাকে সানন্দবাড়ি ব্রহ্মপুত্র নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এ ঘটনার পর থেকে ভয়ে শামিম গা ঢাকা দেয়। পরে নিখোঁজ মুজাহিদের স্বজনরা শামিমকে সন্দেহ করে পুলিশকে জানালে দেওয়ানগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে তাকে আটক করা হয়।
দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, শামিমকে দেওয়ানগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে আটক করা হয়েছে। শনিবার ঘটনাস্থলে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে মুজাহিদকে নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়ার কথা স্বীকার করেছে। ছোট ছেলে মুজাহিদ, সাঁতার জানে না। ধারণা করা হচ্ছে, মুজাহিদের মৃত্যু হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা করা হলে আদালতে প্রেরণ করা হয় শামিমকে।
ব্রহ্মপুত্র নদ ৫শ’টাকার লোভ শিশু কিশোর
মন্তব্য করুন
ভারতের হাইকমিশনার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
মন্তব্য করুন
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে পাঁচ বছর বয়সী শিশু মুজাহিদ পাঁচশ’ টাকার একটি নোট নিয়ে বাড়ির পাশে এক দোকানে কিছু কিনতে যাচ্ছিল। এসময় তার কাছ থেকে টাকা কেড়ে নিতে কৌশলে এক কিশোর ব্রহ্মপুত্রের কাছে টাকা কেড়ে নিয়ে শিশুটিকে নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এরপর থেকে নিখোঁজ শিশু মুজাহিদ। দুইদিনেও তার খোঁজ মেলেনি।