ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিতরা হলেন যারা

প্রকাশ: ১১:১৭ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্যদিয়ে শেষ হয়েছে প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। ভোট গণনা শেষে ফলাফল আসতে শুরু করেছে। সন্ধ্যা থেকে ফলাফল আসা শুরু হয়।

এরআগে বুধবার (৮ মে) সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। প্রথম ধাপে দেশের ১৩৯ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে কয়েক জায়গায় বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে।

ইসি সূত্র জানায়, এ ধাপে মোট এক হাজার ৬৩৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫৭০, ভাইস চেয়ারম্যান ৬২৫ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৪০ জন প্রার্থী রয়েছেন।

প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান পদে ৮, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ করে অর্থাৎ মোট ২৮ জন প্রার্থী এরইমধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন।

ভোটের বেসরকারি ফলাফলে দেখা যায়, দিনাজপুরের হাকিমপুরে চেয়ারম্যান পদে মোটরসাইকেল প্রতীকে কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কামাল হোসেন ২২ হাজার ২৫১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান হারুন উর রশিদ টেলিফোন প্রতীকে ১৯ হাজার ৩৭৮ ভোট পেয়েছেন।

জয়পুরহাটের কালাইয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির মিনফুজুর রহমান। তিনি টানা চতুর্থবারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন। ক্ষেতলালে নির্বাচিত হয়েছেন পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. দুলাল মিয়া সরদার। আক্কেলপুরে মো. মোকছেদ আলী মাস্টার নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি।

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান। কলমাকান্দায় বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আবদুল কুদ্দুছ। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক। জামালপুর সদর উপজেলায় বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দ। পাবনার সুজানগরে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আবদুল ওহাব।

চট্টগ্রামে সন্দ্বীপে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন। চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় নির্বাচিত হয়েছেন দর্শনা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আলি মুনছুর। তিনি চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলি আজগারের সহোদর। জীবননগরে চেয়ারম্যান পদে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক হাফিজুর রহমান। কুমিল্লার লাকসামে চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ইউনুছ ভূঁইয়া। এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন। মনোহরগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবদুল মান্নান চৌধুরী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। কুড়িগ্রামে চিলমারীতে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মো. রুকুনুজ্জামান।

চাঁদপুরের মতলব উত্তরে বিজয়ী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মানিক দর্জি। মতলব দক্ষিণে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সিরাজুল মোস্তফা তালুকদার নির্বাচিত হয়েছেন। পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন নূর ই আলম। তিনি পিরোজপুর-১ (পিরোজপুর সদর, নাজিরপুর, ইন্দুরকানি) আসনের সংসদ সদস্য শ ম রেজাউল করিমের ছোট ভাই। পিরোজপুর সদরে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এস এম বায়েজিদ হোসেন ও ইন্দুরকানিতে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউল আহসান গাজী বিজয়ী হয়েছেন। ফেনীর ফুলগাজীতে বিজয়ী হয়েছেন ফুলগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুন মজুমদার।

রাঙামাটি সদর উপজেলায় জনসংহতি সমিতি সমর্থিত অন্ন সাধন চাকমা ও বরকল উপজেলায় একই দলের বিধান চাকমা বিজয়ী হয়েছেন। কাউখালীতে নির্বাচিত হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সামশুদ্দোহা চৌধুরী ও জুরাছড়িতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জ্ঞানেন্দু বিকাশ চাকমা জয়ী হয়েছেন। মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে চেয়ারম্যান পদে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও দুর্যোগবিষয়ক সম্পাদক দেওয়ান সাইদুর রহমান ও সিঙ্গাইরে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সায়েদুল ইসলাম নির্বাচিত হয়েছেন।

মেহেরপুর সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আমদহ ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আনারুল ইসলাম। মুজিবনগর উপজেলায় নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমাম হোসেন।

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সফিকুল ইসলাম বিজয়ী হয়েছেন। হরিপুর উপজেলায় বিজয়ী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবদুল কাইয়ুম। নওগাঁর বদলগাছীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কোষাধ্যক্ষ ও বর্তমান চেয়ারম্যান শামসুল আলম খান নির্বাচিত হয়েছেন। পত্নীতলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল গাফফার চৌধুরী ও ধামইরহাটে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আজহার আলী বিজয়ী হয়েছেন।

ফরিদপুর সদরে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামচুল আলম চৌধুরী। চরভদ্রাসনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আলী মোল্লা নির্বাচিত হয়েছেন। মধুখালীতে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক মোহাম্মদ মুরাদুজ্জামান নির্বাচিত হয়েছেন।

চট্টগ্রামে সীতাকুণ্ডে চেয়ারম্যান পদে বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সভাপতি আরিফুল আলম চৌধুরী নির্বাচিত হয়েছেন। ঝিনাইদহ সদরে পৌর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মিজানুর রহমান ও কালীগঞ্জে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) মো. শিবলী নোমানী নির্বাচিত হয়েছেন।

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের চরকাদিরা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইসলামী আন্দোলনের বহিষ্কৃত নেতা মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। রামগতিতে নির্বাচিত হয়েছেন নির্দলীয় প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান শরাফ উদ্দীন আজাদ।

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য কাজী শুভ রহমান চৌধুরী। হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের কর্মী আলাউদ্দিন। বানিয়াচং উপজেলায় জয়ী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন খান। সিলেট সদর উপজেলায় জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সুজাত আলী রফিক, দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. বদরুল ইসলাম এবং গোলাপগঞ্জ উপজেলায় জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মঞ্জুর কাদির শাফি চৌধুরী বিজয়ী হয়েছেন।

সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায় এবং শাল্লায় জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি অবনী মোহন দাস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। নারায়ণগঞ্জের বন্দরে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন জেলা জাতীয় পার্টির সহসভাপতি প্রার্থী মাকসুদ হোসেন। পঞ্চগড় সদরে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন পঞ্চগড় সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য এ এস মো. শাহনেওয়াজ প্রধান। তেঁতুলিয়ায় নির্বাচিত হয়েছেন নির্দলীয় প্রার্থী নিজাম উদ্দিন খান। আটোয়ারীতে নির্বাচিত হয়েছেন পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক আনিছুর রহমান।

রাজবাড়ীর পাংশায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার সাইফুল ইসলাম। কালুখালীতে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আলীউজ্জামান চৌধুরী। বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বড় ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনের সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নানের ছেলে ও পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য মোহাম্মেদ সাখাওয়াত হোসেন। সোনাতলায় চেয়ারম্যান পদে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নানের ছোট ভাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিনহাদুজ্জামান লীটন। 

উপজেলা চেয়ারম্যান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চট্টগ্রামে সাবেক ও বর্তমান মন্ত্রীর লড়াই

প্রকাশ: ১০:১১ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে ২৯ মে আনোয়ারা উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা যেন কোন প্রার্থীর পক্ষে-বিপক্ষে না যায় বা না সমর্থন করে এমন নির্দেশনা থাকলেও চট্টগ্রামের আনোয়ারায় সাবেক ও বর্তমান মন্ত্রীর লড়াই চলছে।

জানা গেছে, আনোয়ারায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিন প্রার্থী। তবে এর মধ্যে অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান কাজী মোজাম্মেল হককে (আনারস) ও সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এম এ মান্নান চৌধুরীকে (মোটরসাইকেল) সমর্থন দিচ্ছেন। ভোট ছাপিয়ে উপজেলা নির্বাচন পরিণত হয়েছে সাবেক ও বর্তমান দুই মন্ত্রীর লড়াইয়ের মঞ্চ। তবে দুই নেতার বাইরে আলাদাভাবে প্রচারণা এগিয়ে নিচ্ছেন দুবারের চেয়ারম্যান তৌহিদুল হক চৌধুরী (দোয়াত কলম)।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ১ মে সন্ধ্যায় আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগ বর্ধিত সভা ডেকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বটতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ মান্নান চৌধুরীকে প্রার্থী ঘোষণা করে। ওই সভায় সাবেক ভূমিমন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান চৌধুরী তাকে সমর্থন দেন। একই দিন রাতে অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খানের অনুসারী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কাজী মোজাম্মেল হক প্রার্থী হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে আনোয়ারার চাতরী চৌমুহনীসহ বিভিন্ন জায়গায় আনন্দ মিছিল করেন ওয়াসিকার অনুসারীরা। 

তবে অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খানের অনুসারী কাজী মোজাম্মেল হক উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ায় নির্বাচনী পরিবেশের মোড় ঘুরে যায়। মোজাম্মেলের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের অনেকে থাকায় জমে উঠেছে আনোয়ারা উপজেলা পরিষদের নির্বাচনী আমেজ।

উপজেলা পরিষদের নির্বাচন ঘিরে আনোয়ারায় তিন পক্ষ একে অপরের মুখোমুখি অবস্থানে আছে। সাবেক ভূমিমন্ত্রীর প্রার্থী এম এ মান্নানকে জেতাতে ১০ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এককাট্টা হলেও আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা মাঠে নেমেছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খানের প্রার্থী কাজী মোজাম্মেল হককে জেতাতে। ওই দুই প্রার্থীর বাইরে জেলা-উপজেলার বেশ কিছু নেতাকে নিয়ে মাঠে আছেন তৌহিদুল হক চৌধুরী।

উল্লেখ্য, আনোয়ারা উপজেলার ১১ ইউনিয়নে ৭৪টি ভোটকেন্দ্র আছে। তার মধ্যে স্থায়ী ভোটকক্ষ ৪৮৪টি এবং অস্থায়ী ভোটকক্ষ ৫০টি। পুরুষ ভোটার ১ লাখ ২৩ হাজার ৮৮৮ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৯ হাজার ২২১ জন।

উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

এমপিপুত্রের দাপটে অন্যরা কোণঠাসা

প্রকাশ: ০৯:৩৬ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

সেনবাগ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের ছেলে সাইফুল আলম দিপুর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বী অন্য প্রার্থীদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় প্রশাসনকে নিজেদের সুবিধামতো ব্যবহার করার ফলে অন্য প্রার্থীরা তাদের শঙ্কার কথা জানিয়েছে।

প্রার্থীদের অভিযোগ, দিপু বাবার ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে তার সমর্থকরা পদে পদে হয়রানি করছে অন্য প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের। প্রশাসনকে নিজেদের কাজে লাগানো, অন্য প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের হুমকি, প্রচারণায় বাধাসহ বিভিন্ন অবৈধ কর্মকাণ্ড করছেন ভোটের মাঠে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তার বাবা মোরশেদ আলম। সম্মেলনের মাধ্যমে লায়ন জাহাঙ্গীর আলম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন। কিন্তু গত সংসদ নির্বাচন আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিকের পক্ষে ভোট করার দায়ে লায়ন জাহাঙ্গীরকে পদ থেকে বহিষ্কার করেন এমপি মোরশেদ। এরপর নিজের পছন্দের বাহার উদ্দিনকে সাধারণ সম্পাদক করেন তিনি। এ ছাড়াও বিভিন্ন ইউনিয়নের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেন মোরশেদ। কোনো সম্মেলন ছাড়াই তিনি এসব কমিটি দিচ্ছেন। সব মিলেয়ে সেনবাগে রাজনৈতিক পরিবেশকে অস্বাভাবিক করে তুলেছে এমপি পরিবার। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কমিটিগুলোও তাদের দখলে।

জানা গেছে, নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই অন্য প্রার্থী ও তাদের কর্মী-সমর্থকদের প্রতিনিয়ত প্রাণনাশের হুমকি এবং দলীয় সুবিধা থেকে বঞ্চিত করার হুমকি দিচ্ছেন সাইফুল আলম দিপু ও তার অনুসারীরা। নির্বাচনে ১, ৬,৭ ও ৮ নং ইউনিয়নসহ অন্য ইউনিয়নেও অন্য প্রার্থীর এজেন্ট প্রবেশ না করার জন্যও প্রতিনিয়ত চাপ ও হুমকি দিচ্ছেন তিনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক দলীয় নেতা জানান, তার বিপক্ষে গিয়ে অন্য প্রার্থীর ভোট করায় তাদের সরকারি বরাদ্দ টিআর, কাবিখা এবং দলীয় পদপদবি না দেওয়ার চাপ দিচ্ছেন দিপু। এজন্য প্রশাসন দিয়েও নেতাকর্মীদের বাড়িতে অভিযান চালানো হচ্ছে। মামলারও হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, আগামী মঙ্গলবার (২১ মে) দেশের ১৫৭টি উপজেলায় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের ২য় ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ২য় ধাপে সেনবাগসহ নোয়াখালীতে মোট ৩টি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

সেনবাগ উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়াই করছেন মোট ১৫ জন প্রার্থী৷ তারা সবাই ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী।

স্থানীয় সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের ছেলে আনারস প্রতীকের প্রার্থী সাইফুল আলম দিপু ছাড়াও চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন সেনবাগ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থী মো. আবু জাফর টিপু, বর্তমান চেয়ারম্যান হেলিকপ্টার প্রতীকের প্রার্থী জাফর আহাম্মদ চৌধুরী, সাবেক ছাত্রনেতা কাপ-পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী হাসান মঞ্জুর, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সদস্য মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী এ কে এম জাকির হোসেন জুয়েল ও টেলিফোন প্রতীকের প্রার্থী এস এম জাহাঙ্গীর আলম মানিক।

উপজেলা নির্বাচন   নোয়াখালী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বান্দরবানে সেনা অভিযানে ৩ কেএনএফ সদস্য নিহত

প্রকাশ: ০৭:৪৬ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

বান্দরবানের রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলা সীমান্তে সেনাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) তিন সদস্য নিহত হয়েছে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে দেশীয় অস্ত্র, কার্তুজ, সামরিক পোশাক ও অন্য সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। 

রোববার (১৯ মে) দুপুরে রুমা উপজেলায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ডেবাছড়ার গভীর অরণ্যে কেএনএফ আস্তানা গেড়েছে- এমন খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথবাহিনী অভিযান পরিচালনা করে। সেখানে উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। ঘণ্টা ব্যাপী গুলি বিনিময়ের পর সেখান থেকে কেএনএফের দু’জন সদস্যের লাশ ও একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে তিনিও মারা যান। নিহতদের এখনো কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি।

বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হান কাজেমী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রুমা উপজেলার রনিন পাড়ার কাছে ডেবাছড়া এলাকায় কেএনএফের একটি আস্তানায় সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনীর অভিযানে তিনজন নিহত হয়েছে। ঘটনার পর মরদেহ উদ্ধারের জন্য পুলিশ সেখানে গিয়েছে।

উল্লেখ্য, বান্দরবানে গত ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, টাকা-অস্ত্র লুটের ঘটনায় মামলায় অভিযুক্ত ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগে বান্দরবানজুড়ে যৌথ বাহিনীর চিরুনি অভিযান চলমান রয়েছে।

বান্দরবান   কেএনএফ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য নিয়ে মতবিনিময় সভা

প্রকাশ: ০৭:৩৯ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

সিরাজগঞ্জে গণমাধ্যম কর্মীদেরকে নিয়ে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য নারী পক্ষ নামে একটি সংগঠন সিরাজগঞ্জ ও পাবনার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

 

রবিবার (১৯ মে') দুপুরে শহরের এস. এস রোডস্থ নর্থ টাউন রেস্তোরাঁয় প্রোগ্রাম ফর উইম্যান ডেভোলপমেন্ট (পি ডাব্লিউডি) সার্বিক সহযোগিতা ও নারীপক্ষ আয়োজনে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য দিনব্যাপী মতবিনিময় সভার শুভ উদ্বোধন করেন নারীপক্ষ চেয়ার পারসন গীতা দাস। 

 

মতবিনময় সভায় নারীপক্ষ চেয়ারপার্সন গীতা দাস বলেন, মানুষ কোনো ভালো কর্ম করলে তাকে বিশেষায়িত করা যায়। কিন্তু নারীরা নির্যাতিত হলেও তাদেরকে বিশেষায়িত করা হয়। যেমন ধর্ষণের শিকার হলে তাকে ধর্ষিতা, নির্যাতনের শিকার হলে নির্যাতিতা বলা হয়। অথচ ধর্ষণের শিকার, নির্যাতনের শিকার লিখলেও হয়।’ একজন নারীকে মানুষ হিসেবে দেখলে এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

 

এসময়ে উপস্থিত ছিলেন কামরুন নাহার, ফেরদৌসী আখতার, পিডাব্লিউডি নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা জলি।

এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন বেসরকারি চ্যানেল টুয়েন্টিফর সিনিয়র রিপোর্টার সাংবাদিক হীরুকগুণ, এনটিভি জেলা প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম ইন্না, দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজন সরকার, বৈশাখী টেলিভিশন সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজিত সরকার, দীপ্ত টিভির সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি শিশির, দীপ্ত টিভি পাবনা জেলা প্রতিনিধি শামসুল আলম সহ অনেকে।


ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য   মতবিনিময়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা, চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ

প্রকাশ: ০৭:২৯ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামালের বিরুদ্ধে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে প্রচারণার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের শিবপুর বাজার এলাকা থেকে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করেন চেয়ারম্যার প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল।

 
রোববার (১৯ মে) মোটরসাইলে প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান তানভীর ইসলাম পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট ও রিটার্নিং অফিসারের কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

 

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপে আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।

 
অভিযোগে বলা হয়, অভিযুক্ত উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের শিবপুর বাজার এলাকা থেকে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা ও মোটরসাইকেল শোডাউন দিয়ে প্রচার কাজ চালিয়েছেন। যা নির্বাচনী আচরণ বিধি লংঙ্ঘন।

 

এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যার প্রার্থী তানভীর ইসলাম বলেন, সাইফুল ইসলাম কামালের গুন্ডা সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত আমার কর্মী, সমর্থক, ভোটারদের ভয়ভীতি, হুমকী, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে ভোট দিতে নিরুৎসাহিত করছে। ফলে নির্বাচন কমিশনের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণবিধি সাইফুল ইসলাম কামাল বারবার লঙ্ঘন করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করছেন।

 

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল বলেন, ‘ঘোড়া নিয়ে প্রচার প্রচারণা করিনি। তবে আমি ঘেড়ার গাড়ি নিয়ে প্রচার প্রচারণা করেছি। এটাও যদি বিধি নিষেধ থাকে তাহলে এটাও পরিহার করবো।’

পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট ও রিটার্নিং অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় চেয়ারম্যান প্রার্থী এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি আমরা। তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।


উপজেলা নির্বাচন   আচরণ বিধি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন