নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০১৮
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি লিখবেন কারাবন্দী বেগম খালেদা জিয়া। আজ সকালে কারাগারে ডেপুটি জেলারসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ডেকে তিনি তাঁর প্রতি বিভিন্ন অবহেলার অভিযোগ তোলেন। বেগম জিয়া জানতে চান কাকে বললে এসব সমস্যার সমাধান হবে? উত্তরে জেল কর্তৃপক্ষ নীরব থাকলে, উত্তেজিত বেগম জিয়া বলেন, ‘আমি জানি কে এসব করাচ্ছে। তাঁকেই আমি চিঠি লিখবো। তিনি বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রীকে জানাতে চাই আমার সঙ্গে কি করা হচ্ছে।’ জেল কর্তৃপক্ষ অবশ্য বলেছেন, ‘আইজি প্রিজন এর সঙ্গে কথা বলে সমস্যাগুলো সমাধানের উদ্যোগ নেবেন। এসব ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত যাওয়ার প্রয়োজন নেই। জেল কর্তৃপক্ষের কাছে বেগম জিয়া ৭ টি সমস্যার কথা উল্লেখ করেছেন, এগুলো হলো:
১. বেগম জিয়া অভিযোগ করেছেন, তাঁর হাঁটুর ব্যথা, হাতের ব্যথা বাড়ছেই। তাঁর সুচিকিৎসা হচ্ছে না। অবিলম্বে ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের কাছে চিকিৎসার দাবি করেছেন বেগম জিয়া।
২. জেলখানায় খাবারের মান ক্রমশ: খারাপ হচ্ছে। ইচ্ছে করেই তাঁকে নিম্নমানের খাবার দেওয়া হচ্ছে। তিনি বাড়ি থেকে রান্না করা খাবারের অনুমতি চেয়েছেন।
৩. বেগম জিয়া বলেছেন, তাঁর থাকার ঘর স্যাঁতস্যাঁতে। সেখানে আলো বাতাস প্রবেশ করে না। অবিলম্বে তাঁকে আলো বাতাস যুক্ত একটি কারা কক্ষে স্থানান্তর করার দাবি করেছেন।
৪. বেগম জিয়া বলেছেন, তাঁর থাকার স্থানে প্রচুর মশার উপদ্রব। মশামুক্ত একটি পরিবেশে থাকতে চেয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া।
৫. বেগম জিয়া অভিযোগ করেছেন, তাঁর টয়লেট পুরোনো এবং ব্যবহারে অনুপযুক্ত।
৬. বিএনপি চেয়ারপারসন বলেছেন, কারাগারে বিদ্যুৎ থাকে না অথবা তাঁকে কষ্ট দেওয়ার জন্যেই বিদ্যুৎ বন্ধ করা হয়। তিনি কারা কক্ষে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ চেয়েছেন।
৭. বেগম জিয়া বলেছেন, তাঁর মামলার ব্যাপারে আলোচনার জন্য একদিন পর পর সাক্ষাতের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।
কারা কর্তৃপক্ষ অবশ্য বেগম জিয়ার সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তারা বলেছেন, ডিভিশনপ্রাপ্ত একজন কয়েদি যে সুযোগ সুবিধা পান তারচেয়ে বেশি সুযোগ সুবিধা বেগম জিয়াকে দেওয়া হয়েছে। এতদিন পর্যন্ত বেগম জিয়া কারাগারে সুযোগ সুবিধা নিয়ে কোনো অভিযোগ করেননি। আকস্মিক ভাবে, এত অভিযোগ করার পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে বলেও কারাগারের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
অবশ্য বিএনপি নেতারা গত কিছুদিন ধরেই বেগম জিয়ার চিকিৎসাসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার অপ্রতুলতা নিয়ে কথা বলছিলেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বেগম জিয়াকে নিয়ে বিএনপি একের পর এক নাটক করছে। এতদিন অসুখ নিয়ে নাটক করল। এখন আবার নতুন নাটক শুরু হয়েছে।’ ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কারাগার আরাম আয়েশের জায়গা নয়। তারপরও বেগম জিয়াকে সর্বোচ্চ সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়েছে। আর এটা দেওয়ার এখতিয়ার জেল কর্তৃপক্ষের।
Read In English: https://bit.ly/2qGjpKu
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
দ্বিতীয় ধাপে আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিতব্য জয়পুরহাট সদর ও পাঁচবিবি উপজেলায় ১১ চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ৩০ প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রতীক বরাদ্দের মধ্য দিয়ে এই দুই উপজেলায় প্রার্থীদের আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা শুরু হলো।
তফসিল অনুযায়ী আজ বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করেন নির্বাচনে দায়িত্ব প্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা।
এসময় বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক সালেহীন তানভীর গাজী। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার নুরে আলম (বিপিএম), অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বিপুল কুমার, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফজলুল করিম প্রমুখ।
জানা যায়, সদর উপজেলায় ৫ চেয়ারম্যান, ৭ ভাইস চেয়ারম্যান ও ৪ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এবং পাঁচবিবি উপজেলায় ৬ চেয়ারম্যান, ৪ ভাইস চেয়ারম্যান ও ৪ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বরাদ্দকৃত প্রতীক বুঝে নেন।
জয়পুরহাট সদরে কে কোন প্রতীক:
চেয়ারম্যান পদে এ ইএম মাসুদ রেজা (আনারস), খাজা শামসুল আল আমিন (দোয়াত কলম), আনোয়ার হোসেন (ঘোড়া), আমিনুল ইসলাম মাসুদ (কাপ পিরিচ), হাসানুজ্জামান মিঠু (মটরসাইকেল) প্রতীক পেয়েছেন।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে অশোক কুমার ঠাকুর (টিউবয়েল প্রতীক), উজ্জ্বল মিনজি (টিয়া পাখি), জাকারিয়া মন্ডল (বৈদ্যুতিক বাল্ব), মুনছুর রহমান (মাইক), শামীম আহম্মেদ (উড়োজাহাজ), সিএম আফরাঈম কাবীর (তালা প্রতীক), আলী আকবর মোঃ ইজাহারুল ইসলাম ডাবলু (চশমা) প্রতীক পেয়েছেন।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফারহানা রহমান বিথী (ফুটবল), আছমা বিবি (হাঁস), নাছিমা আক্তার (বৈদ্যুতিক পাখা), রুমানা পারভীন (কলস) প্রতীক পেয়েছেন।
পাঁচবিবি উপজেলা কে কোন প্রতীক:
চেয়ারম্যান পদে আবু বক্কর সিদ্দিক (আনারস), জাহিদুল আলম (কৈ মাছ), মনিরুল শহীদ মন্ডল (মটর সাইকেল), সোহরাব হোসেন (দোয়াত কলম), সাঈদ জাফর চৌধুরী (টেলিফোন), সাবেকুন নাহার (ঘোড়া) প্রতীক পেয়েছেন।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে ওয়াহিদুজ্জামান চৌধুরী (চশমা), আকরাম হোসেন তালুকদার (তালা), খালেকুল ইসলাম (টিউবওয়েল), ফরহাদ আলম (উড়োজাহাজ) প্রতীক পেয়েছেন।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তামান্না বেগম (প্রজাপতি), রাজিনারা টুনি (বৈদ্যুতিক পাখা), রেবেকা সুলতানা (ফুটবল), মৌসুমী আক্তার (ফুলের টব) প্রতীক পেয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, দ্বিতীয় ধাপের মনোনয়নপত্র বাছাই ২৩ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ২৪ থেকে ২৬ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২৭ এপ্রিল থেকে ২৯ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২ মে, আর ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।
উপজেলা নির্বাচন মনোনয়ন চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রতীক বরাদ্দ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটাক্ষ করে ফেসবুকে কুরুচিপূর্ন স্ট্যাটাস দেওয়ায় পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আবুল কালাম আজাদকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে কেন তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তা ৭ দিনের মধ্যে জানাতে ওই নেতাকে নির্দেশ দিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ।
খোঁজ
নিয়ে
জানা
গেছে,
গত
মঙ্গলবার (৩০
মে)
দিবাগত
রাতের
পর
কোনো
এক
সময়
আবুল
কালাম
আজাদ
তার
ফেসবুক
একাউন্টে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটাক্ষ
করে স্ট্যাটাস দেন।
পরদিন
বুধবার
(০১
মে)
সকালে
তার
লেখাটি
সবার
নজড়ে
আসার
পর
ভাইরাল
হয়ে
যায়।
এতে সমালোচনার ঝড়
ওঠে
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মাঝে।
সমালোচনার মুখে
বাধ্য
হয়ে
এক
পর্যায়ে পোস্টটি তার
ফেসবুক
থেকে
ডিলিট
করে
দেন
ওই
নেতা।
বিষয়টি উপজেলা ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের নজড়ে এনে তার শাস্তির দাবি জানান স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। পরে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় বুধবার (১ মে) রাতে এক চিঠিতে সরদার আবুল কালাম আজাদকে তার প্রস্তাবিত পদ থেকে অব্যহতি দেয় জেলা আওয়ামী লীগ।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন বেগম জিয়া?
জেলা
আওয়ামী লীগের দপ্তর
সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান
সুইট
স্বাক্ষরিত ওই
চিঠিতে
বলা
হয়,
'কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নির্দেশে পাবনা
জেলা
আওয়ামী লীগের জরুরী
সভার
সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা
সম্পর্কে ফেসবুকে অশালীন
ও
কুরুচপিূর্ন মন্তব্য করায়
সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের
কারণে
ভাঙ্গুড়া উপজেলা
আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার
আবুল
কালাম
আজাদকে
তার
সকল পদ
থেকে
অব্যহতি প্রদান
করা
হলো।
সেই সঙ্গে কেন
তাকে
স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা
হবে
না
তা
পত্র
প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে
জবাব
দিতে
নির্দেশ প্রদান
করা
হলো।
যদি
তিনি
সাত দিনের মধ্যে
জবাব
না
দেন
তাহলে
তাকে
স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের জন্য
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে
সুপারিশ করা
হবে।'
এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে সরদার আবুল কালাম আজাদের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
আরও পড়ুন: নির্দেশ অমান্যকারী মন্ত্রী-এমপিদের সাধারণ ক্ষমা?
পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স এমপি বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতার এমন স্ট্যাটাস খুবই ন্যাক্কারজনক। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে কথা বলে তাকে সকল পদ থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে।’
অব্যহতি আওয়ামী লীগ নেতা স্যাটাস কুরুচীপূর্ণ
মন্তব্য করুন
জাতীয় সংসদ রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন
মন্তব্য করুন
সহকারী সচিব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটাক্ষ করে ফেসবুকে কুরুচিপূর্ন স্ট্যাটাস দেওয়ায় পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আবুল কালাম আজাদকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে কেন তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তা ৭ দিনের মধ্যে জানাতে ওই নেতাকে নির্দেশ দিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ।