ইনসাইড বাংলাদেশ

২৭ বছরেও হলো না ডাম্পিং স্টেশন, সড়কের পাশেই আবর্জনা


Thumbnail রাস্তার পাশেই ফেলা হচ্ছে আবর্জনা

পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা পৌরসভাটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১৯৯৭ সালে। প্রতিষ্ঠার ২৭ বছর পার হলেও ময়লা-আবর্জনা ফেলার জায়গা ঠিক করতে পারেনি পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। রাস্তার পাশে খোলা জায়গায় ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা এতে দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ গলাচিপা পৌরবাসী


সরেজমিনে দেখা গেছে,গলাচিপা পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের  শান্তিবাগ এলাকার গলাচিপা ডাকুয়া ইউনিয়ন যাওয়ার প্রধান  সড়কের ওপরে ফেলা ময়লা ভাগাড়ে রূপ নিয়েছে। ভাগারটিতে জ্বলছে আগুন ময়লা- আবর্জনায় ঢেকে গেছে পুরো এলাকা সড়কের যাতায়াত করা লোকজন এবং এলাকাবাসী সকলে নাক চেপে  চলাচল করে ।ভাগারটির ঠিক পাশে রয়েছে একটি পুকুর যে পুকুরটির পানি ব্যাবহার করে ওই এলাকার অসংখ্য মানুষ

রাস্তার উপরেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ময়লার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন হসপিটাল ক্লিনিকে ব্যবহার করা সিরিঞ্জ শুই স্যালাইন কাচের বোতল এতে বিভিন্ন সময় ক্ষতির সম্মুখীন হয় এলাকার চলাচল করা এলাকাবাসী এই ময়লার ভাগারটি দ্রুত অপসরন শহরের বাহিরে কোথাও স্থায়ী করার দাবী জানান এলাকাবাসী

শান্তিবাগ এলাকার মোঃ রাসেল বলেন, ‘এই ময়লার গন্ধে বসবাস করা অসম্ভব এই এলাকায় এখন থাকাই বড় দায়, স্থায়ী বাসিন্দা না হলে এই এলাকা ছেড়ে চলে যেতাম। এইখানে বাসা থাকায় আত্মীয় স্বজনরা আসতে চায় না

আরেক ভুক্তভোগী ডলি বেগম বলেন, ‘এই ময়লা গুলো পৌরসভার লোকজন গাড়িতে নিয়ে এসে ফেলে চলে যায় এই ময়লার গন্ধে খাওয়া দাওয়া বন্ধ হয়ে যায় এমন চলতে থাকলে যেকোনো সময় বড় ধরনের অসুখ হইয়া যাইবে । দ্রুত এই ময়লা সরানোর জন্য পৌরসভাকে বারবার বল্লেও তারা কোনো কিছু করে না।

এবিষয়ে গলাচিপা পৌরসভার প্যানেল মেয়র স্থানীয় ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুনীল বিশ্বাস জানান, ডাম্পিং স্টেশনের জন্য জায়গা ইতোমধ্যে নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকার থেকে বরাদ্দ আসলেই ময়লা স্থানান্তর করা হবে।

গলাচিপা পৌরসভার মেয়র আহসানুল হক তুহিনের সাথে এই বিষয়ে কথা বলার চেষ্টা করেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।


ডাম্পিং স্টেশন   ময়লা   আবর্জনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

অবশেষে ভিসা পেলেন আনার কন্যা ডরিন

প্রকাশ: ০৮:৫৮ পিএম, ০৩ জুন, ২০২৪


Thumbnail

ভিসা জটিলতা কাটিয়ে অবশেষে কলকাতা যাচ্ছেন ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।

সোমবার (৩ জুন) তিনি ভারতীয় ভিসা পেয়েছেন বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন। 

এর আগে হত্যার খবর পেয়ে গত ২২ মে আনারকন্যা ডরিন এবং সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত সহকারী আব্দুর রউফ ভারতের ভিসার জন্য আবেদন করেন।  ভিসা না পাওয়ায় কলকাতা যাওয়া হচ্ছিল না ডরিনের। 

এদিকে কলকাতার সঞ্জীবা গার্ডেন্সের সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার হওয়া হাড় ও মাংস এমপি আনারের কিনা তা পরীক্ষার জন্য ডরিনের ভারতে যাওয়া প্রয়োজন। 

সেখানে উদ্ধার হওয়া দেহাংশের সঙ্গে ডরিনের ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। 

এর আগে ২৮ মে ডরিন বলেছিলেন, কলকাতার সঞ্জীবা গার্ডেন্সের ফ্ল্যাটের সেপটিক ট্যাংক থেকে দেহের খণ্ডাংশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। কিন্তু এই খণ্ডাংশ বাবার কিনা তা নিশ্চিত করেনি পুলিশ। এজন্য ডিএনএ পরীক্ষার নমুনা দিতে কলকাতা পুলিশ ডাকলে সেখানে যাব।

ঝিনাইদহ-৪   আনোয়ারুল আজিম আনার   মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সাবেক ছাত্রনেতা শফি আহমেদ আর নেই

প্রকাশ: ০৮:৩১ পিএম, ০৩ জুন, ২০২৪


Thumbnail

নব্বইয়ের স্বৈরাচার বিরোধী গণ-আন্দোলনের সর্বদলীয় ছাত্র আন্দোলনের নেতা শফী আহমেদ মারা গেছেন। 

সোমবার (৩ জুন) বিকেলে নিজ বাসভবনে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শফী আহমেদের স্ত্রী তাহেরা খন্দকার।

তাহেরা খন্দকার বলেন, আজ বিকেলে তিনি (শফী আহমেদ) হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে ঘুমের মধ্যে মারা গেছেন।

নব্বইয়ের ছাত্র আন্দোলনের সময় জাসদ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ছিলেন শফি আহমেদ। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র ছিলেন। এরপর তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন। তিনি দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক ছিলেন। এরপর শফী দলটির মুক্তিযুদ্ধ উপ-কমিটির সদস্য ছিলেন।

২০০৭ সালের বাতিল হওয়া নির্বাচনে নেত্রকোনা-৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছিলেন তিনি। এরপর গত চার নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন শফী আহমেদ।

শফি আহমেদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শেখ হাসিনার বাংলাদেশে কোন নষ্ট মানুষের জায়গা হবে না: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

প্রকাশ: ০৭:০৮ পিএম, ০৩ জুন, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান বলেছেন, শেখ হাসিনার এই বাংলাদেশে যারা দেশকে কন্ট্রিবিউট করতে চায়, যারা মানুষকে কন্ট্রিবিউট করতে চায়, যারা প্রাণি সম্পদকে কন্ট্রিবিউট করতে চায়, তাদেরকে স্বাগত জানানো হবে। তবে শেখ হাসিনার এই বাংলাদেশে কোন নষ্ট মানুষের জায়গা হবে না এবং আজকের তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে দৈহিক শক্তি ব্যবহার করে কোন কিছুই করা যাবে না।

সোমবার (৩ জুন) রাজধানীর খামারবাড়িতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের নতুন ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন ও নির্মাণ কাজের উদ্বোধন শেষে আলোচনা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। 

এর আগে  প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সক্ষমতা জোরদারকরণ প্রকল্পের আওতায় ৮২.৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর চত্বরে নতুন ভবন নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের পথে তার যাত্রা অব্যাহত রেখেছেন। প্রাণিসম্পদের জন্য এধরণের ভবন নির্মাণ তারই বহিঃপ্রকাশ।

এসময় মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী মনে, মননে, প্রাণে, ভালোবাসায় সমস্ত কিছুতেই এই জাতি ও দেশ গঠনে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী সারাক্ষণই দেশ নিয়ে ভাবেন, দেশের মানুষ নিয়ে ভাবেন, প্রাণি নিয়ে ভাবেন। প্রধানমন্ত্রী এ দেশকে এমন এক উচ্চতায় নিয়ে যেতে চান যেখান থেকে এ দেশ কোনো দিন আর পেছনে ফিরবে না, এদেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।

নানাবিধ পরিকল্পনার মাধ্যমে প্রাণিসম্পদের উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর জন্য উপযুক্ত জনগোষ্ঠী তৈরির নিমিত্তে দৃষ্টি নন্দন একটি ভবন তৈরি করার ব্যবস্থা প্রধানমন্ত্রী যে আশা নিয়ে করে দিয়েছেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা তা পূরণ করবেন বলে মন্ত্রী এসময় আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তবে তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, এই ভবন তৈরিকে সামনে রেখে যাতে কোনো বাড়তি উৎপাতের জন্ম না হয় সেদিকে বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ভেটেরিনারি এসোসিয়েশন (বিভিএ) এর মহাসচিব ড. মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান মোল্লা, বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ ইমরান হোসেন, বাংলাদেশ কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ তোফাজ্জেল হোসেন ও অতিরিক্ত সচিব এ.টি.এম. মোস্তফা কামাল এসময় বক্তব্য প্রদান করেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী   আব্দুর রহমান   প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের নতুন ভবনের ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধন

প্রকাশ: ০৬:৫৩ পিএম, ০৩ জুন, ২০২৪


Thumbnail

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান। 

সোমবার (৩ জুন) রাজধানীর খামারবাড়িতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সক্ষমতা জোরদারকরণ প্রকল্পের আওতায় ৮২.৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর চত্বরে এ ভবন নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী। ১০ তলা ভিত বিশিষ্ট ভবনের মধ্যে ৮ তলা মূলভবন ও ২ তলা বেজমেন্ট।

ভবনটির আয়তন প্রায় ১ লক্ষ স্কয়ার ফিট। ভবনটিতে ২টি বেইজমেন্ট রয়েছে, যেখানে প্রায় ৪৪ টি গাড়ী পার্কিংয়ের সুযোগ থাকবে। এছাড়া ভবনটিতে প্রায় ২২০ জনের মাল্টিপারপাস হলরুম , ৬০ জনের ১টি কনফারেন্স রুম, ২৫ জনের ১টি কম্পিউটার ল্যাব, ৬০ জনের ১টি প্রশিক্ষণ রুমের ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়াও ৩৫ জন মহিলা ও ১২২ জন পুরুষের পৃথক নামাজের ব্যবস্থা, পুরুষ ও মহিলাদের পৃথক ওয়াশরুম, রিসিপশন, অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা, ওয়েটিং রুম, সার্ভার রুম, ডে-কেয়ার সেন্টার, ডক্টরস রুম ও ক্যাফটেরিয়ার সু-ব্যবস্থা থাকবে।

ভবনটিতে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন বৈদ্যুতিক সাবষ্টেশন, জেনারেটর ও ৪টি লিফট, স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট ও সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য আরবরিকালচার ও ট্রেস গার্ডেনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ভবনটির নির্মাণ কাজের পিরিয়ড ধরা হয়েছে ১৮ মাস।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর   নতুন ভবন   মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী   মো. আব্দুর রহমান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরে নারী শিক্ষার বার্তা বশিকপুর ইসলামিয়া মহিলা আলিম মাদ্রাসা


Thumbnail

নৈতিক ও দ্বীনি শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষিত নারী গড়ে তুলতে ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বশিকপুর ইসলামিয়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসা। শুরুতে বশিকপুর এলাকার ধর্মপ্রাণ, গরীব ও অসহায়দের সন্তানরা ভর্তি হলেও কালের পরিক্রমায় মানসম্মত, আধুনিক ও যুগোপযোগী পাঠদান দেখে সব শ্রেণি পেশার মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রতিষ্ঠানটিতে তাদের সন্তানদের ভর্তি করাতে শুরু করেন। অভিভাবকরা বলছেন, প্রতিবছর জেডিসি ও দাখিল পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জনসহ নানা পর্যায়ে সাফল্য অর্জনের মাধ্যমে এ প্রতিষ্ঠানের সুনাম রয়েছে বেশ। আর এর পেছনে কারিগর হিসেবে শুরু থেকেই সুপার হিসেবে সততার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন মাওলানা মোঃ মোরশেদ আলম।

 

আধুনিক কারিকুলাম ও দক্ষ শিক্ষকদের মাধ্যমে পাঠদান করায় অল্পদিনেই বশিকপুর ইউনিয়নের কাশিপুর, জুনেদপুর, উমেদপুর, বশিকপুর, খোদাওয়ান্দপুর গ্রাম ছাড়াও পাশ্ববর্তী বেশ কয়েকটি এলাকায় নারী শিক্ষার একমাত্র আশ্রয়স্থল হিসেবে এ প্রতিষ্ঠানটি পরিচিতি লাভ করে। সময়ের তালে তালে মাধ্যমিকের গন্ডি পেরিয়ে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত নারী গড়ে তুলতে বশিকপুর ইসলামিয়া মহিলা (প্রস্তাবিত) আলিম মাদ্রাসা নামকরণে উন্নীত করা হয় এটি।

 

জানা যায়, ধর্মীয় অনুভূতি নিয়ে বেড়ে ওঠা পরিবারগুলোর মেয়েদেরকে দ্বীনি শিক্ষার পাশাপাশি আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে একটি মহিলা মাদ্রাসা স্থাপনের প্রস্তাব দেন মাওলানা গোলাম মোস্তফা। ব্যতিক্রমধর্মী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সুশিক্ষিত নারী গঠনে প্রতিষ্ঠানটির সুপারের দায়িত্ব নেন মাওলানা মোঃ মোরশেদ আলম। শুরুটা অত্যন্ত অনিশ্চিত ও ঝুঁকিপূর্ণ হলেও শিক্ষকদের আন্তরিকতা ও পাঠদান প্রক্রিয়া দেখে অল্পদিনের মধ্যেই সমাজের সকল শ্রেণি পেশার মানুষের মধ্যমনি হয়ে ওঠে প্রতিষ্ঠানটি। এসময় প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পান আবদুর রব। গরীব, অসহায় ও দূর-দূরান্ত থেকে আসা নারী শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার মান উন্নয়নে শিক্ষকদের পাশাপাশি সভাপতি নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেন। সময়ের তালে প্রতিষ্ঠানটিতে আধুনিকতার ছোঁয়া দিতে সভাপতির দায়িত্ব পান সাবেক যুগ্ন সচিব আবু জাফর মোঃ হোসাইন খান। সভাপতির দিকনির্দেশনায় সুপার এলাকার সব শ্রেণিপেশার মানুষকে সাথে নিয়ে প্রতিষ্ঠানটিকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা, সরকারি বিভিন্ন দিবসে প্রতিযোগীতার আয়োজন ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ, দুর্বল শিক্ষার্থীদের পড়াশুনায় মনোযোগী করতে তদারকি, অভিভাবকদের সাথে মতবিনিময়, দ্বীনি, নৈতিক ও পাঠ্যবই অনুসারে বাস্তবধর্মী পাঠদান করার উদ্যোগ নেন। 

 

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের পূর্ব বশিকপুর এলাকায় স্থাপিত হয় এটি। শুরু থেকে স্বল্প বেতনে পাঠদান করাতে পিছপা ছিলেন না শিক্ষকরা। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে ছয়শতাধিক নিয়মিত শিক্ষার্থী রয়েছে। ১৯ জন শিক্ষক ও ৪ জন কর্মচারী নিয়ে এ প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষিত নারী গঠনে অগ্রণী পালন করছে। 

 

প্রতিষ্ঠানটির কয়েকজন শিক্ষার্থী জানালেন, এ মাদ্রাসাটিতে ভর্তি হতে পেরে তারা আনন্দিত। সকল শিক্ষক তাদেরকে পিতৃতুল্য স্নেহ ও সুশিক্ষিত করে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করতে কাজ করে যাচ্ছেন। 

 

প্রতিষ্ঠানটির কয়েকজন অভিভাবক ও পরিচালনা কমিটির সদস্য জানান, মাদ্রাসা সুপার নিয়মিত শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার বিষয়ে অভিভাকদের তাগিদ দেন। বাল্য বিবাহরোধ, নৈতিকতা বজায় রেখে পর্দা মেনে চলাচল করার বিষয়ে অভিভাবক ও কমিটির সদস্যদের সাথে মতবিনিময় করার কথাও জানান তারা।

 

বশিকপুর ইসলামিয়া মহিলা (প্রস্তাবিত) আলিম মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মোঃ মোরশেদ আলম বলেন, মাদ্রাসা কমিটির জবাবদিহিতাবোধ, শিক্ষকদের আন্তরিকতা, অভিভাবকদের সচেতনতা ও শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের মনোযোগের কারণেই শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জনসহ দক্ষ মানবশক্তি তৈরি হতে পারছে। সরকারি বিভিন্ন দিবসগুলোতে প্রতিযোগীতার আয়োজন করে শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত ও পুরষ্কৃত করা হয়। এছাড়া কম্পিউটার, সেলাই প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন ইভেন্টে এখানকার শিক্ষার্থীরা নিয়মিত প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির সুপার।


নারী শিক্ষা   বার্তা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন