ইনসাইড বাংলাদেশ

আনার হত্যা কাণ্ড: অশান্ত আন্ডারওয়ার্ল্ড

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকাণ্ডের পর চোরাচালান এবং আন্ডারওয়ার্ল্ড অশান্ত হয়ে পড়েছেন। ঝিনাইদহ-৪ আসনের এই এমপি নিজেও এক সময় সর্বহারা রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। সর্বহারা রাজনীতির নামে গলাকাটা, মানুষ হত্যার রাজনীতি ছিল ঝিনাইদহ অঞ্চলে একটি পরিচিত রূপ। পুরো ঝিনাইদহ এই সর্বহারাদের হাতে জিম্মি ছিল। সেখানে মানুষ ছিল নিরাপত্তাহীন।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর সর্বহারাদের বিরুদ্ধে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রয়াত মোহাম্মদ নাসিম সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করেন। সর্বহারাদের আস্তানাগুলো তিনি চুরমার করে দেন। এর পরপরই আস্তে আস্তে সর্বহারা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। রাজনৈতিক অবস্থান থেকে তারা সরে আসে। এই সর্বহারাদের হাতে বিপুল অস্ত্র ছিল এবং প্রায় তারা নিরাপত্তার জন্য ভারতে আশ্রয় গ্রহণ করতেন। আর যখন সর্বহারাদের নেটওয়ার্ক ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালে ভেঙে দেওয়া হয় তখন এদের অনেকেই চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত হন এবং বিভিন্ন অপরাধ কর্মে জড়িয়ে পড়েন।

ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনারের সঙ্গেও চোরাচালানের সম্পর্কের কথা অনেকে জানেন। যদিও তিনি এলাকায় অত্যন্ত জনপ্রিয় ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তার এই ব্যবসা বাণিজ্যের বাইরে তিনি মানুষের জন্য প্রচুর উপকার করতেন। কিন্তু যেহেতু তিনি আন্ডারওয়ার্ল্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং বিভিন্ন চোরাচালান চক্রের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততার তথ্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে এসেছে, তাতে মনে করা হয় যে আন্ডারওয়ার্ল্ডের দ্বন্দ্ব এবং স্বর্ণ চোলাচালানের দ্বন্দ্বের কারণেই আনার খুন হয়ে থাকতে পারেন। এই খুনের অভিযোগে ইতোমধ্যে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে এখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী চিহ্নিত করছেন আখতারুজ্জামান শাহিনকে। চরমপন্থী নেতা আমানুল্লাহ এই কিলিং মিশন বাস্তবায়ন করার জন্য কলকাতায় গিয়েছিলেন বলেও প্রাথমিক তথ্যপ্রমাণে জানা গেছে। বাংলাদেশের ছয় জন এই মিশনে অংশ নিয়েছিল বলেও এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যে বলা হচ্ছে। আনারের মৃত্যুর পর ঝিনাইদহ সহ সারা বাংলাদেশের আন্ডারওয়ার্ল্ড এবং চোরাচালান চক্র অশান্ত হয়ে উঠছে।  

বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যাচ্ছে যে, আনার এলাকায় কেমন প্রভাবশালী জনপ্রিয় ছিলেন না, তিনি এই গ্রুপগুলোর একটি অংশের নেতা ছিলেন। তার নেতৃত্বে সেখানে একটি বড় ধরনের চক্র গড়ে উঠেছিল, যে চক্রের সঙ্গে আনারের বাল্যবন্ধু এবং ব্যবসায়িক অংশীদার আকতারুজ্জামান ওরফে শাহীনের দ্বন্দ্ব হয়। 

ধারণা করা যায় যে, একটি স্বর্ণ চোরাচালানের টাকার ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে দুজনের মধ্যে দ্বন্দ্ব হয়েছিল। এই দ্বন্দ্বের ফলে তাকে হত্যা করা হয়েছে। আর এই হত্যা কাণ্ডের ঘটনা প্রকাশিত হওয়ার পর আন্ডারওয়ার্ল্ড এখন অশান্ত হয়ে উঠেছে। চোরাচালান চক্রের বিভিন্ন গ্রুপ গুলো তৎপরতা শুরু করেছে। বিশেষ করে যারা আনারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিল তারা এখন প্রতিশোধ নেয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। ঝিনাইদহ সহ বিভিন্ন অঞ্চলে একটি অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন সূত্র মনে করছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছেএ রকম তথ্য আছে যে, আনার হত্যার পাশ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে আন্ডারওয়ার্ল্ডের মাধ্যমে আরও বড় ধরনের সহিংসতার ঘটনা ঘটতে পারে।

আনোয়ারুল আজিম আনার   ঝিনাইদহ-৪  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ঘাস ৩০ টাকা, কাঁঠালপাতা ৫০ টাকা, মালা ১০০ টাকা

প্রকাশ: ০৮:৫০ এএম, ১৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

আগামীকাল পবিত্র ঈদুর আজহা। এরই মধ্যে রাজধানীর পশুর হাটগুলো জমজমাট হয়ে উঠেছে। ক্রেতারা কোরবানির জন্য হাট থেকে পছন্দের গরু-ছাগল কিনে বাড়ি ফিরছেন। তবে পশুর খাবারের জন্য কিনতে হচ্ছে নানা প্রকার খাদ্য।

মৌসুমি ব্যবসায়ীরা কোরবানির পশু পশুর হাটকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন মহল্লার অলিগলি ফুটপাতে অস্থায়ী পশুখাদ্যের দোকান বসিয়েছেন। তাদের এসব দোকানে পাওয়া যাচ্ছে কাঁচা ঘাস, কাঁঠালপাতা, ভুসি, শুকনা খড়সহ নানা ধরনের গোখাদ্য। ছাড়া শৌখিন ক্রেতারা পশুর গলায় মালা পরান, তাও মিলছে দোকানে।

এসব দোকানে কাঁচা ঘাস শুকনা খড়ের আঁটি ২০ থেকে ৩০ টাকা, কাঁঠালপাতার আঁটি ৫০ টাকা ভুসি ৫০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে

এদিকে গরুর গলায় দেওয়ার জন্য মালা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ১০০ টাকা মালা বিক্রেতা মাসুদ বলেন, গরুর সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন ধরনের মালা দিয়ে গরুকে সাজানো হচ্ছে। গরু ব্যবসায়ীরা বড় গরুর গলায় ঝোলানোর জন্য মালা কিনছেন। আবার অনেকে গরু কিনে নিয়ে যাওয়ার পথে মালা কিনে গরুর গলায় দিচ্ছেন।


ঘাস   গরু   মালা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কোরবানির ঈদ: ভিড় বাড়ছে খাইট্টা-হোগলার দোকানে

প্রকাশ: ০৮:৩১ এএম, ১৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

কোরবানির পশু কিনে ফেলেছেন অনেকেই। এখন অপেক্ষা করছেন পশু জবাইয়ের। আর তাই কাঠের খাইট্টা হোগলা কিনতে ব্যস্ত সময় পার করছেন অনেকে। ক্রেতাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে রাজধানীর বিভিন্ন মোড়ে অস্থায়ী দোকান বসেছে খাইট্টা হোগলার।  শনিবার (১৫ জুন) রাজধানীর  ‍ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

এক বিক্রেতা বলেন, প্রতিটি বড় সাইজের খাইট্টা ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি সাইজের খাইট্টা ৩৫০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা এবং ছোট সাইজের খাইট্টা ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  দোকানে তেঁতুল, চাম্বল, রেইনট্রি, কড়ই, আম গাছের খাইট্টা রয়েছে। তেঁতুল গাছের খাইট্টা বেশি মজবুত হয়। তাই দামও একটু বেশি। বছর গাছের দাম এবং 'মিলের খরচ একটু বেশি বলেই খাইট্টার দামও বেশি।

খাইট্টার পাশাপাশি হোগলার কদরও অনেক। কারওয়ান বাজারে ছয় হাত চওড়া ও সাত হাত লম্বা প্রতি পিস হোগলা বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা থেকে ২৫০ টাকায়। পাইকারিতে এসব হোগলা ১৮০-২২০ টাকা দরে বিক্রি হয়। হোগলার দাম গত বছরের কাছাকাছি আছে বলেই জানান বিক্রেতারা।


কোরবানি   ঈদ   খাইট্টা   হোগলা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ঈদুল আজহায় নাকুগাঁও স্থলবন্দর ৬ দিন বন্ধ

প্রকাশ: ০৮:২৮ এএম, ১৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে আজ থেকে ছয়দিন শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি ও লোড-আনলোড বন্ধ থাকবে। তবে ঈদের দিনসহ প্রতিদিন ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে পাসপোর্টধারীদের যাতাযাত স্বাভাবিক থাকবে। বন্দর কর্তৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। 

জানা গেছে, পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন উপলক্ষ্যে নাকুগাঁও স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি ও লোড-আনলোডসহ সব কার্যক্রম রোববার (১৬ জুন) থেকে শুক্রবার (২১ জুন) পর্যন্ত টানা ছয়দিন বন্ধ থাকবে। আগামী শনিবার (২২ জুন) থেকে এ বন্দর দিয়ে ফের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমসহ সব কার্যক্রম শুরু হবে।

নাকুগাঁও আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল জানান, ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে ভারত, ভুটান ও বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের সিদ্ধান্ত মতে ১৬ জুন থেকে ২১ জুন পর্যন্ত টানা ছয়দিন নাকুগাঁও স্থলবন্দরের সব ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

তিনি জানান, শনিবার থেকেই এ স্থলবন্দর বন্ধ ঘোষণা করার কথা থাকলেও ওপারে ভারত অংশে পাথরভর্তি ভুটানের কিছু ট্রাক আটকে আছে। সেই ট্রাকগুলো শনিবার নাকুগাঁও স্থলবন্দরে আনলোড করা হয়। তাই এ বন্দর রোববার থেকে টানা ছয়দিন বন্ধ থাকবে।


ঈদুল আজহা   নাকুগাঁও স্থলবন্দর   শেরপুর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আওয়ামী লীগের ইতিহাস: বাংলাদেশের ইতিহাস

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ১৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশের অভ্যুদয়, বাংলাদেশের বিকাশ এবং আজকে বাংলাদেশের অবস্থান সবই হলো আওয়ামী লীগের অবদান। কাজেই আওয়ামী লীগের ইতিহাস আর বাংলাদেশের ইতিহাস শেষ পর্যন্ত এক মোহনায় মিলিত হয়েছে। আগামী ২৩ জুন আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং আগামী ২৩ জুন ‘প্লাটিনাম জয়ন্তী’ পালন করতে যাচ্ছে দেশের প্রাচীন ও বৃহত্তম রাজনৈতিক এই সংগঠনটি। এই উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগের ঐতিহাসিক দিন ক্ষণগুলো ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশ করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বাংলা ইনসাইডার। আজ তুলে ধরা হলো নবম পর্ব।

২০০২ সালের ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল। কাউন্সিলে শেখ হাসিনা গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দেন। কাউন্সিলের ভেতর দিয়ে আওয়ামী লীগের নতুন প্রাণের সঞ্চার হয়। নির্বাচিত হয় নতুন নেতৃত্ব। শেখ হাসিনা সভাপতি হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হন। সাধারণ সম্পাদক হন মো. আবদুল জলিল এমপি।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা। আইভি রহমানসহ ২৪ নেতাকর্মী নিহত। শেখ হাসিনার কানের পর্দা ফেটে গিয়ে আহত।

২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বিরোধী দলের আন্দোলনের মুখে বিএনপি-জামাতের নীলনকশার নির্বাচন বাতিল, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের স্বঘোষিত প্রধানের পদ থেকে ইয়াজউদ্দিনের পদত্যাগ। জরুরি অবস্থা ঘোষণা।

ড. ফখরুদ্দিনের নেতৃত্বে নতুন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দায়িত্বভার গ্রহণ।

সেনা নেতৃত্বের দ্বারা প্ররোচিত হয়ে আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা আমির হোসেন আমু, আবদুর রাজ্জাক, তোফায়েল আহমদ ও সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত পৃথক পৃথকভাবে মূলত একই 'সংস্কার প্রস্তাব' উত্থাপন। কার্যত শেখ হাসিনার নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ এবং আওয়ামী লীগে ভাঙনের ব্যর্থ চেষ্টা। শেখ হাসিনাকে রাজনীতি থেকে অপসারণের উদ্দেশ্যে মাইনাস টু ফর্মুলা প্রদান।

১৬ জুলাই, ২০০৭-এ জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার।

ড. মুহম্মদ ইউনূসের রাজনৈতিক দল গঠনের ব্যর্থ চেষ্টা।

বিএনপিতে সংস্কারবাদীদের ভিন্ন কমিটি গঠন। আওয়ামী লীগে সংস্কারবাদীরা কোণঠাসা।

২০০৮: গণ-আন্দোলনের মুখে মাইনাস টু ফর্মুলা ব্যর্থ। শেখ হাসিনাকে মুক্তিদান। ২৯ ডিসেম্বর নবম জাতীয় সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত। ৩০০টির মধ্যে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের ২৬৪টি আসন লাভ। 

২০০৯ সালের ২৪ জুলাই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অষ্টাদশ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে। কাউন্সিলে পরিবর্তিত বাস্তবতার আলোকে নতুন ঘোষণাপত্র গ্রহণ করা হয়। কাউন্সিলে শেখ হাসিনা সভাপতি এবং সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০১২ সালের ২৯ ডিসেম্বর দলের ১৯তম কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। কাউন্সিলে শেখ হাসিনা সভাপতি এবং সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

২০০৯-১৪ জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহাজোট সরকারের সময়কালে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার কর্মযজ্ঞ শুরু হয়। সবগুলো সূচকেই এগিয়ে যায় বাংলাদেশ:

বর্তমানে অর্থনৈতিক গড় প্রবৃদ্ধি ৬.২ শতাংশ। দারিদ্র্যের হার ২২ শতাংশে নামিয়ে আনা। মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৩১৪ ডলার। বাংলাদেশ নিম্নমধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে পরিগণিত। বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন জিডিপি'র ভিত্তিতে বিশ্বে ৪৫তম এবং ক্রয়ক্ষমতার ভিত্তিতে ৩৩তম স্থান অধিকার করেছে।

নতুন শিক্ষানীতি প্রণয়ন। বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে বই বিতরণ। প্রাথমিক স্তরে ভর্তির বয়সী শিশুদের প্রায় শতভাগ ছেলেমেয়ে স্কুলগামী। প্রাথমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক স্তরে সফল পাবলিক পরীক্ষার পদ্ধতি প্রচলন। শিক্ষার হার ৭০ শতাংশে উন্নীত।

মানুষের আয়ুষ্কাল বেড়ে এখন ৭০ বছর ৮ মাস। দক্ষিণ এশিয়ায় মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যুর হার সর্বনিম্ন পর্যায়ে নামাতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ।

MDG-তে নির্ধারিত ২০১৫ সালের এই লক্ষমাত্রা বাংলাদেশ ২০১৩ সালেই অর্জন করেছে। পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু ও সন্তান জন্মদানের সময় মাতৃমৃত্যুর হার হ্রাসে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এমডিজি পুরস্কার প্রদান করেছে জাতিসংঘ। ১৬ হাজার কমিউনিটি কিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে উন্নত চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট সমাধানে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ। বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ১৪০০০ মেগাওয়াটে উন্নীতকরণ; লোডশেডিং সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনা। শিল্প-কারখানায় নতুন করে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ প্রদান শুরু। 

খাদ্যে আত্মনির্ভরশীলতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। কৃষিতে বিপুল ভর্তুকি, ধানের বাম্পার ফলন। এখন ধান উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে চতুর্থ। সবজি উৎপাদনে তৃতীয়, আম উৎপাদনে সপ্তম, পেয়ারা উৎপাদনে অষ্টম, মাছ উৎপাদনে পঞ্চম এবং আলু উৎপাদনে সপ্তম স্থানে রয়েছে। উন্নয়নশীল বিশ্বে বাংলাদেশেই প্রথম সোনালি আঁশ পাটের জিন প্রযুক্তির আবিষ্কার। সম্ভাবনার স্বর্ণদুয়ার উন্মোচিত। বন্ধ পাটকল চালু। শিল্পায়নের নতুন উদ্যোগ গ্রহণ।

গার্মেন্ট শ্রমিকদের পে-স্কেল পুনর্নির্ধারণ। সরকারি কমকর্তা-কর্মচারীদের নতুন বর্ধিত বেতন স্কেল কার্যকর করা। শিল্প পুলিশ বাহিনী গঠন। শিল্পে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা।


আওয়ামী লীগ   বাংলাদেশ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দেশের যেসব জায়গায় ঈদুল আজহা কাল

প্রকাশ: ০৯:৪২ পিএম, ১৫ জুন, ২০২৪


Thumbnail

দেশের প্রায় অর্ধশত গ্রামে এবারও আগাম পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন হবে। সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোববার (১৬ জুন) ঈদুল আজহা পালন করবে এসব গ্রামের মানুষ। ঈদ ঘিরে এসব গ্রামে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। 

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ, ফরিদগঞ্জ, শাহরাস্তি এবং মতলব উত্তর উপজেলা মিলিয়ে প্রায় অর্ধশত গ্রামে আগাম রোজা ও ঈদ উদযাপন হয়ে আসছে। জানা গেছে, ১৯২৮ সাল থেকে সৌদি আরবসহ আরব দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদযাপনের নিয়ম চালু হয়। হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা দরবার শরীফের মরহুম পীর মাওলানা ইসহাক (রহ.) প্রথমে তার নিজ গ্রামে এবং পরে তার অনুসারীরা এমন নিয়ম মেনে রোজা রাখা শুরু করেন। সেই ধারাবাহিকতায় ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহা উদযাপন হয়ে আসছে। 

হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা, সমেশপুর, অলিপুর, বলাখাল, মনিহার, প্রতাপুর, বাসারা, ফরিদগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীপুর, কামতা, গল্লাক, ভুলাচোঁ, সোনাচোঁ, উভারামপুর, উটতলি, মুন্সিরহাট, কাইতাড়া, মূলপাড়া, বদরপুর, আইটপাড়া, সুরঙ্গচাইল, বালিথুবা, পাইকপাড়া, নূরপুর, সাচনমেঘ, শোল্লা, হাঁসা, গোবিন্দপুর, মতলব উত্তর উপজেলার দশানী, মোহনপুর, পাঁচানী এবং কচুয়া ও শাহরাস্তি উপজেলার কয়েকটি গ্রামের প্রায় অর্ধলাখ মুসুল্লি এই নিয়ম অনুসরণ করে আসছেন।

সাদ্রা দরবার শরীফ মাঠের পীরজাদা আল্লামা জাকারিয়া চৌধুরী আল মাদানী জানান, দরবার শরীফ মাঠে রোববার সকাল ৯টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এতে তিনিই ইমামতি করবেন। এছাড়া সাদ্রা হামিদিয়া ফাজিল ডিগ্রি মাদরাসা মাঠে জামাত হবে সকাল সাড়ে ৯টায়।

হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ ও ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুল ইসলাম জানান, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা এসব গ্রামে একদিন আগে হয়ে আসছে। ঈদের জামাতসহ সব নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

ঈদুল আজহা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন