মন্তব্য করুন
আগামীকাল পবিত্র ঈদুর আজহা। এরই মধ্যে রাজধানীর পশুর হাটগুলো জমজমাট হয়ে উঠেছে। ক্রেতারা কোরবানির জন্য হাট থেকে পছন্দের গরু-ছাগল কিনে বাড়ি ফিরছেন। তবে পশুর খাবারের জন্য কিনতে হচ্ছে নানা প্রকার খাদ্য।
মৌসুমি ব্যবসায়ীরা কোরবানির পশু ও পশুর হাটকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন মহল্লার অলিগলি ও ফুটপাতে অস্থায়ী পশুখাদ্যের দোকান বসিয়েছেন। তাদের এসব দোকানে পাওয়া যাচ্ছে কাঁচা ঘাস, কাঁঠালপাতা, ভুসি, শুকনা খড়সহ নানা ধরনের গোখাদ্য। এ ছাড়া শৌখিন ক্রেতারা পশুর গলায় মালা পরান, তাও মিলছে দোকানে।
এসব দোকানে কাঁচা ঘাস ও শুকনা খড়ের আঁটি ২০ থেকে ৩০ টাকা, কাঁঠালপাতার আঁটি ৫০ টাকা ও ভুসি ৫০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
এদিকে গরুর গলায় দেওয়ার জন্য মালা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ১০০ টাকায়। মালা বিক্রেতা মাসুদ বলেন, গরুর সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন ধরনের মালা দিয়ে গরুকে সাজানো হচ্ছে। গরু ব্যবসায়ীরা বড় গরুর গলায় ঝোলানোর জন্য মালা কিনছেন। আবার অনেকে গরু কিনে নিয়ে যাওয়ার পথে মালা কিনে গরুর গলায় দিচ্ছেন।
মন্তব্য করুন
কোরবানির পশু কিনে ফেলেছেন অনেকেই। এখন অপেক্ষা করছেন পশু জবাইয়ের। আর তাই কাঠের খাইট্টা ও হোগলা কিনতে ব্যস্ত সময় পার করছেন অনেকে। ক্রেতাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে রাজধানীর বিভিন্ন মোড়ে অস্থায়ী দোকান বসেছে খাইট্টা ও হোগলার। শনিবার (১৫ জুন) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
এক বিক্রেতা বলেন, প্রতিটি বড় সাইজের খাইট্টা ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি সাইজের খাইট্টা ৩৫০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা এবং ছোট সাইজের খাইট্টা ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দোকানে তেঁতুল, চাম্বল, রেইনট্রি, কড়ই, আম গাছের খাইট্টা রয়েছে। তেঁতুল গাছের খাইট্টা বেশি মজবুত হয়। তাই দামও একটু বেশি। এ বছর গাছের দাম এবং স'মিলের খরচ একটু বেশি বলেই খাইট্টার দামও বেশি।
খাইট্টার পাশাপাশি হোগলার কদরও
অনেক। কারওয়ান বাজারে ছয় হাত চওড়া ও সাত হাত লম্বা প্রতি পিস হোগলা বিক্রি হচ্ছে ২২০
টাকা থেকে ২৫০ টাকায়। পাইকারিতে এসব হোগলা ১৮০-২২০ টাকা দরে বিক্রি হয়। হোগলার দাম
গত বছরের কাছাকাছি আছে বলেই জানান বিক্রেতারা।
মন্তব্য করুন
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে আজ থেকে ছয়দিন শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি ও লোড-আনলোড বন্ধ থাকবে। তবে ঈদের দিনসহ প্রতিদিন ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে পাসপোর্টধারীদের যাতাযাত স্বাভাবিক থাকবে। বন্দর কর্তৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
জানা গেছে, পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন উপলক্ষ্যে নাকুগাঁও স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি ও লোড-আনলোডসহ সব কার্যক্রম রোববার (১৬ জুন) থেকে শুক্রবার (২১ জুন) পর্যন্ত টানা ছয়দিন বন্ধ থাকবে। আগামী শনিবার (২২ জুন) থেকে এ বন্দর দিয়ে ফের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমসহ সব কার্যক্রম শুরু হবে।
নাকুগাঁও আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল জানান, ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে ভারত, ভুটান ও বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের সিদ্ধান্ত মতে ১৬ জুন থেকে ২১ জুন পর্যন্ত টানা ছয়দিন নাকুগাঁও স্থলবন্দরের সব ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
তিনি জানান, শনিবার থেকেই এ স্থলবন্দর বন্ধ ঘোষণা করার কথা থাকলেও ওপারে ভারত অংশে পাথরভর্তি ভুটানের কিছু ট্রাক আটকে আছে। সেই ট্রাকগুলো শনিবার নাকুগাঁও স্থলবন্দরে আনলোড করা হয়। তাই এ বন্দর রোববার থেকে টানা ছয়দিন বন্ধ থাকবে।
ঈদুল আজহা নাকুগাঁও স্থলবন্দর শেরপুর
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের অভ্যুদয়, বাংলাদেশের বিকাশ এবং আজকে বাংলাদেশের অবস্থান সবই হলো আওয়ামী লীগের অবদান। কাজেই আওয়ামী লীগের ইতিহাস আর বাংলাদেশের ইতিহাস শেষ পর্যন্ত এক মোহনায় মিলিত হয়েছে। আগামী ২৩ জুন আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং আগামী ২৩ জুন ‘প্লাটিনাম জয়ন্তী’ পালন করতে যাচ্ছে দেশের প্রাচীন ও বৃহত্তম রাজনৈতিক এই সংগঠনটি। এই উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগের ঐতিহাসিক দিন ক্ষণগুলো ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশ করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বাংলা ইনসাইডার। আজ তুলে ধরা হলো নবম পর্ব।
২০০২ সালের ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল। কাউন্সিলে শেখ হাসিনা গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দেন। কাউন্সিলের ভেতর দিয়ে আওয়ামী লীগের নতুন প্রাণের সঞ্চার হয়। নির্বাচিত হয় নতুন নেতৃত্ব। শেখ হাসিনা সভাপতি হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হন। সাধারণ সম্পাদক হন মো. আবদুল জলিল এমপি।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা। আইভি রহমানসহ ২৪ নেতাকর্মী নিহত। শেখ হাসিনার কানের পর্দা ফেটে গিয়ে আহত।
২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বিরোধী দলের আন্দোলনের মুখে বিএনপি-জামাতের নীলনকশার নির্বাচন বাতিল, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের স্বঘোষিত প্রধানের পদ থেকে ইয়াজউদ্দিনের পদত্যাগ। জরুরি অবস্থা ঘোষণা।
ড. ফখরুদ্দিনের নেতৃত্বে নতুন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দায়িত্বভার গ্রহণ।
সেনা নেতৃত্বের দ্বারা প্ররোচিত হয়ে আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা আমির হোসেন আমু, আবদুর রাজ্জাক, তোফায়েল আহমদ ও সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত পৃথক পৃথকভাবে মূলত একই 'সংস্কার প্রস্তাব' উত্থাপন। কার্যত শেখ হাসিনার নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ এবং আওয়ামী লীগে ভাঙনের ব্যর্থ চেষ্টা। শেখ হাসিনাকে রাজনীতি থেকে অপসারণের উদ্দেশ্যে মাইনাস টু ফর্মুলা প্রদান।
১৬ জুলাই, ২০০৭-এ জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার।
ড. মুহম্মদ ইউনূসের রাজনৈতিক দল গঠনের ব্যর্থ চেষ্টা।
বিএনপিতে সংস্কারবাদীদের ভিন্ন কমিটি গঠন। আওয়ামী লীগে সংস্কারবাদীরা কোণঠাসা।
২০০৮: গণ-আন্দোলনের মুখে মাইনাস টু ফর্মুলা ব্যর্থ। শেখ হাসিনাকে মুক্তিদান। ২৯ ডিসেম্বর নবম জাতীয় সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত। ৩০০টির মধ্যে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের ২৬৪টি আসন লাভ।
২০০৯ সালের ২৪ জুলাই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অষ্টাদশ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে। কাউন্সিলে পরিবর্তিত বাস্তবতার আলোকে নতুন ঘোষণাপত্র গ্রহণ করা হয়। কাউন্সিলে শেখ হাসিনা সভাপতি এবং সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০১২ সালের ২৯ ডিসেম্বর দলের ১৯তম কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। কাউন্সিলে শেখ হাসিনা সভাপতি এবং সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
২০০৯-১৪ জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহাজোট সরকারের সময়কালে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার কর্মযজ্ঞ শুরু হয়। সবগুলো সূচকেই এগিয়ে যায় বাংলাদেশ:
বর্তমানে অর্থনৈতিক গড় প্রবৃদ্ধি ৬.২ শতাংশ। দারিদ্র্যের হার ২২ শতাংশে নামিয়ে আনা। মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৩১৪ ডলার। বাংলাদেশ নিম্নমধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে পরিগণিত। বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন জিডিপি'র ভিত্তিতে বিশ্বে ৪৫তম এবং ক্রয়ক্ষমতার ভিত্তিতে ৩৩তম স্থান অধিকার করেছে।
নতুন শিক্ষানীতি প্রণয়ন। বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে বই বিতরণ। প্রাথমিক স্তরে ভর্তির বয়সী শিশুদের প্রায় শতভাগ ছেলেমেয়ে স্কুলগামী। প্রাথমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক স্তরে সফল পাবলিক পরীক্ষার পদ্ধতি প্রচলন। শিক্ষার হার ৭০ শতাংশে উন্নীত।
মানুষের আয়ুষ্কাল বেড়ে এখন ৭০ বছর ৮ মাস। দক্ষিণ এশিয়ায় মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যুর হার সর্বনিম্ন পর্যায়ে নামাতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ।
MDG-তে নির্ধারিত ২০১৫ সালের এই লক্ষমাত্রা বাংলাদেশ ২০১৩ সালেই অর্জন করেছে। পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু ও সন্তান জন্মদানের সময় মাতৃমৃত্যুর হার হ্রাসে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এমডিজি পুরস্কার প্রদান করেছে জাতিসংঘ। ১৬ হাজার কমিউনিটি কিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে উন্নত চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট সমাধানে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ। বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ১৪০০০ মেগাওয়াটে উন্নীতকরণ; লোডশেডিং সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনা। শিল্প-কারখানায় নতুন করে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ প্রদান শুরু।
খাদ্যে আত্মনির্ভরশীলতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। কৃষিতে বিপুল ভর্তুকি, ধানের বাম্পার ফলন। এখন ধান উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে চতুর্থ। সবজি উৎপাদনে তৃতীয়, আম উৎপাদনে সপ্তম, পেয়ারা উৎপাদনে অষ্টম, মাছ উৎপাদনে পঞ্চম এবং আলু উৎপাদনে সপ্তম স্থানে রয়েছে। উন্নয়নশীল বিশ্বে বাংলাদেশেই প্রথম সোনালি আঁশ পাটের জিন প্রযুক্তির আবিষ্কার। সম্ভাবনার স্বর্ণদুয়ার উন্মোচিত। বন্ধ পাটকল চালু। শিল্পায়নের নতুন উদ্যোগ গ্রহণ।
গার্মেন্ট শ্রমিকদের পে-স্কেল পুনর্নির্ধারণ। সরকারি কমকর্তা-কর্মচারীদের নতুন বর্ধিত বেতন স্কেল কার্যকর করা। শিল্প পুলিশ বাহিনী গঠন। শিল্পে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের অভ্যুদয়, বাংলাদেশের বিকাশ এবং আজকে বাংলাদেশের অবস্থান সবই হলো আওয়ামী লীগের অবদান। কাজেই আওয়ামী লীগের ইতিহাস আর বাংলাদেশের ইতিহাস শেষ পর্যন্ত এক মোহনায় মিলিত হয়েছে। আগামী ২৩ জুন আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং আগামী ২৩ জুন ‘প্লাটিনাম জয়ন্তী’ পালন করতে যাচ্ছে দেশের প্রাচীন ও বৃহত্তম রাজনৈতিক এই সংগঠনটি। এই উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগের ঐতিহাসিক দিন ক্ষণগুলো ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশ করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বাংলা ইনসাইডার। আজ তুলে ধরা হলো নবম পর্ব।