জাতীয় প্রেসক্লাব নোঙর ট্রাস্ট পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ড. মো. আওলাদ হোসেন
মন্তব্য করুন
ত্যাগ ও উৎসর্গের ঈদ হলো ঈদুল আজহা বা কুরবানির ঈদ। প্রতিবছর জিলহজ মাসের ১০ তারিখ এই ঈদ পালিত হয়। পশু কোরবানির আগে ঈদের নামাজ পড়তে হয়। আল্লাহ মুসলমানদের জন্য দুটি দিনকে ঈদের দিন হিসেবে নির্ধারিত করেছেন। এই দিনগুলোতে ঈদের নামাজ পড়া ওয়াজিব। ঈদের নামাজ খোলা জায়গা, মসজিদ কিংবা যেখানেই পড়া হোক না কেন, অবশ্যই তা জামাতের সঙ্গে পড়তে হবে। জামাত ছাড়া ঈদের নামাজ আদায় করা যাবে না।
ঈদের নামাজ
ঈদের নামাজের জন্য কোনো আজান ও ইকামত নেই। তবে জুমার নামাজের মতোই উচ্চ আওয়াজে কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে ঈদের নামাজ আদায় করতে হয়। তবে ঈদের নামাজের পার্থক্য হলো অতিরিক্ত ছয়টি তাকবির দিতে হবে।
প্রথম রাকাতে ‘আল্লাহু আকবার’ বলে হাত বেঁধে অতিরিক্ত তিন তাকবির দিয়ে সুরা ফাতিহা পড়া।
দ্বিতীয় রাকাতে সুরা মেলানোর পর অতিরিক্ত তিন তাকবির দিয়ে রুকতে যাওয়া।
ঈদের নামাজের নিয়ত
ঈদের দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ অতিরিক্ত ছয় তাকবিরের সঙ্গে এই ইমামের পেছনে কিবলামুখী হয়ে আল্লাহর জন্য আদায় করছি...আল্লাহু আকবার।
প্রথম রাকাত
১. তাকবিরে তাহরিমা
ঈদের নামাজে নিয়ত করে তাকবিরে তাহরিমা ‘আল্লাহু আকবার’ বলে হাত বাঁধা।
২. সানা পড়া
সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়া তাবারাকাসমুকা ওয়াতাআলা যাদ্দুকা ওয়া লা ইলাহা গাইরুকা।
৩. অতিরিক্ত তিন তাকবির দেওয়া।
এক তাকবির থেকে আরেক তাকবিরের মধ্যে তিন তাসবিহ পরিমাণ সময় বিরত থাকা। প্রথম ও দ্বিতীয় তাকবিরে উভয় হাত উঠিয়ে তা ছেড়ে দেওয়া এবং তৃতীয় তাকবির দিয়ে উভয় হাত বেঁধে নেওয়া।
৪. আউজুবিল্লাহ-বিসমিল্লাহ পড়া
৫. সুরা ফাতিহা পড়া
৬. সুরা মেলানো। অতঃপর নিয়মিত নামাজের মতো রুকু ও সিজদার মাধ্যমে প্রথম রাকাত শেষ করা।
দ্বিতীয় রাকাত
১. বিসমিল্লাহ পড়া
২. সুরা ফাতিহা পড়া
৩. সুরা মেলানো।
৪. সুরা মেলানোর পর অতিরিক্ত তিন তাকবির দেওয়া। প্রথম রাকাতের মতো দুই তাকবিরে উভয় হাত কাঁধ বরাবর উঠিয়ে ছেড়ে দেওয়া; অতঃপর তৃতীয় তাকবির দিয়ে হাত বাঁধা।
৫. তারপর রুকুর তাকবির দিয়ে রুকুতে যাওয়া।
৬. সিজদা আদায় করে তাশাহহুদ, দরুদ, দোয়া মাসুরা পড়ে সালাম ফেরানোর মাধ্যমে নামাজ সম্পন্ন করা।
তারপর খুতবা
ঈদের নামাজ পড়ার পর ইমাম খুতবা দেবেন আর মুসল্লিরা খুতবা মনোযোগের সঙ্গে শুনবেন।
দুই রাকাত ঈদের ওয়াজিব নামাজ ছয়টি অতিরিক্ত ওয়াজিব তাকবিরসহ আদায় করতে হয়। ঈদের নামাজের অতিরিক্ত ওয়াজিব তাকবিরে ভুল হলে অর্থাৎ তাকবির কম বা বেশি হলে অথবা বাদ পড়লে সাহু সিজদা প্রয়োজন নেই।
মন্তব্য করুন
ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে প্রশাসন ও সেতু কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও সেগুলো কোনো কাজে আসেনি। রাতভর মহাসড়কের এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার সড়কে যানজটের কারণে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে উত্তরের মানুষকে। বর্তমানে টাঙ্গাইল মহাসড়কের সল্লা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু টোলপ্লাজা পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার অংশে যানজট রয়েছে।
রোববার (১৬ জুন) ভোর ৫টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের এলেঙ্গা থেকে কালিহাতীর পৌলি পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার অংশে উত্তরবঙ্গগামী লেনে যানজট ছিল। তবে সেটি এখন কমে প্রায় ১০ কিলোমিটারে গিয়ে ঠেকেছে।
এ ছাড়া ঢাকাগামী পরিবহনগুলো আঞ্চলিক সড়ক দিয়ে চলাচল করায় ভুঞাপুর-টাঙ্গাইল সড়কে কোথাও কোথাও পরিবহনের ধীরগতি রয়েছে।
মন্তব্য করুন
উপকূলে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় মোখা ও চট্টগ্রাম-কক্সবাজারে ভারী বৃষ্টির
ফলে পাহাড় ধসের কারণে গত বছর বাংলাদেশে প্রায় ১৮ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশের নাম বিশ্বে পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে।
নরওয়েভিত্তিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ডিসপ্লেসমেন্ট মনিটরিং সেন্টার (আইডিএমসি) থেকে প্রকাশ করা বৈশ্বিক অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত প্রতিবেদন-২০২৪-এ এসব তথ্য উঠে এসেছে। দুর্যোগের কারণে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যায় শীর্ষে রয়েছে চীন। আর সংঘাত ও দ্বন্দ্বের কারণে বাস্তুচ্যুতির শিকার হওয়া দেশের শীর্ষ তালিকায় রয়েছে সুদান, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র ও ফিলিস্তিনের নাম।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে বিশ্বে ৬ কোটি ৮৩ লাখ মানুষ যুদ্ধ ও দ্বন্দ্বের কারণে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এর মধ্যে এককভাবে সুদানে ৯১ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। আর প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে মোট বাস্তুচ্যুত হয়েছে ২ কোটি ৬৪ লাখ মানুষ। দুর্যোগে চীনে গত বছর ৪৭ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে, যা সর্বোচ্চ। ওই তালিকায় চীনের পরে রয়েছে তুরস্কের নাম। দেশটিতে ভূমিকম্পের কারণে ৪০ লাখ ৫৩ হাজার মানুষ, ফিলিপাইনে বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ের কারণে প্রায় ২৬ লাখ এবং সোমালিয়ায় ২০ লাখ ৪৩ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে। এর পরের অবস্থানেই রয়েছে বাংলাদেশ। এসব মানুষের বড় অংশ অস্থায়ীভাবে বাস্তুচ্যুত হয়ে আর্থিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছে।
ওই প্রতিবেদন সম্পর্কে জানতে চাইলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মিজানুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড় মোখা ও ভারী বৃষ্টির কারণে বাস্তুচ্যুত বেশির ভাগ মানুষ বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছিল। দুর্যোগ থেমে যাওয়ার কয়েক দিন পর আবার তারা বাড়িঘরে ফিরে গেছে। খুব কমসংখ্যক মানুষের স্থায়ীভাবে ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে। তাদের সরকার সহযোগিতা দিয়ে বাড়িঘর নির্মাণ করে দিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর এশিয়ায় সবচেয়ে যে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানে তা ছিল ‘মোখা’। ওই ঝড়ে শুধু বাংলাদেশে ১৩ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়। ২০২৩ সালের ১৪ মে বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানার আগে তা মিয়ানমারে আঘাত হানে। এতে ওই দেশের ৯ লাখ ১২ হাজার মানুষ তাতে বাস্তুচ্যুত হয়। একক দুর্যোগ হিসেবে ঘূর্ণিঝড় মোখা ও তুরস্কের ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালে চট্টগ্রামে ব্যাপক বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যায়। শহরে পাহাড় ধস ও জলাবদ্ধতার কারণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। অল্প সময়ে অনেক বৃষ্টি হওয়ার কারণে পুরো শহরের জনজীবন, ব্যবসা, বাণিজ্য ও অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হয়। শহরের দরিদ্র অধিবাসীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকার এবং উন্নয়ন সহযোগীরা যৌথভাবে কাজ করছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় ওই যৌথ উদ্যোগ বেশ সফলতা পেয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি আগের চেয়ে বেশ কমে এসেছে। অর্থাৎ এর আগের বছরগুলোতে একই ধরনের ঘূর্ণিঝড় ও দুর্যোগে যে ক্ষয়ক্ষতি হতো, তা ২০২৩ সালে কমে এসেছে। মূলত ঘূর্ণিঝড়ের আগাম সতর্কবার্তা প্রচার করা, প্রস্তুতি নেওয়া এবং অবকাঠামো নির্মাণের কারণে ক্ষতি কমে এসেছে।
মন্তব্য করুন
সৌদি আরবসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে মিল রেখে এবার রাজধানীর পান্থপথেও পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (১৬ জুন) পান্থপথের একটি কনভেনশন সেন্টারে এই জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
এ দিন সকাল সাড়ে ৭টায় কনভেনশন সেন্টারে শিশু ও নারীসহ মুসল্লিরা জামাতে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। নামাজ শেষে একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করে ভাগাভাগি করে নেন ঈদ আনন্দ। এ ঈদ উদযাপনে অংশ নেন দেশে অবস্থানরত বিদেশি মুসলিমরাও।
নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিরা জানান, সারা পৃথিবীতে ঈদ হচ্ছে সে হিসেবে আমরাও পালন করছি। এর আগেও ঈদ পালন করেছি।
এদিকে চাঁদপুর, দিনাজপুর, মৌলভীবাজার, চট্টগ্রাম ও বরিশালের বেশ কয়েকটি স্থানে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের একটি অংশের মুসল্লিরা ঈদের নামাজ আদায় করেছেন।
প্রতিবারের মত এ বছরও মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করছে চাঁদপুরের ৫০টি গ্রামের মানুষ। রোববার (১৬ জুন) সকালে পবিত্র ঈদুল আজহার জামাত আদায়ের মাধ্যমে এ উদযাপন করছেন।
এদিন সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে হাজীগঞ্জে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সাদ্রা দরবার শরীফের পীরজাদা আরিফ চৌধুরী সাদ্রাভী নামাজ ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন।
জাতীয়ভাবে বাংলাদেশে ঈদুল আজহা সোমবার (১৭ জুন) নির্ধারিত হলেও দেশের কিছু জায়গায় রোববার ( ১৬ জুন) উদযাপিত হচ্ছে ঈদ। বহু বছর ধরে মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি ইসলামিক দেশের সঙ্গে মিল রেখে দেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের একটি অংশ ঈদ জামাতে অংশ নেন।
মন্তব্য করুন
প্রতিবারের মত এ বছরও মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করছে চাঁদপুরের ৫০টি গ্রামের মানুষ। রোববার (১৬ জুন) সকালে পবিত্র ঈদুল আজহার জামাত আদায়ের মাধ্যমে এ উদযাপন করছেন।
এদিন সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে হাজীগঞ্জে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সাদ্রা দরবার শরীফের পীরজাদা আরিফ চৌধুরী সাদ্রাভী নামাজ ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন।
ঈদের দ্বিতীয় জামাত পরিচালনা করেন আবু ইয়াহিয়া জাকারিয়া মাদানী।
জেলার হাজীগঞ্জ সাদ্রা দরবার শরিফ, উপজেলার সাদ্রা, সমেশপুর, অলিপুর, বলাখাল, মনিহার, কচুয়া ও শাহরাস্তিসহ আরও বেশ কয়েকটি উপজেলার অর্ধশত গ্রামের বাসিন্দারা এ ধর্মীয় উৎসবে শামিল হয়েছেন।
হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরবার শরিফের পিরজাদা আবু ইয়াহিয়া মো. জাকারিয়া আল মাদানি বলেন, মরহুম মাওলানা ইসহাক ১৯২৮ সাল থেকে সৌদির সঙ্গে মিল রেখে রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদ্যাপনের নিয়ম চালু করেন। তারপর থেকে সেই ধারায় দেশের বিভিন্ন দরবার শরীফের পীরের অনুসারী এবং সচেতন মুসল্লিরা পালন করছেন।
মন্তব্য করুন
ত্যাগ ও উৎসর্গের ঈদ হলো ঈদুল আজহা বা কুরবানির ঈদ। প্রতিবছর জিলহজ মাসের ১০ তারিখ এই ঈদ পালিত হয়। পশু কোরবানির আগে ঈদের নামাজ পড়তে হয়। আল্লাহ মুসলমানদের জন্য দুটি দিনকে ঈদের দিন হিসেবে নির্ধারিত করেছেন। এই দিনগুলোতে ঈদের নামাজ পড়া ওয়াজিব। ঈদের নামাজ খোলা জায়গা, মসজিদ কিংবা যেখানেই পড়া হোক না কেন, অবশ্যই তা জামাতের সঙ্গে পড়তে হবে। জামাত ছাড়া ঈদের নামাজ আদায় করা যাবে না।
ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে প্রশাসন ও সেতু কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও সেগুলো কোনো কাজে আসেনি। রাতভর মহাসড়কের এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার সড়কে যানজটের কারণে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে উত্তরের মানুষকে। বর্তমানে টাঙ্গাইল মহাসড়কের সল্লা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু টোলপ্লাজা পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার অংশে যানজট রয়েছে।