ইনসাইড বাংলাদেশ

বঙ্গবন্ধু সারা জীবন শান্তির পক্ষে কথা বলেছেন: কামাল নাসের চৌধুরী

প্রকাশ: ০৭:০৫ পিএম, ২৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার সারাটা জীবন শান্তির পক্ষে কথা বলেছেন। শোষিত ও নিপীড়িত জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে তথা বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর অবদান অসাধারণ।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সম্প্রীতি বাংলাদেশ আয়োজিত ‘শান্তি ও সম্প্রীতির অগ্রদূত বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। 

তিনি বলেন, ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক ছিল জাতির পিতার বিশ্বমানবতার প্রতি কর্ম, ত্যাগ ও ভালোবাসার স্বীকৃতি; বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর মৌলিক দর্শন ও অবদানের মূল্যায়ন। বঙ্গবন্ধু মনে করতেন, মানবজাতির অস্তিত্ব রক্ষার জন্য শান্তি অত্যন্ত জরুরি এবং তা সমগ্র বিশ্বের মানুষের গভীর আকাঙ্ক্ষারই প্রতিফলন।

ড. কামাল চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি শান্তিপূর্ণ দেশ, অঞ্চল ও বিশ্ব দেখতে চেয়েছিলেন। তার জন্য দেশ ও দেশের বাইরে সবাইকে একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে। শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে বাঙালির আন্দোলনের মাধ্যমে স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনে বঙ্গবন্ধু যে মৌলিক ধারণার জন্ম দিয়েছিলেন, তা সারা পৃথিবীর শান্তি ও মুক্তিকামী মানুষের কাছে এক অনন্য সম্পদে পরিণত হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্র নীতির মূল উপজীব্য ছিল ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয় এবং সব বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান’; যা আজকের দিনেও প্রাসঙ্গিক।

সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল। এসময় সংশ্লিষ্ট অন্যান্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা বলেন, মানুষের জন্য ভালোবাসা ছিল বঙ্গবন্ধুর কর্মকাণ্ডের প্রেরণা এবং মানুষের কল্যাণই ছিল তার কর্মকাণ্ডের লক্ষ্য। এই মানবিক মূল্যবোধই তাকে অনুপ্রাণিত করেছিল রাজনৈতিক সংগ্রামে অংশ নিতে, যা প্রতিফলিত হয় তার বিভিন্ন রাজনৈতিক আদর্শে, যেমন গণতন্ত্র, অসাম্প্রদায়িকতা ও সমাজতন্ত্র। তিনি প্রায়ই বলতেন, তার সারা জীবনের স্বপ্ন হচ্ছে ‘দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো’। ‘দুঃখী মানুষের মুখে হাসি’-তার এই অভিব্যক্তি থেকেই আমরা বুঝতে পারি সমাজ উন্নয়ন সম্পর্কে তার ধারণা কত ব্যাপক এবং বহুমাত্রিক ছিল।

তারা বলেন, বিশ্বশান্তি ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনের মূলনীতি। তিনি ছিলেন বিশ্বশান্তির অগ্রদূত। নিপীড়িত, নির্যাতিত, শোষিত, বঞ্চিত ও স্বাধীনতাকামী সংগ্রামী মানুষ বিশ্বের যে প্রান্তেরই হোক না কেন, তিনি তাদের সঙ্গে একাত্ম ছিলেন।

বঙ্গবন্ধু   ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বোনের স্বামীর সঙ্গে বিয়েতে নারাজ, কাটা হলো গৃহবধূর চুল

প্রকাশ: ০৩:৪৪ পিএম, ১৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

ছোট বোনের স্বামীর সঙ্গে বিয়েতে রাজি না হওয়ায় সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় এক গৃহবধূর চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মাসুদ রানাকে গতকাল শনিবার গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।   
 
পুলিশের ভাষ্য, গত ৯ জুলাই রাতে ভুক্তভোগী গৃহবধূকে বিয়ের প্রস্তাব দেন অভিযুক্ত মাসুদ। প্রস্তাবে ওই গৃহবধূ রাজি না হওয়ায় মাসুদ তার মাথার চুল কেটে দেন। এ ঘটনায় বাদী হয়ে গৃহবধূ থানায় মাসুদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই মামলায় গতকাল শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত মাসুদকে গ্রেপ্তার করা হয়।   

সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি') সিরাজুল ইসলাম জানান, মাসুদ রানা ওই গৃহবধূর ছোট বোনের জামাই। তার সঙ্গে বিয়ের কিছু দিন পরই ওই গৃহবধূর ছোট বোনের মৃত্যু হয়। এরপর মাসুদ রানা দ্বিতীয় বিয়ে করেন। দ্বিতীয় স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও তিনি তার সাবেক স্ত্রীর বড় বোনকে বিয়ে করতে চান। এবং স্বামীকে ডিভোর্স দিতে চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন। এতে রাজি না হওয়ায় আক্রোশেই গৃহবধূর চুল কেটে দেন তিনি। আসামিকে গ্রেপ্তারের পর কেটে দেওয়া চুলও উদ্ধার করেছে পুলিশ।'

সিরাজগঞ্জ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চামড়া সংরক্ষণে প্রস্তত লালবাগের চামড়ার আড়ত

প্রকাশ: ০৩:৫২ পিএম, ১৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

আল্লার সন্তুষ্টির আশায় পশু কোরবানি দেবেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। সেই কোরবানির পশুর চামড়া কিনে সংরক্ষণের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছেন লালবাগের পোস্তার আড়তদাররা। পাশাপাশি মৌসুমি ব্যবসায়ীরাও ঢাকা ও আশেপাশের এলাকায় জবাই হওয়া পশুর চামড়া কেনার পরিকল্পনা করছেন। এজন্য তারা নিজের পুঁজির পাশাপাশি ধার-দেনা করে শত শত কোটি টাকা সংগ্রহ করেছেন।

শনিবার (১৫ জুন) রাজধানীর পুরান ঢাকার লালবাগ এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, অধিকাংশ আড়তে ব্লিচিং পাউডার ও পানি দিয়ে ধুয়ে-মুছে কাঁচা চামড়া সংরক্ষণের জায়গা পরিষ্কার করা হচ্ছে। পুরনো চামড়া সরিয়ে আড়তগুলোতে শত শত লবণের বস্তা সাজিয়ে রাখা হচ্ছে। অতিরিক্ত লবণ রাখার জন্য আড়তের ভেতরে জায়গা ফাঁকা করা হয়েছে ।

পোস্তার চামড়া ব্যবসায়ীদের তথ্য মতে, সারা বছরের চামড়ার প্রায় ৫৫-৬০ শতাংশই আসে কোরবানি দেওয়া পশু থেকে। মৌসুমি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চামড়া কেনেন তারা। ঈদের তৃতীয় দিন পর্যন্ত চলে চামড়া সংগ্রহ ও সংরক্ষণের কার্যক্রম। তাই এ ঈদকে ঘিরে তাদের বাড়তি প্রস্তুতি রাখতে হয়। কোরবানির ঈদের দিন সকাল থেকেই চামড়া সংগ্রহের প্রক্রিয়া শুরু করেন ব্যবসায়ীরা। তার এক সপ্তাহ আগে আড়ত পরিষ্কার, লবণ সংগ্রহ এবং শ্রমিকদের প্রস্তুত করেন পোস্তার আড়তদাররা।

পোস্তার ব্যবসায়ীরা জানান, পশুর চামড়া ছাড়ানোর ৪ থেকে ৯ ঘণ্টার মধ্যে লবণ দিয়ে তা সংরক্ষণ করতে হয়। না হলে ওই চামড়া নষ্ট হয়ে যায়। তাই এ বছর চামড়া সংরক্ষণের দিকেই বেশি নজর দিচ্ছেন আড়তদারেরা।

বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ বলেন, কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহে নগদ অর্থ, পর্যাপ্ত লবণ মজুত ও দক্ষ ও অদক্ষ কর্মী-শ্রমিক প্রস্তুত রয়েছে। ট্যানারিগুলো মূলত ঢাকা ও ঢাকার পার্শ্ববর্তী এলাকার কাঁচা চামড়া প্রক্রিয়াকরণ করবে। মৌসুমি ব্যবসায়ী, মসজিদ ও মাদ্রাসাভিত্তিক যেসব ব্যক্তি চামড়া সংগ্রহ করবেন, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। এবার সবমিলিয়ে প্রায় ১ কোটি ১৫-২০ লাখ চামড়া সংগ্রহ করার চেষ্টা থাকবে।


চামড়া   সংরক্ষণ   পোস্তা   আড়ত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শেখ হাসিনাকে ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন মোদি

প্রকাশ: ০৩:৩৯ পিএম, ১৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি পাঠিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রবিবার ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন এ তথ্য জানায়।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, উৎসব আমাদের ত্যাগ, সহানুভূতি এবং ভ্রাতৃত্বের মূল্যবোধের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। এগুলো একটি শান্তিপূর্ণ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক বিশ্ব গড়তে অপরিহার্য।

তিনি ঈদুল আজহাকে আমাদের বহু-সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে বর্ণনা করেন। 

চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও মঙ্গল কামনা করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি।


মোদি   ঈদুল আজহা   শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পটুয়াখালীতে ৩৫টি গ্রামে ঈদুল আযহা পালন


Thumbnail

পটুয়াখালীতে ৩৫টি গ্রামে ২৫ হাজার মানুষ পবিত্র ঈদুল আযহা পালন করছে। রোববার  (১৬ জুন ) সকাল সাড়ে ৮টায় বদরপুর দরবার শরীফে ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়। জেলার ৩৫গ্রামের মধ্যে রয়েছে গলাচিপার সেনের হাওলা, পশুরী বুনিয়া, নিজ হাওলা, কানকুনি পারা, মৌডুবি, বাউফলের মদনপুরা, রাজনগর, বগা, ধাউরাভাঙ্গা, সুরদি, চন্দ্রপাড়া, দ্বিপাশা, শাপলা খালী, কনকদিয়া, আমিরাবাদ, কলাপাড়ার নিশানবাড়িয়া, ইটবাড়ীয়া, শহরের নাঈয়া পট্টি, টিয়াখালী, তেগাছিয়া, দক্ষিন দেবপুর।

এরা সবাই হানিফি মাজহাব কাদেরিয়া তরিকা ভক্ত। এদের বর্তমান পীর চট্রগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার হযরত শাহসুফি মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ মমতাজ আলী।

বদরপুর গ্রামের সুমন বলেন, আজ আমরা পবিত্র ঈদুল আযহা পালন করলাম প্রতি বছরের মতো এই বছরেও ঈদুল আযহার নামাজ অনুষ্ঠিত হইছে। গতকাল পবিত্র সৌদি আরবে হজ্ব পালিত হয়েছে আজকে হজ্বের পরের দিন ঈদুল আযাহার নামাজ আদায় করেন সবাই।

সদর উপজেলার বদরপুর দরবার শরিফের খাদেম মোঃ নাজমুল হোসেন জানান, সৌদি আরবের সাথে সংগতি রেখে ১৯২৮সন থেকে এখানকার গ্রামবাসীরা একদিন আগে থেকে রোজা রাখা শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় একদিন আগে তারা ঈদ উদযাপন করেছিল।

আজকে ঈদের নামাজে ইমামতি করেন, মাওলানা শফিকুল ইসলাম গনি, ইমাম ও খতিব বদরপুর দরবার শরীফ,পটুয়াখালী।

পটুয়াখালী   ঈদুল আযহা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শোলাকিয়া ময়দানে ঈদের জামাত সকাল ৯টায়

প্রকাশ: ০২:২১ পিএম, ১৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

কিশোরগঞ্জের প্রায় দুইশ বছরের ঐতিহ্যবাহী শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে এবার অনুষ্ঠিত হবে ১৯৭তম ঈদুল আজহার জামাত।

দেশের বৃহত্তম এই ঈদগাহ ময়দানে ঈদুল আজহার জামাতের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এবারও নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে শোলাকিয়ায় ঈদ জামাত আয়োজন করা হচ্ছে। জামাত অনুষ্ঠিত হবে ঈদের দিন সকাল ৯টায়।  ঈদগাহে ইমামতি করবেন বাংলাদেশ ইসলাহুল মুসলেমিন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ।

জানা যায়, ঐতিহাসিক মাঠে আশপাশের জেলা ছাড়াও দেশ-বিদেশ থেকে মুসল্লিরা ঈদের জামাতে অংশ নেন। ঈদ জামাতকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। প্রতিবছর কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া মাঠে ঈদ জামাতের জন্য নেওয়া হয় ব্যাপক প্রস্তুতি। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে কর্তৃপক্ষ।

শোলাকিয়া মাঠের রেওয়াজ অনুযায়ী, ঈদের জামাত শুরুর আগে শটগানের ছয়টি ফাঁকা গুলি ছোড়া হবে। জামাত শুরুর মিনিট আগে ৩টি, মিনিট আগে ২টি এবং মিনিট আগে ১টি গুলি ছুড়ে নামাজের জন্য মুসল্লিদের সংকেত দেওয়া হবে।


শোলাকিয়া   ঈদ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন