নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৪৬ পিএম, ৩০ মে, ২০১৮
নোবেল পুরস্কারের নাম প্রস্তাব পাঠানো প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমি লবিং করে পুস্কার পাওয়ার পক্ষে নই। প্রস্তাবও পাঠানোর পক্ষে নই। আমার সেই টাকাও নাই। তবে বহুবার বহুদেশ থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আমার কাছে সব চেয়ে বড় পুরস্কার হলো আমার দেশের মানুষকে দু বেলা পেট ভরে খেতে দিতে পারলাম কি না তাঁরা শান্তিতে থাকতে পারল কি না সেটাই বড় কথা।’
আজ বুধবার বিকাল ৪টায় গণভবনে সাম্প্রতিক ভারত সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেছেন, ‘তাঁরাও (বিএনপি) তো কম যায় নাই। খালেদা জিয়া কি ভারতে যায় নাই, জিয়াউর রহমান কি ভারতে যায় নাই। জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করার দুই বছরের মধ্যেই ভারতে গেছেন। আজকে তাঁরা তিস্তার পানি পানি করে। বিএনপি নেতারা কি ভুলে গেছে উনাদের নেতা ভারতে গিয়ে গঙ্গার পানির নায্য হিস্যা চাইতে ভুলে গিয়েছিলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে ৬৮ বছরের সমস্যার সমাধান করেছি।’
যুক্তফ্রন্ট দলটি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিন্দু বিন্দু মিলেই সিন্ধু হয়। ছোট ছোট দল মিলে জোট হচ্ছে ভালো কথা। তবে জিরো প্লাস জিরো ইকুয়ালটু জিরো।’
ভারতের সঙ্গে পানিবন্টন চুক্তি নিয়ে একজন সাংবাদিক বিএনপির সমালোচনার কথা তুললে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘কেউ কেউ বলেছে এক বালতি পানিও নাকি আনা হয়নি। রিজভীর জন্য এক বালতি পাঠাতে হবে। প্রধানমন্ত্রী একজন নেতাকে রিজভীকে এক বালতি পানি পাঠানোর নির্দেশও দেন।’
জাতীয় সরকার গঠনের প্রশ্নে বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘জিয়াউর রহমান যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন হ্যাঁ না ভোট করেছিলেন তখন তিনি (বদরুদ্দোজা চৌধুরী) কোথায় ছিলেন। জিয়াউর রহমান যখন রাস্তড়পতি নির্বাচন করেছিল সেই নির্বাচন কেমন ছিল। যে দল তাঁকে রেললাইনের নিচে দিয়ে দাবড়ানি দিলো, তিনি পালালেন। সেই দলের নেত্রীকে মুক্তির দাবি জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, `মেরেছো কলসির কানা তাই বলে কি প্রেম দেব না’
বাংলাদেশ তিস্তা পানি চুক্তির জন্য ভারতের উপর বিশ্বাস করে বসে নেই এমন তথ্য জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমি কোন কিছুতে কারও ওপরই ভরসা করে চলি না। আমার দেশের পানির ব্যবস্থা কীভাবে করতে হবে আমি সেটা করে যাচ্ছি। নদী ড্রেজিং করছি। জলাধার তৈরি, পুকুর খনন করছি। পানি যাতে ধরে রাখা যায়, সেই ব্যবস্থাও করছি।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘খালেদা জিয়াই বলেছেন প্রধানমন্ত্রী তো দুরের কথা বিরোধী দলের নেতাও হতে পারব না। তারপরেই ২১ শে আগষ্ট গ্রেনেড হামলা, কোটালী পাড়ায় ৭৬ কেজি বোমা পোতা হয়েছে। এখন রাখে আল্লাহ মারে কে আর মারে আল্লাহ রাখে কে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেছেন, ‘আমি সব পত্রিকা পড়ি। দুইটা বাদে সব পত্রিকা আমি পড়ি। সব বিষয়ই খেয়াল রাখি।’
মাদক বিরোধী অভিযান প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মাদকবিরোধী অভিযান চলছে। এই অভিযান চলবে। আমি যখন ধরি তখন ভালো করেই ধরি।’
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারাই পত্রিকায় বড় বড় করে লিখেছেন মাদকে দেশ একাকার, এখন মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে আবার আপনারাই প্রশ্ন তুলছেন। আপনারা কাকে গডফাদার বলছেন সেটা আমি জানি না। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। সমাজে এখন শান্তি ফিরে এসেছে। সব গণমাধ্যমে অভিযানে নিহতের কথা বলে। কিন্তু ১০ হাজার মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার হয়েছে। আইনের আওতায় এসেছে। কিন্তু কোনো গণমাধ্যমে এ তথ্য নেই। আপনারা বলেন তাহলে মাদকের বিরুদ্ধে, ভেজালের বিরুদ্ধে সব অভিযান বন্ধ করে দেই তাহলে কি সমাজ ভাল থাকবে।’
প্রধানমন্ত্রী এসময় আরও বলেন, ‘নির্বাচন কালীন সময়ে দেশে সংবিধান আছে সেই অনুযায়ীই নির্বাচন হবে। নির্বাচনতো আর আমি করব না করবে নির্বাচন কমিশন।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় সফরে বিদেশ থেকে ফিরে আসার পর সফরের বিষয়বস্তু বরাবরই আনুষ্ঠানিকভাবে গণমাধ্যমকে জানান।’
ভারত সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলন হলেও সমসাময়িক দেশ ও রাজনীতির অনেক বিষয় সংবাদ সম্মেলনে চলে আসে।
বাংলা ইনসাইডার/ আরকে/ জেডএ
মন্তব্য করুন
নির্বাচন কমিশনার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান বলেছেন, নির্বাচনে কোন পেশী শক্তি, কেন্দ্র দখল, এক জনের ভোট আরেকজন দিলে ভোট বন্ধ। প্রিজাইডিং কর্মকর্তা চাকরিচ্যুত, ঠিকানা
হবে জেল। কোন বিশৃঙ্খলাকারীদের ছাড় দেওয়া হবেনা। আমাদের মূল লক্ষ্য ভোটারদের আস্থার জায়গা ফিরিয়ে আনা।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে
এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন তিনি।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ন কবিরের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, খুলনা ডিজিএফআইয়ের কর্মকর্তা লে. কর্নেল সৈয়দ আসাদুজ্জামান, খুলনা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা হুমায়ন কবির, জেলা পুলিশ সুপার মতিউর রহমান সিদ্দিকী, যশোর জেলা প্রশাসক আব্রাউল হাসান মজুমদার, যশোর জেলা পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ার্দার, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম, সাতক্ষীরা-৩৩ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল আশরাফুল হক, র্যাব-৬ কোম্পানি কমান্ডার এ.এস.পি ফয়সাল আহমেদ প্রমূখ।
এসময় নির্বাচন কমিশনার আরোও বলেন, ‘বিদেশি পর্যবেক্ষক থেকে সরকার প্রধান, সবাই চায় দেশে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। আমরা সেই লক্ষে প্রত্যেক জেলার নির্বাচন কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশনা দিয়ে আসছি।
নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে যদি প্রশাসনিক কর্মকর্তা জড়িয়ে পড়েন
তাহলে তাকে চাকুরিচ্যুত করে জেলে পাঠানো হবে ।’
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নির্বাচন কমিশনার নির্বাচনে বিশৃঙ্খলা
মন্তব্য করুন
গোপালগঞ্জের
কাশিয়ানীতে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন। জেলা
প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম-এর নেতৃত্বে মঙ্গলবার
(৩০ এপ্রিল) দুপুরে কাশিয়ানীর আড়কান্দি বাজারে রাস্তার পাশে সরকারী জায়গা
দখল করে গড়ে ওঠা
বেশ কয়েকটি দোকান-ঘর ভেঙ্গে গুড়িয়ে
দেয়া হয়।
এছাড়া
একই উপজেলার সিংগা গ্রামে ব্রীজের তলদেশ মাটি ভরাট করে
দখল করাসহ খালের জায়গা ভরাট করে দখলের
পায়তারা চালানো হচ্ছিল। সেটিও বন্ধ করা হয়।
এসব
অবৈধ দখল উচ্ছেদকালে অতিরিক্ত
জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ফারহানা জাহান উপমা, পানি উন্নয়ন বোর্ডের
নির্বাহী প্রকৌশলী এস.এম রেফাত
জামিল, সরকারী অন্যান্য কর্মকর্তা ও পুলিশ প্রশাসনের
কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জেলা
প্রশাসক কাজী মাহবুবল আলম
বলেন, জেলার যেসব জায়গায় সরকারি
সম্পত্তি অবৈধ দখলদাররা দখলে
রেখে ভোগ করে আসছে,
সেসব সরকারি সম্পত্তি দখলমুক্ত করা হবে এবং
দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এরসাথে যদি
সরকারি কোন লোক জড়িত
থাকে তাদের বিরুদ্ধেও বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে এবং
এ উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জেলা প্রশাসক
জানান।
অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান দখলমুক্ত
মন্তব্য করুন
ক্লাস শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ধান কাটতে গিয়ে ‘হিট স্ট্রোকে’ এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছেন। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে উল্লাপাড়ার চর তারাবাড়িয়া মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত কৃষকের নাম জিল্লুর রহমান (৩৫) । তিনি চর তারাবাড়িয়া গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে।
উল্লাপাড়ার কেয়ার হাসপাতালের ব্যবস্থাপক আলামিন হোসেন জানান, ‘জিল্লুর রহমানকে ভর্তির পর প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। ইসিজিও করা হয়। পরে তার অবস্থা আরও খারাপ হলে তাকে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।’
সলপ ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার শওকাত ওসমান জানান, ‘জিল্লুর রহমান তারাবাড়িয়া মাঠে ধান কাটছিলেন। প্রচণ্ড তাপদাহে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে উল্লাপাড়া কেয়ার হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর অবস্থার অবনতি হলে তাকে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছিল, পথে তিনি মারা যান।'
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন