নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৪০ পিএম, ৩০ জুন, ২০১৮
আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নৌকা হলো মানুষের মুক্তির প্রতীক। নূহ (আ.) এর নৌকা মানবতাকে মুক্তি দিয়েছিল। একই ভাবে বাংলাদেশে নৌকাই শুধু দেশের জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারে। নৌকাতেই মুক্তি পাবে দেশের জনগণ।
আজ শনিবার গণভবনে আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাদের বর্ধিত সভার ভাষণে আওয়ামী লীগ সভাপতি এ কথা বলেন। বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে প্রধানামন্ত্রী তাঁর বক্তব্য শুরু করেন।
দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রতিটি গ্রামে আমরা শহরের সব সুযোগ সুবিধা দিতে চাই। প্রতিটি গ্রামই হবে এক-একটি উন্নত শহর, যা ছিল জাতির পিতার স্বপ্ন।
আওয়ামী লীগের উচ্চ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ও তৃণমূলের কথা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু ৬ দফা দিলেন, তখন অনেক উচ্চ পর্যায়ের নেতা ৮ দফাও দেন। কিন্তু তৃণমূল বঙ্গবন্ধুর ওপরই আস্থা রাখে। উচ্চপর্যায়ের নেতারা মাঝেমধ্যে ভুল করে, তৃণমূল করে না।
তৃণমূলের নেতাকর্মীরা তাঁর প্রতি কতোটা নিবেদিত এই প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে সবার আগে আমাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সবাই মিলে প্রতিবাদ করেছিল। মাত্র ১৫ দিনে ঢাকা শহরের মধ্যে ২৫ লাখ স্বাক্ষর গ্রহণ করে জমা দিয়েছিল।
এর আগে আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাদের বর্ধিত সভার ভাষণে নিজের পরিবারের সদস্যদের নিহতের কথা স্মরণ করে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৭৫ এ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সপরিবারে হত্যার ঘটনা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে ফিরে যখন সারি সারি কবর দেখলাম। যাদের দেখে গেছি প্রাণবন্ত, এসে পেলাম জীবনহীন কবর। আমি সবাইকে হারিয়েছি। কিন্তু পেয়েছি বিশাল এক পরিবার- বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সহযোগী অঙ্গসংগঠন।
বক্তব্যের শুরুতেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং সেখানে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা স্মরণ করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ যা পেয়েছে, রক্ত দিয়ে অর্জন করতে হয়েছে’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাদের আজ গণভবনে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন । তাঁর আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে রাজশাহী, চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশালের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে তৃণমূল নেতারা আজ গণভবনে এসেছেন।
গ্রামের মানুষ কাকে ভোট দেবে, কেন দেবে এ বিষয়ে এসব তৃণমূল নেতারাই দায়িত্ব পালন করে থাকেন। জাতীয় নির্বাচনে এসব উপজেলা, ইউনিয়ন, পৌরসভা, ওয়ার্ড নেতারা একটা বিরাট ভূমিকা থাকে। সে কারণেই আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের নির্বাচনী দিক নির্দেশনা দেওয়ার পাশাপাশি গ্রামগঞ্জের নেতাদের কথাও শুনবেন।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
দ্বিতীয় ধাপে আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিতব্য জয়পুরহাট সদর ও পাঁচবিবি উপজেলায় ১১ চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ৩০ প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রতীক বরাদ্দের মধ্য দিয়ে এই দুই উপজেলায় প্রার্থীদের আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা শুরু হলো।
তফসিল অনুযায়ী আজ বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করেন নির্বাচনে দায়িত্ব প্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা।
এসময় বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক সালেহীন তানভীর গাজী। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার নুরে আলম (বিপিএম), অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বিপুল কুমার, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফজলুল করিম প্রমুখ।
জানা যায়, সদর উপজেলায় ৫ চেয়ারম্যান, ৭ ভাইস চেয়ারম্যান ও ৪ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এবং পাঁচবিবি উপজেলায় ৬ চেয়ারম্যান, ৪ ভাইস চেয়ারম্যান ও ৪ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বরাদ্দকৃত প্রতীক বুঝে নেন।
জয়পুরহাট সদরে কে কোন প্রতীক:
চেয়ারম্যান পদে এ ইএম মাসুদ রেজা (আনারস), খাজা শামসুল আল আমিন (দোয়াত কলম), আনোয়ার হোসেন (ঘোড়া), আমিনুল ইসলাম মাসুদ (কাপ পিরিচ), হাসানুজ্জামান মিঠু (মটরসাইকেল) প্রতীক পেয়েছেন।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে অশোক কুমার ঠাকুর (টিউবয়েল প্রতীক), উজ্জ্বল মিনজি (টিয়া পাখি), জাকারিয়া মন্ডল (বৈদ্যুতিক বাল্ব), মুনছুর রহমান (মাইক), শামীম আহম্মেদ (উড়োজাহাজ), সিএম আফরাঈম কাবীর (তালা প্রতীক), আলী আকবর মোঃ ইজাহারুল ইসলাম ডাবলু (চশমা) প্রতীক পেয়েছেন।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফারহানা রহমান বিথী (ফুটবল), আছমা বিবি (হাঁস), নাছিমা আক্তার (বৈদ্যুতিক পাখা), রুমানা পারভীন (কলস) প্রতীক পেয়েছেন।
পাঁচবিবি উপজেলা কে কোন প্রতীক:
চেয়ারম্যান পদে আবু বক্কর সিদ্দিক (আনারস), জাহিদুল আলম (কৈ মাছ), মনিরুল শহীদ মন্ডল (মটর সাইকেল), সোহরাব হোসেন (দোয়াত কলম), সাঈদ জাফর চৌধুরী (টেলিফোন), সাবেকুন নাহার (ঘোড়া) প্রতীক পেয়েছেন।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে ওয়াহিদুজ্জামান চৌধুরী (চশমা), আকরাম হোসেন তালুকদার (তালা), খালেকুল ইসলাম (টিউবওয়েল), ফরহাদ আলম (উড়োজাহাজ) প্রতীক পেয়েছেন।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তামান্না বেগম (প্রজাপতি), রাজিনারা টুনি (বৈদ্যুতিক পাখা), রেবেকা সুলতানা (ফুটবল), মৌসুমী আক্তার (ফুলের টব) প্রতীক পেয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, দ্বিতীয় ধাপের মনোনয়নপত্র বাছাই ২৩ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ২৪ থেকে ২৬ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২৭ এপ্রিল থেকে ২৯ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২ মে, আর ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।
উপজেলা নির্বাচন মনোনয়ন চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রতীক বরাদ্দ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটাক্ষ করে ফেসবুকে কুরুচিপূর্ন স্ট্যাটাস দেওয়ায় পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আবুল কালাম আজাদকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে কেন তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তা ৭ দিনের মধ্যে জানাতে ওই নেতাকে নির্দেশ দিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ।
খোঁজ
নিয়ে
জানা
গেছে,
গত
মঙ্গলবার (৩০
মে)
দিবাগত
রাতের
পর
কোনো
এক
সময়
আবুল
কালাম
আজাদ
তার
ফেসবুক
একাউন্টে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটাক্ষ
করে স্ট্যাটাস দেন।
পরদিন
বুধবার
(০১
মে)
সকালে
তার
লেখাটি
সবার
নজড়ে
আসার
পর
ভাইরাল
হয়ে
যায়।
এতে সমালোচনার ঝড়
ওঠে
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মাঝে।
সমালোচনার মুখে
বাধ্য
হয়ে
এক
পর্যায়ে পোস্টটি তার
ফেসবুক
থেকে
ডিলিট
করে
দেন
ওই
নেতা।
বিষয়টি উপজেলা ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের নজড়ে এনে তার শাস্তির দাবি জানান স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। পরে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় বুধবার (১ মে) রাতে এক চিঠিতে সরদার আবুল কালাম আজাদকে তার প্রস্তাবিত পদ থেকে অব্যহতি দেয় জেলা আওয়ামী লীগ।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন বেগম জিয়া?
জেলা
আওয়ামী লীগের দপ্তর
সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান
সুইট
স্বাক্ষরিত ওই
চিঠিতে
বলা
হয়,
'কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নির্দেশে পাবনা
জেলা
আওয়ামী লীগের জরুরী
সভার
সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা
সম্পর্কে ফেসবুকে অশালীন
ও
কুরুচপিূর্ন মন্তব্য করায়
সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের
কারণে
ভাঙ্গুড়া উপজেলা
আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার
আবুল
কালাম
আজাদকে
তার
সকল পদ
থেকে
অব্যহতি প্রদান
করা
হলো।
সেই সঙ্গে কেন
তাকে
স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা
হবে
না
তা
পত্র
প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে
জবাব
দিতে
নির্দেশ প্রদান
করা
হলো।
যদি
তিনি
সাত দিনের মধ্যে
জবাব
না
দেন
তাহলে
তাকে
স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের জন্য
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে
সুপারিশ করা
হবে।'
এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে সরদার আবুল কালাম আজাদের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
আরও পড়ুন: নির্দেশ অমান্যকারী মন্ত্রী-এমপিদের সাধারণ ক্ষমা?
পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স এমপি বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতার এমন স্ট্যাটাস খুবই ন্যাক্কারজনক। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে কথা বলে তাকে সকল পদ থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে।’
অব্যহতি আওয়ামী লীগ নেতা স্যাটাস কুরুচীপূর্ণ
মন্তব্য করুন
জাতীয় সংসদ রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন
মন্তব্য করুন
সহকারী সচিব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটাক্ষ করে ফেসবুকে কুরুচিপূর্ন স্ট্যাটাস দেওয়ায় পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আবুল কালাম আজাদকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে কেন তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তা ৭ দিনের মধ্যে জানাতে ওই নেতাকে নির্দেশ দিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ।