নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:২০ এএম, ২১ জুলাই, ২০১৮
ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গণসংবর্ধনা দেবে আওয়ামী লীগ। দেশের ঈর্ষণীয় উন্নয়ন, অস্ট্রেলিয়ার আন্তর্জাতিক লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি-লিট ডিগ্রি অর্জন করায় আজ শনিবার বিকেল তিনটায় তাঁকে এ সংবর্ধনা দেওয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা জানাতে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশ থেকে বিভিন্ন যানবাহনে করে ও পায়ে হেঁটে আওয়ামী লীগ ও এর বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী আসবেন। দলীয় নেতাকর্মী ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্তরের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, পেশাজীবী ও সাধারণ মানুষও এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হবেন। আজকের এই অনুষ্ঠানে তিন লক্ষাধিক লোকের সমাগম হবে বলে ধারণা করছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। তবে অনুষ্ঠানস্থলে চেয়ারের ব্যবস্থা থাকবে ৩০ হাজার লোকের জন্য। জনসমাগমকে কেন্দ্র করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট এলাকায় যানবাহন নিয়ন্ত্রণের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, জাতীয় সংসদের উপনেতা সাজেদা চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুই ঘণ্টার গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা তাঁর বক্তব্যে আগামী নির্বাচনের বার্তা দেবেন। গণসংবর্ধনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ও উপস্থিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের। এই সভায় আওয়ামী লীগের মন্ত্রীপরিষদের সদস্যরা নিজ নিজ মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন ও অর্জনের চিত্র তুলে ধরে বক্তব্য রাখবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। এছাড়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে থাকবে সাংস্কৃতিক পর্ব ও স্মারক পাঠ পর্ব।
গণসংবর্ধনা উপলক্ষে দেশবরেণ্য চিত্রশিল্পী হাশেম খানের তত্ত্বাবধানে আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১৬ টি ছবি নিয়ে একটি চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ছবি ছাড়াও প্রদর্শনীতে থাকবে তাঁর লেখা সকল বই। এছাড়াও প্রদর্শনীতিতে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী ও বঙ্গবন্ধুর কারাগারের রোজনামচা নামক আত্মজীবনীমূলক বই দুটিও স্থান পাবে।
প্রধানমন্ত্রীর গণসংবর্ধণা অনুষ্ঠানকে সফল করতে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রায় দু সপ্তাহব্যাপী প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর এই গণসংবর্ধনাকে কেন্দ্র করে নান্দনিকভাবে সাজানো হয়েছে সংবর্ধনাস্থল। অনুষ্ঠানস্থলে ঢোকার মুখেই ইংরেজী বর্ণ এল আকৃতিতে বিশাল প্যান্ডেল নির্মাণ করা হয়েছে। পুরো সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে করা হয়েছে আলোকসজ্জা।
শুধু সংবর্ধনাস্থলই নয়, প্রধানমন্ত্রীর এই গণসংবর্ধনাকে কেন্দ্র করে পুরো রাজধানীকেই বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকা, প্রধানমন্ত্রীর সাফল্যগাথা সংবলিত বিলবোর্ড-প্ল্যাকার্ড দিয়ে সাজানো হয়েছে ও আলোকসজ্জার আয়োজনও করা হয়েছে।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনা কার্যনির্বাহী সংসদ গণভবন
মন্তব্য করুন
দুদক দুদক মহাপরিচালক শিরীন পারভীন
মন্তব্য করুন