নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:১৮ পিএম, ২৩ জুলাই, ২০১৮
শান্তি, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির শহর হিসেবে হযরত শাহজালাল (রহ.), হযরত শাহপরাণ (রহ.) ও হযরত বোরহান উদ্দিনের (রহ.) স্মৃতিবিজড়িত আধ্যাত্মিক চেতনাসঞ্চারী নগরী সিলেটের সুনাম সর্বজনবিদিত। এই পুণ্যভূমিতে কখনই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেনি। অথচ সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ নগরেই আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের নির্বাচনী ক্যাম্প। এতে ভস্মীভূত হয়েছে নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী ব্যানার, প্লাস্টিকে মোড়ানো পোস্টার, লিফলেট, পর্দাসহ জরুরি কাগজপত্র। (সমকাল)
অন্যান্য সংবাদ
বড় ধরনের ঝুঁকিতে জনতা ব্যাংক
বড় ঝুঁকিতে পড়েছে সরকারি খাতের জনতা ব্যাংক। ঋণ জালিয়াতি, ঋণ আদায়ে অব্যাহত ব্যর্থতা, ভুয়া রফতানির বিপরীতে সরকারি অর্থ ছাড় ব্যাংকটিকে মহাদুর্নীতির ফাঁদে আটকে ফেলেছে। উপরন্তু বিপুল অঙ্কের খেলাপি ঋণ কিনে খেলাপিকে ফের লম্বা কিস্তিতে ঋণ দেয়ার মতো নজিরবিহীন ঘটনাও ঘটেছে। এভাবে সীমাহীন অনিয়ম, দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে ব্যাংকটিকে একেবারে খাদের কিনারে নিয়ে গেছে প্রভাবশালী একটি চক্র। যারা এ ব্যাংকের বড় সুবিধাভোগী। এ তালিকায় ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ ছাড়াও শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা জড়িত। যাদের সব ধরনের সহায়তা দিয়েছে পর্দার আড়ালে থাকা রাজনৈতিক বড় শক্তির আধার। (যুগান্তর)
সহায়ক সেনাবাহিনী ।। গণতন্ত্র সুসংহত করতে
দেশের গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত এবং সুসংহত করতে সুশৃঙ্খল ও শক্তিশালী সেনাবাহিনী অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকা পালন করে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদের বৈঠকে সুশৃঙ্খল ও শক্তিশালী সেনাবাহিনীর উপর গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, ‘সুশিক্ষিত, কর্মক্ষম, সচেতন, বুদ্ধিমান এবং সর্বোপরি গণতন্ত্রকে সুসংহত করার জন্য দৃঢ় প্রত্যয়ের অধিকারী এরূপ যোগ্য অফিসারদের কাছে নেতৃত্ব ন্যস্ত করতে হবে।’ একটি দেশের গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত এবং সুসংহত করতে একটি সুশৃঙ্খল ও শক্তিশালী সেনাবাহিনী অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকা পালন করে।’ (জনকণ্ঠ)
দুই নেতার কথোপকথন ফাঁস, একজন গ্রেফতার
রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের পথসভার অদূরে বোমা হামলার ঘটনায় দায় স্বীকার করেছেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান মন্টু। এ ঘটনায় নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় দায়ের করা বিস্ফোরক আইনের মামলায় গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বিএনপি নেতা মন্টু পুলিশকে বিস্তারিত খুলে বলেছেন বলে জানিয়েছেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার। গতকাল রবিবার দুপুরে নিজের দপ্তরের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আরএমপি কমিশনার বলেন, ওই বোমা হামলাটি যে বিএনপির লোকজনই করেছিল, তা গ্রেফতারকৃত জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মন্টু মোবাইলে নিজ দলের কেন্দ্রীয় সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপুকে জানিয়েছেন। সেই অডিও ক্লিপের কথোপকথন ফাঁস হওয়ার পর মন্টুকে গ্রেফতার করা হয়। এদিকে ইত্তেফাকের সঙ্গে আলাপকালে এই ধরনের কথোপকথনে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন তাইফুল ইসলাম টিপু। (ইত্তেফাক)
নির্বাচনী প্রচারণার আড়ালে সংগঠিত হচ্ছে জামায়াত : নাশকতার আশঙ্কা বাড়ছে
রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে অনেকটা কৌশলী অবস্থান নিয়েছে জামায়াত। মেয়র পদে প্রকাশ্যে গণসংযোগ না করলেও কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রচারণার আড়ালে ধানের শীষের পক্ষে ভোট চাচ্ছে তারা। বিশেষ করে রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয় এলাকার আশপাশে এবং নগরীর সীমান্তবর্তী মহল্লাগুলোতে তারা বিএনপি প্রার্থীর পক্ষে গণসংযোগ ও প্রচারণা চালাচ্ছেন। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সংগঠিত হচ্ছেন তারা। বিএনপির পক্ষ থেকেও বলা হয়েছে, দৃশ্যমান না হলেও জামায়াত তাদের সঙ্গে আছে, তাদের পক্ষে কাজ করছে। (ভোরের কাগজ)
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাপদাহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।
প্রথম দুই দফা ভোটের যে হার, তাতে বিজেপির মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিজেপির নেতারা ভোটে যে ভূমিধস বিজয় আশা করছিলেন সেটি হবে না। ভারতের কোন কোন গণমাধ্যমগুলো ভোটের ফলাফলে নাটকীয় ঘটনা ঘটারও ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষ করে ২০০৪ সালের নির্বাচনে যেভাবে কংগ্রেস অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে বিজেপিকে ধরাশায়ী করেছিল সেরকম কোন ঘটনা ঘটতেও পারে বলে মনে আশঙ্কা করছেন অনেকে। অবশ্য এখনও আরও পাঁচ দফা ভোট বাকি আছে এবং বিজেপি আশা করছে যে, পরবর্তী ধাপগুলোতে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে এবং বিজেপি তাদের জয়ের ধারা অক্ষুণ্ণ রাখবে। নরেন্দ্র মোদি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে দেওয়ার জন্য বারবার আহ্বান জানাচ্ছেন।
ভারতের নির্বাচনের ফলাফল কী হবে তা বোঝা যাবে আগামী ৪ জুন। কিন্তু এখন পর্যন্ত যে ভোটের হাওয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাতে এটা স্পষ্ট যে, ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি জোটের যে নিরঙ্কুশ বিজয়ের ধারণা করা হয়েছিল, সেটি বাস্তবতা নাও পেতে পারে। আর এ কারণেই মোদী যদি শেষ পর্যন্ত পরাজিত হন, তাহলে সেটি হবে ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি বড় ব্যতিক্রমী ঘটনা এবং এটি হবে ভারতের নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চমক।
এখন যখন ভারতের নির্বাচনে একটি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বা অনিশ্চয়তার ফলাফলের শঙ্কা জেগেছে তখন প্রশ্ন উঠছে যে, বিজেপি যদি এই নির্বাচনে পরাজিত হয় তাহলে বাংলাদেশে কী হবে? গত দুটি নির্বাচনে ভারতের বিজেপি সরকার বাংলাদেশকে নিরঙ্কুশভাবে সমর্থন দিয়েছে। ২০১৮ এবং ২০২৪ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি সরকার।
বিশেষ করে ২০২৪ এর নির্বাচনে ভারতীয় সরকারের পরিপূর্ণ সমর্থন ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করত এবং এই নির্বাচনকে অস্বীকৃতি জানাত বলেও অনেকে মনে করেন। মার্কিন মনোভাব পাল্টানোর ক্ষেত্রে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আর নির্বাচনের পর বিএনপি থেকে শুরু করে জাতীয় পার্টি প্রত্যেকেই বলছে যে, ভারত বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখেছে। যদিও এরকম অভিযোগকে আওয়ামী লীগ অস্বীকার করে এবং আওয়ামী লীগ মনে করে যে, জনগণের ভোটে তারা নির্বাচিত হয়েছে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি আওয়ামী লীগ বা বিজেপি কেউই অস্বীকার করে না।
এখন প্রশ্ন হল, যদি বিজেপি পরাজিত হয়, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশের সমীকরণ কী হবে? কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে, বর্তমান সরকারের জন্য সমীকরণের কোন পরিবর্তন হবে না। কারণ ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গেও আওয়ামী লীগ সরকারের একটি সুসম্পর্ক রয়েছে। ইতোমধ্যে ইন্ডিয়া জোটের প্রধান দল কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা দিয়েছে।
অনেকে মনে করেন যে, এখন ভারতে কট্টর হিন্দুত্ববাদী মনোভাবের কারণে সীমান্তে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য রাখা হচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশের মধ্যে একটা ভারতবিরোধী মনোভাব তৈরি হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত যদি নরেন্দ্র মোদি তাহলে এই অবস্থানের পরিবর্তন হবে। দুই দেশের সম্পর্ক আরও বিকশিত হবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ভারত লোকসভা নির্বাচন মল্লিকার্জুন খাড়গে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।