নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৪৩ পিএম, ২৫ জুলাই, ২০১৮
‘এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ, এগিয়ে যাচ্ছে সিলেট’ এই শিরোনামে ৩৩ দফা উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী বদরউদ্দিন আহমদ কামরান।
বুধবার দুপুর ১টায় সিলেট নগরীর নির্ভানা ইন হোটেলের কনফারেন্স হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন। এসময় কেন্দ্রিয় ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ ছাড়াও বিভিন্ন পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
ইশতেহার ঘোষণার একপর্যায়ে কেঁদে ফেলেন সাবেক এই মেয়র। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘এটাই জীবনের শেষ নির্বাচন। আর হয়তো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবো না। এমনও হতে পারে নির্বাচিত হলে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যেও মারা যেতে পারি। তাই জীবনের শেষ সময়টা আমি সিলেটের উন্নয়নে কাজ করতে চাই।’ এসময় তিনি সাংবাদিকদের সুখে দুঃখে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সাংবাদিকদের সহযোগিতাও কামনা করেন।
ইশতেহার ঘোষণাকালে বদর উদ্দিন আহমদ কামরান বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণ আজ আর স্বপ্ন নয়, সময়ের ব্যাপার। অতীতে সবাই যেভাবে নৌকার উপর আস্থা রেখেছিলেন, আমার বিশ্বাস ৩০ জুলাইয়ে নৌকা বিজয়ী হবে। নৌকা বিজয়ী হলে সিলেটে উন্নয়নের জোয়ার বইবে।’
তিনি তাঁর ইশতেহারে বলেন, সিলেটকে শতভাগ নিরক্ষরমুক্ত করতে উদ্যোগে নেওয়া হবে। প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিশ্বমানের স্কুল, কলেজ ও কওমী মাদ্রাসা তোলা হবে।
ইশতেহারে আরও উল্লেখ করেন, বিদ্যুৎ বিভ্রাট থেকে নগরবাসীকে বাঁচাতে পুরো নগরে পাতাল বিদ্যুৎলাইন স্থাপন করা হবে। নগরীকে যানজট মুক্ত রাখতে সকল রাস্তা প্রশস্ত করা হবে, আধুনিক বাসস্ট্যান্ড ও ট্রাক টার্মিনালসহ ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হবে। ফুটপাত হকারমুক্ত করার পাশাপাশি ৪টি হকার মার্কেট করা হবে। জলাবদ্ধতা নিরসনে সিলেটের ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন কর হবে। সরকারের সাথে আলোচনা মাধ্যমে সুরমা নদী খননের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বদর উদ্দিন আহমেদ কামরান আগামী ৩০ জুলাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে ভোট দিয়ে নৌকা মার্কাকে বিজয়ী করতে আহ্বান জানান।
বাংলা ইনসাইডার/আরকে/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রথম পর্যায়ের উপজেলা নির্বাচনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত। ১৫০টি উপজেলায় এখন জনগণ ভোটের অপেক্ষায়। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৫৯টি উপজেলায় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন গতকাল শেষ হয়েছে। সেখানেও এখন নির্বাচনী প্রচারণার ডামাডোল শুরু হয়েছে। কিন্তু উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হবে কি না, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে কি না এবং উপজেলা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে কি না তা নিয়ে একদিকে যেমন জনগণের সংকট রয়েছে তেমনই নির্বাচন কমিশনও এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত।
লক্ষ্মীপুর সদরের তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরপরই হামলার শিকার হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নেপথ্যে নির্বাচনে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ। এঘটনায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী দুই প্রার্থীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ ৯১১ জনের বিরুদ্ধে দুইটি মামলাও দায়ের করেন। ফলে নির্বাচনের পর আনন্দের বদলে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে ওই ইউনিয়নে।