নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৩৪ এএম, ২৮ জুলাই, ২০১৮
প্রতীক্ষিত রাজধানীর মেরুল বাড্ডার ইউলুপটি চালু হচ্ছে আজ শনিবার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার ইউলুপের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন বলে জানিয়েছেন রাজউকের প্রকল্প পরিচালক (হাতিরঝিল সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্প) জামাল আখতার ভূঁইয়া।
শুক্রবার রাতে তিনি বলেন, এটি উদ্বোধনের সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। কাল (শনিবার) এ ইউলুপ চালু হবে। বিকেল পাঁচটায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটি উদ্বোধন করবেন। এ জন্য আমরা সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। (জনকণ্ঠ)
অন্যান্য সংবাদ
গুরুত্ব পাচ্ছে তৃণমূল নেতাদের মতামত
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য তফসিল দুই মাস পরে। তার আগেই গঠিত হতে পারে নির্বাচনকালীন সরকার। নির্বাচন নিয়ে সক্রিয় সব দলের মধ্যে চলছে তোড়জোড়। জোট-ঐক্য গড়ার হিড়িক পড়েছে। এই যখন অবস্থা, তখন দাবি আদায় আর নির্বাচন নিয়ে রাজপথের বিরোধী দল বিএনপি কতটা প্রস্তুত তা স্পষ্ট নয়। দলটির প্রধান নীতিনির্ধারক ও বাস্তবায়নকারী চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ৬ মাস ধরে কারাবন্দি। এরপর যার সিদ্ধান্তে ও পরামর্শে চলছে দল, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডনে। এই অবস্থায় দাবি আদায়ে আন্দোলন-সংগ্রাম এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রশ্নে তৃণমূল নেতাদের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। (ইত্তেফাক)
চোখের সামনে ধসে পড়ল কক্সবাজারের পাহাড়
কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা ইউনিয়নে গতকাল শুক্রবার একটি পাহাড় ধসে পড়েছে। ধসে পড়া পাহাড়ের মাটিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ও দোকানপাট। এ ছাড়া বিকল হয়ে পড়েছে পাহাড়ের পাশের একটি রাস্তা। স্থানীয় প্রশাসন উদ্ধার কার্যক্রমের পাশাপাশি আশপাশের লোকজনকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া শুরু করেছে। স্থানীয় কর্মকর্তাদের ধারণা, টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে পাহাড়ের মাটি নরম হয়ে পড়ায় ধসের ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া পাহাড় ও গাছপালা কেটে বসতভিটা বানানোকেও একটি কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন তাঁরা। (কালের কণ্ঠ)
আবারো সংলাপের সুযোগ হাতছাড়া করল বিএনপি
সরকারের সঙ্গে সংলাপ ও সমঝোতায় বসার কথা মুখে বললেও মোক্ষম সেই সুযোগ এড়িয়ে গেল বিএনপি। সংলাপের প্রাথমিক আলোচনার জন্য গত বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের কয়েক নেতার বৈঠকে বসার দিনক্ষণ ঠিক হয়। সেই বৈঠকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সময়মতো উপস্থিত হলেও অসুস্থতার অজুহাতে যোগ দেননি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। অথচ ওই সময়ে দলীয় অন্য একটি অনুষ্ঠানে ঠিকই যোগ দিয়েছেন তিনি। অত্যন্ত গোপনে আয়োজন করা ওই বৈঠকে উপস্থিত দুই দলের নেতারাই এতে হতাশ হয়েছেন। তারা বলেছেন, এর ফলে হয়তো আবারো সংলাপের সুযোগ হাতছাড়া করল বিএনপি। (ভোরের কাগজ)
বরিশালে এজেন্ট সংকটে পাঁচ মেয়র প্রার্থী
ভোটযুদ্ধের শেষ মুহূর্তে এসে সংকটে পড়েছেন বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পাঁচ মেয়র প্রার্থী। আওয়ামী লীগের প্রার্থীর এজেন্ট নিয়ে কোনো সমস্যা না থাকলেও বিএনপিসহ অন্যান্য দলের মেয়র প্রার্থীরা সব কেন্দ্রের জন্য পোলিং এজেন্ট খুঁজে পাচ্ছেন না। এজেন্ট হওয়ার জন্য তাদের প্রস্তাবে রাজি হচ্ছেন না অনেকেই। এমনকি দলীয় পদে থাকা নেতাকর্মীরাও কেউ কেউ এজেন্ট হতে রাজি নন। (সমকাল)
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাপদাহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।
প্রথম দুই দফা ভোটের যে হার, তাতে বিজেপির মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিজেপির নেতারা ভোটে যে ভূমিধস বিজয় আশা করছিলেন সেটি হবে না। ভারতের কোন কোন গণমাধ্যমগুলো ভোটের ফলাফলে নাটকীয় ঘটনা ঘটারও ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষ করে ২০০৪ সালের নির্বাচনে যেভাবে কংগ্রেস অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে বিজেপিকে ধরাশায়ী করেছিল সেরকম কোন ঘটনা ঘটতেও পারে বলে মনে আশঙ্কা করছেন অনেকে। অবশ্য এখনও আরও পাঁচ দফা ভোট বাকি আছে এবং বিজেপি আশা করছে যে, পরবর্তী ধাপগুলোতে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে এবং বিজেপি তাদের জয়ের ধারা অক্ষুণ্ণ রাখবে। নরেন্দ্র মোদি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে দেওয়ার জন্য বারবার আহ্বান জানাচ্ছেন।
ভারতের নির্বাচনের ফলাফল কী হবে তা বোঝা যাবে আগামী ৪ জুন। কিন্তু এখন পর্যন্ত যে ভোটের হাওয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাতে এটা স্পষ্ট যে, ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি জোটের যে নিরঙ্কুশ বিজয়ের ধারণা করা হয়েছিল, সেটি বাস্তবতা নাও পেতে পারে। আর এ কারণেই মোদী যদি শেষ পর্যন্ত পরাজিত হন, তাহলে সেটি হবে ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি বড় ব্যতিক্রমী ঘটনা এবং এটি হবে ভারতের নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চমক।
এখন যখন ভারতের নির্বাচনে একটি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বা অনিশ্চয়তার ফলাফলের শঙ্কা জেগেছে তখন প্রশ্ন উঠছে যে, বিজেপি যদি এই নির্বাচনে পরাজিত হয় তাহলে বাংলাদেশে কী হবে? গত দুটি নির্বাচনে ভারতের বিজেপি সরকার বাংলাদেশকে নিরঙ্কুশভাবে সমর্থন দিয়েছে। ২০১৮ এবং ২০২৪ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি সরকার।
বিশেষ করে ২০২৪ এর নির্বাচনে ভারতীয় সরকারের পরিপূর্ণ সমর্থন ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করত এবং এই নির্বাচনকে অস্বীকৃতি জানাত বলেও অনেকে মনে করেন। মার্কিন মনোভাব পাল্টানোর ক্ষেত্রে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আর নির্বাচনের পর বিএনপি থেকে শুরু করে জাতীয় পার্টি প্রত্যেকেই বলছে যে, ভারত বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখেছে। যদিও এরকম অভিযোগকে আওয়ামী লীগ অস্বীকার করে এবং আওয়ামী লীগ মনে করে যে, জনগণের ভোটে তারা নির্বাচিত হয়েছে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি আওয়ামী লীগ বা বিজেপি কেউই অস্বীকার করে না।
এখন প্রশ্ন হল, যদি বিজেপি পরাজিত হয়, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশের সমীকরণ কী হবে? কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে, বর্তমান সরকারের জন্য সমীকরণের কোন পরিবর্তন হবে না। কারণ ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গেও আওয়ামী লীগ সরকারের একটি সুসম্পর্ক রয়েছে। ইতোমধ্যে ইন্ডিয়া জোটের প্রধান দল কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা দিয়েছে।
অনেকে মনে করেন যে, এখন ভারতে কট্টর হিন্দুত্ববাদী মনোভাবের কারণে সীমান্তে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য রাখা হচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশের মধ্যে একটা ভারতবিরোধী মনোভাব তৈরি হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত যদি নরেন্দ্র মোদি তাহলে এই অবস্থানের পরিবর্তন হবে। দুই দেশের সম্পর্ক আরও বিকশিত হবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ভারত লোকসভা নির্বাচন মল্লিকার্জুন খাড়গে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
বাল্যবিবাহ সামাজিক আন্দোলন ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ জাতীয় মানবাধিকার কমিশন
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।