ইনসাইড বাংলাদেশ

ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়া যাবে এক ঘণ্টায়

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬:৪৮ পিএম, ২৮ জুলাই, ২০১৮


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা এমন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি যেখানে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়া যাবে মাত্র এক ঘণ্টায়। একই সময়ে যাওয়া যাবে বরিশাল, খুলনা। এমনকি কলকাতায়ও। কক্সবাজারে হবে দৃষ্টিনন্দন বিমানবন্দর।

আজ শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর হাতিরঝিলের নর্থ ইউলুপটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, হাতিরঝিল এক সময় দুর্গন্ধযুক্ত জায়গা ছিল। আমরা ক্ষমতায় আসার পর পরিকল্পনা নিয়েছি এবং একই সঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে হাতিরঝিলকে মানুষের বিনোদনের অন্যতম জায়গায় পরিণত করেছি।

তিনি আরও বলেন, আমরা মানুষের উন্নয়নে, দেশের উন্নয়নে কাজ করতে চাই। আমরা বিজয় সরণী ফ্লাইওভার, কুড়িল ফ্লাইওভারসহ অন্যান্য ফ্লাইওভার নির্মাণ করেছি। দেশের মানুষের কাছে এসব উন্নয়ন এখন দৃশ্যমান। ইতিমধ্যে আমরা পুরো ঢাকা ঘিরে রিং রোড করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি।

২০১৯ সালের মধ্যে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রো রেল চালু হওয়ার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা এমন পরিকল্পনা গ্রহণ করছি, রেল এখন মাটির নিচ দিয়েও যাবে, ওপর দিয়েও যাবে।

বক্তব্যের শেষে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী ২০২০-২১ সালে জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন করা হবে। আপনারা পাশে থাকবেন। নৌকায় ভোট দিলে কেউ খালি হাতে ফেরে না।

এর আগে রাজধানীর হাতিরঝিলের নর্থ ইউলুপটির উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে ইউলুপটিতে বাস-ট্রাকসহ অন্যান্য সব যান চলাচল কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

রাজউকের হাতিরঝিল সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্পের অংশ হিসেবে ২০০৭ সালে রামপুরা ও বাড্ডা প্রান্তে দুটি ইউলুপ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। রামপুরা অংশের ইউলুপটি ২০১৬ সালে চালু হয়। বাড্ডার হাতিরঝিলের নর্থ ইউলুপটি চালু হল আজ।

হাতিরঝিলের নর্থ ইউলুপ নিয়ে আশা প্রকাশ করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলেছেন, এই ইউলুপটি চালু হওয়ায় হাতিরঝিল থেকে রামপুরা, বনশ্রীগামী যানবাহন সহজেই ঘুরতে পারবে। এছাড়া প্রগতি সরণির বাড্ডা ও রামপুরা এলাকার যানজট অনেকটাই কমে যাবে।

বংলা ইনসাইডার/বিপি/জেডএ



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নওগাঁয় ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প

প্রকাশ: ০২:৩০ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

অরাজনৈতিক ও বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে নওগাঁয় দিন ব্যাপি ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্প, স্বাস্থ্যসেবা ও বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ করা হয়েছে। মে দিবস উপলক্ষে বুধবার (১ মে) জগৎসিংহপুর বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনের অডিটোরিয়ামে ও বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগ ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্প ও স্বাস্থ্য সেবা অনুষ্ঠিত হয়। 

 

উক্ত ক্যাম্পে প্রধান অতিথি ছিলেন নওগাঁ চেম্বার অফ কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি এর সভাপতি মোহাম্মদ ইকবাল শাহরিয়ার রাসেল সিআইপি।


এ সময় উপস্থিত ছিলেন বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মোঃ নাজিম উদ্দিন তনু, চেয়ারম্যান মোঃ মামুনুর রশীদ মামুনসহ বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী ।

দিন ব্যাপী এই ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্পের মাধ্যমে প্রায় এক হাজার দরিদ্র নারী ও পুরুষের মাঝে ফ্রি চিকিৎসা পত্র ও ফ্রি ঔষধ বিতরণ করা হয়।


বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক নাজিম উদ্দিন তনু বলেন, ‘সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের পাশে থাকা ও গন মানুষের সেবা করা বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনের মূল লক্ষ্য। মেডিসিন, ডায়াবেটিস, রক্তের গ্রুপ নির্নয়, হেপাটাইটিস বি ভাইরাস পরীক্ষা, জন্ডিস পরীক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রায় এক হাজার অসহায়, দরিদ্র রোগীকে চিকিৎসা সেবা ও পরামর্শ দেওয়া হয়। পাশাপাশি তাদের মধ্যে বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ করা হয়। ফ্রি চিকিৎসা নিতে সকাল থেকে আশেপাশের কয়েকটি গ্রামের মানুষ ভিড় করেন।’

  
এমন মহতী উদ্যোগের পাশে সবসময় থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করে প্রধান অতিথি ইকবাল শাহরিয়ার রাসেল বলেন, মানুষের সেবায় সবসময় কাজ করছেন বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন। প্রতিবছর যেন এই কার্যক্রম চালু থাকে সেই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি। শুধু নওগাঁ শহরে নয়, পুরো দেশজুরে এর পরিধি ছড়িয়ে দেয়ার আহবান জানান তিনি।


মেডিকেল ক্যাম্প   স্বাস্থ্যসেবা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শনিবার খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

প্রকাশ: ০১:৫৮ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

শনিবার থেকে যথারীতি মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম চলবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার (২ মে) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবুল খায়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তীব্র তাপপ্রবাহে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। আগামী শনিবার থেকে (৪ মে) দেশের সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যথারীতি ক্লাস শুরু হবে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান   শিক্ষা মন্ত্রণালয়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রাজধানীতে পরিবহন চাঁদাবাজি, মূলহোতাসহ গ্রেপ্তার ১১

প্রকাশ: ০১:১০ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে পরিবহন থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে চক্রের অন্যতম মূলহোতা মারুফসহ ১১ চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০।

গ্রেপ্তারকৃতরা হল, মূলহোতা মো. মারুফ (৩৮), মো. ইমরান হোসেন (৩৫), মো. জাকির হোসেন (২৩), মো. রায়হান (২২), মো. চয়ন (১৮), মো. আপন (১৮), মো. রুহুল আমিন (৪০), মো. আল আমিন (২৫), মো. তানজির (২৪), মো. এহসান আহম্মেদ সজীব (২৬) ও মো. আরিফুল হাসান শাওন (১৮)।

এসময় তাদের কাছ থেকে আদায় করা চাঁদার নগদ ১২ হাজার ৩২০ টাকা এবং ১১টি কাঠের লাঠি উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার (২ মে) র‌্যাব-১০ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি এম. জে. সোহেল এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ২ মে ভোর সাড়ে ৪টা থেকে সকাল ৭টা ১০ মিনিট পর্যন্ত র‌্যাব-১০ এর একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যাত্রাবাড়ী এলাকায় একাধিক অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে আন্তঃজেলা ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, লরি ও সিএনজিসহ বিভিন্ন পরিবহন থেকে অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলনকালে পরিবহন চাঁদাবাজ চক্রের অন্যতম মূলহোতাসহ ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

এএসপি সোহেল আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তারা বেশ কিছুদিন ধরে যাত্রাবাড়ীসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় আন্তঃজেলা ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, লরি ও সিএনজিসহ বিভিন্ন পরিবহনের ড্রাইভার ও হেলপারদের সঙ্গে অশোভন আচণের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে অবৈধভাবে জোর করে চাঁদা আদায় করে আসছিল।

গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজুর পর সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান র‌্যাবের এ কর্মকর্তা।


রাজধানী   পরিবহন   চাঁদাবাজি   গ্রেপ্তার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০১:০০ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, থাইল্যান্ডে আমার সরকারি সফরটি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। এটি আমাদের দুই দেশের মধ্যে ফলপ্রসূ অংশীদারিত্বের একটি নতুন যুগের সূচনা করেছে।  

বৃহস্পতিবার (০২ মে) গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলে প্রধানমন্ত্রী।

এসময় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুতে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, থাইল্যান্ডকে দ্বিপাক্ষিকভাবে এবং আঞ্চলিক জোট আসিয়ানে রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনে জোরালো অবস্থান নেওয়ায় সহায়তা করবে মর্মে আমি আশাবাদী।

শেখ হাসিনা বলেন, সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্বার্থ সুরক্ষা এবং আঞ্চলিক সম্পৃক্ততা বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশের বিশেষ প্রয়াস হিসেবে সফরটি সফল ও ফলপ্রসূ হয়েছে বলে আমি মনে করি।  

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক উভয় সফরের অংশ হিসেবে ২৪ এপ্রিল ব্যাংকক পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

থাইল্যান্ডে ছয় দিনের সরকারি সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী গত সোমবার (২৯ এপ্রিল) ব্যাংকক থেকে দেশে ফেরেন।  

সফর প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ সফরে দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধিসহ মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা শুরুর বিষয়ে অগ্রগতি, আন্তঃযোগাযোগ বৃদ্ধি প্রভৃতি দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক সুদৃঢ়করণে বিশেষ গুরুত্ব পালন করবে। ২০২৪ সালের মধ্যে বাংলাদেশের আসিয়ানের ‘সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার’- এর প্রার্থিতা লাভের জন্য এ সফর উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।  


প্রধানমন্ত্রী   গণভবন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আমার শক্তি দেশের জনগণ: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ১২:৫০ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমার শক্তি দেশের জনগণ। জনগণের শক্তির উপর আমরা বিশ্বাস করেছি। এবং আমি এটাও বিশ্বাস করেছি যে, জনগণ যতক্ষণ চাইবে ততক্ষণই থাকবো ক্ষমতায়। কারণ আমরা ভোটে নির্বাচিত হয়ে এসেছি। আমাদের দল কোন অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী কোন মিলিটারি ডিক্টেটরের পকেট থেকে বের হয়নি।

বৃহস্পতিবার (০২ মে) সকাল সাড়ে ১১টায় গণভবনে থাইল্যান্ড সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মানুষের আর্থ সামাজিক যে উন্নয়ন সেটাকে সামনে রেখে আমাদের বাংলাদেশের মানুষ যে শোষণ ও বঞ্চনার স্বীকার হচ্ছিল তার বিরুদ্ধে দাড়াবার জন্য আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। কাজেই, আওয়ামী লীগ সবসময় মানুষের কল্যাণে কাজ করে এটা প্রমাণিত সত্য। যে কারণে যতই চক্রান্ত হয় সে চক্রান্ত হলেও তা আমরা পাশ কাটিয়ে দেশের মানুষকে নিয়ে আবার বিজয় নিয়ে আসি। এখানে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলনই ঘটেছে। যারা গণতন্ত্র নাই, ভোটের অধিকার নাই বলে তারাইতো ভোটের অধিকার মানুষের কেড়ে নিয়েছিল এটা তারা ভুলে যায়। আর অনেকে নানা ধরনের কথা বলে। কেউ উন্নয়ন চোখে দেখে, কেউ দেখে না। কারণ তাদের হয়তো উন্নয়নের ফর্মুলা ভিন্ন।

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন আমরা জনগনের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেই করেছি। এবং বাংলাদেশের পুরো নির্বাচন ইতিহাসটা যদি দেখেন তাহলে ৭৫ এর পর থেকে যতগুলো নির্বাচন, ৭৭ সালের হ্যা না ভোট থেকে শুরু করে যতগুলো নির্বাচন প্রত্যেকটি নির্বাচন একটু ভালো করে তুলনা করলে দেখা যাবে যে, ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারী নির্বাচন প্রত্যেক নির্বাচনের তুলনায় সবচেয়ে বেশি অবাধ, সুষ্ঠু এবং জনগনের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার নির্বাচন হয়েছে।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই নির্বাচন যেন প্রভাবমুক্ত হয়। মানুষ যাতে স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারে। সেটাই আমাদের লক্ষ্য।

ফিলিস্তিন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ইতিমধ্যেই দুই দুই বার ফিলিস্তিনের জন্য সহযোগিতা পাঠিয়েছি এবং আরও পাঠাবো। সে প্রস্তুতিও আমরা নিয়েছি। এভাবেই আমরা ফিলিস্তিনের পক্ষে আছি এবং আন্তর্জাতিকভাবে তাদের পাশে দাড়াচ্ছি। যেখানে নির্যাতিত মানুষ সেখানেই বাংলাদেশ আছে।

এর আগে সোমবার (২৯ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে ছয় দিনের সরকারি সফর শেষে ব্যাংকক থেকে দেশে ফিরেছেন। সফরকালে শেখ হাসিনা গভর্নমেন্ট হাউসে (থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে দুই নেতার উপস্থিতিতে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে ভিসা অব্যাহতি, জ্বালানি সহযোগিতা, পর্যটন ও শুল্ক সংক্রান্ত বিষয় এবং মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) আলোচনার বিষয়ে পাঁচটি দ্বিপাক্ষিক নথি সই হয়।

পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দুসিত প্রাসাদের অ্যামফোর্ন সাথার্ন থ্রোন হলে থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন ফ্রা ভাজিরা-ক্লাওচা-উয়ুয়া এবং রাণী সুথিদা বজ্রসুধা-বিমলা-লক্ষণের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে বিকেলে ব্যাংককে পৌঁছান শেখ হাসিনা। ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

থাইল্যান্ডের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫২ বছরে বাংলাদেশের সরকারপ্রধান পর্যায়ে এটাই ছিল প্রথম সফর। সফরটি প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রতিবেশী’ নীতির ওপর বৃহত্তর মনোনিবেশের অংশ হিসেবেই তার এই সফর। আর এ সফর দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নবায়নের চমৎকার সুযোগ করে দিয়েছে।

একই সময়ে তিনি ব্যাংককের জাতিসংঘ সম্মেলন কেন্দ্রে জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ) ৮০তম অধিবেশনে ভাষণ দেন।

ভাষণে তিনি বিশ্বনেতাদের উদ্দেশে যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান জানিয়ে বলেন, টেকসই উন্নয়নের পূর্বশর্ত হচ্ছে স্থায়ী শান্তি ও নিরাপত্তা। একইদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের নির্বাহী সচিব আরমিডা সালসিয়াহ আলিশাবানা সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।


প্রধানমন্ত্রী   সংবাদ সম্মেলন   থাইল্যান্ড সফর   জনগণ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন