নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৫৩ পিএম, ১৬ অগাস্ট, ২০১৮
কোরবানি ঈদের বাকি আর মাত্র ৫ দিন। ঈদ উপলক্ষে আগামীকাল শুক্রবার থেকে রাজধানীর ২০টি স্থানে বসতে যাচ্ছে কোরবানির পশুর হাট। রাজধানীর কয়েকটি পশুর হাট ঘুরে হাটে ঈদ আমেজ দেখা গেছে। রঙিন ব্যান্র, গেটেও সাজানোও হয়েছে অনেক হাট। ইতিমধ্যে অনেক পশু বিক্রেতা তাঁদের পশু নিয়ে ঢাকায় চলে এসেছেন। ক্রেতারাও প্রস্তুত পশু কেনার জন্য।
রাজধানীর দুটি সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, এবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায় ১৩টি এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় ৭টি হাট বসবে।
দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৩টি হাট হলো মেরাদিয়া বাজার, উত্তর শাহজাহানপুরের মৈত্রী সংঘ মাঠ, গোপীবাগের ব্রাদার্স ইউনিয়ন বালুর মাঠ, কমলাপুর স্টেডিয়াম-সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, হাজারীবাগ মাঠ, লালবাগের রহমতগঞ্জ খেলার মাঠ, কামরাঙ্গীরচর ইসলাম চেয়ারম্যান বাড়ি মোড়, আরমানিটোলা মাঠসংলগ্ন খালি জায়গা, ধূপখোলা ইস্ট এন্ড ক্লাব মাঠ, পোস্তগোলা শ্মশানঘাট, দনিয়া কলেজ মাঠ, শ্যামপুর বালুর মাঠ এবং সাদেক হোসেন খোকা মাঠ ও আশপাশের খালি জায়গা।
আর উত্তর সিটি করপোরেশনের এলাকার ৭টি হাট হলো উত্তরা ১৫ নম্বর সেক্টরের ২ নম্বর সেতুর পশ্চিমে গোলচত্বর পর্যন্ত সড়কের উভয় পাশের ফাঁকা জায়গা, খিলক্ষেত বনরূপা আবাসিক প্রকল্পের খালি জায়গা, আশিয়ান সিটি হাউজিং, ভাটারা (সাইদ নগর), মোহাম্মদপুর বুদ্ধিজীবী সড়কসংলগ্ন (বছিলা) পুলিশ লাইনসের খালি জায়গা, মিরপুর সেকশন-৬ (ইস্টার্ন হাউজিং) খালি জায়গা এবং মিরপুর ডিওএইচএসের উত্তর পাশে সেতু প্রোপার্টি ও সংলগ্ন খালি জায়গা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বৈধভাবে এই কয়টি হাট বসলেও রাজধানীর কয়েকটি জায়গায় অবৈধ হাট বসবে। প্রতিবারই রাজধানীতে এমন কিছু হাট বসে বলে সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে। কাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে হাট বসলেও আজ বৃহস্পতিবারও কয়েকটি হাটে পশু বিক্রি করতে দেখা গেছে।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি
মন্তব্য করুন
ফরিদপুরের সালথায় তীব্র দাবদাহে ৩ শিক্ষক ও ১০ শিক্ষার্থী অসুস্থ
হয়ে পড়েছে। অসুস্থদের চিকিৎসা দিতে হাসপাতালে নেওয়া হয়। তাদের মধ্যে তিন শিক্ষার্থীকে
হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
রোববার (২৮ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের
রামকান্তুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা
ও সালথা থানার ওসি ঘটনাস্থল পরিবদর্শন করেন।
অসুস্থদের মধ্যে রয়েছেন রামকান্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের
সহকারী শিক্ষক মো. রবিউল ইসলাম। তিনি বলেন, রোজার ঈদের পর থেকে স্কুল বন্ধ ছিল। প্রধান
শিক্ষকও মাতৃত্বকালিন ছুটিতে রয়েছেন। দীর্ঘদিন পর গতকাল রোববার স্কুল খোলা হয়। সকালে
স্কুলে এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে প্রথমে বিদ্যালয়ের ক্লাস রুম ও মাঠে জমে থাকা
ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করার কাজ শুরু করি।
তিনি আরও বলেন, কিছু সময় কাজ করার পর তীব্র গরমে আমরা সবাই পানির
পিপাসায় ভুগছিলাম। তখন সবারই গলা শুকিয়ে আসছিল। পরে স্কুলের টিউবওয়েল চেপে ঠান্ডা পানি
বের করে তা পান করি। কিন্তু কিছুক্ষণ পর একে একে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বমি করতে থাকে
এবং অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ সময় স্থানীয় এক যুবক এসে আমাকে বলেন, স্যার ওই টিউবওয়েলের পানি
খেয়েন না, পানিতে বিষ মেশানো হয়েছে। পরে অসুস্থদের দ্রুত সালথা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে
নেওয়া হয়। সেখানে সকলকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যে রানিতা নামে এক শিশুর অবস্থা বেশি খারাপ হওয়ায় তাকে ফরিদপুর
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অসুস্থদের মধ্যে
শিক্ষক সুকলা রানী শীল, রেবেকা বেগম, রবিউল ইসলাম, শিক্ষার্থী সাদিহা, নাহিদ ও তৌকিয়ার
নাম পাওয়া গেছে। বাকিদের নাম পাওয়া যায়নি।
সালথা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুল
মমিন বলেন, ‘টিউবওয়েলের পানিতে কোনো ধরনের বিষক্রিয়া পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা
করা হচ্ছে, ওই শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। অসুস্থদের মধ্যে দুজনের
চিকিৎসা এখনো চলছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে সবাই শঙ্কামুক্ত’।
সালথা থানার ওসি ফায়েজুর রহমান বলেন, ‘আমরা প্রথমে খবর পেয়েছিলাম
টিউবওয়েলের পানি খেয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। পরে ঘটনাস্থলে এসে ডাক্তারের
সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, তিনি জানিয়েছেন টিউবওয়েলের পানিতে বিষক্রিয়ার কোনো লক্ষণ পাননি’।
এ বিষয়ে সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান বালী
জানান, রোববার স্কুল খোলার পর শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সকালে স্কুলে এসে টিউবওয়েলের পানি
খেয়ে অসুস্থ পরলে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এখন সবাই মোটামুটি সুস্থ।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের জানিয়েছেন, তারা বিষক্রিয়ার কোনো আলামত
পাননি। গরমের কারণেও এ ঘটনা ঘটতে পারে। তারপরও টিউবওয়েলের পানি আমরা পরীক্ষা করে দেখব।
একইসঙ্গে আগামীকাল থেকেই ছাত্রছাত্রীরা যাতে নিরাপদ পানি খেতে পারে, সে ব্যবস্থা গ্রহণ
করা হবে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাপদাহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন