নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:০৩ এএম, ২০ অগাস্ট, ২০১৮
মাত্র তিনদিন পরেই ঈদ। মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবের অন্যতম একটি হচ্ছে ঈদুল আজহা। আর এই ঈদের অন্যতম কাজ হচ্ছে পশু কোরবানি করা। ঈদুল আজহা সামনে রেখে পশু জবাইয়ের সরঞ্জাম প্রস্তুতে ব্যস্ত সময় পার করছেন ঢাকার কামাররা।
দগদগে আগুনে গরম লোহায় ওস্তাদ-সাগরেদের ‘টুং টাং’ পিটাপিটিতে মুখর হয়ে উঠেছে রাজধানীর অন্যতম বৃহৎ পাইকারি কাঁচাবাজার কারওয়ান বাজারের কামারশালাগুলো। সেইসঙ্গে ধাতব সরঞ্জামাদি শান দিতে শানের দোকানগুলোতেও ভিড় বাড়ছে ক্রমেই।
রাজধানীর অন্যতম বৃহৎ পাইকারি কাঁচাবাজার কারওয়ান বাজারের কামারশালাগুলোর ব্যস্ততা এখন সবচেয়ে বেশি। দা, বটি, ছুরি, চাকু তৈরি এবং পুরনো অস্ত্রে শান দিতে এখন দারুণ ব্যস্ত কামাররা। ছুরি,চাপাতি ছাড়াও প্লাস্টিক ম্যাট, চাটাই, গাছের গুঁড়িও মিলছে এখানে। ঢাকার মালিটোলা, ওয়ারীর বনগ্রাম, নবাবপুর, হাসনাবাদ, কামরাঙ্গীরচরের কামারশালাগুলোর চিত্র একই। দোকানের কর্মচারী-মালিক সবাই মিলে পুরোদমে তৈরি করছে কোরবানির সরঞ্জামাদি।
ছোট ছুরির দাম ২৫০ থেকে ৫৫০ টাকা এবং বড় ছুরিগুলো ৫০০ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত দাম হাঁকাচ্ছে দোকানিরা। দেশি চাপাতিগুলো কেজি হিসেবে বিক্রি হয়ে থাকে। প্রতি কেজি ওজনের দেশি চাপাতি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত এবং বিদেশি চাপাতি দাম ৭০০ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। প্রতিটি বটির দাম ৩০০ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত এবং হাড় কাটার ছোট চাইনিজ কুড়াল ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতারা জানান, অন্য সময়ের চেয়ে এখন দ্বিগুণ দাম রাখা হচ্ছে। সেই সঙ্গে দা, বটি, ছুরিতে শাণ দিতে তাদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
এদিকে, কামারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এ পেশায় পরিশ্রম অনুযায়ী পারিশ্রমিক পান না তারা। এছাড়াও, বাজারে লোহার দাম বাড়তি। জীবিকা নির্বাহে কষ্ট হলেও শুধু পরিবারিক ঐতিহ্য ধরে রাখতে এ পেশাটিকে এখনও আঁকড়ে আছেন অধিকাংশ কামার।
কারওয়ান বাজার ছাড়াও রাজধানীর নিউ মার্কেট, গুলশান-১ ডিসিসি মার্কেট, চকবাজার, কাপ্তান বাজার, খিলগাঁও বাজার, মিরপুর-১-সহ সিটি কর্পোরেশনের প্রায় সকল মার্কেটেই ছুরি, বটি, চাপাতিসহ প্রয়োজনীয় সব জিনিসেরই বিক্রি হচ্ছে প্রচুর।
বাংলা ইনসাইডার/বিকে/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রথম পর্যায়ের উপজেলা নির্বাচনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত। ১৫০টি উপজেলায় এখন জনগণ ভোটের অপেক্ষায়। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৫৯টি উপজেলায় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন গতকাল শেষ হয়েছে। সেখানেও এখন নির্বাচনী প্রচারণার ডামাডোল শুরু হয়েছে। কিন্তু উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হবে কি না, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে কি না এবং উপজেলা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে কি না তা নিয়ে একদিকে যেমন জনগণের সংকট রয়েছে তেমনই নির্বাচন কমিশনও এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত।
লক্ষ্মীপুর সদরের তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরপরই হামলার শিকার হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নেপথ্যে নির্বাচনে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ। এঘটনায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী দুই প্রার্থীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ ৯১১ জনের বিরুদ্ধে দুইটি মামলাও দায়ের করেন। ফলে নির্বাচনের পর আনন্দের বদলে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে ওই ইউনিয়নে।