নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৪৫ পিএম, ৩১ অগাস্ট, ২০১৮
রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের ভুয়া ছবি প্রকাশ করেছে মিয়ানমার। মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর প্রকাশিত একটি বই গত জুলাই মাসে বাজারে ছাড়া হয়েছে। এই বইতেই দেখা যাচ্ছে রোহিঙ্গাদের নিয়ে প্রকাশিত ৩টি ভুয়া ছবি। ছবিগুলোতে রোহিঙ্গাদের বাঙালি সম্বোধন করা হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রকাশিত এক সংবাদে সম্প্রতি এ তথ্য উঠে আসে।
`মিয়ানমারের রাজনীতি ও সেনাবাহিনী:প্রথম পর্ব’ নামে বইটি প্রকাশিত হয়েছে। ১১৭ পৃষ্ঠার এ বইটি প্রকাশ করেছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর জনসংযোগ মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ বিভাগ। রাজধানীসহ মিয়ানমারের স্থানীয় সব বইয়ের দোকানে বিক্রি হচ্ছে এই বইটি।
১৯৪০ সালে মিয়ানমারের দাঙ্গার অধ্যায়ে প্রথম ছবিটি প্রকাশিত হয়েছে। সাদা-কালো একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, নদীর পাড়ে পড়ে রয়েছে দুটি মরদেহ। নিড়ানি হাতে মরদেহ দু’টির পাশে দাঁড়িয়ে একজন লোক। ছবির নিচে ক্যাপশনে উল্লেখ করা হয়েছে- ’স্থানীয় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর লোকদের বাঙালিরা হত্যা করছেন।’ অথচ ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে সাধারণ মানুষের নিহত হওয়ার।
দ্বিতীয় ছবিতে দেখা যাচ্ছে, হাজার হাজার মানুষ আশ্রয়ের খোঁজে একদেশ থেক আরেক দেশে পাড়ি জমাচ্ছেন। ক্যাপশনে উল্লেখ করা হয়েছে, ’ব্রিটিশ শাসনামলে বাঙ্গালিরা মিয়ানমারে প্রবেশ করছে।’ রয়টার্সের দাবি এই ছবিটিও ভুয়া, আসলে এই ছবিটি তাঞ্জানিয়ার।
আরেকটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, মানুষ ভর্তি একটি জাহাজ। যেখানে ক্যাপশনে উল্লেখ করা আছে, ‘বাঙ্গালিরা সমুদ্র পথে মায়ানমারে প্রবেশ করছে।’ আসলে এটি মিয়ানমারের নৌবাহিনীর দ্বারা আটককৃত অভিবাসীদের জাহাজ বলে জানায় রয়টার্স।
গত বছর আগস্টের দিকে রোহিঙ্গাদের ওপর বর্বর নির্যাতন চালায় মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। এই বর্বরতার অভিযোগে জাতিসংঘ সম্প্রতি মিয়ানমারের সেনাবাহিনীদের আন্তর্জাতিক কাঠগড়ায় বিচারের আহবান জানিয়েছে। রোহিঙ্গাদের দায় এড়াতেই সম্ভবত এ সব ভুয়া ছবি প্রকাশ করেছে তাঁরা বলে মনে করছে বিশ্লেষকরা।
বাংলা ইনসাইডার/জেডআই
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাপদাহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।
প্রথম দুই দফা ভোটের যে হার, তাতে বিজেপির মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিজেপির নেতারা ভোটে যে ভূমিধস বিজয় আশা করছিলেন সেটি হবে না। ভারতের কোন কোন গণমাধ্যমগুলো ভোটের ফলাফলে নাটকীয় ঘটনা ঘটারও ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষ করে ২০০৪ সালের নির্বাচনে যেভাবে কংগ্রেস অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে বিজেপিকে ধরাশায়ী করেছিল সেরকম কোন ঘটনা ঘটতেও পারে বলে মনে আশঙ্কা করছেন অনেকে। অবশ্য এখনও আরও পাঁচ দফা ভোট বাকি আছে এবং বিজেপি আশা করছে যে, পরবর্তী ধাপগুলোতে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে এবং বিজেপি তাদের জয়ের ধারা অক্ষুণ্ণ রাখবে। নরেন্দ্র মোদি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে দেওয়ার জন্য বারবার আহ্বান জানাচ্ছেন।
ভারতের নির্বাচনের ফলাফল কী হবে তা বোঝা যাবে আগামী ৪ জুন। কিন্তু এখন পর্যন্ত যে ভোটের হাওয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাতে এটা স্পষ্ট যে, ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি জোটের যে নিরঙ্কুশ বিজয়ের ধারণা করা হয়েছিল, সেটি বাস্তবতা নাও পেতে পারে। আর এ কারণেই মোদী যদি শেষ পর্যন্ত পরাজিত হন, তাহলে সেটি হবে ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি বড় ব্যতিক্রমী ঘটনা এবং এটি হবে ভারতের নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চমক।
এখন যখন ভারতের নির্বাচনে একটি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বা অনিশ্চয়তার ফলাফলের শঙ্কা জেগেছে তখন প্রশ্ন উঠছে যে, বিজেপি যদি এই নির্বাচনে পরাজিত হয় তাহলে বাংলাদেশে কী হবে? গত দুটি নির্বাচনে ভারতের বিজেপি সরকার বাংলাদেশকে নিরঙ্কুশভাবে সমর্থন দিয়েছে। ২০১৮ এবং ২০২৪ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি সরকার।
বিশেষ করে ২০২৪ এর নির্বাচনে ভারতীয় সরকারের পরিপূর্ণ সমর্থন ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করত এবং এই নির্বাচনকে অস্বীকৃতি জানাত বলেও অনেকে মনে করেন। মার্কিন মনোভাব পাল্টানোর ক্ষেত্রে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আর নির্বাচনের পর বিএনপি থেকে শুরু করে জাতীয় পার্টি প্রত্যেকেই বলছে যে, ভারত বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখেছে। যদিও এরকম অভিযোগকে আওয়ামী লীগ অস্বীকার করে এবং আওয়ামী লীগ মনে করে যে, জনগণের ভোটে তারা নির্বাচিত হয়েছে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি আওয়ামী লীগ বা বিজেপি কেউই অস্বীকার করে না।
এখন প্রশ্ন হল, যদি বিজেপি পরাজিত হয়, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশের সমীকরণ কী হবে? কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে, বর্তমান সরকারের জন্য সমীকরণের কোন পরিবর্তন হবে না। কারণ ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গেও আওয়ামী লীগ সরকারের একটি সুসম্পর্ক রয়েছে। ইতোমধ্যে ইন্ডিয়া জোটের প্রধান দল কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা দিয়েছে।
অনেকে মনে করেন যে, এখন ভারতে কট্টর হিন্দুত্ববাদী মনোভাবের কারণে সীমান্তে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য রাখা হচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশের মধ্যে একটা ভারতবিরোধী মনোভাব তৈরি হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত যদি নরেন্দ্র মোদি তাহলে এই অবস্থানের পরিবর্তন হবে। দুই দেশের সম্পর্ক আরও বিকশিত হবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ভারত লোকসভা নির্বাচন মল্লিকার্জুন খাড়গে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
বাল্যবিবাহ সামাজিক আন্দোলন ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ জাতীয় মানবাধিকার কমিশন
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।