নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:২৬ এএম, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
বাংলাদেশে রাজনৈতিক প্রচার-প্রচারণার ক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, বিশেষ করে ফেসবুক এখন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আসছে সাধারণ নির্বাচনেও ইন্টারনেট-ভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম একটি বড় প্লাটফর্ম হিসেবে ব্যবহূত হবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। বড় রাজনৈতিক দলগুলো এ বিষয়টি নিয়ে বেশ মনোযোগীও হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম শনিবার যশোরে দলের নেতা-কর্মীদের বলেছেন, আসছে নির্বাচনে সাইবার যুদ্ধ হবে। এমন প্রেক্ষাপটে দলটির কর্মী-সমর্থকদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশি সক্রিয় হতে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। (ইত্তেফাক)
অন্যান্য সংবাদ
ওএমএস’র খাদ্যশস্য পাচার
নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ভর্তুকি দিয়ে খাদ্যশস্য খোলা বাজারে বিক্রি (ওএমএস) করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে বর্তমান সরকার। কিন্তু এ সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির চাল ও আটা মিলেমিশে পাচার করেছেন খোদ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। গত ২ মাসে প্রায় প্রতিদিনই কমপক্ষে ৩৩৩ টন খাদ্যশস্য খোলা বাজারে বিক্রি না করে রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায় পাচার করা হয়েছে। তেজগাঁও সরকারি খাদ্যগুদাম (সিএসডি) থেকে রাতের আঁধারে এগুলো সরিয়ে নেয়া হয়েছে। যদিও ওএমএস’র খাদ্যশস্য গুদাম থেকে সকালে ট্রাকে ভরে সারা দিন নির্ধারিত স্থানে বিক্রি করার কথা। (যুগান্তর)
বিশেষায়িত হাসপাতালে খালেদার চিকিৎসা দাবি
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য নতুন করে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। সেই বোর্ড সদস্যদের পরামর্শ অনুযায়ী তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গতকাল রবিবার বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল সচিবালয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা জানান। বিকেলের দিকে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি স্থায়ী কমিটির সাত সদস্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর দপ্তরে দেখা করে খালেদা জিয়াকে বিশেষায়িত একটি হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানান। (কালের কণ্ঠ)
নির্বাচন ঘিরে অরাজকতা হলে কঠোর ব্যবস্থা
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে কোনো নৈরাজ্য ও সহিংসতা হলে তা কঠোর ও কঠিনভাবে মোকাবেলার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন ঘিরে কোনো সহিংসতা বরদাশত করবে না পুলিশ। এ ছাড়া ২০১৩-১৪ সালের মতো আগুন-সন্ত্রাস যাতে সৃষ্টি না হয়- সে ব্যাপারে সতর্ক থাকার কথা বলা হয়। এদিকে শিগগিরই সারাদেশে অবৈধ মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত হয়। অতীতে দুর্বৃত্তরা নিবন্ধনহীন মোটরসাইকেল ব্যবহার করেই নাশকতার ঘটনা ঘটায়। গতকাল রোববার পুলিশ সদর দপ্তরে অর্ধবার্ষিকী অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। পুলিশ মহাপরিদর্শক ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী এতে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠকে সব পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি, ৬৪ জেলার পুলিশ সুপার, ঢাকার বিভিন্ন ইউনিটের প্রধানসহ সারাদেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। নির্বাচনের আগে এ বৈঠককে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হচ্ছে। মাঠপর্যায়ের করণীয় নিয়ে সেখানে আলোচনা হয়। দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র সমকালকে এসব তথ্য জানান। (সমকাল)
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাপদাহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।
প্রথম দুই দফা ভোটের যে হার, তাতে বিজেপির মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিজেপির নেতারা ভোটে যে ভূমিধস বিজয় আশা করছিলেন সেটি হবে না। ভারতের কোন কোন গণমাধ্যমগুলো ভোটের ফলাফলে নাটকীয় ঘটনা ঘটারও ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষ করে ২০০৪ সালের নির্বাচনে যেভাবে কংগ্রেস অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে বিজেপিকে ধরাশায়ী করেছিল সেরকম কোন ঘটনা ঘটতেও পারে বলে মনে আশঙ্কা করছেন অনেকে। অবশ্য এখনও আরও পাঁচ দফা ভোট বাকি আছে এবং বিজেপি আশা করছে যে, পরবর্তী ধাপগুলোতে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে এবং বিজেপি তাদের জয়ের ধারা অক্ষুণ্ণ রাখবে। নরেন্দ্র মোদি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে দেওয়ার জন্য বারবার আহ্বান জানাচ্ছেন।
ভারতের নির্বাচনের ফলাফল কী হবে তা বোঝা যাবে আগামী ৪ জুন। কিন্তু এখন পর্যন্ত যে ভোটের হাওয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাতে এটা স্পষ্ট যে, ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি জোটের যে নিরঙ্কুশ বিজয়ের ধারণা করা হয়েছিল, সেটি বাস্তবতা নাও পেতে পারে। আর এ কারণেই মোদী যদি শেষ পর্যন্ত পরাজিত হন, তাহলে সেটি হবে ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি বড় ব্যতিক্রমী ঘটনা এবং এটি হবে ভারতের নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চমক।
এখন যখন ভারতের নির্বাচনে একটি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বা অনিশ্চয়তার ফলাফলের শঙ্কা জেগেছে তখন প্রশ্ন উঠছে যে, বিজেপি যদি এই নির্বাচনে পরাজিত হয় তাহলে বাংলাদেশে কী হবে? গত দুটি নির্বাচনে ভারতের বিজেপি সরকার বাংলাদেশকে নিরঙ্কুশভাবে সমর্থন দিয়েছে। ২০১৮ এবং ২০২৪ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি সরকার।
বিশেষ করে ২০২৪ এর নির্বাচনে ভারতীয় সরকারের পরিপূর্ণ সমর্থন ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করত এবং এই নির্বাচনকে অস্বীকৃতি জানাত বলেও অনেকে মনে করেন। মার্কিন মনোভাব পাল্টানোর ক্ষেত্রে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আর নির্বাচনের পর বিএনপি থেকে শুরু করে জাতীয় পার্টি প্রত্যেকেই বলছে যে, ভারত বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখেছে। যদিও এরকম অভিযোগকে আওয়ামী লীগ অস্বীকার করে এবং আওয়ামী লীগ মনে করে যে, জনগণের ভোটে তারা নির্বাচিত হয়েছে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি আওয়ামী লীগ বা বিজেপি কেউই অস্বীকার করে না।
এখন প্রশ্ন হল, যদি বিজেপি পরাজিত হয়, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশের সমীকরণ কী হবে? কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে, বর্তমান সরকারের জন্য সমীকরণের কোন পরিবর্তন হবে না। কারণ ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গেও আওয়ামী লীগ সরকারের একটি সুসম্পর্ক রয়েছে। ইতোমধ্যে ইন্ডিয়া জোটের প্রধান দল কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা দিয়েছে।
অনেকে মনে করেন যে, এখন ভারতে কট্টর হিন্দুত্ববাদী মনোভাবের কারণে সীমান্তে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য রাখা হচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশের মধ্যে একটা ভারতবিরোধী মনোভাব তৈরি হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত যদি নরেন্দ্র মোদি তাহলে এই অবস্থানের পরিবর্তন হবে। দুই দেশের সম্পর্ক আরও বিকশিত হবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ভারত লোকসভা নির্বাচন মল্লিকার্জুন খাড়গে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।