ইনসাইড বাংলাদেশ

১১৫ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:২৬ এএম, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮


Thumbnail

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়টিই এখনো নিশ্চিত করেনি বিএনপি। কিন্তু এরই মধ্যে ১১৫ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে দলটি। লন্ডন ও গুলশান কার্যালয় সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

বিএনপি সূত্র জানিয়েছে, দেশব্যাপী জরিপ চালিয়ে এবং পঞ্চম, অষ্টম ও নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলকে বিবেচনায় নিয়ে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে। যেসব আসনে বড় কোনো ঝামেলা নেই সেসব আসনেই প্রার্থী চূড়ান্ত করে তালিকা প্রস্তুত করেছে দলটি। সেই তালিকা অনুযায়ী প্রার্থীর কাছে টেলিফোন করে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বার্তা দিচ্ছেন। তবে কিছু আসনে কমপক্ষে ৩ থেকে সর্বোচ্চ ৭ জন প্রার্থী আছেন। ওই আসনগুলোতে প্রার্থী প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করতে সময় লাগবে।

মনোনয়নের নিশ্চয়তা পাওয়া বিএনপি প্রার্থীরা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আন্দোলনকে প্রধান টার্গেট করেই এগিয়ে যাচ্ছে বিএনপি।

চূড়ান্ত হওয়া ১১৫ আসনের প্রার্থী

ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার (পঞ্চগড়-১), মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর (ঠাকুরগাঁও-১), লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান (দিনাজপুর-২), শামসুজ্জামান (নীলফামারী-২), আসাদুল হাবিব দুলু (লালমনিরহাট-৩), এমদাদুল হক ভরসা (রংপুর-৪), অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী (কুড়িগ্রাম-২), ফয়সাল আলিম (জয়পুরহাট-১), প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা (জয়পুরহাট-২), হারুনুর রশিদ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩), নাসরিন আক্তার সিদ্দিকী (নওগাঁ-৩), ব্যারিস্টার আমিনুল হক (রাজশাহী-১), মিজানুর রহমান মিনু (রাজশাহী-২), কামরুন্নাহার শিরিন (নাটোর-১), অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু (নাটোর-২), ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু (সিরাজগঞ্জ-২), আবদুল মান্নান তালুকদার (সিরাজগঞ্জ-৩), হাবিবুর রহমান হাবিব (পাবনা-৪), মাসুদ অরুন (মেহেরপুর-১), মেহেদী আহমেদ রুমি (কুষ্টিয়া-৪), শামসুজ্জামান দুদু (চুয়াডাঙ্গা-১), মাহমুদ হাসান বাবু (চুয়াডাঙ্গা-২), মশিউর রহমান (ঝিনাইদহ-২), তরিকুল ইসলাম (যশোর-৩), টিএস আইয়ুব (যশোর-৪), নিতাই রায় চৌধুরী ( মাগুরা-২), নজরুল ইসলাম মঞ্জু (খুলনা-২), রফিকুল ইসলাম বকুল (খুলনা-৩), আজিজুল বারী হেলাল (খুলনা-৪), হাবিবুল ইসলাম হাবিব (সাতক্ষীরা-১), অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন (বরগুনা-২), এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাব হোসেন চৌধুরী (পটুয়াখালী-১), এবিএম মোশাররফ হোসেন (পটুয়াখালী-৪), মেজর (অব.) এম হাফিজউদ্দিন আহমেদ (ভোলা-৩), নাজিমউদ্দিন আলম (ভোলা-৪), মজিবর রহমান সরোয়ার (বরিশাল-৫), ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর (ঝালকাঠি-১), ফকির মাহবুব আলম স্বপন (টাঙ্গাইল-১), লুৎফর রহমান আজাদ (টাঙ্গাইল-৩), লুৎফর রহমান মতিন (টাঙ্গাইল-৪), সুলতান সালাউদ্দিন টুকু (টাঙ্গাইল-২), অ্যাডভোকেট গৌতম চক্রবর্তী (টাঙ্গাইল-৬), মাহমুদুল হক রুবেল (শেরপুর-৩), সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স ( ময়মনসিংহ-১), ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন (ময়মনসিংহ-৪), একেএম মোশাররফ হোসেন (ময়মনসিংহ-৫), আখতারুল আলম ফারুক (ময়মনসিংহ-৬), মাহবুবুর রহমান লিটন (ময়মনসিংহ-৭), শাহ নুরুল কবির শাহিন (ময়মনসিংহ-৮), ফকরুদ্দিন আহমেদ বাচ্চু (ময়মনসিংহ-১১), ব্যারিস্টার কায়সার কামাল (নেত্রকোনা-১), তাহমিনা জামান (নেত্রকোনা-৪), ড. ওসমান ফারুক (কিশোরগঞ্জ-৩), অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান (কিশোরগঞ্জ-৪), শরিফুল আলম (কিশোরগঞ্জ-৬), আফরোজা খানম রিতা (মানিকগঞ্জ-৩), আমানউল্লাহ আমান (ঢাকা-২), গয়েশ্বর চন্দ্র রায় (ঢাকা-৩), সালাউদ্দিন আহমেদ (ঢাকা-৫), সাদেক হোসেন খোকা (ঢাকা-৬), নাসিমা আক্তার কল্পনা (ঢাকা-৭), হাবিব-উন-নবী খান সোহেল (ঢাকা-৮), মির্জা আব্বাস (ঢাকা-৯), এমএ কাইয়ুম (ঢাকা-১০), এসএ খালেক (ঢাকা-১৪), সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল (ঢাকা-১৫), ডা. দেওয়ান মোহাম্মদ সালাউদ্দিন (ঢাকা-১৯), শাহ রিয়াজুল হান্নান (গাজীপুর-৪), একেএম ফজলুল হক মিলন (গাজীপুর-৫), খায়রুল কবীর খোকন (নরসিংদী-১), ড. আবদুল মঈন খান (নরসিংদী-২), আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়াম (রাজবাড়ী-১), শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকু (ফরিদপুর-২), সেলিমুজ্জামান সেলিম (গোপালগঞ্জ-১), সিরাজুল ইসলাম সিরাজ (গোপালগঞ্জ-২), হেলেন জেরিন খান (মাদারীপুর-২), শফিকুর রহমান কিরন (শরীয়তপুর-৩), কলিমুদ্দিন আহমেদ মিলন (সুনামগঞ্জ-৫), তাহমিনা রুশদি লুনা (সিলেট-২), নাসের রহমান (মৌলভীবাজার-৩), এমএকে একরামুজ্জামান সুখন (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১), আবু আসিফ (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২), প্রকৌশলী খালেদ মাহবুব শ্যামল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩), ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন (কুমিল্লা-১), কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ (কুমিল্লা-৩), শওকত মাহমুদ (কুমিল্লা-৫), আমিন উর রশিদ ইয়াসিন (কুমিল্লা-৬), জাকারিয়া তাহের সুমন (কুমিল্লা-৮), আবুল কালাম (কুমিল্লা-৯), আনম এহসানুল হক মিলন (চাঁদপুর-১), শেখ ফরিদউদ্দিন আহমেদ (চাঁদপুর-৩), হারুনুর রশিদ (চাঁদপুর-৪), ভিপি জয়নাল আবেদীন (ফেনী-২), আবদুল আউয়াল মিন্টু (ফেনী-৩), ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন (নোয়াখালী-১), জয়নাল আবেদীন ফারুক (নোয়াখালী-২), বরকতউল্লাহ বুলু (নোয়াখালী-৩), মো. শাহজাহান (নোয়াখালী-৪), ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ (নোয়াখালী-৫), শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানী (লক্ষ্মীপুর-৩), এম মোরশেদ খান (চট্টগ্রাম-৭), ডা. শাহাদাত হোসেন (চট্টগ্রাম-৮), আবদুল্লাহ আল নোমান (চট্টগ্রাম-৯), আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী (চট্টগ্রাম-১০), জাফরুল ইসলাম চৌধুরী (চট্টগ্রাম-১৫), সালাহউদ্দিন আহমেদ (কক্সবাজার-১), লুৎফর রহমান কাজল (কক্সবাজার-৩), আবদুল ওয়াদুদ ভুঁইয়া (খাগড়াছড়ি), সাচিং প্র“ জেরী (বান্দরবান) ও কাজী তাপস (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫)।

এই তালিকায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ তাঁর পরিবারের সদস্যরাও রয়েছেন। তবে বিএনপি জানিয়েছে, তালিকা পরিবর্তিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।


বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরে ৫ ইউপির তিনটিতেই নতুন মুখ

প্রকাশ: ১১:২০ এএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

লক্ষ্মীপুরের সদর উপজেলায় প্রায় ১৩ বছর পর ৫ টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রবিবার (২৮ এপ্রিল) সকাল থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত দক্ষিণ হামছাদী, দালাল বাজার, বাঙ্গাখাঁ, লাহারকান্দি ও তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নে এ ভোটগ্রহণ চলে। ভোটগ্রহণ শেষে রাতে ফলাফল ঘোষিত হলে দেখা যায়, এই ৫ টি ইউপি’র ৩ টিতেই নতুন মুখ এবং অপর দু’টি তে পুরোনোতেই আস্থা রেখেছে জনগণ। ফলাফল ঘোষণা করেছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত স্ব স্ব রিটার্নিং কর্মকর্তা।

চেয়ারম্যান হিসেবে দালাল বাজার, বাঙ্গাখাঁত ও লাহারকান্দি ইউপিতে নতুন মুখ নির্বাচিত হয়েছে। অপর দুই ইউপি তেওয়ারীগঞ্জ ও দক্ষিণ হামছাদিতে আবারও নির্বাচিত হয়েছে পুরোনোরা।

দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নে মীর শাহ আলম (ঘোড়া) ৬২৪৪ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল উদ্দিন চৌধুরী (চশমা) পেয়েছেন ২৬৯৮ ভোট।

দালাল বাজার ইউনিয়নে নজরুল ইসলাম (চশমা) ৬৩৫৫ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নুর নবী চৌধুরী (অটোরিকশা) পেয়েছেন ৪৭৬০ ভোট।

বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নে মিজানুর রহমান (চশমা) ৬৪০১ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শেখ জামাল রিপন (মোটরসাইকেল) পেয়েছেন ৩৩৯০ ভোট।

লাহারকান্দি ইউনিয়নে আশরাফুল আলম (টেলিফোন) ৫৫৮৩ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী খোরশেদ আলম শাহীন (অটোরিকশা) পেয়েছেন ৩৭৭৩ ভোট। আশরাফুল জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি।

তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নে ওমর ফারুক ইবনে হুছাইন ভুলু (আনারস) ৭৫৪২ ভোট পেয়ে পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বোরহান চৌধুরী (অটোরিকশা) পেয়েছেন ৬২৩৯ ভোট।

দক্ষিণ হামছাদী, দালাল বাজার এবং তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের রিটার্নিং অফিসার রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা স্বপন কুমার ভৌমিক ও বাঙ্গাখাঁ এবং লাহারকান্দি ইউনিয়নের রিটার্নিং অফিসার সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম চৌধুরী ফলাফলের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।


ইউপি নির্বাচন   ভোটগ্রহণ   নতুন মুখ   চেয়ারম্যান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চলতি বছর ডেঙ্গুতে ৪০ হাজার মৃত্যুর শঙ্কা

প্রকাশ: ১১:০৪ এএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ডেঙ্গুত আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে প্রতি বছর ১০ হাজার কোটি মানুষ মারা যাচ্ছে। বাংলাদেশেও এই ডেঙ্গুর প্রকপ দিনদিন বাড়ছে। ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। দেখা যায় ২০২৩ সালে বাংলাদেশে ১ হাজার ৭০৫ জন মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। ঠিক ওই বছরি বিশ্বে এই সংখ্যা দাড়ায় ৫ হাজার ৫০০ জনের বেশি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুয়ায়ী, ২০০০ সালে প্রায় বিশ হাজার মানুষ ডেঙ্গুতে মারা যায়। তবে এই অবস্থার আরও অবনতি ঘটছে। চলতি বছর বিশ্বে ৪০ হাজার মানুষ এ রোগে মারা যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেটস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন।

সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু আক্রান্ত অঞ্চল লাতিন আমেরিকা। ২০০০ থেকে ২০০৫ সালে সেখানে বছরে গড়ে পাঁচ লাখ মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হন। কিন্তু ২০২৩ সালে অঞ্চলটিতে ৪৬ লাখ মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হন। এদিকে ২০২৪ সালে এরই মধ্যে সেখানে প্রায় ৬০ লাখ ডেঙ্গু আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ব্রাজিলের মানুষ।

একদিকে যেমন ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে তেমনি অঞ্চল ছাপিয়ে তা ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বের সর্বত্র। এডিস মশা তাপমাত্রার পরিবর্তনের সঙ্গে সংবেদনশীল এবং বিশ্ব উষ্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের পরিসরও বাড়ছে।

বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ডেঙ্গুর সংক্রমণ হয় ১৯৬০ সালের দিকে। ২০০০ সালের জুন মাসে ডেঙ্গু সর্বপ্রথম মহামারি আকারে দেখা দেয় বাংলাদেশে। সে বছর মোট ৫ হাজার ৫৫১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়, যার মাঝে মারা যায় ৯৩ জন। এরপর কম-বেশি প্রতিবছরই মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে, মারা গেছে। কিন্তু সেই সংখ্যা কখনোই ২০২৩ সালের মতো এত প্রকট আকার ধারণ করেনি।

২০২৩ সালে ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়। এই বছরে আক্রান্তের হার যেমন বেড়েছে, তেমনি মৃত্যুর সংখ্যা সর্বোচ্চ ছুঁয়েছে।

আগের ২৩ বছরে দেশে ডেঙ্গুতে মোট মারা গেছেন ৮৬৮ জন। কিন্তু শুধু ২০২৩ সালে ১ হাজার ৭০৫ জন মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা যান। অর্থাৎ বাংলাদেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি বছরে বছরে আরও ভয়াবহ হচ্ছে।

অ্যানেফিলিস মশা ম্যালেরিয়া ছড়ায়, যা এখন সারা বিশ্বেই পাওয়া যায়। কিন্তু এডিস মশা এখনো সব অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েনি। কিন্তু জলবায়ুর বর্তমান প্রবণতা অনুযায়ী, এডিস মশা দক্ষিণ ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের বিশাল অংশে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এতে আরও দুইশ কোটি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।

নগরায়ন এই মশার বংশবিস্তার বৃদ্ধিতে সাহায্য করছে। একটি ডেঙ্গু মশা তার দুই সপ্তাহের জীবনে একাধিক ব্যক্তিকে কামড়াতে পারে। কিছু স্থানে এই রোগ আগে ছিল না কিন্তু এখন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এই প্রবণতা এখন বাংলাদেশ ও ভারতে দেখা যাচ্ছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ক্যালিফোর্নিয়া, দক্ষিণ ইউরোপ, আফ্রিকায় ডেঙ্গু আক্রান্তে সংখ্যা বেড়েছে।

ডেঙ্গু জ্বরের জন্য বিশ্বকে অবশ্যই প্রস্তুতি নিতে হবে। যদিও ধনী উত্তর গোলার্ধ ক্রমবর্ধমান ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে, তবে এতে বিশ্বের দরিদ্র অংশ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।


ডেঙ্গু   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল গৃহবধূ

প্রকাশ: ১০:৩৪ এএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় এনজিওর টাকা তুলতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় এক গৃহবধূ নিহত হয়েছেন। এঘটনায় নিহত গৃহবধূ আকলিমা সলঙ্গা কুমাজপুর গ্রামের শরীফুল ইসলামের স্ত্রী৷

 

রবিবার (২৮ এপ্রিল) বিকাল ৪ টার সময় উপজেলার হাটিকুমরুল পাবনা মহাসড়কে চড়িয়া শিকার উত্তর পাড়া খেজুর তলা নামক স্থানে অজ্ঞাত ট্রাকের ধাক্কায় ২ সন্তানের জননী আকলিমা (৩২) নামের এক গৃহবধূ নিহত হয়েছেন।

 

জানা যায় শরিফুল ইসলাম ও তার স্ত্রী আকলিমা গাক এনজিও থেকে টাকা নিয়ে সাইকেলে করে ফেরার সময় ট্রাকের ধাক্কায় আকলিমা খাতুন পড়ে গেলে চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনা স্থলেই মারা যান৷ 

 

হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) এম এ ওয়াদুদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘাতক ট্রাকটি চাপা দিয়েই ঘটনাস্থলে থেকে পালিয়ে যায়৷


সড়ক দুর্ঘটনা   গৃহবধূ   এনজিও  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রাজশাহীর কাটাখালী পৌর সভা উপ-নির্বাচনে জয়ী সাবেক মেয়রের স্ত্রী


Thumbnail রাজশাহীর কাটাখালী পৌর সভা উপ-নির্বাচনে জয়ী একমাত্র নারী প্রার্থী মোসা. রাবেয়া সুলতানা মিতু

রাজশাহীর পবা উপজেলার কাটাখালী পৌরসভার মেয়র পদে উপ-নির্বাচনের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন একমাত্র নারী প্রার্থী মোসা. রাবেয়া সুলতানা মিতু। হেঙ্গার প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন হাজার ৩০৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র আবু শামা নারিকেল গাছ প্রতীকে পেয়েছেন হাজার ৪৮৭ ভোট। আর মিজানুর রহমান চামচ প্রতীকে হাজার ৯১৭ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন।

রবিবার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ৯টি কেন্দ্রে বিরতিহীনভাবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)-এর মাধ্যমে ভোটগ্রহণ চলে। ভোটগ্রহণ শেষে কেন্দ্র থেকেই ফল ঘোষণা করেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারা। ৯টি কেন্দ্র থেকে পাওয়া তথ্যমতে ভোটের এই ফল জানা গেছে।

এই নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হওয়া মোসা. রাবেয়া সুলতানা মিতু কাটাখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্বাস আলীর স্ত্রী।

নির্বাচনে মেয়র পদে মোট সাতজন প্রার্থী অংশ নেন। অন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী জহুরুল ইসলাম রিপন মোবাইল ফোন প্রতীকে হাজার ৩৩৯ ভোট, মোতাহার হোসেন রেল ইঞ্জিন প্রতীকে হাজার ৮৮ ভোট, সিরাজুল ইসলাম জগ প্রতীকে ৩৮৪ ভোট এবং জিয়ারুল ইসলাম ক্যারাম বোর্ড প্রতীকে ১২৭ ভোট পেয়েছেন।

উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দেন ভোটাররা। তাছাড়া নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলাকালে কোথাও কোন গোলযোগের খবর পাওয়া যায়নি। এই নির্বাচনে মেয়র পদে সাতজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে ১৫ হাজার ৬৫০ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। এই পৌর সভায় ভোটার ছিলেন ২৩ হাজার ৫৪১ জন। যার মধ্যে নারী ভোটার ১১ হাজার ৭৭৬ এবং পুরুষ ভোটার ১১ হাজার ৮৮৬ জন।


পৌর সভা   উপ-নির্বাচন   ইভিএম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তীব্র দবদাহ: গরমে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর মৃত্যু

প্রকাশ: ১০:১৪ এএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তীব্র গরমে টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মরিয়ম আক্তার মুক্তা মারা গেছেন। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

রবিবার (২৮ এপ্রিল) নির্বাচন কমিশন গোপালপুর উপজেলা পরিষদের সকল পদের নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেছে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর মৃত্যুতে।

মরিয়ম আক্তার মুক্তার স্বামী মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, মরিয়ম তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে পড়লে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে।

নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন পরিচালনা-২ এর উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে নির্বাচন স্থগিতের তথ্য জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপে ৮ মে টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু ভোটগ্রহণের পূর্বে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একজন বৈধ প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় সকল পদের নির্বাচন স্থগিত করা হলো।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, পুনঃতফসিল ঘোষণার মাধ্যমে চতুর্থ ধাপে ৫ জুন এ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ইতোপূর্বে যারা মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন তাদেরকে নতুন করে মনোনয়ন দাখিলের প্রয়োজন হবে না।

তবে পূর্বে মনোনয়নপত্র দাখিলকারীদের প্রত্যাহারের সুযোগ দেওয়া যাবে। চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে পূর্বের মনোনয়ন বহাল থাকবে এবং উক্ত পদের বিদ্যমান প্রার্থীদের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। শুধু মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নতুনভাবে মনোনয়নপত্র দাখিল করা যাবে।

মরিয়ম আক্তার টানা দুবারের নির্বাচিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর এবং সাবেক সংসদ সদস্য হাতেম আলী তালুকদারের নাতনি মরিয়ম আক্তার মুক্তা এবারও একই পদে প্রার্থী ছিলেন।


তীব্র দবদাহ   মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান   প্রার্থী   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন