নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:১৪ পিএম, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
দীর্ঘ ৫৩ দিন বন্ধ থাকার পর আবার উৎপাদন শুরু হয়েছে দেশের একমাত্র কয়লা ভিত্তিক বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে। বড়পুকুরিয়া খনি থেকে কয়লা সরবারাহ পাওয়ায় গতকাল রাত ২ টা ২৭ মিনিটে উৎপাদন শুরু করেছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।
৫২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রের তিনটি ইউনিটের মধ্যে নবনির্মিত ২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তৃতীয় ইউনিটটি চালু করা সম্ভব হয়েছে। এরফলে এই ইউনিট থেকে জাতীয় গ্রীডে ১৫৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যোগ হচ্ছে।
এই ইউনিটটি থেকে জাতীয় গ্রীডে ১৫৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যোগ হওয়ায় উত্তরাঞ্চলে লোড সেডিং ও লোভোল্টেজ কিছুটা কমেছে বলেও জানা যায়।
বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল হাকিম সরকার এ বিষয়ে বলেন, ‘গত রাত ২ টা ২৭ মিনিটে থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়। ওই সময়ে ১৫৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড করা হয়। পরবর্তীতে ধীরে ধীরে এই উৎপাদন আরও বৃদ্ধি পাবে। কয়লার মজুদ বাড়লে বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ও দ্বিতীয় ইউনিট দুটিও চালু করা হবে।’
তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের সূত্র থেকে জানা যায়, তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তিনটি ইউনিট চালাতে গেলে প্রতিদিন ৫ হাজার ২শ মেট্রিক টন কয়লার প্রয়োজন। তাই কয়লার মজুদ বৃদ্ধি না পেলে বাকি দুটি ইউনিট চালু করা সম্ভব হবে না।
উল্লেখ্য, গত ১৫ জুন খনির ১২১০ নম্বর কোল ফেসের উত্তোলনযোগ্য কয়লার মজুদ শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে, ১৬ জুন থেকে কয়লা উত্তোলন বন্ধ হয়ে যায়। কয়লার অভাবে বড়পুকুরিয়া ৫২৫ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিও বন্ধ হয়ে যায়। এরমধ্যেই গত ১৯ জুলাই কয়লা খনির ইয়ার্ড থেকে প্রায় ১ লাখ ৪৫ হাজার টন কয়লা উধাও হওয়ার ঘটনা ঘটে।
কয়লা উধাও হওয়ার এ ঘটনায় ২৪ জুলাই খনির চারজন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাসহ ১৯ কর্মকর্তার নামে দুর্নীতি দমন আইনে পার্বতীপুর মডেল থানায় একটি মামলা করা হয়। গত ৩০ আগস্ট পর্যন্ত কয়লা খনির সাবেক ও বর্তমান মিলে ৩০ জন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুদক।
বাংলা ইনসাইডার/আরকে
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রথম পর্যায়ের উপজেলা নির্বাচনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত। ১৫০টি উপজেলায় এখন জনগণ ভোটের অপেক্ষায়। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৫৯টি উপজেলায় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন গতকাল শেষ হয়েছে। সেখানেও এখন নির্বাচনী প্রচারণার ডামাডোল শুরু হয়েছে। কিন্তু উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হবে কি না, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে কি না এবং উপজেলা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে কি না তা নিয়ে একদিকে যেমন জনগণের সংকট রয়েছে তেমনই নির্বাচন কমিশনও এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত।
লক্ষ্মীপুর সদরের তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরপরই হামলার শিকার হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নেপথ্যে নির্বাচনে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ। এঘটনায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী দুই প্রার্থীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ ৯১১ জনের বিরুদ্ধে দুইটি মামলাও দায়ের করেন। ফলে নির্বাচনের পর আনন্দের বদলে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে ওই ইউনিয়নে।