ইনসাইড বাংলাদেশ

‘নিরাপদ ডিজিটাল বিশ্ব গড়ে তুলতে জাতিসংঘ ভূমিকা রাখতে পারে’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:২৭ এএম, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ডিজিটাল বিশ্বকে অধিকতর নিরাপদ করে তুলতে জাতিসংঘ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এ ছাড়া তথ্য নিরাপত্তা বিধানে নীতিমালা প্রণয়নের কার্যক্রম অব্যাহত থাকার প্রয়োজনীয়তাও ব্যক্ত করেছেন তিনি।

গতকাল মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী ইউএনজিএ-তে জাতিসংঘ নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ক দপ্তর (ইউএনওডিএ) আয়োজিত সাইবার নিরাপত্তা ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক একটি উচ্চপর্যায়ের পার্শ্ব অনুষ্ঠানে এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা আইসিটি অপব্যবহারের ঝুঁকি সম্পর্কে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, আইসিটির অপব্যবহার আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সাইবার জগতের কোনো ভৌত সীমানা নেই। রাষ্ট্রসমূহের আইটি-কে নিরাপদ করার সামর্থ্য নেহায়েত অপ্রতুল। আন্তঃসংযুক্ত বিশ্বে দুর্বল সংযোগ অন্যান্যের জন্য ব্যাঘাত সৃষ্টি করতে পারে। তাই সাইবার নিরাপত্তা সকলের জন্য উদ্বেগের বিষয়।’

প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৩তম অধিবেশনে যোগ দিতে বর্তমানে নিউইয়র্ক রয়েছেন।

শেখ হাসিনা বলেন, কিছু কিছু দেশ আইসিটি-কে সামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের বিষয়ে কাজ করছে। সন্ত্রাসী ও সহিংস উগ্রবাদীরা এটিকে তাদের বিষাক্ত বক্তব্য প্রচারে ব্যবহার করছে।

তিনি বলেন, ‘আইসিটি খাতে আমাদের কষ্টার্জিত সাফল্যকে নিরাপদ রাখা প্রয়োজন। কেননা, সারা বিশ্বে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগুলো নিয়মিতভাবে সাইবার হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে।’

শেখ হাসিনা অপরাধমূলক সাইবার কর্মকান্ডের উৎস শনাক্ত করতে পারার প্রযুক্তি ও তথ্যে উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রবেশাধিকারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

তিনি বলেন, ‘অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সত্যিকার উৎস শনাক্তকরণ উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

নিরাপদ ডিজিটাল বিশ্ব গঠনে জাতিসংঘের ভূমিকার ওপরও নিজ বিবৃতিতে গুরুত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এই প্রসঙ্গে বলেন, এ পর্যন্ত সাইবার নিরাপত্তায় ব্যবহৃত কৌশলসমূহকে আরো অংশগ্রহণমূলক করে গড়ে তোলা দরকার।

সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে তাদের উদ্বেগ প্রকাশের সুযোগ দেয়া উচিত উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিব তার নিরস্ত্রীকরণ কর্মসূচিতে এর স্বীকৃতি দিয়েছেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ক্ষতিকর সাইবার কর্মকান্ড রোধ ও মোকাবেলায় জাতিসংঘ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অনাক্রমণাত্মক উপায় ব্যবহারকে উৎসাহিত করা উচিত। সাইবার বিশ্বে অধিকার ও স্বাধীনতার প্রশ্নটি যথাযথভাবে মোকাবেলা করা উচিত।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সাইবার বিশ্বে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর দায়িত্বশীল আচরণের নীতিমালা ও মূলনীতির নিঃশর্ত সমর্থন পাওয়া উচিত। তিনি বলেন, ‘সাইবার বিশ্বে জাতিসংঘ সনদের মূল নীতিসমূহ এবং প্রাসঙ্গিক আন্তর্জাতিক আইন প্রয়োগ করা উচিত। রাষ্ট্রসমূহকে অবশ্যই কোন ধরনের ক্ষতিকর সাইবার কর্মকান্ড পরিচালনা বা সমর্থন না করতে তাদের অঙ্গীকারের প্রতি অবিচল থাকতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রাষ্ট্রসমূহের তাদের ভূখন্ডকে অন্য রাষ্ট্রসমূহের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কর্মকান্ডের জন্য ব্যবহৃত হওয়াও প্রতিরোধ করতে হবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ এসব প্রতিশ্রুতি আন্তরিকভাবে গ্রহণ করেছে এবং অন্যরাও তা করবে বলে আমরা আশা করি।’

সাইবার নিরাপত্তার সামর্থ্য বিনির্মাণে আন্তর্জাতিক সহযোগিতাকে অবশ্যই অগ্রাধিকার দেওয়া এবং উন্নয়ন সহযোগীদের এটিকে তাদের আন্তর্জাতিকভাবে গৃহীত অঙ্গীকারের অংশ হিসেবে বিবেচনা নেওয়ার গুরুত্বের কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশ একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ সাইবার নিরাপত্তা ইকো-সিস্টেম তৈরিতে কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাস হওয়ার প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে একটি সাইবার সিকিউরিটি ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিম রয়েছে যেটি অপরাপর রাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতা করে থাকে এবং প্রশিক্ষণের জন্য একটি ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটি জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা সংস্থা প্রতিষ্ঠা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আমরা অপর বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর অভিজ্ঞতা থেকে শেখার আশা করি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ২০ বছর আগে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর প্রথম মেয়াদে তিনি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে শান্তির সংস্কৃতির ধারণা উপস্থাপন করেছিলেন।

তিনি বলেন, দায়িত্ব পালনের তৃতীয় মেয়াদের শেষ দিকে এসে আমি জাতিসংঘ এবং অন্য সকল স্থানে সাইবার নিরাপত্তা সংস্কৃতি প্রসারে বাংলাদেশের সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।’

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে জাতিসংঘের একটি উচ্চপর্যায়ের একটি সম্মেলন তার গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি হতে পারে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই আগামী প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ, স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক ও সুলভ সাইবার বিশ্ব গঠনের জোরালো রাজনৈতিক সংকল্প ব্যক্ত করা উচিত।’

গতকালের অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ও নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ক প্রতিনিধি ইজুমি নাকামিৎসু, সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান, এস্তোনিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী পল টিসালু এবং জাপানের সাইবার পলিসি বিষয়ক দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত মাসাতো ওতাকাও বক্তব্য রাখেন।

আইসিটি ফর পিস-এর সিনিয়র এডভাইজর এনিকেন টিকের সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব আহমেদ ওয়াজেদ, ইউএনওআইসিটি’র গ্লোবাল সার্ভিস ডিভিশনের ডিরেক্টর সালেম আভান এবং মাইক্রোসফটের সাইবার সিকিউরিটি এন্ড পলিসি বিষয়ক সিনিয়র ডিরেক্টর এঞ্জেলা ম্যাককেইও বক্তৃতা করেন।

সমাপনী বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।

বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি

সোর্সঃ বাসস



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দেশের দুই জেলায় ভূমিকম্প

প্রকাশ: ০৯:১২ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৪।

রোববার (২৮ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়।

জানা গেছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল পশ্চিমবঙ্গের উত্তমপুরে।

ভূমিকম্প  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ক্লাস চলার সময় ছিঁড়ে পড়ল সিলিং ফ্যান, শিক্ষার্থী জখম

প্রকাশ: ০৯:১৫ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জামালপুর পৌর শহরের একটি বিদ্যালয়ে ক্লাস চলাকালে সিলিং ফ্যান পড়ে সুমাইয়া আক্তার মীম নামের এক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে পৌর শহরের রশিদপুর এলাকার ইজ্জাতুন নেছা উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

আহত সুমাইয়া আক্তার মীমকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।

আহত মীম পৌরসভার বগাবাইদ গ্রামের ফেরদৌসের মেয়ে। আহত সুমাইয়া আক্তার মীম সেই বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী। 

শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বলেন, সকাল ১০টা থেকে পাঠদান কার্যক্রম শুরু হয়। দশম শ্রেণির ক্লাসরুমে তৃতীয় ঘণ্টার ক্লাস শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরে দ্বিতীয় তলার শ্রেণি কক্ষের একটি ফ্যান ভেঙে সুমাইয়ার ওপর পড়ে যায়। এতে শিক্ষার্থী মুখের ওপরের ঠোঁট কেটে গিয়ে গুরুতর আহত হলে তাকে উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠানো হয়। গত বছরও ওই বিদ্যালয়ে ফ্যান পড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছিল বলে জানান তারা।

এদিকে বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা হাসপাতালে গেলে ছবি ও ভিডিও নিতে বাধা প্রদান করে বিদ্যালয়টির শিক্ষকরা। আর এ বিষয়ে কোনো বক্তব্যও দিতে চাননি বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মো. আনিসুজ্জামান। এ সময় তিনি শুধু বলেন, বক্তব্য কী দেব বলেন, ফ্যান পড়ে গেছে এই আর কি।

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হালিমা খাতুন বলেন, আমি বিষয়টি অবগত না। তবে খবর নিচ্ছি। জেলার সাতটি উপজেলায় সব স্কুলে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে সচেতন হওয়ার জন্য চিঠি দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

জামালপুর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সোমবার ৫ জেলার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা

প্রকাশ: ০৮:২৮ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলমান তাপদাহের কারণে দেশের পাঁচ জেলার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামীকাল (সোমবার) বন্ধ ঘোষণা করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। রোববার (২৮ এপ্রিল) রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের এক বার্তায় এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, দেশে চলমান তাপদাহের কারণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং আবহাওয়া অধিদপ্তরের সঙ্গে পরামর্শক্রমে ঢাকা, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, খুলনা ও রাজশাহী জেলার সকল মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামীকাল (২৯ এপ্রিল) বন্ধ থাকবে।

তবে যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আছে সেসব প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ চাইলে তাদের স্কুল-কলেজ-মাদরাসা খোলা রাখতে পারবেন বলেও জানান তিনি।

এছাড়া পরবর্তী সময়ে এ পাঁচ জেলায় কিংবা তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, এমন অন্যান্য জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত সোমবার জানিয়ে দেওয়া হবে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান   তাপদাহ   শিক্ষা মন্ত্রণালয়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আরও বড় হচ্ছে মন্ত্রিসভা

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দুই দফায় ৪৪ সদস্যের মন্ত্রিসভা আরও বড় হতে পারে বলে সরকারের ভেতরে গুঞ্জন রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী দেশে ফেরার পর বাজেট অধিবেশনের আগেই মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণের বিষয়টি সামনে আসতে পারে বলে সরকারের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। 

উল্লেখ্য, ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে বিপুল বিজয়ের পর ১১ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করে। সে সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩৭ সদস্যের মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়। এই মন্ত্রিসভা অপূর্ণ ছিল, সেটি সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল। পরবর্তীতে সংরক্ষিত নারী আসনের মনোনয়ন চূড়ান্ত হওয়ার পর ১ মার্চ মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ করা হয়। তবে সে দফায় কোন পূর্ণমন্ত্রী দেওয়া হয়নি। বরং ৭ জন নতুন প্রতিমন্ত্রীর মাধ্যমে ৪৪ সদস্যের মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়। ২০১৮ সালেও মন্ত্রিসভা ছিল ৪৭ সদস্যের। এবারের মন্ত্রিসভা আওয়ামী লীগের গত তিন বারের মন্ত্রিসভায় চেয়ে আকারে সবচেয়ে ছোট। আর এই কারণেই মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণের বিষয়টি বিভিন্নভাবে আলোচিত হয়।  

সাম্প্রতিক সময়ে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভা আরও বড় করার বিষয়টি বিবেচনা করছেন। এছাড়া মন্ত্রিসভায় কয়েকটি দপ্তর পরিবর্তনের বিষয়টিও এখন আওয়ামী লীগের মধ্যে আলোচনার বিষয়ে পরিণত হচ্ছে। বিশেষ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী দেওয়া, পানি সম্পদ মন্ত্রণালেয়ও পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী দেওয়ার বিষয়টি সরকার গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে বলে জানা গেছে। 

এ ছাড়া পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পরিবর্তনেরও ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। বর্তমানে পরিকল্পনা মন্ত্রী হিসেবে যাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তার পরিবর্তে অন্য কোন অর্থনীতিবিদ বা অর্থনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কাউকে এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হবে। এছাড়া শ্রম মন্ত্রণালয়ে একজন পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী হওয়ার বিষয়টি নিয়ে বিজিএমইএ-এর অনুরোধ রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে। সামনের দিনগুলোতে শ্রম আইন নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দর কষাকষি করতে হতে পারে এই বিবেচনা থেকে বিজিএমইএ-এর পক্ষ থেকে সরকারকে আনুষ্ঠানিক ভাবে অনুরোধ করা হয়েছে। যিনি আইনে দক্ষ বিশেষ করে শ্রম আইনে দক্ষ কাউকে যেন এই মন্ত্রণালেয়র দায়িত্ব দেওয়া হয়। 

উল্লেখ্য, মন্ত্রিসভার সদস্যদের ইতোমধ্যে ১০০ দিন পেরিয়ে গেছে গত ২১ এপ্রিল। এর মধ্যে মন্ত্রিসভার সদস্যদের ভালো-মন্দ নানান রকম হিসেব নিকেশ প্রধানমন্ত্রী করেছেন। তবে মন্ত্রিসভার সদস্যদেরকে এখনই বিচার করার সময় হয়নি বলেই সরকারের নীতি নির্ধারক মহল মনে করছেন। তবে টানা দুই থেকে তিনবার যারা প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন, তাদের মধ্যে থেকে দু’একজনকে পদোন্নতি দেওয়ার বিষয়টি সরকারের বিবেচনাধীন রয়েছে বলেও জানা গেছে। এদের মধ্যে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এদের মধ্যে এক বা একাধিক জনকে পূণাঙ্গ মন্ত্রী হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হতে পারে বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য, জুনাইদ আহমেদ পলক ইতোমধ্যে রাজনৈতিক ভাবে আওয়ামী লীগের 'গুড বুকে' চলে গেছেন। বিশেষ করে তার শ্যালককে তিনি প্রার্থী থেকে প্রত্যাহার করার ফলে তিনি সরকারের আরও বেশি আস্থাভাজন এবং প্রিয়ভাজনে পরিণত হয়েছেন। তবে মন্ত্রিসভার রদবদল কখন, কীভাবে হবে এবং কতজন নতুন মন্ত্রী হবেন এ বিষয় সম্পর্কে কেউই কিছু বলতে পারেননি। 

আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেছেন, এটি একান্তই প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ারাধীন বিষয়। প্রধানমন্ত্রী যখন বিবেচনা করবেন তখনই তিনি এই রদবদল করবেন।

মন্ত্রিসভা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ভারতে মোদি হারলে বাংলাদেশে কী হবে?

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।

প্রথম দুই দফা ভোটের যে হার, তাতে বিজেপির মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিজেপির নেতারা ভোটে যে ভূমিধস বিজয় আশা করছিলেন সেটি হবে না। ভারতের কোন কোন গণমাধ্যমগুলো ভোটের ফলাফলে নাটকীয় ঘটনা ঘটারও ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষ করে ২০০৪ সালের নির্বাচনে যেভাবে কংগ্রেস অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে বিজেপিকে ধরাশায়ী করেছিল সেরকম কোন ঘটনা ঘটতেও পারে বলে মনে আশঙ্কা করছেন অনেকে। অবশ্য এখনও আরও পাঁচ দফা ভোট বাকি আছে এবং বিজেপি আশা করছে যে, পরবর্তী ধাপগুলোতে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে এবং বিজেপি তাদের জয়ের ধারা অক্ষুণ্ণ রাখবে। নরেন্দ্র মোদি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে দেওয়ার জন্য বারবার আহ্বান জানাচ্ছেন।

ভারতের নির্বাচনের ফলাফল কী হবে তা বোঝা যাবে আগামী ৪ জুন। কিন্তু এখন পর্যন্ত যে ভোটের হাওয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাতে এটা স্পষ্ট যে, ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি জোটের যে নিরঙ্কুশ বিজয়ের ধারণা করা হয়েছিল, সেটি বাস্তবতা নাও পেতে পারে। আর এ কারণেই মোদী যদি শেষ পর্যন্ত পরাজিত হন, তাহলে সেটি হবে ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি বড় ব্যতিক্রমী ঘটনা এবং এটি হবে ভারতের নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চমক।

এখন যখন ভারতের নির্বাচনে একটি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বা অনিশ্চয়তার ফলাফলের শঙ্কা জেগেছে তখন প্রশ্ন উঠছে যে, বিজেপি যদি এই নির্বাচনে পরাজিত হয় তাহলে বাংলাদেশে কী হবে? গত দুটি নির্বাচনে ভারতের বিজেপি সরকার বাংলাদেশকে নিরঙ্কুশভাবে সমর্থন দিয়েছে। ২০১৮ এবং ২০২৪ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি সরকার।

বিশেষ করে ২০২৪ এর নির্বাচনে ভারতীয় সরকারের পরিপূর্ণ সমর্থন ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করত এবং এই নির্বাচনকে অস্বীকৃতি জানাত বলেও অনেকে মনে করেন। মার্কিন মনোভাব পাল্টানোর ক্ষেত্রে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আর নির্বাচনের পর বিএনপি থেকে শুরু করে জাতীয় পার্টি প্রত্যেকেই বলছে যে, ভারত বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখেছে। যদিও এরকম অভিযোগকে আওয়ামী লীগ অস্বীকার করে এবং আওয়ামী লীগ মনে করে যে, জনগণের ভোটে তারা নির্বাচিত হয়েছে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি আওয়ামী লীগ বা বিজেপি কেউই অস্বীকার করে না।

এখন প্রশ্ন হল, যদি বিজেপি পরাজিত হয়, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশের সমীকরণ কী হবে? কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে, বর্তমান সরকারের জন্য সমীকরণের কোন পরিবর্তন হবে না। কারণ ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গেও আওয়ামী লীগ সরকারের একটি সুসম্পর্ক রয়েছে। ইতোমধ্যে ইন্ডিয়া জোটের প্রধান দল কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা দিয়েছে।

অনেকে মনে করেন যে, এখন ভারতে কট্টর হিন্দুত্ববাদী মনোভাবের কারণে সীমান্তে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য রাখা হচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশের মধ্যে একটা ভারতবিরোধী মনোভাব তৈরি হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত যদি নরেন্দ্র মোদি তাহলে এই অবস্থানের পরিবর্তন হবে। দুই দেশের সম্পর্ক আরও বিকশিত হবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।


ভারত   লোকসভা নির্বাচন   মল্লিকার্জুন খাড়গে   নরেন্দ্র মোদি   বাংলাদেশ   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন