নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:২৩ পিএম, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের মর্যাদা সমুন্নত রাখার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ এর সংস্কারকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে। সরকারের অবশ্যই জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের মর্যাদা সমুন্নত রাখার প্রতি ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের উদ্যোগে অ্যাকশন ফর পিসকিপিং (এফোরপি) এর ওপর একটি উচ্চ পর্যায়ের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একথা বলেন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জাতিসংঘ সদরদপ্তরের ট্রাস্টিশিপ কাউন্সিল চেম্বারে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে অ্যান্তোনিও গুতেরেসও বক্তব্য রাখেন।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এই বাহিনীতে সেনা ও পুলিশ সদস্য পাঠানোর দিক থেকে অন্যতম শীর্ষ অবদানকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের সংস্কারের প্রতি অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা একটি বৈশ্বিক জনকল্যাণমুখী সেবা। এই বাহিনীর মর্যাদা ধরে রাখতে আমাদের সকলকে অবশ্যই একটি ইতিবাচক চিন্তাধারা নিয়ে কাজ করে যেতে হবে। এটা অনেকের জীবনের আশার আলো জ্বালিয়েছে। আমাদের অবশ্যই এই আশার আলোকে সম্মান জানাতে হবে। এই বাহিনীতে সেনা ও পুলিশ সদস্য পাঠানোর দিক থেকে অন্যতম শীর্ষ অবদানকারী দেশ হিসেবে আমরা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের সংস্কারের ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের এখন নির্দিষ্ট স্থানগুলোতে মোতায়েন করা হচ্ছে। ওই সব স্থানে শান্তি বজায় রাখার মতো পরিস্থিতি নেই। রাষ্ট্রবিরোধী সন্ত্রাসী ও বিদ্রোহীদের পক্ষ থেকে তারা ক্রমবর্ধমান হুমকির শিকার হচ্ছে। জাতিসংঘের মিশনগুলো প্রায়ই বিভিন্ন মান ও ধরনের বাহিনীর সঙ্গে কাজ করে থাকে। আর এটা জাতিসংঘ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা অভিযানগুলোকে আরো জটিল ও বিপজ্জনক করে তুলছে।
তিনি আরো বলেন, ‘এজন্য শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের স্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া উচিত। এই নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য বিশেষ পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিকভাবে যেকোনো ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের মতো ক্ষমতা ও সরাঞ্জামাদি তাদের দেওয়া উচিত।’
শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, কোনো রাষ্ট্রের সদস্যদের মোতায়েনের ক্ষেত্রে তাদের প্রতিশ্রুতি এবং সেই অনুযায়ী কতটা নিষ্ঠা ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছে তা বিবেচনা করা উচিত। তাদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার অবশ্যই উত্তরণ ঘটাতে হবে। আমরা আশা করছি এ ফোর পি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীকে তাদের ‘লক্ষ্য পূরণে উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে’ সহায়তা করবে।
সূত্র: বাসস
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিমানবন্দর বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী জাতীয় সংসদ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
অতিরিক্ত গরমে মাথা ঘোরানো, দুশ্চিন্তা, স্ট্রোক, মুখের ভেতর শুকিয়ে যাওয়া, অ্যাজমা, মাংসপেশিতে খিঁচুনি, চামড়ায় ফুসকুড়ি, কিডনি অকার্যকর হওয়ার মতো অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। এ ধরনের গরমে বয়স্ক, শিশু, অন্তঃসত্ত্বা নারী, শ্রমজীবী মানুষেরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। তাই তাপপ্রবাহ থেকে সুরক্ষার জন্য কী কী করতে হবে, তা জানিয়ে প্রথমবারের মতো জাতীয় গাইডলাইন বা নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে সরকার।