নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:০৯ পিএম, ২৫ অক্টোবর, ২০১৮
ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাষ্ট্রবিরোধী গুজব, বিদ্বেষ ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রচার প্রতিরোধে দুই হাজার ৫০ জন অভিজ্ঞ তথ্যপ্রযুক্তিবিদ নিয়োগের উদ্যোগ নিয়েছে র্যাব। জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
`সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পর্যবেক্ষণ` নামে প্রস্তাবিত প্রকল্প প্রস্তাবের ওপর অনুষ্ঠিত মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভার কার্যবিবরণী সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সভাসূত্রে জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাষ্ট্রবিরোধী নেতিবাচক তথ্য প্রতিরোধে আগামী চার মাসের জন্য একটি প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দেওয়া হবে। প্রতিষ্ঠানটি ২৪ ঘণ্টা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো নজরদারিতে রাখবেন। তারা রাষ্ট্রবিরোধী গুজব, বিদ্বেষ ও বিভ্রান্তিমূলক পোস্টের জবাব দেবেন এবং এসব কাজে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে র্যাবকে সহযোগিতা করবেন। এছাড়া এসব মাধ্যমে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সঠিক তথ্য প্রচারেও কাজ করবেন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রযুক্তিবিদরা।
আগামী নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রকল্প বাস্তবায়নের সময়ে র্যাব সদস্যরাও প্রকল্পের সার্বিক কর্মকাণ্ড নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন। এই উদ্দেশ্যে র্যাব সদস্যদেরও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। চার মাস পর থেকে এই পর্যবেক্ষণ কাজ র্যাবই চালিয়ে নেবে।
সম্প্রতি ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে সরকারবিরোধী অপপ্রচার লক্ষ্য করা গেছে। নির্বাচনকালে এসব অপপ্রচার আরও বাড়ার আশঙ্কা থাকায় জনগণ বিভ্রান্তি রোধে এই প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় কেনা প্রযুক্তির সাহায্যে অপপ্রচারকারীদের ব্যক্তি পরিচয় ও অবস্থান সহজে শনাক্ত করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে র্যাব।
গত ১৪ অক্টোবর পিইসির সভায় এই নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। প্রাথমিকভাবে প্রকল্পটি ১২১ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়ন করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর পর চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে উপস্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়। শীঘ্রই এ প্রকল্প একনেকে উঠবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো। প্রকল্পটির অনুমোদন প্রক্রিয়া শুরু করার আগে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সম্মতি নেওয়া হয়।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি
মন্তব্য করুন
বিমানবন্দর বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী জাতীয় সংসদ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী
মন্তব্য করুন
অতিরিক্ত গরমে মাথা ঘোরানো, দুশ্চিন্তা, স্ট্রোক, মুখের ভেতর শুকিয়ে যাওয়া, অ্যাজমা, মাংসপেশিতে খিঁচুনি, চামড়ায় ফুসকুড়ি, কিডনি অকার্যকর হওয়ার মতো অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। এ ধরনের গরমে বয়স্ক, শিশু, অন্তঃসত্ত্বা নারী, শ্রমজীবী মানুষেরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। তাই তাপপ্রবাহ থেকে সুরক্ষার জন্য কী কী করতে হবে, তা জানিয়ে প্রথমবারের মতো জাতীয় গাইডলাইন বা নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে সরকার।