নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৪০ এএম, ০১ নভেম্বর, ২০১৮
ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেছে গুলশান থানা পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার এ মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে সম্প্রতি পাস হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৫৩ (খ) ধারায়, যা জামিন অযোগ্য। এরই মধ্যে মইনুলের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন জেলায় আরও বেশ কিছু মামলা হয়েছে। এর মধ্যে একাধিক মামলায় আছে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও।
আসামি ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন গত ১৬ অক্টোবর ৭১ টেলিভিশনের লাইভ টেলিকনফারেন্সে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টির প্রশ্নের জবাবে তাকে ‘চরিত্রহীন’ বলেন। সেখানেই তিনি থেমে থাকেননি। সর্বশেষ তিনি ‘দি নিউনেশন’ পত্রিকার সাবেক সাংবাদিক রব মজুমদারের সঙ্গে টেলিফোনে ওই সাংবাদিক সম্পর্কে একাধিকবার ‘বাজে মেয়ে’ বলে সম্বোধন করেছেন। তার ওই সমস্ত বক্তব্য দেশের সমস্ত ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় এবং পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। তার ওই মানহানিকর চরিত্রহীন বক্তব্যে শুধু সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টির মানহানি ঘটে নাই, সমগ্র নারী জাতির মানহানি ঘটেছে। যা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫ (২) ও ২৯(২) ধারার অপরাধ।
গত ২২ অক্টোবর রাত সাড়ে নয়টার দিকে রাজধানীর উত্তরায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা ও জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রবের বাসা থেকে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
বাংলা ইনসাইডার/বিকে/জেডএ
মন্তব্য করুন
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান থানার ওসি
মো. মুজাহিদুল ইসলামসহ ৯ পুলিশের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রোববার (৫ মে) দুপুরে মুন্সীগঞ্জ জেলা
ও দায়রা জজ আদালতে পুলিশের হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ এনে মামলাটি দায়ের করেন নির্যাতনের
শিকার আব্দুল বারেক।
মামলা দায়ের করা আব্দুল বারেক সিরাজদিখান
উপজেলার বড়বর্তা গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় কেয়াইন ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. হোসেন মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মুন্সীগঞ্জ সিনিয়র জেলা
ও দায়রা জজ কাজী আব্দুল হান্নান মামলার ঘটনার সত্যতা যাচাই-পূর্বক তদন্ত করে প্রতিবেদন
দেওয়ার জন্য পিবিআই পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন।
একইসঙ্গে বাদী তথা ভুক্তভোগীদের জখমের
বিষয়ে সিভিল সার্জনকে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মামলায় বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. জামাল
হোসাইন জানান, গত ১৮ এপ্রিল জেলার সিরাজদিখান থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়। ২৪ এপ্রিল
ওই মামলায় এজাহার নামীয় আসামি দেখিয়ে উপজেলার কুচিয়ামোড়া গ্রামের আব্দুল বারেকসহ ১১
জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এরপর ওই দিন রাতে গ্রেপ্তারকৃতদের থানা
পুলিশের হেফাজতে নির্যাতন করা হয়। পরদিন গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে
পাঠানো হয়।
তিনি আরও বলেন, জেল হাজতে থেকে আব্দুল
বারেক বাদী হয়ে সিরাজদীখান থানার ওসি ও অন্যান্য আরো ৮ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে পুলিশের
হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেছেন আদালতে।
এ ব্যাপারে সহকারী পুলিশ সুপার (সিরাজদিখান
সার্কেল) মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, শুনেছি আদালতে একটি পিটিশন মামলা হয়েছে। তবে ওই
ঘটনার সময় আমি ট্রেনিংয়ে ছিলাম।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিমানবন্দর বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী জাতীয় সংসদ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন