ইনসাইড বাংলাদেশ

‘টিউশনির টাকা জমিয়েই মনোনয়ন ফরম কিনেছি’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩:৪২ পিএম, ১৬ নভেম্বর, ২০১৮


Thumbnail

‘ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন, সাংসদ হয়ে দেশ তথা জনসেবায় সামনে থেকে নেতৃত্ব দিব। দেশসেবায় রাজনীতির চেয়ে বড় প্ল্যাটফর্ম আর নেই। আমি টিউশনি করিয়ে নিজের খরচ চালাই। বাবার মৃত্যুর পর আমি তাই করে আসছি। এই টিউশনির টাকা জমিয়েই মনোনয়ন ফরম কিনেছি।’

বাংলা ইনসাইডারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে এবার সর্বকনিষ্ঠ মনোনয়ন প্রত্যাশী মাহমুদুল হক জেমস (২৭)। ঢাকা-৭ আসন থেকে আওয়ামীলীগের মনোনয়নপত্র কিনেছেন তিনি। বাংলা ইনসাইডারের পাঠকদের জন্য তাঁর সাক্ষাৎকারটি তুলে ধরা হলো: 

আপনি নিজেকে তরুণ সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে জাহির করছেন। আপনার কাছে তারুণ্যের ব্যাপারটা আসলে কি?

কবি নজরুল ইসলাম তারুণ্য দেখেছিলেন লেনিন, কামাল আতার্তুকের মাঝে। আমার কাছে তারুণ্য মানে শুধুমাত্র বয়সের বাঁধনে জড়ানো কোন বিষয় নয়। কর্মস্পৃহা,চিন্তা-চেতনায় আসল। আমি বিশ্বাস করি, প্রত্যেক শিক্ষিত, রুচিশীল,স্মার্ট,সুবোধ চিন্তার অধিকারী সবাই আসলে তরুণ। সেক্ষেত্রে, সজীব ওয়াজেদ জয় তারুণ্যের দৃষ্টান্ত। আবার, কর্মস্পৃহা ও বুদ্ধিদীপ্তটায় দেশরত্ন শেখ হাসিনাও আসলে তরুণ।

রাজনীতি নিয়ে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি কেমন?

অ্যারিস্টটল বলেছেন,মানুষ জন্মগত ভাবেই রাজনৈতিক প্রাণী। অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যৎ কোন কিছুই রাজনীতির বাহিরে নয়। রাজনীতির ব্যপ্তি অপরিসীম। আমি  এই দেশে জন্ম গ্রহণ করার পর এতদূর এসেছি, সেটার পেছনেও রাজনৈতিক পলিসির প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ প্রভাব আছে।

আপনার রাজনীতিতে আসার পেছনের গল্পটা শুনতে চাই । কেন রাজনীতিতে এলেন?

আমি পারিবারিক ভাবেই রাজনৈতিক আবহে বড় হয়েছি। আমার বাবা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তিনি সনদ নেন নি। আমার মামা পদধারী আওয়ামীলীগের কর্মী। আবার এটাও নয় যে, শুধুমাত্র পারিবারিক আবহের কারণেই রাজনীতিতে এসেছি। বঙ্গবন্ধুর প্রতি ছোটবেলা থেকেই আলাদা ভালোলাগা ছিল। স্কুল জীবন পর্যন্ত উনাকে নিয়েই পড়াশোনা ও জানাশোনার চেষ্টা করেছি। কলেজে আসার পর ১/১১ পেলাম। তখনই প্রত্যক্ষ রাজনীতি তথা মিছিলে যাওয়া শুরু। শেখ হাসিনার মুক্তি ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে শামিল হলাম।

একটা কথা বলতে ভুলে গেছি। ক্লাস ফাইভে বৃত্তি পরীক্ষা দেয়ার সময় বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে রচনা এসেছিল। সেটা লিখতে গিয়েই আবিষ্কার করলাম, বড় হয়ে রাজনীতিতে যেতেই হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত হলাম। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি ছিলাম।

বেশিরভাগ ছাত্রনেতা ছাত্রলীগ শেষ করার পর অন্যান্য সহযোগী সংগঠনে যোগ দিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা বৃদ্ধির পর আওয়ামীলীগে যোগ দিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাশা করেন। আপনি তা করলেন না কেন?

এটা আসলে যার যার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। এক এক জনের সিদ্ধান্ত এক এক রকমের হবে। আমি মনে করি, ছাত্রলীগ করার পর বুকের ভিতর অদম্য ইচ্ছা শক্তি থাকে, আমি সেটাকেই কাজে লাগাতে চাচ্ছি। ছাত্রলীগ আমার কাছে অদম্য সাহস, অদম্য ইচ্ছাশক্তি এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা। আপনি যদি জাতির পিতাকে অনুসরণ করেন দেখবেন, তিনি অল্প বয়সেই মন্ত্রী হয়েছিলেন। আমাদের জুনায়েদ আহমেদ পলক ভাইও খুবই তরুণ। আবার, গাজীপুরের সাংসদ জাহিদ আহসান রাসেলও খুবই তরুণ। এনালগ বাংলাদেশকে যিনি ডিজিটাল বাংলাদেশে নিয়ে গেলেন সেই সজীব ওয়াজেদ জয়ও তরুণ। বৈশ্বিক রাজনীতির প্রতি দৃষ্টিপাত করলে দেখবেন,ফ্রান্সের এমানুয়েল ম্যাখোঁ, কানাডার জাস্টিন ট্রুডোও তরুণ। ইচ্ছাশক্তি ও কর্মস্পৃহা থাকলে অভিজ্ঞতাকেও জয় করা যায়।

ধরেন মনোনয়ন পেয়ে গেলেন। নির্বাচন করতে অনেক অর্থ লাগে বলে মিথ আছে। আপনি কোথায় পাবেন এত অর্থ?

অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে জাতির পিতা তার নির্বাচনী খরচের সোর্স জানিয়েছেন। সাধারণ মানুষের এক আনা-দুই আনা, মানুষের ভালোবাসা তাকে বারবার নির্বাচিত করেছে। আমি যদি আমার নির্বাচনী এলাকার মানুষকে এটা বুঝাতে পারি যে, সুখে-দুঃখে আমি তাদের ঘরের ছেলের মত পাশে থাকব, তবে জিতে আসা কোন ব্যাপার না। আমি বিশ্বাস করি, ভালোবাসার শক্তির কাছে ব্যক্তিশক্তি মূল্যহীন।

প্রচার-প্রচারণায় কোন কোন বিষয়ের দিকে আলোকপাত করছেন?

প্রচার প্রচারণায় আমি সরকারের উন্নয়ন প্রচার করছি। পাশাপাশি এটা বুঝাচ্ছি যে, দশরত্ন শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নেই। আবার, ভোটাধিকার যে নাগরিকদের মর্যাদাবান করে এটাও বুঝাতে চাচ্ছি। আমি আমার আসনের ভোটারদের বুঝাতে চাচ্ছি, সার্বজনীন ভোটাধিকারের জন্য সার্বজনীন শিক্ষারও প্রয়োজন আছে। তাদের ভোটের মূল্যটা বোঝাতে চাচ্ছি।

যদি নির্বাচিত হন, তাহলে ঢাকা-৭ আসন নিয়ে আপনার পরিকল্পনা কি?

আপনি জানেন ঢাকা-৭ আসন পুরান ঢাকায় অবস্থিত। পুরান ঢাকা নানান সমস্যায় জর্জরিত। এখানে ট্রাফিক জ্যাম, যোগাযোগ ব্যবস্থার অপ্রতুলতা,পানি-গ্যাসের সমস্যা সহ নানান সমস্যায় জর্জরিত। শেখ হাসিনা বিশ্বকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে স্বপ্নের পদ্মা সেতু বানিয়েছেন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে নতুন রূপে সাজিয়ে দিচ্ছেন। তাই, বাংলার জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক আজ শেখ হাসিনা।

পুরাণ ঢাকার ঐতিহ্য বহাল রেখেই বসবাসযোগ্য ঢাকা বিনির্মাণ করা যায়। সমবায়ের ভিত্তিতে জমি অধিগ্রহণ করে প্ল্যান করে পুনর্নির্মাণ করলে আমার বিশ্বাস পুরাণ ঢাকা হবে আইকনিক রেসিডেনশিয়াল এরিয়া। যেখানে যাতায়াত,পানি নিষ্কাশন অন্যান্য নাগরিক সুবিধাদি অনায়াসেই পাওয়া যাবে। সায়দাবাদ পানি শোধনাগারের মত পুরান ঢাকাকে উদ্দেশ্য করে নতুন পানি শোধনাগার নির্মাণ করা যেতে পারে। এতে পানি সমস্যার সমাধান হবে বলেই বিশ্বাস করি।

আপনি জানেন, পুরান ঢাকা দিয়ে বেড়িবাঁধ আছে। এই বেড়িবাঁধ দিয়ে যাতায়াত সহজ করে দিলে মূল সড়কের উপর যানজট কমে যাবে অর্ধেক। ট্রাক স্ট্যান্ডের কারণে বেঁড়িবাঁধ ব্যবহারের কর্মদক্ষতা হারিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী হাজারীবাগের ট্যানারি পুনর্নির্মাণ করে যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, তাতে আমরা শেখ হাসিনাকে ঘিরেই স্বপ্ন দেখি ।

লন্ডন টেমস নদীর তীরে, আর আমাদের ঢাকা বুড়িগঙ্গার তীরে। ব্যস্ততার দিক থেকে বুড়িগঙ্গা টেমস নদীর চেয়ে কোন অংশেই কম না। সদরঘাট ও সোয়ারীঘাট প্ল্যান করে সাজালে সরকার আর্থিক দিক থেকে লাভবান হবে। বুড়িগঙ্গাকেও সঠিক রক্ষণাবেক্ষন করতে হবে। নদী মাতৃক বাংলাদেশে বুড়িগঙ্গাকে গাবতলী পর্যন্ত জলপথ হিসেবে ব্যবহার করতে পারলে সড়ক পথের উপর চাপ কমে যাবে। এই সরকারের সময়ই ওয়াটার বাস চালু হয়েছিল, যা আজ নেই বললেই চলে।

আপনি জানেন, ঢাকা-৭ এ সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল হওয়ায় এখানে শত শত পথ শিশু আছে। যারা সকল নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত। তরুণদের সঙ্গে নিয়ে আমি এদের জন্য কিছু করতে চাই। সম্পূর্ণ স্বেচ্ছা শ্রমের বিনিময়ে ও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে আমি এই পথশিশুদের মূল ধারায় নিয়ে আসতে পারব বলেই আমার বিশ্বাস। বঙ্গবন্ধু আমাদের জাতির পিতা। তিনিই বলেছিলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে ধর্ষিতাদের পিতার নামের পাশে আমার নাম লিখে দাও আর ঠিকানা দিয়ে দাও ধানমন্ডি ৩২ নম্বর।’ আমি এই পথশিশুদের বাবার নামের জায়গায় শেখ মুজিবুর রহমান দিতে চাই, ছোট রাসেল যেভাবে বেড়ে উঠত, আমি তাদের সে ভাবেই বেড়ে তুলতে চাই। আর এই কর্মযজ্ঞে শেখ হাসিনাই আমার অনুপ্রেরণা।

আপনি যদি মনোনয়ন না পান, তারপর কি করবেন? রাজনীতিকেই কি পেশা হিসেবে নেবেন?

দেখেন, রাজনীতিকে পেশা হিসেবে নেবার মত আপাতত পারিবারিক সক্ষমতা আমার নেই। আমি আমার স্বপ্ন পূরণ করার জন্য মনোনয়ন কিনেছি। রাজনীতি আমি আজীবন করব। মনোনয়ন না পেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাকেই মনোনয়ন দিবেন, তার জন্যই স্বার্থহীনভাবেই কাজ করব। নির্বাচনের পর নিজের ও পরিবারের স্বচ্ছলতার জন্য শিক্ষিত ছেলে হিসেবে এমন পেশাকেই বেছে নেব, যে পেশায় কাজ করার পাশাপাশি সক্রিয় রাজনীতি করা যায়। সেক্ষেত্রে, ছোটখাটো ব্যবসা দিয়েই শুরু করব ইনশাআল্লাহ।

আপনার জন্মস্থান ময়মনসিংহ। আপনি সেখান থেকে মনোনয়ন না কনে ঢাকা থেকে কিনলেন কেন?

দেখুন, আমি অনেক আগে থেকেই পুরান ঢাকায় থাকি। পুরান ঢাকাই আমাকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ দিয়েছে। পুরান ঢাকাই আমাকে জবি ছাত্রলীগের জেমস হিসেবে পরিচয় করে দিয়েছে। এই পুরান ঢাকার মানুষেরাই আমাকে সাহস জুগিয়েছে। আমি সব সময় তাদের পাশে ছিলাম, তারাও আমার পাশে ছিল। পুরান ঢাকার মানুষদের সাথে আমার আত্মার বন্ধন।

বাংলা ইনসাইডার/জেডএ  



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সুন্দরবনে আগুন, ভয়াবহ রূপে ছড়িয়েছে ৩ কিলোমিটার জুড়ে

প্রকাশ: ১১:০৯ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

পূর্ব সুন্দরবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এরইমধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে।

শনিবার (৪ মে) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের আমুরবুনিয়া টহল ফাঁড়ি সংলগ্ন গহিন বনে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে বন বিভাগ ও স্থানীয় এলাকাবাসী আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে।

মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা ও মোংলা ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট সন্ধ্যায় পৌঁছালেও আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেনি।

খবর পেয়ে বাগেরহাট পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মোহাম্মদ নুরুল কবির ও মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তারেক সুলতান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

তিনি জানান, বিকেলে বনরক্ষী ও স্থানীয় এলাকাবাসী আগুন দেখতে পায়। এ সময় বন বিভাগের কর্মী ও স্থানীয় এলাকাবাসী আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। তবে পানি অনেক দূরে হওয়ায় রাত ৯টা পর্যন্ত ফায়ার ইউনিটগুলো আগুন নেভানোর কাজ শুরু করতে পারেনি। তবে লাইন স্থাপনের কাজ করছে তারা। সকালে ফায়ার সার্ভিস আগুন নেভানোর কাজ শুরু করতে পারে বলে ঈঙ্গিত দেন এ বন কর্মকর্তা।

সুন্দরবন বিভাগের বিটিআরটির সদস্যরা আগুন নেভানোর কাজ করছে। বিটিআরটি সদস্যরা জানান, তারা পানির অভাবে আগুন নেভাতে পারছে না। তাই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। ফায়ার সার্ভিস দ্রুত কাজ শুরু করতে না পারলে তীব্র দাবদাহের কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে।

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মো. আবু তাহের জানান, আমুরবুনিয়া ফাঁড়ির কাছেই আগুন লেগেছে। বেশ বড় এলাকা। অন্তত দুই থেকে তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে আগুন ছড়িয়েছে। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।

বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক মো. সাইদুল আলম চৌধুরী জানান, আগুনের খবর পেয়ে প্রথমে মোরেলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও পরে শরণখোলা ও মোংলা ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটসহ মোট ৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। দুর্গম এলাকা হওয়ায় পৌঁছাতে অনেক সময় লেগেছে। এখন লাইন স্থাপনের কাজ চলছে। লাইন স্থাপন শেষে দ্রুত আগুন নেভানোর কাজ শুরু করা হবে।


সুন্দরবন   আগুন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আমলাদের সন্তানদের জন্য পৃথক বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি কেন?

প্রকাশ: ১১:০০ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশে আমলাতন্ত্রের এখন বাড়বাড়ন্ত। আমলারাই যেন রাষ্ট্র ক্ষমতায় রয়েছেন। তারাই যেন সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করছেন। এরকম একটি ধারণা প্রতিষ্ঠিত। রাজনীতিবিদদেরকে ব্যাকসিটে দিয়ে আমলারাই যেন এখন রাষ্ট্র পরিচালনার ড্রাইভিং সিটে। আর এরকম পরিস্থিতিতে আমলারা এখন সবকিছুর উর্ধ্বে উঠে গেছেন। তাদের বিচার করা যাবে না। দুর্নীতি দমন কমিশন তাদেরকে গ্রেপ্তার করতে গেলে সরকারের অনুমতি নিতে হবে। আমলারা যৌন নির্যাতন, নারী কেলেঙ্কারি এবং ফৌজদারি অপরাধ করলেও শুধুমাত্র ইনক্রিমেন্ট বন্ধের মত লঘু শাস্তি পাচ্ছেন এবং সেই লঘু শাস্তিগুলো পরবর্তীতে ক্ষমা করা হচ্ছে।

আমলাদের আয়-ব্যয়ের হিসাব দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলেও তারা আয়-ব্যয়ের হিসাবও এখন পর্যন্ত দাখিল করছেন না। অর্থাৎ সরকারি কোনও আইন, নীতি, নিয়ম কোন কিছুরই তোয়াক্কা করছেন না বাংলাদেশের আমলারা। এর মধ্যে আমলারা নতুন বায়না ধরেছেন। তারা তাদের সন্তানদের জন্য পৃথক বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি করেছেন।

আরও পড়ুন: সন্তানদের জন্য পৃথক বিশ্ববিদ্যালয় চান আমলারা

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বাংলাদেশের সচিব পর্যায়ে যে সমস্ত শীর্ষ আমলারা রয়েছেন তাদের বেশির ভাগেরই সন্তানরা উচ্চশিক্ষা নেন বিদেশে। তারা শিক্ষাজীবনে একটি পর্যায়ের পর তাদের সন্তানদের উচ্চশিক্ষা দেওয়ার জন্য বিদেশে পাঠান। দেখা যাচ্ছে- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্যের মত দেশগুলোতে সচিব এবং অতিরিক্ত সচিব পর্যায়ের শতাধিক আমলার সন্তানরা পড়াশোনা করে এবং এদের মধ্যে খুব অল্প কয়েকজনই বৃত্তি পান। বাকিদের ব্যয়ভার বহন করেন আমলারাই। এই বিপুল ব্যয় বহনের অর্থ আমলারা কোথায় থেকে পান সেটি যেমন একটি প্রশ্ন, তেমনই আমলাদের সন্তানদের বিদেশে পাঠানোর প্রবণতা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার উপর তাদের অনাস্থারই প্রতিফলন।

সাম্প্রতিক সময়ে তাদের এই মনোভাবটি আবার নতুন করে দেখা দিল- যখন তারা তাদের সন্তানদের জন্য পৃথক বিশ্ববিদ্যালয় দাবি করলেন। প্রশ্ন উঠেছে, আমালাদের বেশিরভাগ সন্তানই যখন বিদেশে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করেন তখন তাদের পৃথক বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি কেন?

আরও পড়ুন: জনজীবনে অস্বস্তি বাড়ছে যেসব ইস্যুতে

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, যে সমস্ত আমালাদের সন্তানরা বিদেশে পড়াশোনা করছেন, সেই সমস্ত দেশগুলোতে এখন মানি লন্ডারিং এবং আয়ের উৎস একটি বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। একাধিক আমলার সন্তানরা বিদেশে পড়াশোনা করতে গিয়ে এখন বেশ চাপের মধ্যে রয়েছেন। কারণ, কোথায় থেকে তার টাকা আসছে এবং কোথায় থেকে এই শিক্ষা ব্যয় বহন করা হচ্ছে এটি এখন দেশে দেশে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তাছাড়া টিউশন ফি’র বাইরে আমলাদের সন্তানদের যে বিলাসবহুল জীবনযাপন সেই বিলাসবহুল জীবনযাপনের জন্য টাকা পাঠানো এখন আগের মত আর সহজ নেই। আর এ কারণেই আমলারা মনে করছেন যে, ভবিষ্যতে এই মানি লন্ডারিং এবং অর্থ পাচারের ইস্যুতে তাদের বড় ধরনের সর্বনাশ ঘটতে পারে। আর তাই তাদের সন্তানদের জন্য পৃথক বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি করছেন। কিন্তু আমাদের এই দাবি কতটুকু যৌক্তিক সেই প্রশ্ন উঠেছে। আমলারা কি তাহলে তাদের জন্য সুবিধার সবকিছু নিংড়ে নিতে চান? এই প্রশ্নটি এখন সবচেয়ে বড় হয়ে উঠেছে।


সচিবালয়   আমলা   বিশ্ববিদ্যালয়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিঙ্গাপুরের জন্য চট্টগ্রাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ: হাইকমিশনার

প্রকাশ: ১০:৩৫ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশে নিযুক্ত সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনার ডেরেক লো বলেছেন, ‌ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে সিঙ্গাপুরের জন্য বাংলাদেশের বিশেষ করে চট্টগ্রাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চট্টগ্রামের বে-টার্মিনালে সিঙ্গাপুরের শিপিং কোম্পানি পিএসএ বিনিয়োগ করছে, বে-টার্মিনাল ট্রান্সফরমেশনের মাধ্যমে এ আন্তর্জাতিক বৃহৎ বন্দরে উপনীত হবে। এ সূত্রে দু’দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে। 

শনিবার (০৪ মে) হাইকমিশনার চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র পরিচালকম-লীর সাথে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস্থ চেম্বার কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, চেম্বার প্রেসিডেন্ট ওমর হাজ্জাজ, সহ-সভাপতি রাইসা মাহবুব, পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ, মো. রকিবুর রহমান (টুটুল), মাহফুজুল হক শাহ, বেনাজির চৌধুরী নিশান, নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন, আখতার উদ্দিন মাহমুদ, মোহাম্মদ সাজ্জাদ উন নেওয়াজ, ওমর মুক্তাদির, এন্টারপ্রাইজ সিঙ্গাপুর-এর দক্ষিণ এশিয়ার ডেভেলপমেন্ট পার্টনার ক্লারেন্স চং, সিঙ্গাপুরের শিপিং কোম্পানি পিএসএ’র লিম উই চিয়াং, বাংলাদেশ প্রতিনিধি মোহাম্মদ আবদুল্লাহ জহির।

 


সিঙ্গাপুর   হাইকমিশনার   ডেরেক লো  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শাহজালালে ৩ ঘণ্টা করে বন্ধ থাকবে ফ্লাইট ওঠানামা

প্রকাশ: ১০:১৩ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

রানওয়ের রক্ষণাবেক্ষণসহ বেশ কয়েকটি কাজের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। আর তাই আগামী ৫ থেকে ৭ মে বিমানবন্দরের এ রানওয়েটি রাত ১২টা থেকে রাত ৩টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, এই ৩ দিন মধ্যরাতে ৩ ঘণ্টার জন্য ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ থাকবে। এই সময়টাতে রানওয়ের মার্কিং করা, বৈদ্যুতিক ও রক্ষণাবেক্ষণের কিছু কাজ করা হবে।

বিমানবন্দর সূত্র জানায়, এই ৩ ঘণ্টায় বিমানবন্দরে নিয়মিতভাবে সৌদি এরাবিয়ান এয়ারলাইন্স, মালয়েশিয়ান এয়ারওয়েজ, থাই এয়ারওয়েজ, কুয়েত এয়ারওয়েজ, কাতার এয়ারওয়েজ ও ক্যাথে প্যাসিফিকের ফ্লাইট থাকে। তাদের এই ৩ দিন ফ্লাইটের সময় এগিয়ে বা পিছিয়ে নিতে বলা হয়েছে।

এর আগে, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে ফ্লাইট ব্যবস্থাপনায় সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং যাত্রীসেবা মানোন্নয়নে রানওয়ের সেন্ট্রাল লাইনে আরও লাইট স্থাপনের জন্য ২ মাস ৫ ঘণ্টার জন্য শাহজালাল বিমানবন্দরের রানওয়ে বন্ধ করা হয়েছিল।


হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর   ফ্লাইট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চ্যালেঞ্জের মুখে তরুণ মন্ত্রীরা

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তরুণদেরকে রাজনীতিতে পাদপ্রদীপে আনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। বহু তরুণকে তিনি প্রত্যাশার বাইরে জায়গা দিয়েছেন। নেতৃত্বে, মন্ত্রিসভায় এবং জাতীয় সংসদে নিয়ে এসেছেন। এবারের যে মন্ত্রিসভা গঠিত হয়েছে সেই মন্ত্রিসভা অভিজ্ঞতা এবং তারুণ্যের মিশেলে একটি মন্ত্রিসভা বলেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন।

আরও পড়ুন: উপজেলায় বেপরোয়া মন্ত্রী-এমপিরা

এই মন্ত্রিসভায় শেখ হাসিনা বেশকিছু তরুণকে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়ে সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। কিন্তু তরুণরা দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই এখন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছেন। আর এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে তারা শান্ত-ধীরস্থিরভাবে কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দেন সেটার উপর নির্ভর করছে সরকারের সাফল্যের অনেক কিছুই।

যে সমস্ত মন্ত্রীরা চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছেন, তাদের মধ্যে রয়েছেন-

১. শিক্ষামন্ত্রী: শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ছিলেন এবারের মন্ত্রিসভায় অন্যতম বড় চমক। গত মন্ত্রিসভায় তিনি ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী। এবার তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই তিনি রীতিমতো চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন।

বিশেষ করে এই তীব্র দাবদাহের মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা-বন্ধ নিয়ে যে টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে, সেই টানাপোড়েনে সাধারণ অভিভাবকদের কাছে শিক্ষামন্ত্রী সমালোচিত হচ্ছেন। বিশেষ করে হাইকোর্ট যখন প্রতিকূল আবহাওয়ার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তখন তার বিরুদ্ধে আপিল করার সিদ্ধান্ত নিয়ে তিনি সমালোচিত হয়েছিলেন। যদিও সেই সিদ্ধান্ত থেকে তিনি পরে সরে এসেছেন। তবে তরুণ শিক্ষামন্ত্রীকে সামনের দিনগুলোতে আরও অনেক কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে বলেই মনে করছেন সাধারণ মানুষ।

আরও পড়ুন: নির্দেশ অমান্যকারী মন্ত্রী-এমপিদের সাধারণ ক্ষমা?

২. জনপ্রশাসনমন্ত্রী: গতবার ফরহাদ হোসেন ছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী। এবার তিনি পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নানা রকম আমলাতান্ত্রিক ইস্যু এখন ক্রমশ জটিল হয়ে পড়ছে এবং সাধারণ মানুষের অসন্তোষের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। বিশেষ করে প্রশাসন ক্যাডারের কর্তৃত্ব-বাড়াবাড়ি অন্যান্য ক্যাডারগুলোর মধ্যে ক্ষোভ এবং অসন্তোষ সৃষ্টি করছে। সাম্প্রতিক সময়ে প্রশাসন ক্যাডারের একের পর এক পদোন্নতি এবং অন্যান্য ক্যাডারগুলোর অবহেলা সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে একধরনের বৈষম্য সৃষ্টি করেছে।

তাছাড়া চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ নিয়ে প্রশাসনের মধ্যে একধরনের নেতিবাচক মনোভাব রয়েছে। সেই নেতিবাচক মনোভাব কাটানোর জন্য জনপ্রশাসনমন্ত্রীকে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হচ্ছে। প্রশাসনের ন্যায়নীতি এবং যোগ্য ব্যক্তিদেরকে পদোন্নতি দেওয়ার বিষয়টিও এখন একটি বড় প্রশ্ন হিসেবে সামনে এসেছে। চাটুকার এবং মতলববাজদেরকে পদোন্নতি দেওয়ার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে একধরনের অবস্থান তৈরি হয়েছে।

আমলাদের বাড়বাড়ন্ত এখন সাধারণ মানুষের জন্য একটি বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে আমলাদের নানা রকম দাবিদাওয়ার ফিরিস্তি সাধারণ মানুষকে হতাশ করেছে। এই অবস্থায় আমলাতন্ত্রকে একটি শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসা এবং তাদের খবরদারি-বাড়াবাড়ির লাগাম টেনে ধরা যেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

৩. বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু ছিলেন এবারের মন্ত্রিসভায় অন্যতম বড় চমক। এই তরুণ কীভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে সেটা দেখার অপেক্ষায় ছিল সাধারণ মানুষ। কিন্তু বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী এখন পর্যন্ত বাজারের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারেননি, শৃঙ্খলাও রক্ষা করতে পারেননি। তার এই দায়িত্বটি অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশের পাঁচ ইস্যুতে নজর রাখছে যুক্তরাষ্ট্র

এই সমস্ত তরুণ মন্ত্রীরা তাদের উদ্ভাবনী নানা রকম দক্ষতা দিয়ে কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দেন সেটার উপর নির্ভর করছে বাংলাদেশের রাজনীতিতে তারুণ্যের যোগ্যতা নির্ধারণ এবং ভবিষ্যত।


শিক্ষামন্ত্রী   জনপ্রশাসনমন্ত্রী   বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন