নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:২১ পিএম, ২২ নভেম্বর, ২০১৮
নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়া সংক্রান্ত বিষয়ে আদালতে এফবিআই ও কানাডার পুলিশের প্রতিবেদন দাখিল করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেলের পক্ষে থেকে এ প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। প্রতিবেদন দাখিলের বিষয়টি নিশ্চিত করে মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু বলেন, ‘আগামী ৯ ডিসেম্বর এ প্রতিবেদনের ওপর শুনানি জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।’
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক মাহমুদুল কবির এই মামলাটির বিচারকার্য পরিচালনা করছেন।
প্রতিবেদন দাখিলের সময় খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘এফবিআইয়ের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। তবে এটি ওই মামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত কোনো বিষয় নয়।’
নাইকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়া ছাড়াও অন্য আসামিরা হলেন সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন এবং ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া।
নাইকো দুর্নীতি মামলায় পলাতক অন্য তিন আসামি হলেন, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী এবং বাপেক্সের সাবেক মহা-ব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক।
বাংলা ইনসাইডার/আরকে/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রথম পর্যায়ের উপজেলা নির্বাচনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত। ১৫০টি উপজেলায় এখন জনগণ ভোটের অপেক্ষায়। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৫৯টি উপজেলায় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন গতকাল শেষ হয়েছে। সেখানেও এখন নির্বাচনী প্রচারণার ডামাডোল শুরু হয়েছে। কিন্তু উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হবে কি না, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে কি না এবং উপজেলা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে কি না তা নিয়ে একদিকে যেমন জনগণের সংকট রয়েছে তেমনই নির্বাচন কমিশনও এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত।
লক্ষ্মীপুর সদরের তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরপরই হামলার শিকার হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নেপথ্যে নির্বাচনে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ। এঘটনায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী দুই প্রার্থীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ ৯১১ জনের বিরুদ্ধে দুইটি মামলাও দায়ের করেন। ফলে নির্বাচনের পর আনন্দের বদলে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে ওই ইউনিয়নে।