নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৪৩ এএম, ২৯ নভেম্বর, ২০১৮
দুই বছরের বেশি দণ্ডিত ব্যক্তিদের আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ নেই- হাইকোর্টের দেওয়া উপরোক্ত পর্যবেক্ষণসহ এ-সংক্রান্ত আদেশ বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এর ফলে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ দেড় ডজন রাজনীতিবিদ এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারছেন না। এর মধ্যে সরকারি দল আওয়ামী লীগের তিন সাবেক এমপিও রয়েছেন। তাদের মধ্যে হাজী সেলিম নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য এরই মধ্যে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। (সমকাল)
অন্যান্য সংবাদ
৩শ’ আসনে প্রার্থী ৩০৫৬
উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সারা দেশে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন প্রার্থীরা। দেশের ৩০০ আসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল মনোনীত ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন ৩ হাজার ৫৬ জন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঢাকা বিভাগে ৭০৮ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এছাড়া রংপুরে ৩৬১, রাজশাহীতে ৩৫৩, খুলনায় ৩৫১, বরিশালে ১৮২, ময়মনসিংহে ২৩৬, সিলেটে ১৭৭ ও চট্টগ্রাম বিভাগে ৬৮৮ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। স্বতন্ত্র হিসেবে আছেন অন্তত ১০১ জন, যাদের অনেকেই বড় দু’দলের বিদ্রোহী প্রার্থী। এ নির্বাচনে ঢাকা-১৭ আসনে ২৭ জন প্রার্থী হয়েছেন, যেটি সর্বোচ্চ। আর সবচেয়ে কম ৪ জন প্রার্থী হয়েছেন মাগুরা-২ আসনে। (যুগান্তর)
খোকাসহ চার জনের ১০ বছরের জেল
মেয়র থাকাকালীন বনানী সুপারমার্কেটের গাড়ি পার্কিংস্থল ইজারাদানে দুর্নীতির দায়ে ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকাসহ চারজনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি খোকাকে ২০ লাখ টাকা এবং অন্যদের ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল বুধবার ঢাকার বিভাগীয় স্পেশাল জজ মিজানুর রহমান খান মামলার রায় ঘোষণা করেন। আসামিরা পলাতক থাকায় আত্মসমর্পণের পর অথবা গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে দণ্ড কার্যকর হবে বলে রায়ের আদেশে উল্লেখ করা হয়। (কালের কণ্ঠ)
মনোনয়নবঞ্চিত ৫ নেতাকে বিশেষ দায়িত্ব দিলেন শেখ হাসিনা
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনোনয়নবঞ্চিত পাঁচ হেভিওয়েট নেতাকে নির্বাচন পরিচালনা কার্যক্রম মনিটরিংয়ের দায়িত্ব দিয়েছেন। দায়িত্বপ্রাপ্ত এ নেতারা হলেন দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, আহমদ হোসেন ও বিএম মোজাম্মেল হক। একই সঙ্গে এই পাঁচ নেতাসহ মনোনয়ন বঞ্চিতদের ভবিষ্যতে মূল্যায়ন করা হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন শেখ হাসিনা। (ইত্তেফাক)
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাপদাহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।
প্রথম দুই দফা ভোটের যে হার, তাতে বিজেপির মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিজেপির নেতারা ভোটে যে ভূমিধস বিজয় আশা করছিলেন সেটি হবে না। ভারতের কোন কোন গণমাধ্যমগুলো ভোটের ফলাফলে নাটকীয় ঘটনা ঘটারও ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষ করে ২০০৪ সালের নির্বাচনে যেভাবে কংগ্রেস অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে বিজেপিকে ধরাশায়ী করেছিল সেরকম কোন ঘটনা ঘটতেও পারে বলে মনে আশঙ্কা করছেন অনেকে। অবশ্য এখনও আরও পাঁচ দফা ভোট বাকি আছে এবং বিজেপি আশা করছে যে, পরবর্তী ধাপগুলোতে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে এবং বিজেপি তাদের জয়ের ধারা অক্ষুণ্ণ রাখবে। নরেন্দ্র মোদি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে দেওয়ার জন্য বারবার আহ্বান জানাচ্ছেন।
ভারতের নির্বাচনের ফলাফল কী হবে তা বোঝা যাবে আগামী ৪ জুন। কিন্তু এখন পর্যন্ত যে ভোটের হাওয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাতে এটা স্পষ্ট যে, ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি জোটের যে নিরঙ্কুশ বিজয়ের ধারণা করা হয়েছিল, সেটি বাস্তবতা নাও পেতে পারে। আর এ কারণেই মোদী যদি শেষ পর্যন্ত পরাজিত হন, তাহলে সেটি হবে ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি বড় ব্যতিক্রমী ঘটনা এবং এটি হবে ভারতের নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চমক।
এখন যখন ভারতের নির্বাচনে একটি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বা অনিশ্চয়তার ফলাফলের শঙ্কা জেগেছে তখন প্রশ্ন উঠছে যে, বিজেপি যদি এই নির্বাচনে পরাজিত হয় তাহলে বাংলাদেশে কী হবে? গত দুটি নির্বাচনে ভারতের বিজেপি সরকার বাংলাদেশকে নিরঙ্কুশভাবে সমর্থন দিয়েছে। ২০১৮ এবং ২০২৪ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি সরকার।
বিশেষ করে ২০২৪ এর নির্বাচনে ভারতীয় সরকারের পরিপূর্ণ সমর্থন ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করত এবং এই নির্বাচনকে অস্বীকৃতি জানাত বলেও অনেকে মনে করেন। মার্কিন মনোভাব পাল্টানোর ক্ষেত্রে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আর নির্বাচনের পর বিএনপি থেকে শুরু করে জাতীয় পার্টি প্রত্যেকেই বলছে যে, ভারত বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখেছে। যদিও এরকম অভিযোগকে আওয়ামী লীগ অস্বীকার করে এবং আওয়ামী লীগ মনে করে যে, জনগণের ভোটে তারা নির্বাচিত হয়েছে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি আওয়ামী লীগ বা বিজেপি কেউই অস্বীকার করে না।
এখন প্রশ্ন হল, যদি বিজেপি পরাজিত হয়, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশের সমীকরণ কী হবে? কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে, বর্তমান সরকারের জন্য সমীকরণের কোন পরিবর্তন হবে না। কারণ ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গেও আওয়ামী লীগ সরকারের একটি সুসম্পর্ক রয়েছে। ইতোমধ্যে ইন্ডিয়া জোটের প্রধান দল কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা দিয়েছে।
অনেকে মনে করেন যে, এখন ভারতে কট্টর হিন্দুত্ববাদী মনোভাবের কারণে সীমান্তে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য রাখা হচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশের মধ্যে একটা ভারতবিরোধী মনোভাব তৈরি হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত যদি নরেন্দ্র মোদি তাহলে এই অবস্থানের পরিবর্তন হবে। দুই দেশের সম্পর্ক আরও বিকশিত হবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ভারত লোকসভা নির্বাচন মল্লিকার্জুন খাড়গে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।