নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০৫ এএম, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮
দেশ সেবায় আবারও নৌকা মার্কায় ভোট চেয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধী হিসেবে যাদের শাস্তি হয়েছে, তাদের দোসরদের প্রার্থী করা হয়েছে। স্বাধীনতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধী ও অগ্নিসন্ত্রাসীদের নিয়ে যারা নির্বাচনী মাঠে নেমেছে, নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে তাদের উপযুক্ত জবাব দিন। (যুগান্তর)
অন্যান্য সংবাদ
পর্যবেক্ষক পাঠাচ্ছে না জাতিসংঘও
জাতিসংঘ বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছে না, পর্যবেক্ষকও পাঠাচ্ছে না। জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক গত সোমবার রাতে নিউ ইয়র্কে এ তথ্য জানান। এর আগে ইউরোপের ২৮টি দেশের জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও ইউরোপীয় পার্লামেন্টও পর্যবেক্ষক না পাঠানোর বিষয়টি স্পষ্ট করেছে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে পর্যবেক্ষকদল আসার কথা থাকলেও বেশির ভাগ দেশ স্থানীয়ভাবে তাদের দূতাবাস বা বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে বাংলাদেশের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে। এরই মধ্যে তার প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে। জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র নিউ ইয়র্কে সাংবাদিকদের বলেছেন, নির্বাচন পর্যবেক্ষণ না করলেও জাতিসংঘ বাংলাদেশকে সহায়তা করছে। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘ ইউএনডিপি/ইউএনউইমেনের মাধ্যমে বাংলাদেশের সংসদ নির্বাচন প্রকল্পে কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে। (কালের কণ্ঠ)
`কোল্ড আর্মসে` কক্সবাজার সৈকতে দুর্ধর্ষ হামলার ছক
দুনিয়াব্যাপী কমান্ডো নাইফ এবং বিশেষ ধরনের ছুরি ও চাকু `কোল্ড আর্মস` হিসেবে পরিচিত। নীরব হত্যার কৌশলের অংশ হিসেবে উগ্রবাদীদের প্রায়ই কোল্ড আর্মস ব্যবহার করতে দেখা যায়। বিশেষ করে সিঙ্গেল টার্গেট কিলিং মিশনে তারা এ ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করে। বাংলাদেশেও একাধিকবার কোল্ড আর্মস ব্যবহার করে উগ্রপন্থিরা হত্যা মিশন সফল করেছে। ২০১৫ সালের ২২ অক্টোবর রাতে গাবতলী সেতুর কাছে পুলিশের তল্লাশি চৌকিতে হামলায় কোল্ড আর্মস ব্যবহার করে এএসআই ইব্রাহিম মোল্লাকে হত্যা করা হয়। ওই বছরের ৪ নভেম্বর একই ধরনের হামলায় আশুলিয়ায় নিহত হন কনস্টেবল মুকুল হোসেন। তবে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় কোল্ড আর্মসের চালান জব্দ করেছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)। গতকাল বুধবার রাজধানীর একটি এলাকায় অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামা`আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) তিন জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ৩০টি কমান্ডো নাইফসহ বেশ কিছু কোল্ড আর্মস উদ্ধার করা হয়। থার্টিফার্স্ট নাইটে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে দুর্ধর্ষ হামলার ছক কষছিল তারা। এরই মধ্যে এই দলের আরও কয়েকজনকে গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখা হয়েছে। (সমকাল)
২৪ থেকে ২৬ ডিসেম্বরের মধ্যে সেনা নামছে মাঠে
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর বাকি মাত্র ১৬ দিন। দেশবাসীর একটিই চাওয়া আগামী ৩০ ডিসেম্বর একটি অবাধ সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনছেন তারা। তারা বলছেন, ভোট যেন সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়। ভোটাররা নির্বিঘ্নে যেন ভোট কেন্দ্রে যেতে পারে। একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনাও চূড়ান্ত করতে আজ বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশন। আজকে বৈঠকে নির্বাচনের আগে সারাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চুলচেরা বিশ্লেষণ করা হবে। সেই অনুযায়ী নিরাপত্তা পরিকল্পনা চ‚ড়ান্ত করা হবে বলে জানা গেছে। (জনকণ্ঠ)
রাহুল নিজেকে প্রমাণ করলেন
ঢোঁক গিলে নয়, চরম সমালোচকও এখন নির্ধ্বিদায় স্বীকার করছেন নেতা হিসেবে রাহুল গান্ধী তাঁর যোগ্যতা প্রমাণ করলেন। এবং কী আশ্চর্য রাজনৈতিক পরিপক্কতার নিদর্শন রেখে রাহুলও বুঝিয়ে দিলেন এই উত্তরণের জন্য তিনি যাঁর কাছে কৃতজ্ঞ, তাঁর নাম নরেন্দ্র মোদি। (প্রথম আলো)
বড় জয় পাবে আওয়ামী লীগ
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংসদের অধিকাংশ আসনে জয়লাভ করবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে লন্ডনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ)। ৪ ডিসেম্বর প্রকাশিত তাদের বাংলাদেশবিষয়ক প্রতিবেদন মতে, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বড় অবদান রাখার জন্য বাংলাদেশের মানুষ আবারও আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করবে। পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে এবং ২০১৮-১৯ থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি বেড়ে গড়ে ৭ দশমিক ৭ করে থাকবে।
বাংলা ইনসাইডার/এমআর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাপদাহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।
প্রথম দুই দফা ভোটের যে হার, তাতে বিজেপির মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিজেপির নেতারা ভোটে যে ভূমিধস বিজয় আশা করছিলেন সেটি হবে না। ভারতের কোন কোন গণমাধ্যমগুলো ভোটের ফলাফলে নাটকীয় ঘটনা ঘটারও ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষ করে ২০০৪ সালের নির্বাচনে যেভাবে কংগ্রেস অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে বিজেপিকে ধরাশায়ী করেছিল সেরকম কোন ঘটনা ঘটতেও পারে বলে মনে আশঙ্কা করছেন অনেকে। অবশ্য এখনও আরও পাঁচ দফা ভোট বাকি আছে এবং বিজেপি আশা করছে যে, পরবর্তী ধাপগুলোতে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে এবং বিজেপি তাদের জয়ের ধারা অক্ষুণ্ণ রাখবে। নরেন্দ্র মোদি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে দেওয়ার জন্য বারবার আহ্বান জানাচ্ছেন।
ভারতের নির্বাচনের ফলাফল কী হবে তা বোঝা যাবে আগামী ৪ জুন। কিন্তু এখন পর্যন্ত যে ভোটের হাওয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাতে এটা স্পষ্ট যে, ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি জোটের যে নিরঙ্কুশ বিজয়ের ধারণা করা হয়েছিল, সেটি বাস্তবতা নাও পেতে পারে। আর এ কারণেই মোদী যদি শেষ পর্যন্ত পরাজিত হন, তাহলে সেটি হবে ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি বড় ব্যতিক্রমী ঘটনা এবং এটি হবে ভারতের নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চমক।
এখন যখন ভারতের নির্বাচনে একটি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বা অনিশ্চয়তার ফলাফলের শঙ্কা জেগেছে তখন প্রশ্ন উঠছে যে, বিজেপি যদি এই নির্বাচনে পরাজিত হয় তাহলে বাংলাদেশে কী হবে? গত দুটি নির্বাচনে ভারতের বিজেপি সরকার বাংলাদেশকে নিরঙ্কুশভাবে সমর্থন দিয়েছে। ২০১৮ এবং ২০২৪ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি সরকার।
বিশেষ করে ২০২৪ এর নির্বাচনে ভারতীয় সরকারের পরিপূর্ণ সমর্থন ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করত এবং এই নির্বাচনকে অস্বীকৃতি জানাত বলেও অনেকে মনে করেন। মার্কিন মনোভাব পাল্টানোর ক্ষেত্রে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আর নির্বাচনের পর বিএনপি থেকে শুরু করে জাতীয় পার্টি প্রত্যেকেই বলছে যে, ভারত বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখেছে। যদিও এরকম অভিযোগকে আওয়ামী লীগ অস্বীকার করে এবং আওয়ামী লীগ মনে করে যে, জনগণের ভোটে তারা নির্বাচিত হয়েছে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি আওয়ামী লীগ বা বিজেপি কেউই অস্বীকার করে না।
এখন প্রশ্ন হল, যদি বিজেপি পরাজিত হয়, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশের সমীকরণ কী হবে? কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে, বর্তমান সরকারের জন্য সমীকরণের কোন পরিবর্তন হবে না। কারণ ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গেও আওয়ামী লীগ সরকারের একটি সুসম্পর্ক রয়েছে। ইতোমধ্যে ইন্ডিয়া জোটের প্রধান দল কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা দিয়েছে।
অনেকে মনে করেন যে, এখন ভারতে কট্টর হিন্দুত্ববাদী মনোভাবের কারণে সীমান্তে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য রাখা হচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশের মধ্যে একটা ভারতবিরোধী মনোভাব তৈরি হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত যদি নরেন্দ্র মোদি তাহলে এই অবস্থানের পরিবর্তন হবে। দুই দেশের সম্পর্ক আরও বিকশিত হবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ভারত লোকসভা নির্বাচন মল্লিকার্জুন খাড়গে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।