নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৫১ পিএম, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কাজী জাফর উল্লাহকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন,‘নৌকায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে আবার সরকার গঠন করার সুযোগ দিন। আওয়ামী লীগ সরকারে না থাকলে সব উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বন্ধ হয়ে যাবে। দেশ পিছিয়ে যাবে।’
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া থেকে ঢাকায় ফেরার পথে আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভাঙ্গার মোড়ে নির্বাচনী পথসভায় ভোটারদের উদ্দেশে এ আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী ভাঙ্গার জনগণকে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট প্রদান এবং ভোটকেন্দ্র পাহারা দেওয়ার আহ্বান জানান। প্রতিটি ভোট গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যথাসম্ভব বেশি আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে হবে। কারণ একেকটি আসন সরকার গঠনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’ গোপালগঞ্জ থেকে ঢাকায় ফেরার পথে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও এ আসনে নৌকার প্রার্থী কাজী জাফর উল্লাহ’র পথসভায় প্রথম বক্তব্য দেন শেখ হাসিনা। জনসভা শেষে তিনি এখন ফরিদপুরের পথে রওনা দিয়েছেন।
ঢাকায় ফেরার পথে পর্যায়ক্রমে আরও ছয়টি পথসভায় বক্তব্য দেওয়ার কথা রয়েছে শেখ হাসিনার। পথসভার পরবর্তী স্থানগুলো হলো, রাজবাড়ী জেলার রাজবাড়ী রাস্তার মোড়, মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ার আরোয়া ইউনিয়ন, মানিকগঞ্জ পৌরসভা ও ধামরাইয়ের রাবেয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল প্রাঙ্গণ এবং সাভারের জালেশ্বর মৌজার ৫ নম্বর ওয়ার্ড।
উল্লেখ্য, আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি প্রাঙ্গন থেকে ঢাকার পথে শেখ হাসিনার গাড়িবহর রওনা দেয়। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে নিজ নির্বাচনী এলাকা গোপালগঞ্জ-৩ এ (টুঙ্গিপাড়া-কোটালীপাড়া) আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন শেখ হাসিনা।
বাংলাইনসাইডার/এমএস/এমআর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রথম পর্যায়ের উপজেলা নির্বাচনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত। ১৫০টি উপজেলায় এখন জনগণ ভোটের অপেক্ষায়। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৫৯টি উপজেলায় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন গতকাল শেষ হয়েছে। সেখানেও এখন নির্বাচনী প্রচারণার ডামাডোল শুরু হয়েছে। কিন্তু উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হবে কি না, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে কি না এবং উপজেলা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে কি না তা নিয়ে একদিকে যেমন জনগণের সংকট রয়েছে তেমনই নির্বাচন কমিশনও এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত।
লক্ষ্মীপুর সদরের তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরপরই হামলার শিকার হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নেপথ্যে নির্বাচনে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ। এঘটনায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী দুই প্রার্থীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ ৯১১ জনের বিরুদ্ধে দুইটি মামলাও দায়ের করেন। ফলে নির্বাচনের পর আনন্দের বদলে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে ওই ইউনিয়নে।