নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:১৬ পিএম, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৮
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মাহবুব তালুকদার একের পর এক বিতর্কের জন্ম দিয়েই চলেছেন। তিনি আজ গণমাধ্যমে কর্মরত কিছু সাংবাদিকের কাছে লিখিত প্রশ্ন চান। সাংবাদিকরা নাম ঠিকানা দিয়ে তাকে লিখিত প্রশ্ন করেন। নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার এসময় জানান লিখিত প্রশ্নের বাইরে তিনি আর কোন প্রশ্ন নিবেন না এবং উত্তর দিবেন না। নির্বাচন কমিশনারের এ ধরণের কর্মকান্ড শুধু হাস্যকরই নয় উদ্বেগজনকও বটে। ইসি মাহবুব তালুকদারকে করা লিখিত প্রশ্ন এবং উত্তর নিম্নরূপ:
প্রথম আলো’র রিয়াদুলের প্রশ্নঃ আপনার মতে নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড আছে কি?
মাহবুব তালুকদারের উত্তরঃ আমি মোটেই মনে করিনা নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বলে কি আছে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড কথাটা এখন একটা অর্থহীন কথায় পর্যবসিত হয়েছে।
একই সাংবাদিকের আরেকটি পশ্নঃ সিইসি বলেছেন নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড আছে। আপনি কি তাঁর বিরোধিতা করছেন?
মাহবুব তালুকদারের উত্তরঃ আমি কখনও তার বক্তব্যের বিরোধিতা করি না। তিনি তার কথা বলেন। আমি প্রয়োজনে আমার ভিন্নমত প্রকাশ করি। আপনারা তো সাংবাদিক আপনারা দেশের সব খবর রাখেন, সবকিছু দেখেন। আপনারা নিজেদের বিবেক কে জিজ্ঞাসা করুন, নির্বাচনে এখন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড আছে কিনা, তাহলে উত্তর পেয়ে যাবেন।
দৈনিক ইত্তেফাকের সাইদুর রহমানের প্রশ্নঃ সারাদেশ থেকে বিরোধী দলের প্রচারে বাধা দেয়ার নানা অভিযোগ আসছে। এ অবস্থায় অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন কী সম্ভব?
মাহবুব তালুকদারের উত্তরঃ আমি আশাবাদী মানুষ। এখনও যে সময়টুকু আছে তাতে অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি পালন করতে হবে। এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি কমিটির বিচারকদের আরও বেশি কার্যকর ভূমিকা পালন করা উচিত। আমি মনে করি সেনাবাহিনী মাঠে নামলে পরিস্থিতি আশাব্যঞ্জকভাবে পাল্টে যাবে।
মানবজমিন পত্রিকার সিরাজুস সালেকিনের প্রশ্নঃ সিইসি বলেছেন সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠু হবে আপনিও কী তাই মনে করেন
মাহবুব তালুকদারের উত্তরঃ সব দল অংশগ্রহণ করলেই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বলা হয়। সুষ্ঠু নির্বাচনের সঙ্গে এর সম্পর্ক নেই। নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হওয়া একটি প্রাথমিক প্রাপ্তি। আসল কথা হচ্ছে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য এবং বিশ্বাসযোগ্য হচ্ছে কিনা। নির্বাচন গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য না হলে অংশগ্রহণমূলক হলেও কোনো লাভ নেই।
ডেইলি স্টার পত্রিকার মহিউদ্দিনের প্রশ্নঃ নির্বাচনে জনপ্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কী নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে আছে?
উত্তরঃ নির্বাচন আমরা সরাসরি করি না। রিটার্নিং অফিসার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে করা হয়। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে আছে। তাদের বাহিনীর সদস্যরা কতটা তাদের নিয়ন্ত্রণে আছে তা তারা বলতে পারবেন।
একই সাংবাদিকের আরেকটি প্রশ্নঃ বর্তমান অবস্থায় আপনার কী কোন মেসেজ আছে?
লিখিত উত্তরঃ আমার বক্তব্য হচ্ছে জাতীয় নির্বাচন এক বিশাল কর্মযজ্ঞ। প্রার্থী ভোটার এমনকি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কেউ আইনের বাইরে যাবেন না। আইনকে নিজস্ব ধারায় চলতে দিন। নির্বাচনে আচরণবিধি মেনে চলুন। নির্বাচনকে সাফল্যমণ্ডিত করতে সহায়তা করুন।
উল্লেখ্য এর আগেও নির্বাচন কমিশনার মাহবুক তালুকদার নির্বাচন কমিশনের সভা চলাকালে নোট অব ডিসেন্ট দিয়ে সভা থেকে বের হয়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছিলেন।
বাংলা ইনসাইডার/আরকে
মন্তব্য করুন
হিট স্ট্রোক তীব্র তাপদাহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ শিল্পমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
প্রায় ১৩ বছর পর লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচনে তিনটিতে চেয়ারম্যান পদে নতুন জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন। আর দক্ষিণ হামছাদী ও তেওয়ারীগঞ্জ এ দুইটি ইউনিয়নে এ পদে পুরাতনেই আস্থা রেখেছেন ভোটাররা। তবে পাঁচটি ইউনিয়নে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদেরকে পেয়ে উল্লাস প্রকাশ করছে পুরো নেট দুনিয়া।