নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৫০ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৮
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের প্রচারিত ভিডিও বার্তার জবাব দিয়েছেন মোহাম্মদ এ আরাফাত।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কর্তৃক প্রচারিত একটি ভিডিওতে নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে উপস্থাপন করে তরুণ ভোটারদের উদ্দেশে একটি বক্তব্য প্রচার করেছেন। তাঁর সেই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন মোহাম্মদ এ আরাফাত।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত আরাফাত মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কোন দেশের হয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন? সেই যুদ্ধে কারা তার সঙ্গী ছিল? ১৯৭১ সাল এবং ২০১৮ সালের যুদ্ধ কি একই যুদ্ধ, এবং সেই একই জামায়াত, যুদ্ধাপরাধী এবং রাজাকার কি তার উভয় যুদ্ধের সঙ্গী?’
তিনি বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে আরও বলেন, ‘১৯৭২-৭৫ আমলে আওয়ামী লীগ সরকার যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু করেছিল এবং জামায়াতকে নিষিদ্ধ করেছিল। মির্জা ফখরুলের দল যুদ্ধাপরাধের বিচার বন্ধ করে দিয়ে রাজাকারদের পুনর্বাসন করেছিল বাংলাদেশে। শুধু তাই নয়, দীর্ঘ ৩৭ বছর পর আওয়ামী লীগ যখন আবারও ২০০৯ সালে যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু করলো, মির্জা ফখরুলের দল তখন সমস্ত শক্তি দিয়ে এই বিচার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছে।’
‘৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনেও মির্জা ফখরুলের দল রাজাকার জামায়াতকে তাদের ধানের শীষ দিয়ে নির্বাচনে নিয়ে এসেছে। মুক্তিযুদ্ধবিরোধী রাজাকারদের সঙ্গে নিয়ে মির্জা ফখরুল কোন যুদ্ধের ডাক দিচ্ছেন?’
‘মির্জা ফখরুল কি ভেবেছেন নতুন প্রজন্ম কিছুই বোঝে না? আসলে তিনি নিজেই বোকার স্বর্গে বাস করছেন। নতুন প্রজন্ম ভোট দেবে, অবশ্যই ভোট দেবে এবং বুঝে শুনেই ভোট দেবে। ভোটের মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি এবং তার পৃষ্ঠপোষকদের প্রত্যাখ্যান করবে।’
বাংলা ইনসাইডার/আরকে
মন্তব্য করুন
গাজীপুরে দুই ট্রেনের সংঘর্ষ পরবর্তী উদ্ধার কাজে সহায়তা করতে দুই
প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে। শুক্রবার (৩ মে) দুপুরে
বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ঢাকা-জয়দেবপুর রেল সড়কের গাজীপুরের ছোট দেওড়া কাজীবাড়ি
এলাকায় মালবাহী ও যাত্রীবাহী দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় উদ্ধার কাজের
সহায়তায় ২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন।
তিনি আরও জানান, টাঙ্গাইল থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা টাঙ্গাইল
কমিউটার ট্রেনটি আজ (শুক্রবার) বেলা ১১টায় জয়দেবপুর স্টেশনে যাত্রাবিরতি শেষে ঢাকার
উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। ট্রেনটি স্টেশন থেকে ছেড়ে আউটার সিগন্যালে পৌঁছানোর পর লাইন
ক্রসিং করার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা জয়দেবপুর আউটার সিগন্যালের কাজীবাড়ি ছোট দেওড়া
এলাকায় একটি মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে।
এ ঘটনায় যাত্রীবাহী ট্রেনের চালকসহ আহত ৪জনকে উদ্ধার করে গাজীপুর
শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় আরও আহত
থাকতে পারে। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো যাবে।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল
মন্তব্য করুন
জামিনে মুক্তি পেয়েছেন হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব
মাওলানা মামুনুল হক। শুক্রবার (০৩ মে) সকাল ১০টার দিকে তাকে গাজীপুরের কাশিমপুর হাই
সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয়।
পরে রিজার্ভ গার্ডে তাকে বসিয়ে রাখা হয় এবং বেলা ১১টার দিকে কারাগারের
মূল ফটক থেকে তিনি বের হয়ে যান। গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের
সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার মামুনুল হকের জামিনের কাগজপত্র কারাগারে
এসে পৌঁছায়। পরে তা যাচাই-বাছাই শেষে আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে মাওলানা মামুনুল
হককে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।
জানা গেছে, মামুনুল হকের জিম্মাদার অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী
আসতে দেরি হওয়ায় তাকে প্রায় এক ঘণ্টা রিজার্ভ গার্ডে বসিয়ে রাখা হয়। পরে বেলা
১১ টার দিকে সাদা রঙের একটি গাড়িতে করে তিনি কারাগারের মূল ফটো থেকে বের হয়ে যান।
এ সময় মামুনুল হকের সঙ্গে ছিলেন তার ছেলে জিসান ও ভাগিনাসহ আরো কয়েকজন। এর আগে, বৃহস্পতিবার রাতে মামুনুল হক কারাগার থেকে মুক্ত পাবেন, এমন খবরে আলেম-ওলামারা কারা ফটকে ভিড় করেন। সন্ধ্যার পর থেকেই কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে ভিড় করতে শুরু করেন মামুনুল হকের সমর্থকরা।
মন্তব্য করুন
কক্সবাজারের টেকনাফের বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও আসন্ন উপজেলা
পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল আলমের উঠান বৈঠকে তার সমর্থকদের ভয়ভীতি
প্রদর্শন করার জন্য সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির বিরুদ্ধে ফাঁকা গুলি ছোড়ার অভিযোগ
উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত ১০টার দিকে উপজেলার হোয়াইক্ষং পশ্চিম মহেশখালীয়া
পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলম বলেন, আমি বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র
জমা দিয়েছি। আমার
নির্বাচনী এলাকার হোয়াইক্ষং পশ্চিম মহেশখালীয়া পাড়ায় আমার একটি উঠান বৈঠক ও আলোচনা
সভা ছিল। সেখানে হঠাৎ সাবেক এমপি বদি (আব্দুর রহমান বদি) চেয়ারম্যান প্রার্থী জাফর
আলমকে সঙ্গে নিয়ে আমার অনুষ্ঠানস্থলে এসে দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি করেন।
তখন ভয়ে আমার সমর্থকরা পালিয়ে যায়। আমি জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল দিয়েছি।
পরে সেখান থেকে বের হয়ে থানায় অভিযোগ করেছি। সাবেক এমপি বদি আমার সমর্থকদের ভয়ভীতি
প্রদর্শন করছেন। যাতে কেউ আমার বিরুদ্ধে কাজ না করে। আমার জনপ্রিয়তা বদি সাহেব মেনে
নিতে পারছেন না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী জাফর আলম বলেন, গুলি ছোড়ার
ঘটনা পুরাপুরি মিথ্যা। উল্টো নুরুল আলম আমার এক সমর্থককে ধরে নেওয়ার খবর শুনে আমি আর
বদি ভাই (সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদি) সেখানে যাই।
টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওসমান গনী
ঢাকা পোস্টকে বলেন, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলমের একটি অনুষ্ঠানে ফাঁকা গুলি
ছোড়ার ঘটনা শুনেছি। খবর পেয়ে আমাদের পুলিশের টিম সেখানে গিয়েছে। এ ঘটনায় নুরুল আলম
একটি অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে কথা বলতে সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির মুঠোফোনে একাধিকবার
কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
উপজেলা নির্বাচন উঠান বৈঠক অভিযোগ সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদি
মন্তব্য করুন
গাজীপুরের জয়দেবপুরে মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে যাত্রীবাহী ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৫টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে অন্তত অর্ধশতাধিক যাত্রী আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (৩ মে) সকালে জয়দেবপুর স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। তবে টাঙ্গাইল কমিউটারে খুব বেশি যাত্রী ছিলেন না বলে জানা গেছে। জয়দেবপুর স্টেশনমাস্টার হানিফ মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনটি উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে এসে গাজীপুর হয়ে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। ট্রেনটি জয়দেবপুর স্টেশনের আউটার সিগনালে পৌঁছালে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা তেলবাহী ট্রেনের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। তবে টাঙ্গাইল কমিউটারে খুব বেশি যাত্রী ছিল না।
মন্তব্য করুন
গাজীপুরের জয়দেবপুরে মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে যাত্রীবাহী ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৫টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে অন্তত অর্ধশতাধিক যাত্রী আহত হয়েছেন। শুক্রবার (৩ মে) সকালে জয়দেবপুর স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। তবে টাঙ্গাইল কমিউটারে খুব বেশি যাত্রী ছিলেন না বলে জানা গেছে। জয়দেবপুর স্টেশনমাস্টার হানিফ মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।