নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৪১ পিএম, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮
বরিশালের বানারীপাড়ায় পৌর শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকাল চারটার দিকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শাহে আলমের সমর্থকদের ওপর অতর্কিত অন্তত ৫০ রাউন্ড গুলি ছোঁড়া হয়। এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে বিএনপির প্রার্থী সরদার সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু ও তার সমর্থকরা। গুলি ছুঁড়ে ঘটনাস্থল থেকে সরে যায় তাঁরা। এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। পরবর্তীতে বিএনপি প্রার্থী সান্টুর একটি ফোনালাপ ফাঁস হয়। যার মাধ্যমে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত হওয়া যায়।
ফোনালাপে বিএনপি প্রার্থী সান্টু বলেন, ‘সাবাইকে বের হতে বলো। আজ কেউ আসলে তাদের মারবো। আমি এলাকা দিয়ে যাবো, এখন আর্মি নেমেছে। আমি তাদের গুলি করে দেবো।’ জনৈক ব্যক্তির সঙ্গে ফোনালাপ শেষ হবার দুই ঘণ্টা পর বরিশালের বানারীড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সময়ে বিএনপি প্রার্থী এস সরফুদ্দিন আহমদ সান্টু তার নিজের রিভলবার দিয়ে অন্ত্যত ৩০ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করেন। আর তার সহযোগীরা অন্তত ২০ রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে।
এতে অনেকে আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত ২২ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে বরিশাল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পৌর শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এলাকার আওয়ামী লীগের অফিসও সে সময় ভাংচুর করে তারা। এলাকার বিভিন্ন দোকানপাটও ভেঙে ফেলে। ঘটনার পর পৌর শহরে বিজিবি ও পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।
জানা যায়, বিএনপি প্রার্থী সান্টু ২টি মাইক্রোসহ ৬টি গাড়ি ও ৮-১০টি মাহেন্দ্র-আলফা এবং ২০-২৫টি মোটরসাইকেল নিয়ে বিকাল ৪টার দিকে বানারীপাড়ায় প্রবেশ করেন। এ সময় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের বেশ কয়েকজন কর্মী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী শাহে আলমের নৌকা প্রতীকের লিফলেট বিতরণ করছিলেন। হঠাৎ করে সান্টুর কর্মীরা ফাঁকা গুলি শুরু করে। এলাকার লোকজন ছুটোছুটি শুরু করে। এরই মধ্যে সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টুর সঙ্গে থাকা কর্মীরা ছাত্রলীগ ও যুবলীগ কর্মীদের এলোপাতাড়ি পেটাতে থাকে। একপর্যায়ে বিএনপি প্রার্থী সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু ও তার সঙ্গে থাকা দুজনে গাড়ি থেকে বের হয়েগুলি করতে থাকে।
এ সময় তার কর্মীরা তুরানের বাড়ির সামনে থাকা একটি নৌকা ভাঙচুর ও ছাত্রলীগ-যুবলীগের ১১ জনকে পিটিয়ে আহত করে। পরে অবস্থা বেগতিক দেখে সন্টু ও তার লোকজন দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এ সময় আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
এছাড়াও বিএনপি ক্যাডাররা যাওয়ার সময় নারায়ণপুর আওয়ামী লীগ অফিস ভাঙচুর ও দলীয় নেতাকর্মীদের মারধর করে।
ফাঁস হওয়া অডিও লিংক:
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান থানার ওসি
মো. মুজাহিদুল ইসলামসহ ৯ পুলিশের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রোববার (৫ মে) দুপুরে মুন্সীগঞ্জ জেলা
ও দায়রা জজ আদালতে পুলিশের হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ এনে মামলাটি দায়ের করেন নির্যাতনের
শিকার আব্দুল বারেক।
মামলা দায়ের করা আব্দুল বারেক সিরাজদিখান
উপজেলার বড়বর্তা গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় কেয়াইন ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. হোসেন মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মুন্সীগঞ্জ সিনিয়র জেলা
ও দায়রা জজ কাজী আব্দুল হান্নান মামলার ঘটনার সত্যতা যাচাই-পূর্বক তদন্ত করে প্রতিবেদন
দেওয়ার জন্য পিবিআই পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন।
একইসঙ্গে বাদী তথা ভুক্তভোগীদের জখমের
বিষয়ে সিভিল সার্জনকে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মামলায় বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. জামাল
হোসাইন জানান, গত ১৮ এপ্রিল জেলার সিরাজদিখান থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়। ২৪ এপ্রিল
ওই মামলায় এজাহার নামীয় আসামি দেখিয়ে উপজেলার কুচিয়ামোড়া গ্রামের আব্দুল বারেকসহ ১১
জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এরপর ওই দিন রাতে গ্রেপ্তারকৃতদের থানা
পুলিশের হেফাজতে নির্যাতন করা হয়। পরদিন গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে
পাঠানো হয়।
তিনি আরও বলেন, জেল হাজতে থেকে আব্দুল
বারেক বাদী হয়ে সিরাজদীখান থানার ওসি ও অন্যান্য আরো ৮ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে পুলিশের
হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেছেন আদালতে।
এ ব্যাপারে সহকারী পুলিশ সুপার (সিরাজদিখান
সার্কেল) মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, শুনেছি আদালতে একটি পিটিশন মামলা হয়েছে। তবে ওই
ঘটনার সময় আমি ট্রেনিংয়ে ছিলাম।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিমানবন্দর বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী জাতীয় সংসদ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন