নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৩১ পিএম, ০৭ জানুয়ারী, ২০১৯
নবীন প্রবীণের সমন্বয়ে এবারের মন্ত্রিসভা বড় চমক হয়েই এসেছে। পুরনো বেশ কয়েকজন হেভিওয়েটকে এবার বাদ দেওয়া হয়েছে। আবার প্রথমবার এমপি হয়েই মন্ত্রিত্বের স্বাদ পাচ্ছেন কয়েকজন। বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে এমন অনেক জেলা রয়েছে যেখান থেকে আওয়ামী লীগের শাসনামলে কোনো সাংসদই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিতে পারেননি।
গাইবান্ধা
এক সময় জাতীয় পার্টির শক্ত ঘাঁটি ছিল গাইবান্ধা। এবার এই জেলায় ৩টি আসন আসন পেয়েছে নৌকার প্রার্থীরা। তবে এদের কেউই মন্ত্রিসভায় স্থান পাননি। শুধু এবার নয়, আওয়ামী লীগের কোনো মেয়াদেই এই আসন থেকে কোনো সাংসদ মন্ত্রিত্বের স্বাদ পাননি।
জয়পুরহাট
বিএনপি-জামায়াত অধ্যুষিত এলাকা জয়পুরহাট। আওয়ামী লীগ যতবার ক্ষমতায় এসেছে এই জেলা থেকে কেউই মন্ত্রী হননি।
বগুড়া
বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের এলাকা বগুড়া বিএনপি’র শক্ত ঘাঁটি। আওয়ামী লীগ সরকারের কোন মেয়াদেই মন্ত্রী পরিষদে এই জেলার কোনো সাংসদ স্থান পাননি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ
বিএনপি-জামায়াত অধ্যুষিত জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ। আওয়ামী লীগের সরকারে এই জেলা থেকে কখনোই কোনো জনপ্রতিনিধি মন্ত্রী হননি।
ঝিনাইদহ
ঝিনাইদহ বিএনপি অধ্যুষিত এলাকা হিসেবে পরিচিত। আওয়ামী লীগ যতবার ক্ষমতায় এসেছে, এই জেলা থেকে কেউই মন্ত্রিত্বের স্বাদ পাননি।
চুয়াডাঙ্গা
শুধু আওয়ামী শাসনামলেই নয়, কোনো সরকারের সময়েই এই জেলা থেকে কোন জনপ্রতিনিধি মন্ত্রীর পদে বসেননি।
নড়াইল
আওয়ামী শাসনামল তো বটেই স্বাধীনতা পরবর্তী সময় নড়াইল থেকে কখনোই কেউ মন্ত্রিসভায় স্থান পাননি। এবার নড়াইল-২ আসনে নব নির্বাচিত এমপি মাশরাফি বিন মর্তুজা মন্ত্রিসভায় জায়গা পেতে যাচ্ছেন বলে জোর গুঞ্জন শোনা গেলেও শেষ পর্যন্ত তা আর সত্যি হয়নি।
বরগুনা
স্বাধীনতার ৪৭ বছরেও বরগুনার কোনো সাংসদ মন্ত্রিপরিষদে স্থান পাননি। বরগুনা-১ আসনের পাঁচবারের সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুকে মন্ত্রিপরিষদে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছিল এলাকাবাসী। কিন্তু সেই দাবি বাস্তবায়িত হয়নি।
ফেনী
বেগম খালেদা জিয়ার এলাকা ফেনীতেও আওয়ামী লীগ শাসনামলে কেউ মন্ত্রিত্বের স্বাদ পাননি।
কক্সবাজার
আওয়ামী শাসনামলে কক্সবাজার থেকে কখনোই কোনো সাংসদ মন্ত্রিসভায় স্থান পাননি। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এসে সালাহ উদ্দীন আহমদকে প্রতিমন্ত্রীর পদে বসিয়েছিল। এর বাইরে কখনোই কোনো সাংসদ এই জেলা থেকে পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্ব পাননি।
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাপদাহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।
প্রথম দুই দফা ভোটের যে হার, তাতে বিজেপির মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিজেপির নেতারা ভোটে যে ভূমিধস বিজয় আশা করছিলেন সেটি হবে না। ভারতের কোন কোন গণমাধ্যমগুলো ভোটের ফলাফলে নাটকীয় ঘটনা ঘটারও ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষ করে ২০০৪ সালের নির্বাচনে যেভাবে কংগ্রেস অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে বিজেপিকে ধরাশায়ী করেছিল সেরকম কোন ঘটনা ঘটতেও পারে বলে মনে আশঙ্কা করছেন অনেকে। অবশ্য এখনও আরও পাঁচ দফা ভোট বাকি আছে এবং বিজেপি আশা করছে যে, পরবর্তী ধাপগুলোতে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে এবং বিজেপি তাদের জয়ের ধারা অক্ষুণ্ণ রাখবে। নরেন্দ্র মোদি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে দেওয়ার জন্য বারবার আহ্বান জানাচ্ছেন।
ভারতের নির্বাচনের ফলাফল কী হবে তা বোঝা যাবে আগামী ৪ জুন। কিন্তু এখন পর্যন্ত যে ভোটের হাওয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাতে এটা স্পষ্ট যে, ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি জোটের যে নিরঙ্কুশ বিজয়ের ধারণা করা হয়েছিল, সেটি বাস্তবতা নাও পেতে পারে। আর এ কারণেই মোদী যদি শেষ পর্যন্ত পরাজিত হন, তাহলে সেটি হবে ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি বড় ব্যতিক্রমী ঘটনা এবং এটি হবে ভারতের নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চমক।
এখন যখন ভারতের নির্বাচনে একটি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বা অনিশ্চয়তার ফলাফলের শঙ্কা জেগেছে তখন প্রশ্ন উঠছে যে, বিজেপি যদি এই নির্বাচনে পরাজিত হয় তাহলে বাংলাদেশে কী হবে? গত দুটি নির্বাচনে ভারতের বিজেপি সরকার বাংলাদেশকে নিরঙ্কুশভাবে সমর্থন দিয়েছে। ২০১৮ এবং ২০২৪ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি সরকার।
বিশেষ করে ২০২৪ এর নির্বাচনে ভারতীয় সরকারের পরিপূর্ণ সমর্থন ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করত এবং এই নির্বাচনকে অস্বীকৃতি জানাত বলেও অনেকে মনে করেন। মার্কিন মনোভাব পাল্টানোর ক্ষেত্রে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আর নির্বাচনের পর বিএনপি থেকে শুরু করে জাতীয় পার্টি প্রত্যেকেই বলছে যে, ভারত বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখেছে। যদিও এরকম অভিযোগকে আওয়ামী লীগ অস্বীকার করে এবং আওয়ামী লীগ মনে করে যে, জনগণের ভোটে তারা নির্বাচিত হয়েছে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি আওয়ামী লীগ বা বিজেপি কেউই অস্বীকার করে না।
এখন প্রশ্ন হল, যদি বিজেপি পরাজিত হয়, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশের সমীকরণ কী হবে? কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে, বর্তমান সরকারের জন্য সমীকরণের কোন পরিবর্তন হবে না। কারণ ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গেও আওয়ামী লীগ সরকারের একটি সুসম্পর্ক রয়েছে। ইতোমধ্যে ইন্ডিয়া জোটের প্রধান দল কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা দিয়েছে।
অনেকে মনে করেন যে, এখন ভারতে কট্টর হিন্দুত্ববাদী মনোভাবের কারণে সীমান্তে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য রাখা হচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশের মধ্যে একটা ভারতবিরোধী মনোভাব তৈরি হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত যদি নরেন্দ্র মোদি তাহলে এই অবস্থানের পরিবর্তন হবে। দুই দেশের সম্পর্ক আরও বিকশিত হবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ভারত লোকসভা নির্বাচন মল্লিকার্জুন খাড়গে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।