নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:২৬ পিএম, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯
জনবল সংকটের কারণে বন্ধ হয়ে গেছে ঐতিহ্যবাহী আলমডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনের কার্যক্রম। গত ২৯ জানুয়ারি থেকে পর্যায়ক্রমে স্টেশন থেকে কর্তব্যরত মাস্টারসহ অন্যান্য কর্মচারীদের প্রত্যাহার করায় এই অচলাবস্থার সৃষ্টি। একেবারে ‘ক্লোজ ডাউন’ অবস্থায় চলছে এই স্টেশনের কার্যক্রম। বর্তমানে বন্ধ রয়েছে ট্রেন প্রবেশের সিগন্যালও।
এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। এ পরিস্থিতিতে অভিযোগের আঙুল উঠছে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (আরটিও) আব্দুল্লাহ আল মামুনের খামখেয়ালিপনার দিকে। স্টেশনের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালুর দাবিতে নানান কর্মসূচিও নিয়েছে স্থানীয়রা।
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় অবস্থিত এই স্টেশনটি থেকে প্রতি মাসে প্রায় ৩০ লাখ টাকার মত রাজস্ব উপার্জন হয়। আলমডাঙ্গার জন্য নির্ধারিত টিকেটের বিপরীতে প্রায় ৭/৮ গুণ বেশি টিকেটের চাহিদা রয়েছে। বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা রেলস্টেশন ও পোড়াদহ রেলওয়ে জংশন থেকেই আলমডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। ফলে বিভিন্ন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এলাকাবাসী।
যাত্রীরা স্টেশনে ট্রেনের সময়সূচি জানতে চাইলেও কেউ সেটা জানাতে পারছে না। আগে ট্রেন আসার আগ মুহূর্তে ঘণ্টা বাজলেও ৩১ জানুয়ারি থেকে তা পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। তবে টিকিট বিক্রির ব্যবস্থা রয়েছে এখনো।
এই স্টেশন ঘিরে প্রায় শতাধিক ছোট মাঝারী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। স্টেশনের কার্যক্রম বন্ধের ফলে ব্যবসায়ীদের চোখেমুখে এখন হতাশা। ব্যবসায়ীরা জানান, স্টেশনটি যখন পুরোদমে চালু ছিল তখন শত শত যাত্রীর আনাগোনায় মুখরিত থাকত।
স্টেশনমাস্টার শরিফুল ইসলাম জানান, আরটিও আব্দুল্লাহ আল মামুন পৃথক আদেশে ২৯ জানুয়ারি সহকারী স্টেশনমাস্টার (এএসএম) নাজমুল হোসেনকে কুষ্টিয়ার পোড়াদহ রেলস্টেশনে, পয়েন্টসম্যান মাহাবুল হককে যশোরের সিঙ্গিয়া এবং ৩০ জানুয়ারি পয়েন্টসম্যান সাইফুল ইসলামকে কুষ্টিয়ার হালসা স্টেশনে বদলি করেন। এর আগে পয়েন্টসম্যান ইমদাদুল হককে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বদলি করা হয়েছিল। যেকোন সময় শরিফুল ইসলামেরও বদলির আদেশ আসতে পারে।
বিভিন্ন নিয়ম বাদ দেওয়ায় অনেক সমস্যার মধ্যে দিয়ে ৩১ জানুয়ারি থেকে লোকোমাস্টারদের (ট্রেনচালক) ট্রেনের গতি কমিয়ে সতর্কতার সঙ্গে চলাচল করতে হচ্ছে।
আলমডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি খন্দকার শাহ আলম মন্টু, জানান, দ্রুত স্টেশনের সব কর্মকর্তাদের আবার স্টেশনে দায়িত্ব প্রদান করে স্টেশনের সকল কার্যক্রম সচল করতে হবে। ইতিমধ্যে উপজেলা তৃণমূলের ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলাপ আলোচনা করে একটি আন্দোলনের কমিটি গঠন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপিও দেওয়া হয়েছে। স্টেশনের কার্যক্রম স্বাভাবিক না করলে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হবে।
রেলওয়ের বিভাগীয় কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, এর আগেও আরও ৫১টি স্টেশন থেকে জনবল গুটিয়ে নেওয়া হয়েছে। আমাদের দেশে বিভিন্ন অঞ্চলে নতুন করে রেলওয়ে স্টেশন নির্মাণ করা হচ্ছে। এমন পরিস্থতিতে আলমডাঙ্গা স্টেশন থেকে জনবল প্রত্যাহারের মতো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে বাধ্য হচ্ছি আমরা। সরকারিভাবে এখনো কোন নিয়োগ প্রদান করা হয়নি। আগামী মাসের মধ্যে স্টেশনের বিভিন্ন স্তরে নিয়োগ প্রদান করা হলে হয়ত আবারও আলমডাঙ্গা স্টেশনের সকল কার্যক্রম স্বাভাবিক করা যাবে।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/এমআর
মন্তব্য করুন
উন্মুক্ত কারাগার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
দ্বিতীয় ধাপে আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিতব্য জয়পুরহাট সদর ও পাঁচবিবি উপজেলায় ১১ চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ৩০ প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রতীক বরাদ্দের মধ্য দিয়ে এই দুই উপজেলায় প্রার্থীদের আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা শুরু হলো।
তফসিল অনুযায়ী আজ বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করেন নির্বাচনে দায়িত্ব প্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা।
এসময় বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক সালেহীন তানভীর গাজী। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার নুরে আলম (বিপিএম), অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বিপুল কুমার, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফজলুল করিম প্রমুখ।
জানা যায়, সদর উপজেলায় ৫ চেয়ারম্যান, ৭ ভাইস চেয়ারম্যান ও ৪ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এবং পাঁচবিবি উপজেলায় ৬ চেয়ারম্যান, ৪ ভাইস চেয়ারম্যান ও ৪ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বরাদ্দকৃত প্রতীক বুঝে নেন।
জয়পুরহাট সদরে কে কোন প্রতীক:
চেয়ারম্যান পদে এ ইএম মাসুদ রেজা (আনারস), খাজা শামসুল আল আমিন (দোয়াত কলম), আনোয়ার হোসেন (ঘোড়া), আমিনুল ইসলাম মাসুদ (কাপ পিরিচ), হাসানুজ্জামান মিঠু (মটরসাইকেল) প্রতীক পেয়েছেন।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে অশোক কুমার ঠাকুর (টিউবয়েল প্রতীক), উজ্জ্বল মিনজি (টিয়া পাখি), জাকারিয়া মন্ডল (বৈদ্যুতিক বাল্ব), মুনছুর রহমান (মাইক), শামীম আহম্মেদ (উড়োজাহাজ), সিএম আফরাঈম কাবীর (তালা প্রতীক), আলী আকবর মোঃ ইজাহারুল ইসলাম ডাবলু (চশমা) প্রতীক পেয়েছেন।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফারহানা রহমান বিথী (ফুটবল), আছমা বিবি (হাঁস), নাছিমা আক্তার (বৈদ্যুতিক পাখা), রুমানা পারভীন (কলস) প্রতীক পেয়েছেন।
পাঁচবিবি উপজেলা কে কোন প্রতীক:
চেয়ারম্যান পদে আবু বক্কর সিদ্দিক (আনারস), জাহিদুল আলম (কৈ মাছ), মনিরুল শহীদ মন্ডল (মটর সাইকেল), সোহরাব হোসেন (দোয়াত কলম), সাঈদ জাফর চৌধুরী (টেলিফোন), সাবেকুন নাহার (ঘোড়া) প্রতীক পেয়েছেন।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে ওয়াহিদুজ্জামান চৌধুরী (চশমা), আকরাম হোসেন তালুকদার (তালা), খালেকুল ইসলাম (টিউবওয়েল), ফরহাদ আলম (উড়োজাহাজ) প্রতীক পেয়েছেন।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তামান্না বেগম (প্রজাপতি), রাজিনারা টুনি (বৈদ্যুতিক পাখা), রেবেকা সুলতানা (ফুটবল), মৌসুমী আক্তার (ফুলের টব) প্রতীক পেয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, দ্বিতীয় ধাপের মনোনয়নপত্র বাছাই ২৩ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ২৪ থেকে ২৬ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২৭ এপ্রিল থেকে ২৯ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২ মে, আর ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।
উপজেলা নির্বাচন মনোনয়ন চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রতীক বরাদ্দ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটাক্ষ করে ফেসবুকে কুরুচিপূর্ন স্ট্যাটাস দেওয়ায় পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আবুল কালাম আজাদকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে কেন তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তা ৭ দিনের মধ্যে জানাতে ওই নেতাকে নির্দেশ দিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ।
খোঁজ
নিয়ে
জানা
গেছে,
গত
মঙ্গলবার (৩০
মে)
দিবাগত
রাতের
পর
কোনো
এক
সময়
আবুল
কালাম
আজাদ
তার
ফেসবুক
একাউন্টে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটাক্ষ
করে স্ট্যাটাস দেন।
পরদিন
বুধবার
(০১
মে)
সকালে
তার
লেখাটি
সবার
নজড়ে
আসার
পর
ভাইরাল
হয়ে
যায়।
এতে সমালোচনার ঝড়
ওঠে
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মাঝে।
সমালোচনার মুখে
বাধ্য
হয়ে
এক
পর্যায়ে পোস্টটি তার
ফেসবুক
থেকে
ডিলিট
করে
দেন
ওই
নেতা।
বিষয়টি উপজেলা ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের নজড়ে এনে তার শাস্তির দাবি জানান স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। পরে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় বুধবার (১ মে) রাতে এক চিঠিতে সরদার আবুল কালাম আজাদকে তার প্রস্তাবিত পদ থেকে অব্যহতি দেয় জেলা আওয়ামী লীগ।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন বেগম জিয়া?
জেলা
আওয়ামী লীগের দপ্তর
সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান
সুইট
স্বাক্ষরিত ওই
চিঠিতে
বলা
হয়,
'কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নির্দেশে পাবনা
জেলা
আওয়ামী লীগের জরুরী
সভার
সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা
সম্পর্কে ফেসবুকে অশালীন
ও
কুরুচপিূর্ন মন্তব্য করায়
সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের
কারণে
ভাঙ্গুড়া উপজেলা
আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার
আবুল
কালাম
আজাদকে
তার
সকল পদ
থেকে
অব্যহতি প্রদান
করা
হলো।
সেই সঙ্গে কেন
তাকে
স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা
হবে
না
তা
পত্র
প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে
জবাব
দিতে
নির্দেশ প্রদান
করা
হলো।
যদি
তিনি
সাত দিনের মধ্যে
জবাব
না
দেন
তাহলে
তাকে
স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের জন্য
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে
সুপারিশ করা
হবে।'
এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে সরদার আবুল কালাম আজাদের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
আরও পড়ুন: নির্দেশ অমান্যকারী মন্ত্রী-এমপিদের সাধারণ ক্ষমা?
পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স এমপি বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতার এমন স্ট্যাটাস খুবই ন্যাক্কারজনক। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে কথা বলে তাকে সকল পদ থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে।’
অব্যহতি আওয়ামী লীগ নেতা স্যাটাস কুরুচীপূর্ণ
মন্তব্য করুন
জাতীয় সংসদ রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটাক্ষ করে ফেসবুকে কুরুচিপূর্ন স্ট্যাটাস দেওয়ায় পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আবুল কালাম আজাদকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে কেন তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তা ৭ দিনের মধ্যে জানাতে ওই নেতাকে নির্দেশ দিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ।