ইনসাইড বাংলাদেশ

খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না যাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১:২৯ এএম, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯


Thumbnail

মর্গে থরে থরে সাজানো লাশ থেকে প্রিয়জনকে খুঁজে পেতে আকুল হয়ে আছেন স্বজনরা। প্রিয়জনের খোঁজে এখনো ভীড় করছেন স্বজন। চকবাজারের চুড়িহাট্টায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের লাশ উদ্ধারের পর নেয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে। সেখানেই স্বজনদের আহাজারি যদি এক টুকরো মাংসও পাওয়া যায়। উদ্ভ্রান্তের মতো ছুটছেন এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে, গড়াগড়ি খাচ্ছেন মাটিতে। কান্না আর আহাজারিতে বৃহস্পতিবার সারা দিন ভারী ছিল বাতাসও। শুক্রবার সকালেও এমন চিত্র দেখা গেছে।

প্রাপ্ত খবরে ৬৭ জনের লাশ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে সনাক্ত ৪৫ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। যাদের এখনো পাওয়া যায়নি। তাঁদের মধ্যে রয়েছে:

১. মর্গ চত্বরে মজিবর হাওলাদারের লাশের অপেক্ষায় রয়েছেন তার ছেলে মামুন ও স্বজনরা।

২. সন্তানের লাশের জন্য আহাজারি করছেন রাজীব মৃধা। আগুন লাগার ১০ মিনিট আগেও ছেলের সঙ্গে কথা হয় মোবাইল ফোনে।

৩. আছিয়া বেগম হারিয়েছেন ৬ বছর বয়সী ছোট ভাইকে। মোবাইল ফোনে ছবি দেখিয়ে আহাজারি করছেন। বলছেন, ‘আমার ভাইডারে আনে দাও। আমার ভাই স্কুলে যাবে।’

৪. তাসলিমা আক্তার হাঁরিয়েছেন তার দুই ভাই ও ভাইয়ের ২ বাচ্চাকে।  তখন পর্যন্ত লাশ শনাক্ত করতে পারেননি তিনি। ভাইয়ের খোঁজে এসেছেন কাজী এনামুল হক। লাশ শনাক্ত করতে পারেননি তিনিও।

৫. চাচা কাজী এনামুল হক অভির খোঁজে মর্গ ও জরুরি বিভাগে ঘুরছেন কাজী জহির।

৬. ছোট ভাই আনোয়ার হোসেনকে (৩৫) খুঁজতে এসেছেন শাহাদত হোসেন। জরুরি বিভাগের সামনে টাঙানো আহতদের তালিকা কিংবা মর্গে রাখা লাশ- কোথাও তিনি পাচ্ছেন না ভাইয়ের সন্ধান।

৭. হাজী বান্নু রোডে থাকতেন শাহীন (৪৫)। বিভিন্ন পণ্যের ‘ব্রোকার’ হিসেবে কাজ করতেন তিনি। তাকেও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

৮. মো. সেলিম নামের একজন বন্ধু রেজাউল ইসলামকে খুঁজছেন। রেজাউল আহত হয়েছেন বলে জানতে পেরেছেন সেলিম। রেজাউল ওয়্যার হাউসে কাজ করেন। তার বাড়ি কেরানীগঞ্জে।

৯. এখনও সন্ধান পাওয়া যায়নি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএর ছাত্র তানজিল হাসান খান রোহানের। আজ শুক্রবার ভোর বেলা স্বজনেরা রোহানের সন্ধানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে গিয়েছেন।

১০. দোলা ও বৃষ্টি নামে দুই আবৃতিকার নিঁখোজ রয়েছেন। বুধবার সকালেও তাঁদের খোজ মেলেনি। বুধবার রাত ১০টার দিকে পরিবারের সঙ্গে যখন তারা শেষ কথা বলেন। তখন তাঁদের অবস্থান চক বাজারের আশেপাশে ছিল।

১১. বুধবার রাতে যে স্থানে ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে তার পাশেই একটি ফার্মেসি থেকে অসুস্থ মায়ের জন্য ওষুধ কিনতে যান ব্যবসায়ী নাফিজ। এখন পর্যন্ত তার কোন সন্ধান পায়নি নাফিজের স্বজনরা।

অনেকেই আশা করছেন, অক্ষত বা জীবিত তো এখন পাওয়া সম্ভব নয়। এখন পর্যন্ত যাদের সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তাদের মধ্যে হয়তো আছেন তাদের প্রিয় স্বজনরা।


বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

১০ টাকায় টিকিট কেটে চোখ পরীক্ষা করালেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০১:২১ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

সাধারণ রোগীদের মতো ১০ টাকার টিকিট কেটে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে নিজের চোখ পরীক্ষা করিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুক্রবার (৩ মে) সকালে প্রধানমন্ত্রী ওই হাসপাতালে যান প্রধানমন্ত্রী। তারপর লাইনে দাঁড়িয়ে নিজেই টিকিট সংগ্রহ করেন।

এরপর প্রধানমন্ত্রী সাধারণ রোগীদের মতোই নিজের চোখ পরীক্ষা করান। সরকারি হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ ঘটনা দেখে উপস্থিত অনেকেই উচ্ছ্বাস ও আনন্দ প্রকাশ করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা   জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কারামুক্ত হলেন মাওলানা মামুনুল হক

প্রকাশ: ১২:১৯ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

জামিনে মুক্তি পেয়েছেন হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক। শুক্রবার (০৩ মে) সকাল ১০টার দিকে তাকে গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয়।

পরে রিজার্ভ গার্ডে তাকে বসিয়ে রাখা হয় এবং বেলা ১১টার দিকে কারাগারের মূল ফটক থেকে তিনি বের হয়ে যান। গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার মামুনুল হকের জামিনের কাগজপত্র কারাগারে এসে পৌঁছায়। পরে তা যাচাই-বাছাই শেষে আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে মাওলানা মামুনুল হককে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।

জানা গেছে, মামুনুল হকের জিম্মাদার অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী আসতে দেরি হওয়ায় তাকে প্রায় এক ঘণ্টা রিজার্ভ গার্ডে বসিয়ে রাখা হয়। পরে বেলা ১১ টার দিকে সাদা রঙের একটি গাড়িতে করে তিনি কারাগারের মূল ফটো থেকে বের হয়ে যান।

এ সময় মামুনুল হকের সঙ্গে ছিলেন তার ছেলে জিসান ও ভাগিনাসহ আরো কয়েকজন। এর আগে, বৃহস্পতিবার রাতে মামুনুল হক কারাগার থেকে মুক্ত পাবেন, এমন খবরে আলেম-ওলামারা কারা ফটকে ভিড় করেন। সন্ধ্যার পর থেকেই কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে ভিড় করতে শুরু করেন মামুনুল হকের সমর্থকরা।  


মাওলানা মামুনুল হক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচন: উঠান বৈঠকে বদির বিরুদ্ধে ফাঁকা গুলি ছোড়ার অভিযোগ

প্রকাশ: ১২:১৪ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

কক্সবাজারের টেকনাফের বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল আলমের উঠান বৈঠকে তার সমর্থকদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করার জন্য সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির বিরুদ্ধে ফাঁকা গুলি ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত ১০টার দিকে উপজেলার হোয়াইক্ষং পশ্চিম মহেশখালীয়া পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। 

উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলম বলেন, আমি বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি। আমার নির্বাচনী এলাকার হোয়াইক্ষং পশ্চিম মহেশখালীয়া পাড়ায় আমার একটি উঠান বৈঠক ও আলোচনা সভা ছিল। সেখানে হঠাৎ সাবেক এমপি বদি (আব্দুর রহমান বদি) চেয়ারম্যান প্রার্থী জাফর আলমকে সঙ্গে নিয়ে আমার অনুষ্ঠানস্থলে এসে দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি করেন।

তখন ভয়ে আমার সমর্থকরা পালিয়ে যায়। আমি জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল দিয়েছি। পরে সেখান থেকে বের হয়ে থানায় অভিযোগ করেছি। সাবেক এমপি বদি আমার সমর্থকদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন। যাতে কেউ আমার বিরুদ্ধে কাজ না করে। আমার জনপ্রিয়তা বদি সাহেব মেনে নিতে পারছেন না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী জাফর আলম বলেন, গুলি ছোড়ার ঘটনা পুরাপুরি মিথ্যা। উল্টো নুরুল আলম আমার এক সমর্থককে ধরে নেওয়ার খবর শুনে আমি আর বদি ভাই (সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদি) সেখানে যাই।

টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওসমান গনী ঢাকা পোস্টকে বলেন, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলমের একটি অনুষ্ঠানে ফাঁকা গুলি ছোড়ার ঘটনা শুনেছি। খবর পেয়ে আমাদের পুলিশের টিম সেখানে গিয়েছে। এ ঘটনায় নুরুল আলম একটি অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে কথা বলতে সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।


উপজেলা নির্বাচন   উঠান বৈঠক   অভিযোগ   সাবেক এমপি   আব্দুর রহমান বদি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

গাজীপুরে মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে যাত্রীবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ, আহত বহু

প্রকাশ: ১১:২৩ এএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

গাজীপুরের জয়দেবপুরে মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে যাত্রীবাহী ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৫টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে অন্তত অর্ধশতাধিক যাত্রী আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (৩ মে) সকালে জয়দেবপুর স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। তবে টাঙ্গাইল কমিউটারে খুব বেশি যাত্রী ছিলেন না বলে জানা গেছে। জয়দেবপুর স্টেশনমাস্টার হানিফ মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনটি উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে এসে গাজীপুর হয়ে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। ট্রেনটি জয়দেবপুর স্টেশনের আউটার সিগনালে পৌঁছালে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা তেলবাহী ট্রেনের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। তবে টাঙ্গাইল কমিউটারে খুব বেশি যাত্রী ছিল না।


দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত সিলেটের নিম্নাঞ্চল

প্রকাশ: ১০:১৪ এএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হয়েছে সিলেটের নিম্নাঞ্চল। একই সঙ্গে সুরমা, কুশিয়ারা, পিয়াইন, ধলাই ও সারিসহ বিভিন্ন নদনদীর পানিও বাড়তে শুরু করেছে। সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া কুশিয়ারার পানি আমলশীদ পয়েন্টে বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। 

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় সুরমা নদীর কাইনাইঘাট পয়েন্টে ১১ দশমিক ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। যা ছিল বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৩১ সেন্টিমিটার ওপরে। রাত ৯টায় তা আরও বেড়ে ১১ দশমিক ৬৫ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস জানান, পাহাড়ি ঢলের কারণে নদনদীতে পানি বাড়ছে। 

জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে সালিক রুমাইয়া বলেন, জৈন্তাপুর উপজেলায় অনেক বেশি বৃষ্টিপাত হয়। পাহাড়ি ঢলের সঙ্গে টানা বৃষ্টিতে আকস্মিক বন্যা (ফ্ল্যাশ ফ্লাড) পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি এবং জনসাধারণকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।



মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন