নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ১৮ মার্চ, ২০১৯
সিঙ্গাপুরে চিকিৎসারত আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে দেশের খবর জানতে দেয়া হচ্ছে না। তিনি যেন শারীরিকভাবে সুস্থ থাকেন এবং কোন কারণে উত্তেজিত না হন এজন্যই দেশের খবর থেকে তাকে আড়াল করা হয়েছে। ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে থাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) পরিচালক ও অধ্যাপক আবু নাসার রিজভী এবং কাদেরের স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে বাংলা ইনসাইডারের পক্ষ থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
তারা জানিয়েছেন, ওবায়দুল কাদের এখন আগের চেয়ে অনেক সুস্থ রয়েছেন। তিনি এখন কেবিনে অবস্থান করছেন। নিজে নিজে হাঁটাচলা করছেন। হালকা খাওয়া দাওয়া করছেন। তবে তার যে বাইপাস সার্জারি হবে, সেটা এখন পর্যন্ত তাকে জানানো হয়নি। এ ব্যাপারে ডা. রিজভী বলেছেন, বাইপাস সার্জারির কথা শুনলে তিনি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়তে পারেন। এর ফলে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে পারে। এ জন্য তাকে জানানো হয়নি। তাছাড়া তিনি আরও জানান, এখনও বাইপাসের দিন তারিখ চূড়ান্ত করা হয়নি।
ডা. রিজভী জানান, ওবায়দুল কাদেরের স্নায়বিক কোন সমস্যা ধরা পড়েনি। তিনি সবকিছু ঠিকঠাক মনে করছেন। তিনি যখন কথা বলতে শুরু করেন, তখন তিনি প্রথমে জিজ্ঞাসা করেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কেমন আছেন?’ এরপর তিনি জানতে চান, দেশে এতো ভালো ভালো হাসপাতাল থাকতে তাকে কেন সিঙ্গাপুর আনা হয়েছে? তখন তার স্ত্রী তাকে বলেন যে, তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তাকে সিঙ্গাপুর আনা হয়েছে। তখন ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এই চিকিৎসার খরচ কিন্তু আমি, বহন করবো।’ ওবায়দুল কাদেরের স্ত্রী তাকে জানান যে, কে চিকিৎসার খরচ বহন করবে না করবে সেটি বড় বিষয় নয়। সেটি পরবর্তীতে দেখা যাবে।
জানা গেছে, ওবায়দুল কাদের জানতে চেয়েছেন, ডাকসু নির্বাচনের ফলাফল কী? এ ব্যাপারে ডা. রিজভী বাংলা ইনসাইডারকে বলেছেন, ডাকসু নির্বাচনের ফল তাকে জানানো হয়নি। আমরা চাইছি তিনি যেন দেশের রাজনৈতিক কোন খবর বা তথ্য নিয়ে উত্তেজিত না হন। চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়েছেন, কোন অবস্থাতেই তাকে এমন কোন তথ্য দেয়া যাবে না যাতে তিনি উত্তেজিত হতে পারেন বা মানসিকভাবে ভেঙে পড়তে পারেন। এ জন্য তাকে সংবাদপত্রও দেয়া হচ্ছে না। ডা. রিজভী জানান, ওবায়দুল কাদেরের মধ্যে কোন অস্থিরতা নাই। এজন্য দেশের তথ্য জানার জন্য তিনি কোন চাপ প্রয়োগও করছেন না।
আজ সকালে তিনি ডা. রিজভীকে বলেছেন, লেখালেখির জন্য তাকে কাগজ কলম দেয়া যায় কি না। তখন ডা. রিজভী বলেছেন, এখন তার লেখালেখির দরকার নেই। তিনি পুরোপুরি সুস্থ হলে তারপর লেখালেখি করলে হবে। কবে নাগাদ তিনি সুস্থ হবেন এব্যাপারে ওবায়দুল কাদের জানতে চেয়েছেন। তখন তার স্ত্রী তাকে বলেছেন, খুব শিগগিরই তিনি সুস্থ হয়ে দেশে ফিরে আসবেন।
ওবায়দুল কাদের আজ জানতে চান, পদ্মাসেতুর কাজের কী অবস্থা এবং কতটুকু অগ্রগতি হয়েছে? এ ব্যাপারে তাকে বলা হয়েছে, সব কাজ ঠিকমতো চলছে। দেশ ভালো আছে। সবাই আপনার জন্য দোয়া করছে যেন আপনি দ্রুত সুস্থ হয়ে দেশে ফেরেন।
ওবায়দুল কাদের হাঁটাচলা করলেও এখনও অনেক দুর্বল রয়েছেন এবং খুব আস্তে তিনি কথাবার্তা বলছেন। চিকিৎসকরা তাকে নিবিড়ভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন। খুব শিগগিরই তার বাইপাস সার্জারির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে ডা. রিজভী জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ৩ মার্চ সকালে ওবায়দুল কাদের অসুস্থ হলে তাকে দ্রুত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) নেয়া হয়। সেখানে তার এনজিওগ্রাম শেষে হার্টে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। তার মধ্য থেকে একটি ব্লক অপসারণ করে রিং পরানো হয়। পরের দিন ৪ মার্চ তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে নেয়া হয়।
বাংলা ইনসাইডার/এমআর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নওগাঁর নিয়ামতপুরে ৪ চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেছেন। প্রতীক বরাদ্দের পরও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে ফেসবুক লাইভে এসে উপজেলা চেয়ারম্যান ওই চার জন পদপ্রার্থী নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন। সোমবার (০৬ মে) সকালে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে জাহিদ হাসান বিপ্লব ও আবেদ হাসান মিলন নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা নিশ্চিত করেন।
নির্বাচন বর্জনকারী প্রার্থীরা হলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব আবুল কালাম আজাদ, সিনিয়র সহ- সভাপতি শ্রী ঈশ্বর চন্দ্র বর্মন, সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান বিপ্লব এবং নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক আবেদ হোসেন মিলন।
এদিকে গত ২ মে প্রতীক বরাদ্দের পর আবুল কালাম আজাদ (কাপ পিরিচ), শ্রী ঈশ্বর চন্দ্র বর্মন (ঘোড়া), জাহিদ হাসান বিপ্লব (হেলিকপ্টার) ও আবেদ হাসান মিলন (আনারস) প্রতীক পেয়েছিলিন। প্রতীক বরাদ্দের পর তারা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনী গণসংযোগও চালিয়েছেন।
অভিযোগ কারীরা জানান, ‘উপজেলায় সুষ্ঠু ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন করতে আমরা ইতিমধ্যে সব প্রস্ততি সম্পন্ন শেষ করেছি। সরকার ও আওয়ামী লীগ দলের নির্দেশে এবং খাদ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপির ভাবমূর্তি ও সম্মান রক্ষা করার জন্য সবসময় তাকে নিরপেক্ষ রাখার চেষ্টা করেছি। কিন্তু একজন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও তার কর্মী সমর্থকরা আইন ও নির্দেশ অমান্য করে খাদ্যমন্ত্রী ও তার পরিবারের নাম ব্যবহার করছে। আমাদের বিভিন্ন ভাবে ভয় ভীতি দেখিয়ে তারা নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় অধিকাংশ নেতাকর্মীরা ইচ্ছার বিরুদ্ধে ওই প্রতিদ্বন্দ্বির পক্ষে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন। এমনকি ইউপি চেয়ারম্যানগণকে বাধ্য করা হচ্ছে ওই পক্ষের হয়ে কাজ করতে। এমত অবস্থায় নিয়ামতপুর উপজেলার সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা এবং দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে হানাহানি ও দ্বন্দ্ব ইত্যাদি রক্ষায় আমরা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিলাম।’
উল্লেখ্য, নিয়ামতপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৬ জন মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছিলেন। মনোনয়ন পত্র যাচাই-বাছাই শেষে ছয় জন প্রার্থীই প্রতীক পেয়েছিল। এখন নির্বাচনী মাঠে রইলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহরাব হোসেন।
উপজেলা নির্বাচন চেয়ারম্যান প্রার্থী বর্জন
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন (আনারস) ও রাশেদ ইউসুফ জুয়েলকে (দোয়াত কলম) শোকজ করেছে রিটার্নিং কর্মকর্তা।
সোমবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটানিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আনারস প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিনকে ১২ ঘণ্টা এবং দোয়াত কলম প্রতীকের প্রার্থী রাশেদ ইউসুফ জুয়েলকে ২৪ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে শোকজের লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে।
শোকজ নোটিশে বলা হয়েছে, রাশেদ ইউসুফ জুয়েল (দোয়াত কলম) আচরণবিধি লঙ্ঘন করে কর্মী-সমর্থক দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা সৃষ্টি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন মর্মে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ ঘটনায় উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ২০১৬ এর বিধি ৩ ও বিধি ৩১ এর পরিপন্থি।
এ অবস্থায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের কারণে রাশেদ ইউসুফ জুয়েলের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা জানতে গতকাল রোববার নোটিশ দেওয়া হয়। নোটিশে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় উপজেলা পরিষদ বিধিমালা ২০১৩ ও উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ২০১৬ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।
রিয়াজ উদ্দিনের নোটিশে বলা হয়েছে, রোববার (৫ মে) রাতে সদর উপজেলার কালিয়া হরিপুর ইউনিয়নের কাদাই গার্ডেন প্যালেস রিসোর্টে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে গোপন বৈঠক করে অর্থ লেনদেনের চেষ্টা করেছেন মর্মে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া প্রার্থী মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিনের সমর্থক রিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ফজলুর রহমান ফজলু আনারস প্রতিকের টি-শার্ট পরে শহরের মাহমুদপুর এলাকায় ভোটারদের মধ্যে টাকা বিতরণ করেছেন মর্মে লিখিত অভিযোগ করেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রাশেদ ইউসুফ জুয়েল। এমন কর্মকান্ড উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ২০১৬ এর বিধি ১৭ এর পরিপন্থি।
এ অবস্থায় আচরণ বিধি লঙ্ঘনের কারণে মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা জানতে আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে সশরীরে উপস্থিত হয়ে লিখিত ও মৌখিকভাবে জবাব দিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় উপজেলা পরিষদ বিধিমালা ২০১৩ ও উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ২০১৬ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপে আগামী ৮ মে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে মোট পাঁচজন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।
উপজেলা নির্বাচন চেয়ারম্যান প্রার্থী শোকজ
মন্তব্য করুন
দীর্ঘ তীব্র তাপপ্রবাহের শেষে অবশেষে পটুয়াখালীতে দেখা মিলেছে স্বস্তির বৃষ্টির। সোমবার (৬ মে) বিকেল ৪ টার দিকে আকাশে মেঘ করে শীতল হাওয়া বইতে শুরু করে তারপর সাড়ে ৪ টার দিকে হালকা গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। মুষলধারে বৃষ্টি না হলেও তীব্র গরমে হাঁপিয়ে ওঠা জনজীবন একটু হলেও স্বস্তির নিশ্বাস নিচ্ছে।
মানুষ বৃষ্টি দেখে উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েছেন। অনেকে মৌসুমের প্রথম বৃষ্টিতে গা ভিজিয়ে নিচ্ছেন মনের আনন্দে। অনেকে আবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়ে জানান দেন স্বস্তির বৃষ্টি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে কেউ কেউ সৃষ্টিকর্তার নিকট কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছেন।
উল্লেখ্য, এবার এপ্রিলে দীর্ঘতম তাপদাহ বয়ে গেছে দেশজুড়ে। ১৯৮১ সালের পর এবারের এপ্রিল ছিল শুষ্কতম মাস। শুধু উষ্ণতম নয়, এই এপ্রিল ছিল গত ৪৩ বছরের মধ্যে সবচেয়ে শুষ্কতম। দেশের গড় বৃষ্টিপাত ছিল এক মিলিমিটার।
মন্তব্য করুন
নওগাঁর নিয়ামতপুরে ৪ চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেছেন। প্রতীক বরাদ্দের পরও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে ফেসবুক লাইভে এসে উপজেলা চেয়ারম্যান ওই চার জন পদপ্রার্থী নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন। সোমবার (০৬ মে) সকালে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে জাহিদ হাসান বিপ্লব ও আবেদ হাসান মিলন নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা নিশ্চিত করেন।