ইনসাইড বাংলাদেশ

কাজ ছাড়া কাছের মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ২৪ মার্চ, ২০১৯


Thumbnail

একজন রাজনীতিবিদের জীবন কর্মব্যস্ততায় ভরা। তাকে সারাক্ষণ কাজের মধ্যে থাকতে হয়। কখনও দেশের কাজ, কখনও দলের কাজ। রাজনৈতিক কলাকৌশলের গোপন বৈঠকেও বসতে হয়। সারাক্ষণ নানারকম ব্যস্ততা, নানারকম বৈষয়ক চাহিদা, নানারকম ঝঞ্ঝাট মেটানোই রাজনীতিবিদদের প্রধান দায়িত্ব। আর তিনি যদি সরকার প্রধান হন তাহলে তো কথাই নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সারাদিনই কাটে ব্যস্ততার মধ্যে। নানারকম সরকারী কাজ, দেনদরবার, তদবির আবদার, আর রাজনৈতিক কৌশল নির্ধারণেই তার কর্মব্যস্ত সময় কাটে। এর মধ্যেই তার একান্ত কাছের কিছু মানুষ আছেন, যাদের সঙ্গে তিনি রাজনীতি, স্বার্থ, তদবির, দেন-দরবারের বাইরে শুধুমাত্র কিছুটা নির্মল সময় কাটান। এই নির্মল সময় কাটানো প্রত্যেক মানুষের জন্যই জরুরি। প্রত্যেকেই তাদের কাজ, স্বার্থের সংঘাতের বাইরে একটা বলয় গড়ে তোলেন, যেখানে তিনি বুক ভরে নিঃশ্বাস নিতে পারেন, মন খুলে কর্থাবার্তা বলতে পারেন। কিছুটা স্বার্থহীন সময় কাটাতে পারেন।

একটা মানুষের যেমন এইরকম স্বার্থহীন সম্পর্কের নিরেট আড্ডা জরুরি, তেমনি রাজনীতিবিদদের জন্যও এরকম স্বার্থহীন, নির্মল আলাপচারিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নাহলে যে কোন রাজনীতিবিদই দমবন্ধ অবস্তায় পড়তেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রীরও এরকম দমবন্ধ পরিস্থিতি থেকে মুক্তির জন্য কিছু কাজহীন কাছের মানুষ আছেন। তার কাজহীন কাছের মানুষের মধ্যে নিঃসন্দেহে তার পরিবারের সদস্যরা সবার আগে। সেখানে তার ছোট বোন শেখ রেহানা, তার দুই সন্তান ও তাদের সন্তানরা অবশ্যই এই কাজহীন সম্পর্কের প্রধান বলয়। এই প্রধান বলয়ের বাইরেও প্রধানমন্ত্রীর কাছের কিছু মানুষ আছেন যাদের সঙ্গে তিনি নির্মল সময় কাটান। যাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলে, হাসি ঠাট্টা করে, কিংবা স্বার্থহীন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করে স্বস্তি পান। এই স্বস্তিটাই তাকে কর্মদীপ্ত করে এবং একটা ঝঞ্ঝাটমুক্ত সময় কাটিয়ে তিনি আবার সজীব হয়ে ওঠেন। এরকম কিছু মানুষের আমরা সন্ধান পেয়েছি যারা কোন রকম কাজ বা স্বার্থ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর কাছের মানুষ। এদের মধ্যে কয়েকজন নিয়ে আজকের এই প্রতিবেদন।

১. চিত্রশিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদ: শাহাবুদ্দিন আহমেদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খুব প্রিয় শিল্পীদের মধ্যে একজন। প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তিগতভাবে তাকে খুবই পছন্দ করেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শাহাবুদ্দিনের সম্পর্ক ভাইবোনের। প্যারিসপ্রবাসী এই শিল্পী প্রধানমন্ত্রী ডাক দিলেই ছুটে চলে আসেন। সম্প্রতি তিনি টাঙ্গাইলের কুমুদিনীর এক অনুষ্ঠানের জন্য তিনি বাংলাদেশের এসেছিলেন। সেখানে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কিছু সময় কাটিয়েছিলেন। পরে গণভবনে এসে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আড্ডায় মেতে ওঠেন। গণভবনের জন্য একটি নতুন ছবির পরিকল্পনাও তিনি করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার আলাপচারিতা হয় ছবি, চিত্রকলা, সর্বশেষ চিত্রকলার অবস্থা নিয়ে। অনেকেই হয়তো জানেন না, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন ভালো চিত্রবোদ্ধা। তিনি ভালো ছবি বোঝেন এবং গণভবনে ওঠার পর থেকে তিনি গণভবনকে সাজিয়েছেন নানারকম চিত্রকলার সমাহারে। শিল্পী শাহাবুদ্দিনের সঙ্গে তার সম্পর্ক আবেগঘন এবং অনেক পুরনো। সেকারণেই তার সঙ্গে যখন প্রধানমন্ত্রীর সময় কাটে তখন স্বার্থের কোন বেড়াজাল থাকে না।

২. রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা: রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা একজন রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী। তিনি প্রধানমন্ত্রীর ছোটবোন শেখ রেহানার সঙ্গে একই স্কুলে পড়তেন। সেই সূত্রে তাদের একটি পারিবারিক সখ্যতাও রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার সম্পর্ক বড় বোন ছোট বোনের। প্রধানমন্ত্রীর বিনোদনের একটি বড় উৎস হলো রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার গান। যে চ্যানেলেই বন্যার গান হোক না কেন, প্রধানমন্ত্রী সেসময় অবসরে থাকলে সে গান তিনি শুনবেনই। প্রধানমন্ত্রী বন্যার গানের সিডিগুলো নিজের কাছে রাখেন। একটু অবসর পেলেই সেই গানগুলো তিনি বারবার শোনেন। কিছুদিন আগে বন্যার এক লাইভ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী সরাসরি ফোন করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন। বন্যাকেও প্রধানমন্ত্রী মাঝে মাঝে ডেকে নেন। তার গান শোনেন। রবীন্দ্র সঙ্গীত ও সঙ্গীতের বিভিন্ন দিক নিয়ে তার সঙ্গে আড্ডায় মেতে ওঠেন। যে আড্ডাটা শুধুই নির্মল, সেখানে কোন চাওয়া পাওয়ার সম্পর্ক নেই।

৩. ডা. নুজহাত চৌধুরী: ডা. নুজহাত চৌধুরী শহীদ বুদ্ধিজীবি ডা. আলীম চৌধুরীর মেয়ে। তিনিও পেশায় চিকিৎসক এবং বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে চক্ষুবিজ্ঞান বিভাগে অধ্যাপনা করেন। চিকিৎসক পরিচয়ের আড়ালে তার বড় পরিচয় হলো তিনি একাত্তরের শহীদদের সন্তানদের সংগঠন ‘প্রজন্ম একাত্তর’ এর অন্যতম নেতা। তিনি প্রধানমন্ত্রী খুবই স্নেহের পাত্র। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার মাঝে মাঝেই সাক্ষাৎ হয়। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তারা কথা বলেন। কিন্তু সে বিষয়গুলোর মধ্যে কোন স্বার্থ, দেন-দরবার বা কোন তদবির নেই। নুজহাত চৌধুরী কোন মন্ত্রী বা এমপিও নন। এ ধরনের দায়িত্ব গ্রহণে কখনও কোন আগ্রহ তার আছে বলে জানা যায় না। চিকিৎসা করেন, স্বাধীনতা-মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের কথা বলেন। আর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার নানা বিষয় নিয়ে আলাপচারিতাও ভালই জমে।

এই তিনজন ছাড়াও আরও কিছু মানুষ আছে প্রধানমন্ত্রী যাদেরকে ডেকে নেন। তাদের সঙ্গে সময় কাটিয়ে সজীব হয়ে ওঠেন। যাদেরকে প্রশ্রয় দিলেও তারা তাকে ব্যবহার করবে না, তাকে ব্যবহার করে কোন কিছু হাসিল করতে চাইবে না বা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কের সুযোগে কোন অবৈধ সুযোগ সুবিধা নেবে না, এরকম কিছু মানুষকে ঘিরেই প্রধানমন্ত্রীর কাছের মানুষের বলয়। যে বলয়ে কোন কাজ নেই। যারা প্রধানমন্ত্রীর জীবনে টনিক হিসেবে কাজ করেন।    

 

বাংলা ইনসাইডার



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ভারতে মোদি হারলে বাংলাদেশে কী হবে?

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।

প্রথম দুই দফা ভোটের যে হার, তাতে বিজেপির মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিজেপির নেতারা ভোটে যে ভূমিধস বিজয় আশা করছিলেন সেটি হবে না। ভারতের কোন কোন গণমাধ্যমগুলো ভোটের ফলাফলে নাটকীয় ঘটনা ঘটারও ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষ করে ২০০৪ সালের নির্বাচনে যেভাবে কংগ্রেস অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে বিজেপিকে ধরাশায়ী করেছিল সেরকম কোন ঘটনা ঘটতেও পারে বলে মনে আশঙ্কা করছেন অনেকে। অবশ্য এখনও আরও পাঁচ দফা ভোট বাকি আছে এবং বিজেপি আশা করছে যে, পরবর্তী ধাপগুলোতে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে এবং বিজেপি তাদের জয়ের ধারা অক্ষুণ্ণ রাখবে। নরেন্দ্র মোদি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে দেওয়ার জন্য বারবার আহ্বান জানাচ্ছেন।

ভারতের নির্বাচনের ফলাফল কী হবে তা বোঝা যাবে আগামী ৪ জুন। কিন্তু এখন পর্যন্ত যে ভোটের হাওয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাতে এটা স্পষ্ট যে, ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি জোটের যে নিরঙ্কুশ বিজয়ের ধারণা করা হয়েছিল, সেটি বাস্তবতা নাও পেতে পারে। আর এ কারণেই মোদী যদি শেষ পর্যন্ত পরাজিত হন, তাহলে সেটি হবে ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি বড় ব্যতিক্রমী ঘটনা এবং এটি হবে ভারতের নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চমক।

এখন যখন ভারতের নির্বাচনে একটি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বা অনিশ্চয়তার ফলাফলের শঙ্কা জেগেছে তখন প্রশ্ন উঠছে যে, বিজেপি যদি এই নির্বাচনে পরাজিত হয় তাহলে বাংলাদেশে কী হবে? গত দুটি নির্বাচনে ভারতের বিজেপি সরকার বাংলাদেশকে নিরঙ্কুশভাবে সমর্থন দিয়েছে। ২০১৮ এবং ২০২৪ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি সরকার।

বিশেষ করে ২০২৪ এর নির্বাচনে ভারতীয় সরকারের পরিপূর্ণ সমর্থন ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করত এবং এই নির্বাচনকে অস্বীকৃতি জানাত বলেও অনেকে মনে করেন। মার্কিন মনোভাব পাল্টানোর ক্ষেত্রে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আর নির্বাচনের পর বিএনপি থেকে শুরু করে জাতীয় পার্টি প্রত্যেকেই বলছে যে, ভারত বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখেছে। যদিও এরকম অভিযোগকে আওয়ামী লীগ অস্বীকার করে এবং আওয়ামী লীগ মনে করে যে, জনগণের ভোটে তারা নির্বাচিত হয়েছে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি আওয়ামী লীগ বা বিজেপি কেউই অস্বীকার করে না।

এখন প্রশ্ন হল, যদি বিজেপি পরাজিত হয়, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশের সমীকরণ কী হবে? কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে, বর্তমান সরকারের জন্য সমীকরণের কোন পরিবর্তন হবে না। কারণ ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গেও আওয়ামী লীগ সরকারের একটি সুসম্পর্ক রয়েছে। ইতোমধ্যে ইন্ডিয়া জোটের প্রধান দল কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা দিয়েছে।

অনেকে মনে করেন যে, এখন ভারতে কট্টর হিন্দুত্ববাদী মনোভাবের কারণে সীমান্তে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য রাখা হচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশের মধ্যে একটা ভারতবিরোধী মনোভাব তৈরি হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত যদি নরেন্দ্র মোদি তাহলে এই অবস্থানের পরিবর্তন হবে। দুই দেশের সম্পর্ক আরও বিকশিত হবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।


ভারত   লোকসভা নির্বাচন   মল্লিকার্জুন খাড়গে   নরেন্দ্র মোদি   বাংলাদেশ   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বাল্যবিবাহ রোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে: ড. কামাল উদ্দিন

প্রকাশ: ০৬:২৮ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বাল্যবিবাহ রোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। বাল্যবিবাহের বহুমাত্রিক ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে। একটি শিশু হয়েও গর্ভে ধারণ করতে হয় আরেকটি শিশুকে। শিকার হতে হয় পারিবারিক সহিংসতা ও নির্যাতনের।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর একটি হোটেলে বেসরকারি সংস্থা প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন। 

ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, বাল্যবিবাহে বাড়ছে মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু। আবার শিশু জন্মগ্রহণ করেই পুষ্টিহীনতাসহ অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হচ্ছে ৷ বাল্যবিবাহের মাধ্যমে কন্যাশিশুর স্বপ্নগুলো ভেঙে দেওয়া হয়। এটি অমানবিক এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন। দেশকে বাল্যবিবাহ মুক্ত করতে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। 

বক্তারা বলেন, সমাজে নারী ও শিশু নির্যাতন, স্বাস্থ্য খাতে অনাচার, কিশোর অপরাধ, মাদকাসক্তিসহ অনেক সামাজিক সমস্যা বিদ্যমান। এগুলো অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে প্রতিরোধ করতে হবে। সুন্দর ও মানবিক সমাজ নির্মাণের লক্ষ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সহমর্মিতার ভিত্তিতে মানবাধিকার ধারণাটির অবাধ বিস্তার ঘটাতে হবে। তারা শিশুর বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি, সংসদ সদস্য আরমা দত্ত, গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে. চৌধুরী প্রমুখ। 

বাল্যবিবাহ   সামাজিক আন্দোলন   ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ   জাতীয় মানবাধিকার কমিশন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পদ্মা সেতুতে টোল আদায়ের মাইলফলক স্পর্শ

প্রকাশ: ০৬:০৯ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পদ্মা সেতু এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা টোল আদায়ের মাইলফলক স্পর্শ করেছে। সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, দেশের বৃহত্তম এই সেতু চালু হওয়ার পর থেকে শনিবার (২৭ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত এক হাজার ৫০২ কোটি ৬২ লাখ ১৫ হাজার ৯০০ টাকা টোল আদায় হয়েছে।

এ পর্যন্ত সেতুর উভয় প্রান্ত দিয়ে যানবাহন পারাপার হয়েছে ১ কোটি ১২ লাখ ৯১ হাজার ৯৫টি। এর মধ্যে মাওয়া প্রান্ত দিয়ে পারাপার হয়েছে ৫৬ লাখ ১ হাজার ২৩২ টি। অপরদিকে, জাজিরা প্রান্ত থেকে যানবাহন পারাপার হয়েছে ৫৬ লাখ ৮৯ হাজার ৮৬৩টি।

রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করে পদ্মা সেতু সাইট অফিসের অতিরিক্ত পরিচালক আমিরুল হায়দার চৌধুরী জানান, সেতু দিয়ে আশানুরূপ টোল আদায় অব্যাহত রয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন। পরদিন থেকে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয় সেতুটি। চালু হওয়ার পর প্রথম দিন ৫১ হাজার ৩১৬টি যানবাহন সেতু ব্যবহার করেছিল। সেদিন টোল আদায় হয় ২ কোটি ৯ লাখ ৩১ হাজার ৫৫০ টাকা।

পদ্মা সেতু   টোল আদায়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য প্রণব কুমার বড়ুয়া আর নেই

প্রকাশ: ০৬:০৭ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ড. প্রণব কুমার বড়ুয়া মারা গেছেন। 

রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে চট্টগ্রামের নিজ বাসায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। 

মৃত্যুকালে তিনি তিন ছেলে, দুই মেয়ে, পুত্রবধূ, জামাতা, নাতি-নাতনি ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। 

প্রণব কুমার বড়ুয়া ১৯৩৪ সালের ২৩ আগস্ট চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার আবুরখীল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাংলা সাহিত্য ও পালিতে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।  

শিক্ষায় বিশেষ অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে ২০১৯ সালে একুশে পদক প্রদান করে। কর্মজীবনে এই শিক্ষাবিদ ৩৫ বছরের বেশি শিক্ষকতা করেছেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি বিভাগে খণ্ডকালীন অধ্যাপক হিসেবেও শিক্ষকতা করেছেন। এছাড়া, কানুনগোপাড়া কলেজ, রাঙ্গুনিয়া কলেজ, অগ্রসার বালিকা মহাবিদ্যালয় ও কুণ্ডেশ্বরী কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। 


আওয়ামী লীগ   ড. প্রণব কুমার বড়ুয়া   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জাল ভোট দিতে গিয়ে ধরা, নারীর ৬ মাসের কারাদন্ড


Thumbnail জাল ভোট দিতে আসায় নারীকে আটক

পটুয়াখালী সদর উপজেলাধীন ভুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে জাল ভোট দিতে গিয়ে শাহানাজ বেগম (২৫) নামের এক নারীকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। 

 

রবিবার (২৮এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে ভুরিয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ভোট কেন্দ্র ১৬৪ নং পশ্চিম ভায়লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এ ঘটনাটি ঘটে। সাজাপ্রাপ্ত আসামি শাহানাজ বেগম ভায়লা এলাকার নুরুল ইসলাম ফরাজির মেয়ে ও আলমগীর হোসেনের স্ত্রী। 

 

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ওই কেন্দ্রে ছদ্মবেশে দ্বিতীয় বারের মতো ভোট দিতে আসে তখন অনেক এজেন্টদের তাকে সন্দেহ হয়। পরে তাকে চ্যালেঞ্জ করলে তিনি জাল ভোট দেয়ার কথা স্বীকার করেন।

 

এঘটনায় তাকে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন আইনের ১৮৬০ এর ১৭১এর চ ধারা অনুযায়ী তাকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

শাহানাজ বেগম একজন ইউপি সদস্য প্রার্থীর পক্ষে দ্বিতীয় বার ভোট দিতে এসে ধরা খেয়েছেন বলে তিনি স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।


ইউপি নির্বাচন   জাল ভোট   নারী আটক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন