নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৩৫ পিএম, ২২ এপ্রিল, ২০১৯
সিলেটের সুনামগঞ্জের দিরাই ভাটিপাড়ার জমিদার পরিবারের সন্তান জায়ান চৌধুরী। আগামী নভেম্বর মাসে গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শ্রীলঙ্কায় জঙ্গি হামলায় নিহত হয় জায়ান। প্রিয় নাতির সঙ্গে নিজেদের জমিদারির গৌরব ও আভিজাত্যের গল্প করতেন দাদা মতিনুল হক চৌধুরী। হাওর ঘেরা গ্রামের বর্ণনা শুনে গ্রামে যাওয়ার আগ্রহ জন্মায় জায়ানের। তাই দাদুর কাছে বায়না ছিল তাকে গ্রামে নিতে হবে। নাতির হাত ধরে নিজেদের জমিদারির সীমানা ঘুরে ঘুরে দেখানোর সুপ্ত ইচ্ছেও ছিল দাদুর। পূর্বপুরুষের স্মৃতিবিজড়িত স্থানের সঙ্গেও পরিচয় করিয়ে দেবেন এমনা ভাবছিলেন তিনি।
নাতি প্রথমবারের মতো বাড়িতে আসবে এই আহ্লাদে বেজায় খুশি ছিলেন দাদা। তাই ঢাকা থেকে এক সপ্তাহ আগে বাড়িতে এসে বনেদি পুরনো ভবনের সংস্কার কাজ শুরু করেছিলেন। কিন্তু সেই সুখ ও আহ্লাদ শ্রীলঙ্কায় জঙ্গি হামলায় জায়ানের মৃত্যুতে বিষাদে পরিণত হয়েছে। পুরো পরিবার এখন শোকে স্তব্দ। গ্রামের বাড়ির স্বজনরাও মর্মাহত।
জানা যায়, গত এক সপ্তাহ আগে ঢাকা থেকে মতিনুল হক চৌধুরী ওরফে পারুল চৌধুরী গ্রামের বাড়িতে ছুটে যান। গিয়ে পুরনো জমিদার বাড়ির সংস্কার কাজ করেন। শ্রমিক লাগিয়ে বাড়িঘর পরিস্কার, বসতঘর সংস্কার, বিদ্যুৎ সংযোগ লাইন সংস্কারসহ রাস্তাঘাট সংস্কার করেন নতুন করে। বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছিল ফ্রিজ, জেনারেটরসহ নানা ধরনের মূল্যবান আসবাব সামগ্রী। এই কাজ নিয়েই বাড়িতে ব্যস্ত ছিলেন গত এক সপ্তাহ ধরে। কিন্তু আদরের নাতি বাড়ি আসার আগেই চিরতরে না ফেরার দেশে চলে গেছে সে। তার বায়না আর কখনো পূরণ হবে না বলে কেদে চলছেন দাদু। বার বার মুষড়ে পড়েন তিনি। রবিবার সন্ধ্যায় ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
মতিন চৌধুরীর ভাতিজা সুজাত বখত চৌধুরী বলেন, সম্পর্কে আমার চাচা হলেও আমরা সমবয়সী। তিনি ঢাকা থেকে আসার সময় আমাকে সিলেট থেকে নিয়ে এসেছেন। গল্প করেছেন তার নাতি ও আমার চাচাতো ভাই জায়ান চৌধুরী আগামী নভেম্বরে বাড়িতে আসবে। তাই তিনি পুরনো বাড়িঘর সংস্কার ও সাজাচ্ছেন। গত এক সপ্তাহ ধরেই আনন্দের সঙ্গে তিনি শ্রমিকদের সঙ্গে কাজ তদারকি করছিলেন। রবিবার বিকেলেও আমরা এক সঙ্গে ছিলাম। এ সময়ই দুর্ঘটনার ফোন আসে। হাস্যজ্জ্বেল মানুষটি হঠাৎ মুষড়ে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি ঢাকায় রওয়ানা দিয়েছেন। সেখানে গিয়ে প্রিয় নাতি ও ছেলের জন্য বিলাপ করছেন।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রথম পর্যায়ের উপজেলা নির্বাচনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত। ১৫০টি উপজেলায় এখন জনগণ ভোটের অপেক্ষায়। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৫৯টি উপজেলায় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন গতকাল শেষ হয়েছে। সেখানেও এখন নির্বাচনী প্রচারণার ডামাডোল শুরু হয়েছে। কিন্তু উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হবে কি না, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে কি না এবং উপজেলা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে কি না তা নিয়ে একদিকে যেমন জনগণের সংকট রয়েছে তেমনই নির্বাচন কমিশনও এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত।
লক্ষ্মীপুর সদরের তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরপরই হামলার শিকার হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নেপথ্যে নির্বাচনে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ। এঘটনায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী দুই প্রার্থীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ ৯১১ জনের বিরুদ্ধে দুইটি মামলাও দায়ের করেন। ফলে নির্বাচনের পর আনন্দের বদলে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে ওই ইউনিয়নে।