নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:১৪ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০১৯
আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ডিজিটাল তালিকা আসছে। ইতিমধ্যে ৮টি বিভাগে ৮টি টিম কাজ শুরু করে দিয়েছে। আমি যখন অবসর নিয়ে টুঙ্গিপাড়ায় থাকবো তখন এক চাপেই নেতাকর্মীদের নাম পরিচয় দেখতে পারবো।‘
সদ্য সমাপ্ত ব্রুনাই দারুসসালামে তিনদিনের সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের পরবর্তী কাউন্সিলে যারা নেতাকর্মী হয়ে আসবে তাঁদের নাম ডিজিটাল তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা হবে। জেলা, উপজেলায়, ইউনিয়নে যারা কাউন্সিলে নেতা-নেত্রী নির্বাচিত হবেন তাঁদের নাম এই তালিকায় অন্তুর্ভুক্ত হবে। আমি তখন থাকবো না। অবসর নিয়ে টুঙ্গিপাড়ায় থাকবেন। তখন এক চাপেই তাঁদের দেখতে পারবো কে কোথায় নির্বাচিত হয়েছে।‘
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের পরবর্তী সভাপতি কে হবেন এই প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের সভাপতি কে হবে তা দল নির্ধারণ করবে। আমি কেনো নির্ধারণ করতে যাবো? আওয়ামী লীগ কোনো ভেসে আসা দল নয় যে সে এসে সভাপতি হয়ে যাবে। কাউন্সিলে দলের নেতারা নেতৃত্ব নির্বাচন করবেন।‘
এসময় প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ’৭৫ এর ১৫ আগস্টের পর আস্তে আস্তে সংগঠন গুছানো শুরু করি। তখনও ভাবিনি আমি আওয়ামী লীগের সভাপতি হবো। সুইজারল্যান্ডে যখন প্রথম বক্তব্য দেয়া হয় সেটাও কিন্তু রেহানাই দেয়।‘
প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে শুক্রবার বিকেল ৪টায় এ সম্মেলন শুরু হয়। বিটিভিসহ বেশ কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেল অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করছে।
উল্লেখ্য, ব্রুনাইয়ের সুলতান হাসানাল বলকিয়ার আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২১ থেকে ২৩ এপ্রিল ব্রুনাই সফর করেন। সফরে দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার ছয়টি সমঝোতা স্মারক সই এবং কূটনীতিক ও সরকারি কর্মকর্তাদের ভিসা ছাড়া ভ্রমণের সুযোগ দিতে কূটনৈতিক নোট বিনিময় হয়েছে।
সই হওয়া সমঝোতাগুলো হচ্ছে- কৃষি, মৎস্যসম্পদ, প্রাণিসম্পদ, শিল্প ও সংস্কৃতি, যুব ও ক্রীড়া খাতের সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং এলএনজি ও এলপিজি সরবরাহের লক্ষ্য।
বাংলা ইনসাইডার/এসআর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রথম পর্যায়ের উপজেলা নির্বাচনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত। ১৫০টি উপজেলায় এখন জনগণ ভোটের অপেক্ষায়। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৫৯টি উপজেলায় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন গতকাল শেষ হয়েছে। সেখানেও এখন নির্বাচনী প্রচারণার ডামাডোল শুরু হয়েছে। কিন্তু উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হবে কি না, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে কি না এবং উপজেলা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে কি না তা নিয়ে একদিকে যেমন জনগণের সংকট রয়েছে তেমনই নির্বাচন কমিশনও এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত।
লক্ষ্মীপুর সদরের তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরপরই হামলার শিকার হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নেপথ্যে নির্বাচনে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ। এঘটনায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী দুই প্রার্থীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ ৯১১ জনের বিরুদ্ধে দুইটি মামলাও দায়ের করেন। ফলে নির্বাচনের পর আনন্দের বদলে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে ওই ইউনিয়নে।