নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:১৮ এএম, ২৭ এপ্রিল, ২০১৯
নড়াইলের মানুষ এক ভিন্ন মাশরাফিকে দেখছে আজকাল। তিনি তার এলাকার একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্ত ঘুরে বেড়িয়ে বিভিন্ন অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিচ্ছেন। গত বৃহস্পতিবার তিনি নড়াইল সদর হাসপাতালে এক ঝটিকা অভিযান চালান। এই অভিযানের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, মাশরাফি জানতে পারেন, ছুটি ছাড়াই এক ডাক্তার তিনদিন অনুপস্থিত। ক্ষিপ্ত হয়ে মাশরাফি রোগী সেজে ওই চিকিৎসককে ফোন করলে তিনি রোগীকে অর্থাৎ মাশরাফিকে রোববার হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নিতে বলেন। এ সময় নিজের পরিচয় দিয়ে মাশরাফি ডাক্তারকে বলেন, `এখন যদি হাসপাতালের সার্জারী প্রয়োজন হয় তাহলে সেই রোগী কী করবে?` এরপর সেই ডাক্তারকে তার কর্তব্যের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে দ্রুত এলাকায় ফিরে আসার নির্দেশ দেন তিনি।
মাশরাফি ঝটিকা অভিযানগুলোর কারণে সিনেমার জনপ্রিয় একটি চরিত্র ফাটাকেষ্ট’র সঙ্গে মাশরাফির মিল খুজে পাচ্ছেন নড়াইলবাসী। তাকে ফাটাকেষ্ট মাশরাফি নামেই ডাকতে শুরু করেছেন অনেকে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ৩ টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত মাশরাফি টানা ২ ঘন্টা নড়াইল সদর হাসপাতাল ঘুরে দেখেন। এসময় পুরুষ ওয়ার্ডে মাত্র ২ জন নার্স দেখে তাদের ডিউটির ব্যাপারে খোঁজ নেন। জানতে পারেন হাসপাতালে পর্যাপ্ত নার্স থাকলেও ২-১ জন নার্স দিয়েই বিভিন্ন ওয়ার্ড পরিচালিত হচ্ছে। ঘটনা শুনে তাৎক্ষণিক নিচে নেমে এসে নার্সিং সুপারভাইজারদের খোঁজ করেন মাশরাফি। নার্সদের কক্ষে তালা দেখতে পেয়ে টেলিফোনে দায়িত্বপ্রাপ্তদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন। এসময় একজন সুপারভাইজারের ফোন বন্ধ পাওয়া যায় এবং অপরজনের ফোন খোলা থাকলেও রিসিভ করেননি।
নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে নারী ও শিশু ওয়ার্ডে রোগীদের সাথে কথা বলে তাদের কাছ থেকে নানা ধরনের সমস্যা শোনেন ম্যাশ। সে সময় রোগীরা অনুরোধ করেন হাসপাতালের বাথরুম ও তার পরিবেশ দেখার জন্য। কয়েকটি বাথরুমের দরজা ভাঙ্গা এবং দূর্গন্ধে মাশরাফি নিজেই বিব্রত হন।
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রথম পর্যায়ের উপজেলা নির্বাচনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত। ১৫০টি উপজেলায় এখন জনগণ ভোটের অপেক্ষায়। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৫৯টি উপজেলায় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন গতকাল শেষ হয়েছে। সেখানেও এখন নির্বাচনী প্রচারণার ডামাডোল শুরু হয়েছে। কিন্তু উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হবে কি না, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে কি না এবং উপজেলা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে কি না তা নিয়ে একদিকে যেমন জনগণের সংকট রয়েছে তেমনই নির্বাচন কমিশনও এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত।
লক্ষ্মীপুর সদরের তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরপরই হামলার শিকার হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নেপথ্যে নির্বাচনে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ। এঘটনায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী দুই প্রার্থীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ ৯১১ জনের বিরুদ্ধে দুইটি মামলাও দায়ের করেন। ফলে নির্বাচনের পর আনন্দের বদলে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে ওই ইউনিয়নে।