ইনসাইড বাংলাদেশ

বদলে যাচ্ছে বেনাপোল কাস্টমস হাউস

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১:০১ এএম, ১১ মে, ২০১৯


Thumbnail

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কাস্টম হাউস বেনাপোল চেক পয়েন্ট। ১৯৫৭ সালে চেকপোস্ট চালুর পর বেনাপোল পূর্ণাঙ্গ কাস্টম হাউস হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০০ সালে। বর্তমানে বছরে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার বাণিজ্িযক লেনদেন হয় এবং প্রতিদিন ১০ হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে।

কাস্টম হাউসটি ক্রমেই আধুনিক হাউসে রূপান্তর হচ্ছে। বর্তমান কমিশনার মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন চৌধুরী দায়িত্ব নেওয়ার পর রাজস্ব ফাঁকি রোধ, শুল্কায়ন ও আমদানি-রপ্তানি প্রক্রিয়ায় এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন। এই কাস্টম হাউসকে আনা হয়েছে সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজেশনের আওতায়। স্বাধীনতার ৪৬ বছর পর চালু করা হয়েছে বাইপাস সড়কসহ বেশ কিছু নতুন স্থাপনা।

বেনাপোল কাস্টম হাউসকে আধুনিক হিসেবে গড়ে তোলার স্বীকৃতি হিসেবে মিলেছে ‘বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০১৯।’ বিশ্বব্যাংক সম্প্রতি বেনাপোল কাস্টম হাউসের কমিশনার মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন চৌধুরীকে দেশ সেরা ‘কাস্টমস কমিশনার’ হিসেবে অ্যাওয়ার্ড প্রদান করে।

এ বিষয়ে বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন চৌধুরী বলেন, ‘আমি চাই ব্যবসায়ীদের আমদানি-রপ্তানি প্রক্রিয়া আরো সহজ ও গতিশীল হোক। আমি এখানে যোগদান করার পর থেকেই এ উদ্দেশ্েয কাজ করে যাচ্ছি। বন্দর উন্নয়নে বেনাপাস সফটওয়্যার, আমদানি-রপ্তানিতে নতুন গেট স্থাপন, রাস্তার উন্নয়ন, উন্নত বন্দর ব্যবস্থাপনা, আধুনিক কেমিক্যাল ল্যাবরেটরিসহ বেশ কিছু বিষয় সংযোজন হয়েছে। এর ফলে পণ্য আমদানি-রপ্তানি অনেক গতিশীল হয়েছে। আগে আমদানিকৃত পণ্য ছাড় করতে ১০ থেকে ১৫ দিন লেগে যেতো, এখন তা ১ ঘন্টায় নেমে এসেছে।’

বেনাপোল কাস্টম হাউসের উন্নয়ন কর্মকা-ের মধ্েয রয়েছে চেকপোস্ট: বেনাপোল কাস্টম হাউসের নিরাপত্তা জোরদারে স্ক্যানিং মেশিনের পাশাপাশি অত্যাধুনিক মেটাল ডিটেকটর ও সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। ট্র্যাভেল ট্যাক্স সহজীকরণের জন্য সোনালি ব্যাংক বুথ বৃদ্ধি করা হয়েছে। যাত্রী হয়রানি বন্ধে চেকপোস্টে বহিরাগত প্রবেশ রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যাত্রীদের জন্য ১০০ ট্রলি সরবরাহ ব্যবস্থা পক্রিয়াধীন আছে। এই ১০০ ট্রলি চেকপোস্ট ব্যবহার করলে যাত্রী ভূগান্তী কমে আসবে। ফলে যাতায়েত ব্যবস্থা আরো সহজ হয়ে যাবে। যেখানে নিবিড় তদারকির জন্য একজন ডেপুটি কমিশনারকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
কার্গো শাখা: সংস্কারের মাধ্যমে আমদানি পণ্েযর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে উদ্েযাগ নেওয়া হয়েছে। ৩৬ ধরণের রপ্তানি পণ্য দ্রুত প্রেরণে দুটি লিংক রোড চালু করা হয়েছে। কার্গো সংস্কারের আগে ভারত একটি পথ বন্ধ রাখতো। লিংক রোড চালু করায় পণ্যজট ও আমদানি-রপ্তানি ব্যয় কমেছে অনেকখানি।

বেনাপাস সফটওয়্যার চালু: কার্গো শাখার আরেকটি সাফল্য বেনাপাস সফটওয়্যার চালু। এর মাধ্যমে ভারতীয় আমদানি পণ্যবাহী গাড়ির তথ্য ডিজিটালি ধারণ করা হয়। প্রতিটি গাড়ি এন্ট্রিতে খরচের পাশাপাশি সময় আট ভাগের এক ভাগে নেমে এসেছে।

শুল্কায়ন: শুল্কায়ন কার্যক্রম সঠিক ও দ্রুত করার জন্য একাধিক সংস্কার পদক্ষেপ গৃহীত হয়েছে। শুল্কায়ন দ্রুত করতে ফোল্ডার পদ্ধতি চালু করার ফলে একটি ফাইল নিষ্পত্তির প্রয়োজনীয় সময় ৩ দিনে থেকে তিন ঘন্টায় এসেছে। শুল্কায়ন গ্রুপ সংখ্যা ৫টি থেকে ৯টি বৃদ্ধি করা হয়েছে। শুল্কায়ন, মূল্যায়ন ও অডিটের ওপর নিয়মিত ইনহাউস প্রশিক্ষণ চলমান রয়েছে।

আধুনিক ল্যাব: দেশের নিরাপত্তায় ও অবৈধ রাসায়নিক পণ্য চোরাচালান প্রতিরোধে চলতি বছরের জানুয়ারিতে কাস্টম হাউসে যুক্ত হয়েছে অত্যাধুনিক কেমিক্যাল ল্যাবরেটরি। আগে ছিল নামমাত্র যন্ত্রপাতি। আগে রাসায়নিক দ্রব্য পরীক্ষা করতে যেখানে ৭ থেকে ১৫ দিন লাগতো, সেখানে নতুন যন্ত্রপাতি সংযোজনের ফলে তা ঘণ্টায় নেমে এসেছে। বর্তমান কমিশনারের উদ্েযাগে ল্যাবরেটরিতে যুক্ত হয়েছে ১৮ ধরণের নতুন যন্ত্রপাতি। যন্ত্রপাতির মধ্েয রয়েছে এইচপিএলসি (হাই পারফরম্যান্স তরল ক্রোমাটোগ্রাফি), এফটিআইআর (ফোরিয়ার ট্রান্সফর্ম ইনফ্রারেড স্পিকারস অনুলিপি), মাইক্রোস্কোপ, ফ্ল্যাশ পয়েন্ট যন্ত্রপাতি, ওয়েল কনটেন্ট এনালাইজার, মিল্টিং পয়েন্ট যন্ত্র, কেজিডাহাল ফ্লাস্ক সেট, সুতা গণনা যন্ত্র, পলারি মিটার, ডেনসিটি মিটার, পিএইচ মিটার, কলারি মিটার, ভিসকো মিটার, হিটিং মিটার, ওয়াটার ডিসটিলাইমেন সেট, হট প্লেট, অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র, হাজমাট আইডি এলিট এবং রোমান স্পেকট্রমিটার।

এ বিষয়ে কমিশনার বেলাল হোসাইন চৌধুরী বলেন, ‘বেনাপোল কাস্টম হাউজে আধুনিক রাসায়নিক পরীক্ষাগার স্থাপন হওয়ায় মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানি কমে যাবে। বিগত ছয় মাসে কাগজপত্র বিহীন ৫-৬ টি পন্য চালান জব্দ করা হয়েছে। কেমিক্যালের সঙ্গে কোনো ক্ষতিকর বা বিস্ফোরক জাতীয় পণ্য এলে তা পরীক্ষায় ধরা পড়ে যাবে। এর ফলে সৎ ব্যবসায়ীরা হয়রানি থেকে মুক্তি পাবেন।

ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা: ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় গোয়েন্দা ও নিবারক তৎপরতায় ইনভেস্টিগেশন রিচার্স এন্ড ম্যানেজমেন্ট টিম গঠন করা হয়েছে। এনবিআর প্রদত্ত গাইডলাইনের আলোকে আইআরএম দলের প্রোফাইলিং ও নজরদারী বৃদ্ধি করা হয়েছে। জট কমাতে বন্দরে পণ্যবাহী গাড়ি প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য গেট সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে। চোরাচালান প্রতিরোধে রাত্রিকালীন পেট্রোল টিম এবং বিশেষ ক্যাশ ক্লিয়ারেন্স টিম গঠন করা হয়েছে। এছাড়া জেলার ম্যাজিস্ট্রেটের সমন্বয়ে ডিসি কাস্টমসের নেতৃত্বে বিজিবি, পুলিশ, আনসার ও র‌্যাবের সমন্বয়ে টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে।

তথ্য, যোগাযোগ ও প্রযুক্তি: তথ্য, যোগাযোগ ও প্রযুক্তির উন্নয়নের অংশ হিসেবে স্টাফদের ডাটাবেজ তৈরির পশাপাশি হাজিরা নিশ্চিত করা হয়েছে। চোরাচালান প্রতিরোধে অত্যাধুনিক সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়ন ও কাজের গতিশীলতা বৃদ্ধিতে ভাইবার গ্রুপ খোলা হয়েছে, যেখানে সম্পৃক্ত আছেন ২০০ কর্মকর্তা-কর্মচারি।

বন্দরে নতুন ৭৫ বিঘা জমি অধিগ্রহণ: আমদানিকৃত গাড়িসহ বিভিন্ন পণ্য রাখার সুব্যবস্থা করতে বর্তমান কমিশনারের উদ্েযাগে স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষ ৭৫ বিঘা বা ২৫ একর জমি অধিগ্রহণ করেছে। ফলে মাল খালাসের আগে বিভিন্ন গাড়ি ও পণ্য বন্দরে রাখার অধিক সুবিধা পেয়েছেন আমদানিকারকরা। বড় বড় বহুজাতিক কোম্পানি বেনাপোল বন্দর দিয়ে তাদের আমদানি বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছে।

বেনাপোল কাস্টম হাউস থেকে পাওয়া তথ্যানুসারে, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে বন্দরটি দিয়ে পণ্য আমদানি হয়েছে ১২ লাখ ৭১ হাজার ২৪ টন। ২০১৪-১৫, ২০১৫-১৬, ২০১৬-১৭ ও ২০১৭-১৮ অর্থবছরে আমদানির পরিমাণ বেড়ে যথাক্রমে ১৩ লাখ ৫৪ হাজার ৯৪২, ১২ লাখ ৮৩ হাজার ৮৭৫, ১৫ লাখ ১৯ হাজার ২২০ ও ১৯ লাখ ৮৮ হাজার ৩৯৭ টনে দাঁড়িয়েছে।

 





মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চট্টগ্রামে সাবেক ও বর্তমান মন্ত্রীর লড়াই

প্রকাশ: ১০:১১ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে ২৯ মে আনোয়ারা উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা যেন কোন প্রার্থীর পক্ষে-বিপক্ষে না যায় বা না সমর্থন করে এমন নির্দেশনা থাকলেও চট্টগ্রামের আনোয়ারায় সাবেক ও বর্তমান মন্ত্রীর লড়াই চলছে।

জানা গেছে, আনোয়ারায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিন প্রার্থী। তবে এর মধ্যে অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান কাজী মোজাম্মেল হককে (আনারস) ও সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এম এ মান্নান চৌধুরীকে (মোটরসাইকেল) সমর্থন দিচ্ছেন। ভোট ছাপিয়ে উপজেলা নির্বাচন পরিণত হয়েছে সাবেক ও বর্তমান দুই মন্ত্রীর লড়াইয়ের মঞ্চ। তবে দুই নেতার বাইরে আলাদাভাবে প্রচারণা এগিয়ে নিচ্ছেন দুবারের চেয়ারম্যান তৌহিদুল হক চৌধুরী (দোয়াত কলম)।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ১ মে সন্ধ্যায় আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগ বর্ধিত সভা ডেকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বটতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ মান্নান চৌধুরীকে প্রার্থী ঘোষণা করে। ওই সভায় সাবেক ভূমিমন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান চৌধুরী তাকে সমর্থন দেন। একই দিন রাতে অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খানের অনুসারী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কাজী মোজাম্মেল হক প্রার্থী হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে আনোয়ারার চাতরী চৌমুহনীসহ বিভিন্ন জায়গায় আনন্দ মিছিল করেন ওয়াসিকার অনুসারীরা। 

তবে অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খানের অনুসারী কাজী মোজাম্মেল হক উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ায় নির্বাচনী পরিবেশের মোড় ঘুরে যায়। মোজাম্মেলের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের অনেকে থাকায় জমে উঠেছে আনোয়ারা উপজেলা পরিষদের নির্বাচনী আমেজ।

উপজেলা পরিষদের নির্বাচন ঘিরে আনোয়ারায় তিন পক্ষ একে অপরের মুখোমুখি অবস্থানে আছে। সাবেক ভূমিমন্ত্রীর প্রার্থী এম এ মান্নানকে জেতাতে ১০ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এককাট্টা হলেও আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা মাঠে নেমেছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খানের প্রার্থী কাজী মোজাম্মেল হককে জেতাতে। ওই দুই প্রার্থীর বাইরে জেলা-উপজেলার বেশ কিছু নেতাকে নিয়ে মাঠে আছেন তৌহিদুল হক চৌধুরী।

উল্লেখ্য, আনোয়ারা উপজেলার ১১ ইউনিয়নে ৭৪টি ভোটকেন্দ্র আছে। তার মধ্যে স্থায়ী ভোটকক্ষ ৪৮৪টি এবং অস্থায়ী ভোটকক্ষ ৫০টি। পুরুষ ভোটার ১ লাখ ২৩ হাজার ৮৮৮ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৯ হাজার ২২১ জন।

উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

এমপিপুত্রের দাপটে অন্যরা কোণঠাসা

প্রকাশ: ০৯:৩৬ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

সেনবাগ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের ছেলে সাইফুল আলম দিপুর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বী অন্য প্রার্থীদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় প্রশাসনকে নিজেদের সুবিধামতো ব্যবহার করার ফলে অন্য প্রার্থীরা তাদের শঙ্কার কথা জানিয়েছে।

প্রার্থীদের অভিযোগ, দিপু বাবার ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে তার সমর্থকরা পদে পদে হয়রানি করছে অন্য প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের। প্রশাসনকে নিজেদের কাজে লাগানো, অন্য প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের হুমকি, প্রচারণায় বাধাসহ বিভিন্ন অবৈধ কর্মকাণ্ড করছেন ভোটের মাঠে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তার বাবা মোরশেদ আলম। সম্মেলনের মাধ্যমে লায়ন জাহাঙ্গীর আলম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন। কিন্তু গত সংসদ নির্বাচন আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিকের পক্ষে ভোট করার দায়ে লায়ন জাহাঙ্গীরকে পদ থেকে বহিষ্কার করেন এমপি মোরশেদ। এরপর নিজের পছন্দের বাহার উদ্দিনকে সাধারণ সম্পাদক করেন তিনি। এ ছাড়াও বিভিন্ন ইউনিয়নের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেন মোরশেদ। কোনো সম্মেলন ছাড়াই তিনি এসব কমিটি দিচ্ছেন। সব মিলেয়ে সেনবাগে রাজনৈতিক পরিবেশকে অস্বাভাবিক করে তুলেছে এমপি পরিবার। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কমিটিগুলোও তাদের দখলে।

জানা গেছে, নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই অন্য প্রার্থী ও তাদের কর্মী-সমর্থকদের প্রতিনিয়ত প্রাণনাশের হুমকি এবং দলীয় সুবিধা থেকে বঞ্চিত করার হুমকি দিচ্ছেন সাইফুল আলম দিপু ও তার অনুসারীরা। নির্বাচনে ১, ৬,৭ ও ৮ নং ইউনিয়নসহ অন্য ইউনিয়নেও অন্য প্রার্থীর এজেন্ট প্রবেশ না করার জন্যও প্রতিনিয়ত চাপ ও হুমকি দিচ্ছেন তিনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক দলীয় নেতা জানান, তার বিপক্ষে গিয়ে অন্য প্রার্থীর ভোট করায় তাদের সরকারি বরাদ্দ টিআর, কাবিখা এবং দলীয় পদপদবি না দেওয়ার চাপ দিচ্ছেন দিপু। এজন্য প্রশাসন দিয়েও নেতাকর্মীদের বাড়িতে অভিযান চালানো হচ্ছে। মামলারও হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, আগামী মঙ্গলবার (২১ মে) দেশের ১৫৭টি উপজেলায় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের ২য় ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ২য় ধাপে সেনবাগসহ নোয়াখালীতে মোট ৩টি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

সেনবাগ উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়াই করছেন মোট ১৫ জন প্রার্থী৷ তারা সবাই ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী।

স্থানীয় সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের ছেলে আনারস প্রতীকের প্রার্থী সাইফুল আলম দিপু ছাড়াও চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন সেনবাগ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থী মো. আবু জাফর টিপু, বর্তমান চেয়ারম্যান হেলিকপ্টার প্রতীকের প্রার্থী জাফর আহাম্মদ চৌধুরী, সাবেক ছাত্রনেতা কাপ-পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী হাসান মঞ্জুর, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সদস্য মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী এ কে এম জাকির হোসেন জুয়েল ও টেলিফোন প্রতীকের প্রার্থী এস এম জাহাঙ্গীর আলম মানিক।

উপজেলা নির্বাচন   নোয়াখালী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বান্দরবানে সেনা অভিযানে ৩ কেএনএফ সদস্য নিহত

প্রকাশ: ০৭:৪৬ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

বান্দরবানের রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলা সীমান্তে সেনাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) তিন সদস্য নিহত হয়েছে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে দেশীয় অস্ত্র, কার্তুজ, সামরিক পোশাক ও অন্য সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। 

রোববার (১৯ মে) দুপুরে রুমা উপজেলায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ডেবাছড়ার গভীর অরণ্যে কেএনএফ আস্তানা গেড়েছে- এমন খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথবাহিনী অভিযান পরিচালনা করে। সেখানে উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। ঘণ্টা ব্যাপী গুলি বিনিময়ের পর সেখান থেকে কেএনএফের দু’জন সদস্যের লাশ ও একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে তিনিও মারা যান। নিহতদের এখনো কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি।

বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হান কাজেমী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রুমা উপজেলার রনিন পাড়ার কাছে ডেবাছড়া এলাকায় কেএনএফের একটি আস্তানায় সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনীর অভিযানে তিনজন নিহত হয়েছে। ঘটনার পর মরদেহ উদ্ধারের জন্য পুলিশ সেখানে গিয়েছে।

উল্লেখ্য, বান্দরবানে গত ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, টাকা-অস্ত্র লুটের ঘটনায় মামলায় অভিযুক্ত ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগে বান্দরবানজুড়ে যৌথ বাহিনীর চিরুনি অভিযান চলমান রয়েছে।

বান্দরবান   কেএনএফ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য নিয়ে মতবিনিময় সভা

প্রকাশ: ০৭:৩৯ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

সিরাজগঞ্জে গণমাধ্যম কর্মীদেরকে নিয়ে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য নারী পক্ষ নামে একটি সংগঠন সিরাজগঞ্জ ও পাবনার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

 

রবিবার (১৯ মে') দুপুরে শহরের এস. এস রোডস্থ নর্থ টাউন রেস্তোরাঁয় প্রোগ্রাম ফর উইম্যান ডেভোলপমেন্ট (পি ডাব্লিউডি) সার্বিক সহযোগিতা ও নারীপক্ষ আয়োজনে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য দিনব্যাপী মতবিনিময় সভার শুভ উদ্বোধন করেন নারীপক্ষ চেয়ার পারসন গীতা দাস। 

 

মতবিনময় সভায় নারীপক্ষ চেয়ারপার্সন গীতা দাস বলেন, মানুষ কোনো ভালো কর্ম করলে তাকে বিশেষায়িত করা যায়। কিন্তু নারীরা নির্যাতিত হলেও তাদেরকে বিশেষায়িত করা হয়। যেমন ধর্ষণের শিকার হলে তাকে ধর্ষিতা, নির্যাতনের শিকার হলে নির্যাতিতা বলা হয়। অথচ ধর্ষণের শিকার, নির্যাতনের শিকার লিখলেও হয়।’ একজন নারীকে মানুষ হিসেবে দেখলে এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

 

এসময়ে উপস্থিত ছিলেন কামরুন নাহার, ফেরদৌসী আখতার, পিডাব্লিউডি নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা জলি।

এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন বেসরকারি চ্যানেল টুয়েন্টিফর সিনিয়র রিপোর্টার সাংবাদিক হীরুকগুণ, এনটিভি জেলা প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম ইন্না, দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজন সরকার, বৈশাখী টেলিভিশন সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজিত সরকার, দীপ্ত টিভির সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি শিশির, দীপ্ত টিভি পাবনা জেলা প্রতিনিধি শামসুল আলম সহ অনেকে।


ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য   মতবিনিময়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা, চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ

প্রকাশ: ০৭:২৯ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামালের বিরুদ্ধে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে প্রচারণার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের শিবপুর বাজার এলাকা থেকে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করেন চেয়ারম্যার প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল।

 
রোববার (১৯ মে) মোটরসাইলে প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান তানভীর ইসলাম পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট ও রিটার্নিং অফিসারের কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

 

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপে আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।

 
অভিযোগে বলা হয়, অভিযুক্ত উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের শিবপুর বাজার এলাকা থেকে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা ও মোটরসাইকেল শোডাউন দিয়ে প্রচার কাজ চালিয়েছেন। যা নির্বাচনী আচরণ বিধি লংঙ্ঘন।

 

এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যার প্রার্থী তানভীর ইসলাম বলেন, সাইফুল ইসলাম কামালের গুন্ডা সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত আমার কর্মী, সমর্থক, ভোটারদের ভয়ভীতি, হুমকী, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে ভোট দিতে নিরুৎসাহিত করছে। ফলে নির্বাচন কমিশনের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণবিধি সাইফুল ইসলাম কামাল বারবার লঙ্ঘন করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করছেন।

 

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল বলেন, ‘ঘোড়া নিয়ে প্রচার প্রচারণা করিনি। তবে আমি ঘেড়ার গাড়ি নিয়ে প্রচার প্রচারণা করেছি। এটাও যদি বিধি নিষেধ থাকে তাহলে এটাও পরিহার করবো।’

পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট ও রিটার্নিং অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় চেয়ারম্যান প্রার্থী এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি আমরা। তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।


উপজেলা নির্বাচন   আচরণ বিধি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন