নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৪৯ পিএম, ১৭ মে, ২০১৯
কখনো এত বড় দায়িত্ব সামলাবেন বলে ভাবেননি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি জানান, ‘টানা তিন মেয়াদসহ চতুর্থ মেয়াদে দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং টানা প্রায় চার দশক ধরে দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিয়ে এলেও কখনো এত বড় দায়িত্ব নেওয়ার কথা ভাবিনি।’
তিনি বলেন, ছাত্রজীবন থেকেই আমার রাজনীতি শুরু। কিন্তু কোনো বড় পোস্টে ছিলাম না, কখনো বড় পোস্ট চাইওনি। পদ তৈরি করা এবং সবাইকে পদে বসানো এই দায়িত্বই পালন করতাম। ৭৫- এর পর যে এত বড় দায়িত্ব আমাকে নিতে হবে, সেটা আমি কখনো ভাবিওনি, চাইওনি। এমন দায়িত্ব নেওয়ার কথা চিন্তাতেও ছিল না।
শুক্রবার (১৭ মে) প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ৩৯তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে দলীয় নেতাকর্মীরা গণভবনে তাকে শুভেচ্ছা জানাতে এলে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি স্মৃতিচারণ করে বলেন,‘বাংলাদেশে যখন ফিরেছিলাম (১৯৮১ সালের ১৭ মে), সেদিন আকাশ মেঘে ঢাকা ছিল। প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছিল। বিমানটি বাংলার মাটি ছুঁয়েছে, ট্রাকে করে আমাদের নিয়ে আসা হচ্ছে। ওই সময় ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে হাজার হাজার মানুষ এসেছিল। এয়ারপোর্ট থেকে সংসদ ভবন পর্যন্ত এত মানুষের ঢল যে এইটুকু পথ আসতে প্রায় চার ঘণ্টা সময় লেগে গিয়েছিল।
তিনি তার পরিবারকে হত্যার ঘটনা স্বরণ করে বলেন, মাত্র ১৫ দিন আগে, জুলাই মাসের ৩০ তারিখে ছোট বোন রেহানাকে নিয়ে আমি জার্মানিতে গিয়েছিলাম। রেহানা পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। কলেজে গেলাম। সবাইকে রেখে গিয়েছিলাম, কামাল, জামাল, রাসেল…। মাত্র ১৫ দিনের মাথায় শুনলাম, আমাদের কেউ নেই, আমরা নিঃস্ব। আমাদের দেশেও আসতে দেওয়া হলো না। কপর্যায়ে চাচা এসে আমাদের নিয়ে যায়।
দেশের জন্য কিছু করার তাগিদ থেকেই ফিরে এসেছিলেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি সিদ্ধান্ত নিলাম দেশে আসব। আমি জানি না কী করব, কোথায় থাকব, কই যাব। অনেক বাধা, অনেক বিপত্তি। তবু সিদ্ধান্ত নিলাম, আমাকে আসতেই হবে।
দেশের ফেরার পরের প্রতিকূল পরিস্থিতির কথা তুলে ধরেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। তিনি বলেন, দেশে ফেরার পর থেকেই পদে পদে বাধা পেয়েছি। যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না, তারাই তখন ক্ষমতায়। ১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত ১৯টি ক্যু হয়েছিল। এক সামরিক শাসকের মৃত্যুর পর আরেক সামরিক শাসক আসলো। আমরা আওয়ামী লীগ কিন্তু গণতন্ত্রের জন্য একটার পর একটা সংগ্রাম করেই গেছি। কারণ আমরা বিশ্বাস করি, গণতান্ত্রিক ধারা আর ব্যবস্থা ছাড়া দেশের উন্নয়ন করা সম্ভব না।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
হিট স্ট্রোক তীব্র তাপদাহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ শিল্পমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
প্রায় ১৩ বছর পর লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচনে তিনটিতে চেয়ারম্যান পদে নতুন জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন। আর দক্ষিণ হামছাদী ও তেওয়ারীগঞ্জ এ দুইটি ইউনিয়নে এ পদে পুরাতনেই আস্থা রেখেছেন ভোটাররা। তবে পাঁচটি ইউনিয়নে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদেরকে পেয়ে উল্লাস প্রকাশ করছে পুরো নেট দুনিয়া।