নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৪৩ পিএম, ২০ মে, ২০১৯
‘খেতে চাইলাম দুধ হয়ে গেল ছানা। সময়টাই বিবর্তনের।’- এমন বাক্যে মোস্তফা জব্বার ঠিক কি ইঙ্গিত করেছেন তা বোঝা যায়নি। মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে শনিবার মধ্যরাতে পরপর দুটি পোস্ট দিয়েছেন।
এর অন্যটি হচ্ছে হচ্ছে- ‘মানবজীবন মানেই লড়াই। জন্ম থেকে কবরে যাওয়া অবধি লড়াই করতে হয়। তবে সব লড়াই এক রকমের হয় না। কখনও যুদ্ধ কঠিন মনে হয়, কখনও মনে হয় সহজ। মানুষ হিসেবে দুটোই মোকাবেলা করতে হয়। ছাত্রাবস্থায় আমার একটি প্রিয় স্লোগান পছন্দ করতাম- লড়াই লড়াই লড়াই চাই, লড়াই করে বাঁচতে চাই। আসুন লড়াই করে বেঁচে থাকি।’
সরকার গঠনের পাঁচ মাস পর মন্ত্রিসভায় শনিবার প্রথম পরিবর্তন আনেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারকে শুধু ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের দায়িত্ব দেয়া হয়। আর প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে এই মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের দায়িত্ব দেয়া হয়।
এর পর রাত ১২টার দিকে ফেসবুকে দুটি স্ট্যাটাস দেন মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। দুধ ও ছানার স্ট্যাটাসের সঙ্গে একটি বাটিতে রাখা ছানার ছবি জুড়ে দেন তিনি। তবে স্ট্যাটাস দুটিতে মন্ত্রী কী ইঙ্গিত করেছেন তা স্পষ্ট না হলেও ধারণা করা হচ্ছে- মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব ভাগাভাগি নিয়ে এমন ‘বিষাদপূর্ণ’ স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি।
এতে অবশ্য অনেকে কমেন্ট করে তাদের অনুভূতি জানিয়েছেন। সামিয়া সিদ্দিকী নামের একজন লিখেছেন, ‘ছানা না হলে দুধের মূল্য বোঝা যেত না! আর যা ঘটে ভালোর জন্য ঘটে। হারানোর পর মানুষের মূল্যায়ন হয়। আপনার অভাব অনুভব যখন হবে, তখন বুঝবে আপনি কী ছিলেন!’
মো. পলাশ হক বলেছেন, ‘স্যারের কথা রহস্যময়, বুঝতে বড় মাথার প্রয়োজন।’
প্রসঙ্গত একাদশ জাতীয় সংসদে টেকনোক্র্যাট কোটায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয় মোস্তাফা জব্বার। এর আগেও তিনি এই মন্ত্রণালয়ের টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী ছিলেন।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রথম পর্যায়ের উপজেলা নির্বাচনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত। ১৫০টি উপজেলায় এখন জনগণ ভোটের অপেক্ষায়। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৫৯টি উপজেলায় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন গতকাল শেষ হয়েছে। সেখানেও এখন নির্বাচনী প্রচারণার ডামাডোল শুরু হয়েছে। কিন্তু উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হবে কি না, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে কি না এবং উপজেলা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে কি না তা নিয়ে একদিকে যেমন জনগণের সংকট রয়েছে তেমনই নির্বাচন কমিশনও এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত।
লক্ষ্মীপুর সদরের তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরপরই হামলার শিকার হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নেপথ্যে নির্বাচনে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ। এঘটনায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী দুই প্রার্থীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ ৯১১ জনের বিরুদ্ধে দুইটি মামলাও দায়ের করেন। ফলে নির্বাচনের পর আনন্দের বদলে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে ওই ইউনিয়নে।