নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০৭ পিএম, ২১ মে, ২০১৯
রাজধানীর কুড়িল এলাকায় প্রেমিকার বাসায় গিয়ে আশিক এ এলাহী নামে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের (এআইইউবি) এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
মঙ্গলবার (২১ মে) ভোরে কুড়িল পূর্বপাড়া এলাকার একটি বাসায় এ ঘটনা ঘটে। ওই বাসায় এলাহীর প্রেমিকা অন্য একজন মেয়ের সঙ্গে ভাড়া থাকতেন বলে জানা গেছে। তবে পরিবার দাবি করছে, এটা হত্যাকাণ্ডও হতে পারে।
জানা যায়, দুইজনই একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ছেলেটি সকালে মেয়েটির বাসায় গিয়ে আজই বিয়ের কথা বলে। মেয়েটি বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানালে ছেলেটি বলে- আত্মহত্যা করব। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মেয়েটি বাসা থেকে বেরিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর মেয়েটি ঘরে ফিরে এলাহী কেমরের বেল্ট দিয়ে জানার গ্রিলের সঙ্গে ফাঁস দিয়ে থাকতে দেখে।
পরে বিষয়টি জানাজানি হলে ওই বাসার মালিক পুলিশকে খবর দেয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে এলাহীকে উদ্ধার করে কুর্মিটোলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এলাহীর বন্ধু নাজমুস সাকিব গণমাধ্যমে জানান, এলাহী এআইইউবির পঞ্চম সেমিস্টারের ছাত্র। তার সহপাঠী এক মেয়ের সঙ্গে গত এক-দেড় বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটি অন্য একজন মেয়ের সঙ্গে কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন।
সকাল এলাহীর প্রেমিকা আমাদের ফোন দিয়ে বিষয়টি জানায়। আমরা ঘটনাস্থলে এসে জানতে পারি, ওই মেয়ের সঙ্গে ঝগড়ার একপর্যায়ে বাসার জানালার গ্রিলের সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
নাজমুস সাকিব দাবি করেন, এলাহির উচ্চতা ছয় ফিট। সে কোনভাবে জানালার সঙ্গে ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করতে পারে না। আর মেয়েটিও কেন তাকে বাসায় রেখে অন্যকোথাও চলে যাবে!
নিহত এলাহির বাড়ি ভোলার বোরহানউদ্দীন উপজেলায়।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জাহিদ মালেক টিপু মুনশি ড. এ কে আব্দুল মোমেন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
গাজা এখন জ্বলছে ইসরায়েলি নিধনে। মুসলমানরা মধ্যপ্রাচ্যে এক দুর্বিষহ রমজান পালন করছে। মানুষের আর্তনাদ এবং আহাজারি, শিশুদের ওপর বর্বরোচিত হামলা সমস্ত মানবতার সীমা লঙ্ঘন করেছে। অমানবিক এবং পৈশাচিকতায় ইসরায়েল এমন বীভৎস তান্ডব তৈরি করেছে যে তাদের মিত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন তাদের ওপর বিরক্ত। সাম্প্রতিক সময়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে প্রথমবারের মতো যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে, যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দেয়নি। অথচ এই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের পরপরই ইসরায়েলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও তারা গাজায় হামলা চালাবে।